সচিত্র কবিকঙ্কণ চণ্ডী
টঙ্€
ক্প্মীল্ল স্বুক্ু-িল্ীন্লি চ্্রম্ন্ভি ও্লীভ্ড
শিপ পিট শিপীাশাশ্পিশীী্াটপাটা তা সীশিস
দ্বিতীয় সংস্করণ ।
প্রকাশক ইত্গআ্ান্ পপর তিলঙ্মিটেড এলহাঁবাদ ইণ্ডিয়ানপাব্লিশিং হাউস-_২২ নং কর্ণওয়ালিস দ্্রীট কলিকাতা
১০৯২১
মূলা ৩২ তিন টাকা মীত্র।
প্রকাশক ্রীতপ্পূর্্থ্কন্ও বস্ ইণ্ডিয়ান প্রেস লিঘিটেড-_এলাহাবাদ
প্রিপ্টাব- শ্রীত্রজগোপাল দেব, বি, $ মেট্কাফ প্রেস, ৭৯ বলরাম দে সু, কলিকাতা ।
প্রাপ্তিস্থান ১। ইগ্ডিয়ান প্রেস লিমিট্ে-_এলাহাবাদ ২। ইগ্ডয়ান পাবলিশিং ঘউস-_২২ নং কর্ণওয়ালিস স্ব, কলিকাতা। অছেশ লাইব্রেরী | পোরষ্ট-নয়াছনগর, কলিকাতা | / |
১০০১1] ০০
দেন মিড 1 নন রা ॥ 2৮ নাশ, সে,
। কা নি
কালীদহে কনাল কামিনী ।
স্ম্নি্া।
কবিজীবনী, কাব্যপরিচয় ইত্যাদি
ত্র গৌরব-্্ধ্য অন্তমিত হইলে ইসলামধন্মের অর্দচন্ত্রচিফিত পতাকা ভারত-গগনে শৌভমান হইল। বহুদিনের শান্তিস্বপ্ত হিন্দু মোসলমীনের রণতাওবে ভীত হইয়া পড়িল । একদিকে সংসার-বৈরাগ্য অপরণিরে জীবনেব অবদাদ উভয়ে মিলিয়। হিন্দত্বকে যেন কোন্ কাল-সমুদ্রের দিকে লইয়া যাইতে লাগিল। মোসলমানেরা হিন্দুদ্দিগকে “কাঁফের অর্থাৎ বিধর্রী মনে করিয়া তাহাদের প্রতি প্রবল অত্যাচার আরম্ত করিয়া দিল। এইরূপে বিভেদের ভিত্তিতে এবং অত্যাচারের দ্বার! ক্রমশঃই নব্য-উদীয়মান মোসলমান-ধর্মের বিস্তৃতি ঘটিতে লাগিল । বিরোধে _অত্যাচারে যাহার প্রতিষ্ঠা তাহাতে কখনই মঙ্গলফল প্রচ্চত হইতে পারে না। ভাবতেব পুব্বতন ইতিহাস মোসলমান রাজত্বের এই কলঙ্ক-কাঁলিম! বক্ষে ধারণ করিরা তাহার সাগ্ষ প্রধান করিতেছে । যেখানে বাজশক্তি প্রজাশক্তি হইতে অধিকতর বঙ্গশালী তথায় বাজার ভাষা প্রজাব ভাঘার মধ প্রবেশাধিকাব লাভ করে ইহা পরীক্ষিত সত্য । পূর্বকালে মোসলমাঁন- প্রভাবে হিন্দুন্ত দৌভাগাববি যে কেমন নিশ্রভ হইতেছিল, তাৎকালিক হিন্দূসাহিত্য তাহা সযত্বে বক্ষে ধারণ করিঘা রহিয়াছে । ইহারই ফলে তৎকালে হিন্দুসাহিতাভিধানে বহুল যাবনিক শব্দ অন্ুপ্রবিষ্ট হইয়াছে । অধুনা বুটিশ অধিকারেও হিন্দুসাহিত্য নব নব শন্দ-দম্পদে গৌরবান্ধিত হইতেছে । ইহ হইতেও সারা হ্য যে, তৎকালে মৌসলমান-প্রভাব হিন্দুর উপব কতটা৷ আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিল।
এইরূপ অত্যাচারের ফলে ও হিন্দুরমণীর প্রতি মোগলবাদসাহগণের অনুরাগের আধিক্যে - মোসলমানের মধো বৈবাহিকতা সধন্ধও চলিতে লাগিল। মোগলকুলতিলক আকবরও এইরূপে এক হিন্টু- :
মহিলার পাণিগ্রহণ করেন। সেই হিন্ুকন্তার গর্ভে তাহার জাহাঙ্গীর নামে এক পুত্র জন্মে । তিনি যে- সময়ে দিল্পীশ্বর তখন:তদীয় গ্রালক মানসিংহ রাজমহলে স্ুবাদারী করিতেছিলেন। জাহাঙ্গীর দিলীশ্বর হইয়া প্রথম নি বিলাদের স্রোতে গা ভাসাইয়া দিলেন। কথায় বলে, “অলস মস্তি সয়তানের কারখানা” |” সেই বাসনাসক্ত দিরীশ্বরের শ্েনদৃষ্টি দিল্লীর সিংহাসনের গৌরব ভুলিয়া বর্ধমানের শাসনকর্তা সের আফগানের রূপীয়সী ভা্যার উপর নিপতিত যইল। কৌশলী রা চাতুর্ধ্যে সের আফগান নিহত হইল। সের আফগানের আলোক-সামান্যা রূপবতী বিধবা ভার্য্যা এখন সম্রাটের অঙ্কশোভিনী হইলেন। দেশের এইরূপ বিশৃঙ্খলা-_রাজনৈতিক গগনে অত্যাচারের মেঘ উঠিয়। প্রজাকুলকে সন্স্ত ও বিধ্বস্ত করিয়া তুলিল। ঝ্মানের শাসন-কর্তার পদে মামুদ সরীফ নিযুক্ত হইলেন। তাঁহার অত্যাচারে বর্ধমানের প্রজাকুলও শঙ্কিত হইয়া কালযাপন করিতে লাগিল । |]
রাজা অত্যাচারী হইলে তাহার কর্ধাচারিগণও অত্যাচার করিতে ক্রট করেন না। কবিকন্কণ চত্তীর লেখক মুকুন্দরামও এই ডিহিদারের উৎপীড়নে তাহার “সাতপুরুষের, বসতি দামুন্ত| ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়া ছিলেন। এই সম্বন্ধে তিনি হার কাব্যে যাহা লিখিয়াছেন, (৪পৃষ্ঠা-_গ্রস্থোৎপত্তির কারণ) তাহা হইতে
৬
জান! যায় এ হার ুর্বপুরুষগণ সিলিমাবাজ (সিলিষাবাদ) পরগণার অধীন গোপীনাথ নিয়োগীর তালুক দামুন্া গ্রামে ছয় সাত পুরুষ বাস করিয়৷ কৃষিকার্ধ্য দ্বারা জীবিকা অর্জন করিতেছিলেন। কিন্তু ডিহিদা'র মামুদ সরীফের অত্যাচারে তাহাকে সেই ছয় সাত পুরুষের অধ্যুষিত বাসভূমি পরিত্যাগ করিতে হইল। ঘে জন্মভূমির গ্ঠামল সৌনর্য্যে পুষ্ট হইয়! তীহাঁর কবিপ্রতিভা গুপ্ততাবে ছিল, দারুণ দৈন্ত ও রাজার অত্যাচারের তাড়নায় আজ তাহা অস্কুবিত হইয়া উঠিল |
রাঁ়জাদা উজীর হইয়া! ব্যবসায়ীর্দের শাসন কবিতে লাগিল এবং ধন্াধন্ম জ্ঞানশৃন্ত হইয়া__প্রজাদের কাতর ক্রন্দনে কর্ণপাত না করিয়। ১৫ কাঠা এক বিঘা মাপিয়া জমির বন্দোবস্ত করিতে লাগিল । উৎকোঁচগ্রাহী র।জপক্ষীয় লেকগণ বিন। উপকারে উৎকোচ গ্রহণ করিতে লাগিল এবং পতিত ও অনুর্বর ভুমির কর নিদ্ধীরণ করিতে লাগিল । পোদ্দারগণ টাকায় আড়াই আনা কম দিতে লাগিল এবং কুসীদ- ব্যবসাঁয়িগণ টাকায় এক পাই ভিসাবে সুদ গ্রহণ করিতে লাগিল । তাঁহার প্রভু গোীনাথ নন্দী বিপাকে বন্দী হইলেন । কবি মুকুন্দরাম গরিবথার পরামশমতে চত্তীবাটাগ্রামবাসী শ্রীমন্তখার সাহায্যে স্ত্রী, পুত্র.ও ভ্রাতা রামানিন্দকে সঙ্গে লইয়া জন্মভূমির নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিলেন। একদিকে জন্মভূমির চিরউন্াদ্বকরী স্বৃতি, অন্যদিকে অভাবের নিম্পেষণ তাঁহাকে ছুই দিক হইতে চাপিয়। ধরিল। ছুঃখের মর্দন্ধদ ঘাত-প্রতিঘাতে যখন তাহার হৃদয় শতধা বিদীর্ণ হইতেছিল-_ক্ষুধাতুর শিশুপুত্রের কাতর ক্রন্দনধ্বনি যখন তীহাঁর হৃদয়কে উদ্বেলিত করিতেছিল, তখন সেই নিরুদ্দেশগতি পথিক বর্তমান বর্ধমান জেলার অন্তর্গত কুঢুট কালেশ্বর গ্রামের এক পুষ্ষরিণী হইতে কুমুদফুল তুলিয়া শালুকনাড়। নৈবেগ্ দিয়া বিশ্বজননীর পূজা করিলেন। জলজ কুমুদ-প্রহ্ছন যেন গৃহত্যাগী সাধু পুরুষের হৃদরপ্লাবী অশ্রুসলিল-বিধৌত হইয়া দেবীর দয়া আকর্ষণ করিতে মুহূর্তমাত্র বিলথ্ধ করিল নাঁ। ক্ষুধা, ভয় ৪ পরিশ্রমে তিনি তথায় নিদ্রিত হইয়া পড়িলেন। িশ্বমাতা চণ্ডী তাহাকে স্বপ্পে দেখা দিয়! “চগ্ীকাব্য” লিখিতে অনুমতি করিলেন । তাহার হৃদয় প্রশী শক্তিতে স্থপ্রসারিত হইয়া উঠিল। স্থিরবিশ্বীসের সহিত এ আদেশকে তগবতীর আদেশ ভাবিয়া .তিনি কাধ্যক্ষে,ত্র অবতীর্ণ হইলেন । তখন হৃদয় নববলে জাগ্রৎ হইবামাত্র পল্লীশো ভা পুষ্ট সুপ্ত প্রতিভাও উদ্বদ্ধ হইয়া উঠিল। কৰি নানা স্থান অতিক্রম করিযা ব্রাঙ্মণভূমিপতি আরড়ারাজ রঘুনাথের শরণাপন্ন হইয়া কাব্য-পরিচয়ে তাহার সাহত পরিচিত হইলেন। তিনি রাজাকর্তৃক সপ্বদ্ধিত হইয়া! তদীয় শিশুপুত্রেব শিক্ষকরূপে নিযুক্ত হইলেন। এতদিনে বিপন্ন কবির ছ্রবস্থাপীড়িত অন্ধকারমরী রজনীতে সৌভাগ্োর অরুণ-কিরণ নিপতিত হইল । কিন্তু এত সৌভাগ্যেও তাহার হৃদয় হইতে সেই নিভৃত দীমুন্তা পল্লীর স্বদয়-মাঁতান চিত্রথাঁনি অপগত হয় নাই। সেই অযৃতনলিলময় রত্বান্ুনদের মনোহারিণী স্বৃতির সহিত তাঁহার জীবন অবিচ্ছ্গ্তরূপে বিজড়িত থাকিয় তাহাকে চিরসরস করিয়া রাখিগাছিল। অদৃষ্ট-বিড়নায় পল্লীবিতাঁড়িত কবি জন্মভূমির ষ্টাম-সৌনদর্যো হৃদয়কে একদিকে যেমন গ্ঠামায়িত কবিরাছিলেন, অপরদিকে প্রবাসের শত যন্্ণীর মধোও কবিত্বের আোতকে নানারূপে প্রবাহিত করিয়া নানা মাঁধুর্ধো তাহা পুষ্ট করিয়াছিলেন । তীহার সপ্তাব-পবিত্র হুদয়ে বাল্যসহচর্গণের স্থথস্থৃতি চিরদিন বিনপিত ছিল । এবং সেই স্থৃতির আকুল উত্তেজনায় গ্রন্থমধ্যে তাহার পরিচয়ও দিয়াছেন । কবিকঞ্কণ লিখিয়াছেন £-
“শাকে রস রস বেদ শশাঙ্কগণিত! | সেই কালে দিলা গীত হরের বনিতা ॥”
ইহা হইতে বুঝা যাঁয় যে কৰিকক্ষণ ১৪৯৯ শকে এই পুস্তক লিখিতে আরম্ভ করেন। পুস্তকখানি লিখিয়৷ যখন তিনি মুখবন্ধ রচনা করেন তখন তাহার খয়ল ৪০ এর অধিক ধর! যাইতে পারে, কেননা! কৰি কাব্য
তাঁহার পুত্র, পুত্রবধূ, কন্তা, জামাতা ও পৌত্রের নাম উল্লেখ করিয়াছেন। স্থৃতরাং তাহার ১৩, শকাবার কাছাকাছি সময়ে জন্ম হইয়াছিল ধর! যাইতে পারে । এই হিসাবে কাব্যথানি প্রায় ৩৫০ বৎসরের প্রাচীন হইতেছে । কাব্যে তিনি নিজ্বের এইরূপ পরিচয় দিয়াছেন :-তাহার পিতামহের নাম জগন্নাথ মিশর, পিতার নাম হৃদয় মিশ্র, জোষ্ঠ ভ্রাতার নাম কবিচন্দ্র, কনিষ্ঠের নাম রামানন্দ, পুত্রের নাম শিবরাম। কবিক্কণের পিতামহ “মীনমাংসত্যাগী একজন নৈষ্ঠিক হিন্দু ছিলেন, তিনি গোপাল" দেবের পুজা করিতেন। তাঁহার বংশতাঁলিকা এইবপ পাওয়া গিয়াছে *_-
বংশতালিক। |
তপন ( মিশ্র-উপধিক কুয়ারী গ্রামীণ.)
ররর রাজা রারাছি রাগ রারাছ রদ
ূ উদ্ধবণ পুরন্দর নিত্যানন্দ স্ুুবেশ্বর বাসুদেব মহেশ সাগর সর্কেশ্বর জগন্নাথ মিশ্র
| দৈবকী+হৃদয় মিশ্র ---7777া)0 | নিধিরাম কবিচন্ত্র সুব্ুল্দল্লামম রামানন্দ (কাহারও কাহারও মতে অযোধা|রাম। ূ ৃ
| | চিত্রলেখ+শিবরাম পঞ্চানন কন্া_যশোদা (জামাত।--মহেশ)
কবিকম্কণ কর্মাজীবন কিরূপ তাঁবে অতিবাহিত করিয়াছিলেন তাহাঁব পরিচয় কিছুই দেন নাই ।* "অতীতের অন্ধকারময় গর্ভ হইতে এখন তাহার উদ্ধারের আশা নাই__-তথাপি আমর! জানিতে পারি যে, তাহার সাংসারিক জীবন ভত সুখকর ছিল না। ধনপতি দত্তের ছুই স্ত্রী ০০৩ বিবাদবর্ণন উপলক্ষে তিনি লিখিয়াছেন £__ একজন সহিনে বাণ হয় চব। বিশেষিয়া জানেন চক্রবর্তী ঠাকুর ॥” এই অংশটুকু হইতে জানা যায়, তীহাব ছুই স্ত্রী বিগ্মান ছিল এবং সেই সপত্বীদ্বয়েব বিবাদে তিনি
সর্বদাই বিষ হইয়া পড়িতেন। কাবকঙ্কণের ধন্মমত
মুকুন্দরামের ধর্মমত কি ছিল এ বিষয়ে কোন স্পষ্ট পরিচয় পাঁওয়! যায় না । চগণ্ডীর আর্দেশে তিনি চপ্তী কাব্য রচনা করিয়াছিলেন এজন্য তিনি “শান্ত” ছিলেন স্থুলদৃষ্টিতে তাহাই 'মনে হইলেও কাব্যের 'আত্যস্তরিক রচনা ও কবির হৃদয়-তাবের উচ্ছাস দেখিয়া মনে হয় তিনি পরম বৈষ্ণব ছিলেন__-এনম্বন্ধে
কলিকাভাস্ট্উনিভাসিটীর বাঙ্গালা ভাষার অধ্যাপক শ্রীযুক্ত চাঁরুচন্দ্র বন্োপাধায় বিএ মহাশয় ১৩২৭ __-অগ্রহায়ণ মাসের ভারতী পত্রিকায় যাহা লিখিয়াছেন তাহ! তাঁহার অভিমতানুসারে উদ্ধৃত হইল । *
__“আমাদের দেশের প্রাচীন কবিদের কোনে ভক্ত বস্ওয়েল ত।প্রেব জীবনচরিত লিখিয়া রাখিতেন না; কবিরাও নিজেদের আত্মচরিত লিখিয়া রাঁখিতেন না। কেবল শ্বরচিত কাঁবোর মাঝে মাঁঝে ভণিতায় ও ! কাঁব্যঘটনার প্রসঙ্গে ইঙ্গিতে নিজের নিজের পরিচয় কবিরা ছড়াইঘা যাইতেন। বঙ্গদেশে প্রাচীন সাহিত্য মালার মধ্যে কবিকম্কণ মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গজল কাঁবা বিশেষ একটি মূল্যবান রত্ব ; কবিকস্কণ তার কাব্যে আত্মপরিচয় অন্ত কবিদের চেয়ে বেশ একটু ভালো রকমই রাখিয়া গিযাছেন। কিন্তু কবিকম্কণ তাঁর ধর্মমত সম্বন্ধে কোনো স্পষ্ট পরিচয় দেন নাই; আত্যন্তর প্রমাণ হইতে অনুসন্ধান করিযা অনুমান করা ছাড়া আর উপায় নাই। .. চণ্তীমঙ্গলের কবিকে শীক্ত বলিয়া ধরিয়! লইবারই প্রবৃতি হয। কবিকঙ্কণ্ড গ্র্থউৎপত্তির বিবরণে লিখিয়াছেন-__ | উরিষ! মাযের বেশে কবির শিরব-দেঁশে
চগ্ডিকা বসিলা আঁচন্িতে ।
খা ঈ
আশ্রযি পুকুয়-আঁড়া, নৈবেদা শালক নাড়া, পুজা কৈলু কুমুদ-প্রন্ছনে
ক্ষুধ। ভষে পরিশ্রমে নিদ্রা গেল সেই ধামে, চণ্ডী দেখ! দিলেন স্বপনে ॥
হাতে লষে পত্র মসী, অপনি কলমে বসি, নানা ছন্দে লিখিলা কবিত্ব।
যেই মন্ত্র দিল দীক্ষ। সেই মন্ত্র করি শিক্ষা মহামন্্রজপি নিত্য নিত্য ॥ (৫ পৃষ্ঠা )
রঃ গং ঁ ৪
দবপ্লাদেশে কাব্যরচনা প্রচার করা প্রাচীন কবিদের একটা প্রথামাত্র ছিল। আদিকবি বালীকি দেবাদেশে রামায়ণ রচনা করেন; আদি ইংরেজ কবি কেডমন দেবাদেশে গান বাঁধেন ; বাংলারও অনেক কবি দেবাদেশে কাব্য রচনা করিয়াছিলেন বলিয়াছেন, যথা-_কৃষ্ণরাঁম দাসের রায়-মঙ্গল, বিজয়গুপ্তের পল্মাপুরাণ, রামপ্রসাদের কাঁলিকা মঙ্গল, ভাঁরতচন্ত্রের অন্নদামঙ্গন্ক রাজা জবনারায়ণ ঘোষালের চণ্তীমঙ্গল কাব্য, কৃত্তিবাঁসের রামায়ণ, মালাধর বস্তুর ভাগবত, সঞ্জয় রচিত মহাঁভাঁরত প্রভৃতি কাঁব্য স্বপ্লাদেশে রচিত। এইসব দেখিয়। দীনেশবাবু লিখিয়াছেন__“যে-সে পুস্তক লিখিলেই তাহ! সাঁধরণ কর্তৃক গৃহীত হইত না ।...এইজন্য প্রাচীন বঙ্গীয় লেখকগণের অনেককেই প্রত্যাদেশের ভাণ কবিয! কাবা লিখিতে হইত। দেবাদেশে কাব্যরচনায় হাত দিয়াছেন, একথ| ঘোষণা কবা সাহিতোব ব্যবসাদীরী ছিল |” __বঙ্গভাঁষা ও সাহিত্য ।
এ রোগ শুধু আমাদের দেশের কবিদেরই সিল তা নয়, এ রোগ বিশ্বব্যাপী__
ক্ষ চারুবাবু বঙ্গধালী সংস্করণের পাঠ ও পত্রাক্ক নির্দেশ করিয়াছেন_-মামর। আমাদের সংস্করণের পাঠ ও পত্রাঙ্ক নির্দ করিল্প। দিলাম |
11718562200 17150150115 5001 60155565195 ০101172817৮ 06156 06 68119 111560110 [11095._1200/5107095015 13110177109,
কবিকম্কণ চণ্ডীর চরণে ভক্তি ও নতি মাঁঝে মাঝে করিয়াছেন দেখা যায়-_
উমাপদে হিত-চিত রচিল নৃতন গীভ চক্রবস্তী শ্রীকবিকঙ্কণ। অভয়ার চরণে মছুক নিজ চিত। অভয়া-চরণে প্রণাম লক্ষ লক্ষ । অনুক্ষণ রহু মম কাঁষ-মনো-বাকা ॥ কিন্তু চণ্ডীচরণে ভক্তি হইতে বা চণ্ডীব আদেশ পাঁইযাই যে কবিকক্কণ তাঁব কাবা রচনায় প্রবৃত্ত হন নাই, তার প্রমাণও তিনি রাখিযা গিযাঁছেন। তিনি বাববাব বলিয়াছেন রঘুনাথ নুপতি প্রকাশে । (৪২ পৃষ্ঠা) দিল অন্ুমৃতি বিপ্র নরপতি, গাইল শ্রীকবিকস্কণ। (১৪৪ পষ্ঠা ) চণ্ডীপদ ভাবি চিত বচিল মুকুন্দ গীত, বাজা বঘুনাথের কৌতৃক | (৪৮ পৃষ্ঠা ) বান্ষণভূপতি কুতৃহলী। (৯৮ পৃষ্টা!) ব্রাহ্মণ রাজ! রথুনাঁথের আদেশে কবিকস্কণ কাব্য রচনায় প্রবৃত্ত হন__এঁইটিই আসল কথা; চণ্তীর আদেশ ব৷ ভক্তি রঘুনাথের আদেশের অনুসঙ্গী গৌণ কাবণ হইযা উঠিয়াছিল। কবি নিজের গ্রামবাসী ও পূর্বপুরুষদের পরিচয় দিবার প্রসঙ্গে তাদেশ্ব ধর্মনবিশ্বীসের একটু পরিচয় দিয়াছেন
দামুন্যার লৌক যত শিবের চরণে রূত। সেই পুরী হরের ধরণী।
ধন্য ধন্য কলিকালে রত্বান্থ নদের কুলে অবতার করিলা শঙ্কর ।
ধরি চক্রাদিত্য নাম দামুন্যা করিল ধাম তীর্থ কৈলা সেই সে নগর ॥
গঙ্গা সম স্ুনির্মল তোমার সুচরণ-জল পান কৈ শিশুকাঁল হৈতে।
৮৮৪
সেই ত পুশ্যের ফলে কবি হই শিশুকালে, রচিলাম তোমার সঙ্গীতে ॥ সর্বেশ্বর-অন্ুজাতি মহামিএ জগন্নাথ এক-ভাবে পুজিল শঙ্কর । শিবরাম বংশধর, কৃপা কর মহেশ্বর, রক্ষ পুত্রে পৌত্রে ত্রিনয়ান। এইসব পদ হইতে কবিকে বংশানুক্রমে শৈব বলিয়াই অনুমান করার সম্ভাবনা হয় * কিন্ত আবার পাঁই-_ কৈয়ড়ি বংশজীত মহামিশ্র জগন্নাথ এক ভাবে সেবিল গোপাল । কবিত্ব মাগিয়। বর, মন্ত্র জপি দশাক্ষর, মীনমাংস ছাড়ি বহুকাল ॥ কবির পিতামহ একবার “একভ।বে পুজিল শঙ্কর” আবার “একভাবে সেবিল গোপাল ।” তিনি আগে বোধ হয় মীনমাংসভোজী শৈব ছিলেন, পরে বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করিয়া “মীনমাংস ছাড়ি বহুকাল, গোপালের দশাক্ষর মন্ত্র শু গো পীজনবল্জভায় ম্বাহা' জপ করিতে প্রবৃত্ত হন। পিতামহের এই গোপাল- সেবার কথা কবি নিজের কাব্যে তিন-তিনবার উল্লেথ করিয়াছেন। ূ | ইহা! হইতে অনুমান হয় কবিব পিতামহ শেষ-বয়সে চৈতন্যদেবের প্রভাবে বৈষ্ণব ধর্ম 'অর্থলম্বন করিয়া থাকিবেন। এবং বৈষ্ণব বংশের ছেলে বলিয়া কবিও বৈষ্ণবই ছিলেন। এ-সন্বন্ধে কবিকঙ্কণের চণ্ীমঙ্গল হইতে বছ পোষক প্রমাণ পাওয়। যায়।__ (১) চণ্তীমঙ্জলের একেবারে প্রথম স্থত্রপাতেই মঙ্গলাচরণে গণেশ-বন্দন। শেষ করিয়। কৰি প্রার্থনা করিয়াছেন গাইয়া তোমার আগে গোবিন্দ-ভকতি মাগে চক্রবর্তী শ্রীকবিকদ্ধণ। (১ পৃষ্ঠা)
৬ স স্ স্
(২) ডিহিদার মামুদ সরীফ “ররাঙ্গণ বৈষ্ণবের হল অবি" বলিযা অত্যাচারগীড়িত কৰি অনুযোগ ও ছুংখ করিয়াছেন । (৪ পৃষ্ঠা)
সক ৬৪ সং
(৩) নীলাম্বব মখন অভিশপ্ত হইয়! দেবলোক হইতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হইবার পূর্ববে দেবদেহ ত্যাগ করিতেছেন, তখন তার--“চৌদ্দিকে বান্ধব-মেলা, গলাতে তুলসীমালা।” (৪১ পৃষ্ঠা) এবং নীলাম্বরের পত্ধী ছায়া স্বামীর সহমরণের সময় “হরি হরি ম্মরয়ে বিধাতা 1” (৪২ পৃষ্ঠা )
(৪) চপ্ডীকে বারঘার নারায়ণী ও বৈষ্ণবী বলা হইয়াছে। যেখানে যেখানে যতবার যে-কেউ চণ্তীর স্তব করিয়াছে, তার মধ্যে চণ্তীমাহাম্ম্যের চেয়ে কৃষ্ণকথাই প্রবল ও প্রধান হুইয়। উঠিয়াছে' চণ্ীর
৩০
গৌরব যে “নানা অবতারে মাতা বিঞ্ুসহাঁয়িনী 1” বিঝু বা কৃষ্ণকে সাহাধা করিতে পারাতেই যেন চণ্ীর চরম মহিম! প্রকাশ পাইয়াছে। যাদব-ভগিনী (২৫৯ পৃঃ') “নন্দগোপস্থৃতা হয়ে রাখিলে গোকুল।” যছুষৌষা যুগন্ধর। যজ্জবিনাশিনী । "“যশোদা-নন্দিনী জয়া যমুনা যামিনী ॥ (১০৬)
(৫) চণ্ডী বিশ্বকম্ধাকে কীচুলিনির্্াণে নিযুক্ত করিলে বিশ্বকর্মা কীচুলিতে ছবি লিখিলেন চণ্তীর দশম্হাঁবিদ্যা রূপের কীর্তি-কাহিনী অবলম্বন করিয়া নহে; সেসব ছবি হইল বিষ্্র দশাবতারের কার্যকলাপ এবং বিশেধ করিয়! কৃষ্ণ-অবতারের কাহিনী ! (৬২।৬৩ )
(৬) চণ্ডীর সতীন গঙ্গাকে দিয়া কবি চগ্ীকে শুনাইয়াঁছেন__
হই গো বিষ্ণুর দীসী, বিষ্ণপদ হৈতে আসি, সেই প্র গতি সবাকার। (৮০ পৃষ্ঠা)
(৭) চণ্ডীর কৃপাতেই নৃতন গুজরাট নগর পত্তন হইয়াছে । কিন্তু সেখানে দেখা যাঁয়_“সারি সারি বিষ্ণুর সদন |” (৮৭ পৃষ্ঠা) এবং__
দিয়া হীরা নীলাখণ্ড, নিম্মাইল দোলপিও, কদন্ব-কানন-সন্িধান। (৮০ পৃষ্ঠ)
এই গুজরাটপুরী-_“রূপে জিনি দ্বারাঁবতী” শ্রীকৃষ্ণের রাঁজধাঁনী, এবং “দ্বারিকা সমান পুরী” (৮০ পৃষ্ঠা )। গুজরাটের ক্ষত্রিয় বৈশ্য “কৃষ্ণ সেবে অনুক্ষণ " তা ছাড়াও অনেক “বৈষ্ণব বসিল গুজরাটে” যাঁরাঁ “সদ লয় হরিনাম” (৮৭)। কলিঙ্গরাজের কোটাল গুজরাট দেখিয়া আসিয়া! রাজার কাছ বর্ণনা করিতেছে__
দেখিলাম গুজরাট, প্রতি বাড়ী গীতনাট, যেন অভিনব দ্বারাবতী ।
অযৌধ্যা মথুরা! মায়া নাহি ধরে তার ছায়া, যেন দেখি ইন্দ্রের বসতি ॥
প্রতি বাড়ী দেবস্থল, বৈষ্ণবের অন্নজল, ছুই সন্ধা হরিসঙ্ীর্তন। (৯৫)
(৮) কলিঙ্গরাজের সঙ্গে যুদ্ধের সময় চণ্তীর কৃপাভাজন কালকেতু চগ্তীকে ভুলিয়া “হরি সউরণে বীর এড়ে যতনে” (৯৯) এবং চণ্ডীর কৃপায় কালকেতু কলিঙ্গরাজের কারাগার হইতে মুক্তি পাইয়া ও স্বাধীন রাজ! হইয়! নিশ্চিন্ত মনে-_
বিহাঁন বিকালে বীর শুনেন পুরাণ । শুনেন কৃষ্ণের গুণ হয়ে সাবধান ॥ (১৯২) ক গং ০ ক
(৯) শুককে বন্দী করিঘা বাধ শুকের কাছে তব্জ্ান লাভ করিয়া বলিতেছে- *“ঠবষ্ঞব জনার সঙ্গ বিস্তারের বীজ” (১৩২)।
রঃ গ গা ৮
(৬) রাজ! রঘুনাঁথের পরিচয়-প্রসঙ্গে কবিকন্ধণ বলিতেছেন-- আড়রা উচিত ভূমি, ' পুরুষে পুরুষে স্বামী, সেবনে গোপাল কামেশ্বর । (১৪৪)
(১১) কবি আকাশ শবের পরিবর্তে সংস্কৃত আভিধানিক, শব ব্যবহার করিয়াছেন বিষু্পন্ ; এবং আকাশে চণ্ডীর আবির্ভাব তিনি দেখিতেছেন_-“আজি বিষ্ণপদতলে উরিলা ভবানী |” চণ্তীকে বিষ পদতলে স্থাপন করিষ! চণ্ডীমঞ্গল-রচযিতা কবি আপনার ইট্ট্দেবতার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন মনে হয়। এইটিই কবির বৈষ্ণবত্বের চরম প্রমাণ বলিয়। আমার বিশ্বাস । ( ১৫৩ পৃঃ )
(১২) ধনপতি সদীগরের পিতৃশ্রাদ্ধের সভায় হরিবংশ ও রামায়ণ পাঠ হইয্লাছিল। ( ১৮১-১৮২ )
(১৩) চণ্ডীব বরপুত্র শ্রীমন্তের জন্ম হইলে “র্ব্বল! কিস্করী গাঁয় কৃষ্ণের চরিত” (২১৭ )।
এবং__ “স্বামী আসিবেন ঘরে করিয়া কামনা । প্রতিদিন ভাগবত শুনেন খুল্পনা ॥ (২১৭) বালক শ্রীমন্ত_ শিশুগণ সঙ্গে করে ভাগবত খেলা । (২১৭) কৃষ্ণলীলা অন্ুবূপে কবে নানা ছলা। (২১৭)
(১৪) শ্রীমন্ত সদীগরকে জগন্নাথঙ্গেত্র দশন কবিতে পাঠাইয়া কবি শ্রীক্ষেত্রের বিশদ বর্ণন করিয়াছেন, তাহাতে কবির হৃদয়(বেগেব পব্চিয় পাষা যায় । (২৪১)
(১৫) শ্রীমন্ত সিংহলবাজের কাছে উজ নীরাজেব পরিচয় দিতে গিঘা বলিতেছে- -
পবিত্র নির্মল যেন গঙ্গাজল, সদাই কৃষ্ণ ধেযান। (২৫১) বিক্রমকেশরী রাজ! কিন্তু ধতিহাসিক ব্যক্তি, এবং তিনি শৈব ছিলেন, তার প্রমাণ আছে । (১৬) জরতী ব্রাহ্মণীর বেশধারিণী চণ্ডী সিংহলের কোটালকে বলিতেছেন__ কোটাল, ছুঃখ পাই নিজ কর্মদোষে। জিনিয়া ইন্জ্ি়গণ না৷ সেবিলু নারায়ণ, কাহারে না রাখিলু সন্তোষে ॥ (২৬৬) (১৭) মশানে শ্রীমন্ত কৌটালকে অনুরোধ করিতেছে-_“দেহ তুলসীর মালা ।” (২৬৭) (১৮) সিংহলেশ্বর চণ্ডীর স্ততির সময় বলিতেছেন__“খগেন্দ্রবাহন-সহচরী 1” (২৭৯ ) চর সঁ সহ (১৯) শ্রীমন্ত শ্বশুরবাড়ী ছাড়িয়া দেশে ফিরিবার সঞ্চল্ল করিলে তাঁর স্ত্রী সুশীল তাঁর স্বামীকে নিজের পিত্রালয়ে রাখিবাঁর জন্ নাঁনাবিধ প্রলোভন দেখাইতেছিল ; তার মধ্য একটি বিশেষ প্রলোভন এই__
সখী মেলি গাব গীত, নখী মেলি গাব গীত, আনন্দিত হয়ে সবে কৃষ্ণের চরিত। (২৯০) ৪ গং গ |
* পারশিষ্ট তষ্টব্য।
1/০
(২০) চণ্ডী খুক্পনাকে স্বর্গে লইয়া যাইবার চেষ্টয় নানা শান্ত্র-উপদেশ দিয়! খুল্লনার পৃথিবীর মমতা প্রায় শিথিল করিতেছেন; তখন তিনি খুল্পনীকে “গজেন্দ্রমোক্ষণ উপাখান" এবং অজামিলের উপাখ্যান
শুনাইতে শুনাইতে বলিতেছেন-_ * হরির নামের কথা কলুষনীশিনী |
্ রঁ ্ঁ অভয়! বলেন, ঝিষে শুন ইতিহাস হরিনাম গুণ দেখাইল কৃত্তিবাস ॥ (৩০৮ ) (২১) গ্রন্থ সমাপ্ত করিয়া কব্কিশ্কণ বলিতেছেন__ সর্ধলোক হরি বল হয়ে আনন্দিত। সমাপ্ত হইল এই অভয়ার গীত ॥ (৩১৩) চণতীমঙ্গল কাবো হরিকথার এত ছড়াছড়ি সেই কালের উপব বৈষ্ণব প্রভাব অথব। বৈষ্ণব শ্রোতাদের মনোবঞ্জনের জন্য হওয়ার সম্ভাবনার চেয়ে কবির নিজেব. ধর্শমতের জনাই হওয়া বেশী সম্ভব বলিয়া আমার অনুমান ।” কবিকন্কণ চণ্ডী মুকুন্দরামের পূর্বতন বঙ্গঘমাজের একখানি নিখু*ৎ চিত্রপট । ইহাতে এমন কতকগুলি বাবহার আছে যাঁহ! বর্তমান সময়ে নাই । আমরা যথাস্থানে তাহা দেখাইব। প্রাচীন বঙ্গসমাজকে তিনি যেভাবে চিত্রিত করিয়াছেন তাহ! সাধারণ কবির দাধ্যায়ত্ত নহে। চণ্ীকাঁব্য কাব্যগরিমীর প্রাচীন সাহিত্যের উদ্ভ্বলরত্র, এইজন্য ইহ! অদ্যাবধি বঙ্গীয় সমাঁলোচকের নিকট আদরণীয় রহিয়াছে । তিনি যেভাবে চরিত্র বিশ্লেষণ করিয়াছেন, যেভাবে মিথ্যা কল্পনাকে সত্যের সমুজ্বল পোষাকে আবৃত: করিয়াছেন এবং সন্দেহ-কুহেলিকার মধ্যে মীমাংসার স্বর্ণকিরণ নিপাঁতিত করিয়া যেক্ূপে কাব্যখানিকে গৌরবান্ধিত করিমাছেন তাহ। বিবেচনা করিয়া দেখিলে তাহাকে একজন অন্তরশী দার্শনিক কবি বলিয়াই মনে হয়।
কাব্য-পারচয়।
কবি মূকুনারাম সর্বসিদ্ধিদাতা বিদ্ববিনাশন গণেশের বন্দনা করিয়া এই পুস্তক আরম্ভ করিয়াছেন। তৎপরে সরন্বতী, লক্ষ্মী, চৈতন্ত, শ্রীরাম ও চণ্তীবন্দনা লিখিত হইয়াছে । অতঃপর মন্তুর প্রজাস্থষ্টি হইতে ভগবতীব জন্ম/ শিববিবাহ, মদনভম্ম, রতিবিলাপ, গৌরীর উগ্রতপ, হরগৌরীর বিবাহ, গণেশ কান্তিকেয়ের জন্ম, হর- পার্বতীর কন্দল, গৌরীর খেদ বর্ণনা করিয়া শেষে শিখরিস্ৃতা চগ্চপ্ডিকারূপিণী মর্ত্যে স্বীয় পুজা-প্রচারের জন্ত যেরূপ ব্যাকুল! হইয়! পড়িলেন এবং তজ্জন্ত তিনি যেরূপ চেষ্টাপরা হইয়াছিলেন এই কাব্যে তাহাই লিখিত হইয়াছে। পুজা প্রচারের জন্য দেবদেবীগণের এতাদৃশ চেষ্টা হিন্দুসাহিত্যে সুছূর্লভ নহে। কিন্ত যিনি দেবী তাহাকে পুজাপ্রান্তির জন্ত এতদূর ক্রিয়াশীল করিয়া বর্ণন করিলে দৈবীশক্তিকে খর্ব করিরা তাহার স্থানে মান্ুষীধর্মের ছায়াপাত করা হয়। কিন্তু দৈবীশক্তির এই অবিসংবাদিত ও অসন্দিগ্ধ শক্তিতে অপুর্ব ও অটল শ্রদ্ধাই বোধ হয় বঙ্গীয় কবিকে এদিকে দৃষ্টিহীন করিয়াছে ।
চণ্ডী স্বীয় পৃজী-প্রারের "জগ্ত কলিঙ্গরাজকে স্বপ্নে আদেশ করিলেন। একংসন্দীব তটে তিনি নিজে তাহার মন্দির নিম্মাগ করাইয়াছেন,_কলিঙ্গরাজ যেন প্রজা, পুত্র, পুরোহিত সঙ্গে লইয়া সাবধানে তাহার পুজী করেন। রাজা এ উবাস্বপ্নে সচকিত হ্ইথা উঠিলেন এবং অত্যন্ত সমীরোহের সহিত পৃজা সম(পন করিলেন। এদিকে তগবতী বিশ্বযপর্বত-সান্লিধো তন্বনাশ্রয়ী পশুকুলের পূজায় মন্থষ্ট হইয়৷ তাহাদের পব- স্পরের এক একটা কর্মাবিধান করিয়া দিলেন। শৃঙ্থলাহীন জনসংঘের দ্বারা কোঁন কার্যাই সাধিত হয় না।
1৮৩
জগতের মাতৃরূপিণী ভগবতীর এই যে পশুকুলের কা্য্যবিভাগ-স্থিরীকরণ ইহ! উপযুক্তই হইয়াছে এবং ইহাই যেন সেই সমস্ত উদ্দাম পশুকুলের শক্তির গণ্তীশ্বরূপ হইয়া! শৃঙ্খল! ও কল্যাণ বিতরণ করিতেছে । এদ্রিকে দেবরাজ ইন্দ্র শিবপুজার্থ স্বীয় পুত্র নীলান্বরকে পুষ্পচয়নে নিযুক্ত করিলেন। নীলাম্বর বহু বন্তকুন্থুম আহরণ করিয়া শিবপৃজ! সম্পাদন করিতে লাগিলেন । দৈবীমায়ায় স্বর্গীয় উদ্ভান পুষ্পশৃন্ঠ হইলে নীলাম্বর পুষ্প-চয়নার্থ পৃথিবীতে আদিলেন। দেবী আপনার পুজা-প্রচারের জন্ মুগীরূপ ধারণ করিয়া ধর্মকেতু ব্যাধের নিকট উপস্থিত হইলেন। | শীলাম্বর সেই ধর্নকেতু ব্যাধের ব্যাগ্লামপুষ্ট স্বাস্থ্যললিত দেহশ্রীতে স্বাধীনতার সরল মংধূর্ধ্য দেখিয়া আত্মবিস্থত হইলেন এবং স্বীয় পদমর্ধ্যাদ! ভুলিঘা ব্যাধজন্ই কাঙ্কিত বলিয়! বিশ্বাসকরতঃ চিন্তাপর হইলেন । চঞ্চলপ্রাণে কোন কার্ধ্যই সুন্দর হয় না । সেদিন নীলাঘ্রের আহ্ৃত পুষ্পগুলি শিবের সন্তোষকর হইল না । অধিকস্ত তন্ধ্যস্থ কীটের দংশনে শিব যগ্ত্রণাকুল হইয়! পুষ্পচযনক।রী নীলাপ্ধরকে অভিশাপ প্রদান কবিলেন। শীলাম্বরের সাধবীপত্রী ছায়া স্বামীর মরণে দেহত্যাগ কবিলেন। নীলার ধর্মনকেতু ব্যাধেব গৃহে এবং ছায়। সপ্তয়কেতুর গৃহে জন্ম গ্রহণ করিলেন। ধর্মনকেতুর পুত্রের নাম কালকেতু এবং সঞ্জযকেতুর কন্ার নাম ফুল্পরা হইল । চণ্তীকাঁব্যের পৃঝ্বাদ্ধের নারক নায়িক এই ছুইটা অভিশপ্ত কুমার-কুমারী | কালকেতুর বিক্রমে পতুকুল অস্থির। সিংহ, ব্যাপ্, ভ্লুক প্রভৃতি নখাধুধ প্রাণিগণ কলকেতৃব বজ্করবে সন্ত্রস্ত | মাতা নিদয়া ও পিতা! ধর্ম্রকেতু বৃদ্ধবয়সে পুত্র কীলিকেতুব বিবাহদানের জনা সচেষ্ট হইয়া, কুল- পুরোহিত সোমাই ওঝার উপর ভার দিলেন। সোমাই ওঝা সঙ্জয়কেতুর তনয! কুল্লরাঁকে পাত্রী নির্বাচন করিল। দৈব-অভিশাপ আজ যেন কোন্ ছলক্ষ্যস্ত্র ধরিয়া! দুইটা অভিশপ্ত কুমাব-কুমাবীর সন্তপ্ত জীবনের মিলন-ক্ষেত্রে সুণীতল বারিকণার ন্যায় নিপতিত খইল। সোমাই ওঝার ঘটকালিতে দু্লরা কালকেতুর পরিণীতা স্ত্রী হইল। আজ এই ভিন্নদশা প্রাপ্ত কুমার-কুমারীর হৃদয়ে মিলনের দিনে যেন পূর্ব-সৌভগগ্যের অস্ফুটস্থৃতি দেখা দিল; তাহারা যেন আজ শতঘন্ত্ণাদিগ্চ পৃথিবীর মধ্যে পবিত্র মিলনে অমবাঁবতীর অশ্্রান কুস্থম-রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হইল । ফুললরা স্তশীলা এবং জাতিব্যবসাঁঘে চতুরা । এস্থলে কবিকঙ্কণ মুকুন্দবাম উপযুক্ত পাত্রে উপযুক্ত পাত্রীই চিত্রিত করিয়াছেন। ঘেমন কাঁলকেতু ব্যাধ-তনয়, কু্লরাও তন্প ব্যাধ- নন্দিনী । ফুল্লরা পরিশ্রমশীল| এবং চতুর । সে মাংসের পপর! লইয়া হাটে হ1টে বিক্রম করিতে সমর্থ । কৰি শুদ্ধ তাহাকে এই গুণশালিনী বলিয়। ক্ষান্ত হন নাই । নাম্টাও তদ্রুপ [ ফুল্প__( বিকশিত ) বা (রব) উচ্চনিনাদকারিণী ] নির্দেশ করিয়াছেন বস্ততঃ ব্যাধ-নন্দিনীর উচ্চরব থাকাও তাহার একটা পারদর্শিতার পরিচায়ক ৷ এইবপ খু'টিনাটা তুচ্ছ বিষয়েও কবি কত সাবধানতা অবলম্বন করিয়াছেন । এই সকল কারণেই কি কাব্যহিসাবে, কি চরিত্রচিত্রণে, কি কালোচিত বর্ণবিস্তাসে কবিকন্কণ চণ্তী প্রথমশ্রেণী কাবোর অন্তর্গত । ব্যাধনন্দন মায়ামমত ভুলিয়া পশুশিকারে নিযুক্ত । ফুল্লবাও পশুদিগের শৃঙ্গ, নখ, দন্ত, চর্ম প্রভৃতি বাজারে বিক্রয়তৎপরা!। অনলস্, উদ্বেগবিহীন দম্পতীর সগ্মুথে সাংসারিক সুখের নিকুপ্ত-কাঁননে কোকিল ডাঁকিতেছে। __মলয্ন ছুটিতেছে । পত্বী বক্ষ:ভরা প্রেম দিয়া স্বাস্থাললিত হৃদয়েশ্বরের পুজার বিভোরা-_এই দৃশ্ঠের মধ্যে প্রেমের রাজ্যে একটা চাঞ্চল্য উপস্থিত! পণুকুল কালকেতুর শরানলে সন্বস্ত ও ব্যাকুল। তাহার! স্ৃতান্তরূপী সেই কালকেতুকে বনে দেখিলেই জীবনের মায়া পরিত্যাগ করিত। কালকেতু পশুকুলের এই ভীতি অনুভর করিয়া মন্পীড়ায় কাতর হইত। এক দিকে দারুণ অন্নকষ্ট_-অপরদিকে ভীত পশুকুলের উদ্দাদ দৃষ্টি যনে করিয়া কালকেতুর মমতাহীন প্রাণের মধ্যেও জীবপ্রেমের স্বর্সগঙ্গা প্রবাহিত হইয়! ্বদ়কে রস করিয়া তুলিত। |
॥৬/০
কালকেতু পশুশিকাবে ভগ্নোগ্যম | পত্রী ফুল্লরা কংসনদীর তীরে শ্ঠামল পত্র বিছাইয়া কালকেতুর
বিশ্রামের উপায় করিত; বন ফল সংগ্রহ করিয়া ক্ষুধ। দূর করিত এবং কংসনদীর সুস্বাছ জলপান করাইয়| তাহাকে নবজীবনে সঞ্জীবিত করিত। আর স্বামি-সোহাগিনী ফুন্তরা নিজের ভরা যৌবনে অনশন ক্লিষ্টতার ছয়াপাঁত করিয়া নিদাঘ পদ্মিনীর মত শোভা পাইত |
দারিদ্রয-নিগীড়িত দম্পতী জীবপ্রেমের মধুর মন্ে দীক্ষিত। তাহাদের জীবন মধুময় হইয়াছে । তাই তাহারা জন্মাস্তরেব সেই পুণ্য-কাঁহিনী যেন কি এক নবীন আলোকচ্ছটায় “দেখিতে পায়। সুনীল গগনরূপ মহাগ্রন্থে তারকাঁহাঁরে যেন আপনাদের পুর্ব জীবনের মধুর কাঁহিনী আলিখিত দেখিতে পায়__সর্কোপরি মুছ সঞ্চারিত মলয়-পবন যেন দেবতার আশীর্বাদ লইযা তাহাদের সেই যত্ত্রণাক্রিষ্ট পাথিব জীবনের অবসাদ মুছিয়। দিয়া তাহাদিগকে স্বর্গীয় বলে উৎসাহিত করে । নবপ্রকাঁশিত অরুণ-রেখাঁয় ভবিষ্যতের গাঁ কালিম! বিদরিত করিয়া! স্বর্গের সেই পবিত্র জীবন যেন সেই মব-জীবনেব মধ্যে স্বপ্নের মত-_ চকিতের মত দাগ ফেলিয়া যায় ।
দৈবীমায়ায় বিভ্রান্তমস্তিষ্ক কালকেতুর হৃদয়ে নৃতন বল আমিল। পত্বীর ভূবনতুলানী যৌবনস্ত্রুতে অ.শনের কাল দাগ দেখিয়! প্রেমিক পতি কাতর হইয়! পড়িল। কাঁলকেতু ভাঁবিল, ব্যাধের হৃদযে মায়! মমতা কেন? ভগবান যে তাহাকে ই কার্যের জন্তই পাঠাইয়াছেন। ইহা মনে করিয়া সে দৃঢগ্রৃতিজ্ঞ হইল-_যেমন করিয়াই হউক এই দারিদ্রা ঘুচাইতে হইবে ।
কালকেতুর প্রতীপে পশুকুল অস্থির হইঘা৷ পড়িল । কা'লকেতু নবোদামে পণুবধ 'করিতে লাগিল। ফু্লবাও মাইসেব পসরা মাথয করিষা কিরাত নগর মুখরিত করিয়৷ তুলিল ।
এদিকে আরণা পশুকুল কাঁলকেতুর মেঘা্তবিত মার্তগুতাপবৎ অসহনীয় তেজে অস্থির হয় উঠিল। তাহারা নীঘধবে* জগঙ্জননীর আরাধন।ধ প্রবৃত্ত হইল। জগন্মাতা নির্বাক পশুকুলের নীরবক্রন্দনে চলচিত্ব হইঘ| উঠিলেন। চণ্ডী কিরাতনগবের পার্্স্থ বনবিভাগে উপস্থিত হইয়া তদ্বনবাসী হতশ্রী পণ্ডকুলের মন্্বেদনাব কথা অবগত হইলেন। জগন্মাতার মধুর আশ্বাসে পশুকুল শান্তচিন্ত হইল। সমবেত প্রাণি- কুলেব হদঘভবা হা-হুতাশেব সহিত অশ্রজল মিলিত হইয়া যেন তাহ। জগন্মাত।র রাতুল চরণে হেমন্ত নীহারের মত উজ্জ্বল ও মনোজ্ঞ হইয়া! উঠিল। শতধাবিচ্ছিন্ন শক্তি আজ শক্তীশ্বরীর আদেশবাণীতে সম্মিলিত হইয়া যেন কোন্ অশরীরিণী সাধনার মত মিলিত হইল। যাহা অন্ুতাঁপের অশ্রুজলে বিধৌত, তাহাতে দেৰতাব স্নেহাশিস্ বধিত হইবেই--আজ অন্ৃতপ্ত অপমানিত পশুকুলের কাতর ক্রন্দনে জগন্মাতার আসন টলিল। যেন আজ বিতিব্পপ্রৃতিক পণুকুল একতা! ও প্রেমের বলে দুর্জয় শক্তিলাভ করিল। কর্্মগৌরব সমর- বিজষী বীবের গলায় অনেক সময়ে জরমাল্য প্রদান করিতে উদ্দাসীন হয়। কিন্তু নিরাশ্রয় বালকের অনন্য- নির্ভর মাতৃ-সপ্বোধন পা্াণপ্রতিমার বক্গঃনিহিত মাতৃত্বের স্তুধা-আ্রোত সবলে আনয়ন করিতে পারে; তাই যেন আজ মমতাব প্রাঙ্গণে মিলিত এবং অন্যোনানির্ভব প্র/ণিকুলের সম্মুখে বিশ্বজননী জগন্ধাত্রী মর্তিতে বিবাজমান।__সন্তানেব আমর নিজ মঙ্গল হস্তে মুছিয! ফেলিতে চেষ্টাপর! ।
কবিকঙ্কণ চগণ্ডীর যেস্থানটা পড়া যাঁষ_সেই স্থানেই একটা অনিন্যা সাংসারিক চিত্র যেন প্রাণের মধ্যে দাগ ফেলিষা দেয়। ক্বিস্ুলভ কল্পনা তাহার লেখনীকে লীলাময়ী করিলেও তিনি তথায় এমন দক্ষত। প্রকাশ কবিয়াছেন যে, কল্পিত ঘটনাটা যেন সত্যের আলোকমুক্ত হইয়া উঠিয়াছে। পঞ্তগণ কালকেতুর প্রতাপে কাতর হইবা ভগবতীর স্তবপবায়ণ হইয়াছে ইহা নিশ্চয়ই কবি-কল্পনার স্বর্ণরাগে অনুরঞ্জিত কিন্ত তাহা পাঠ রিলে হৃদয়ের মধ্যে যেন কোন্ স্বৃগুপ্ত সত্যের বরমৃত্তির মত উজ্জ্বল হইম্মা উঠে । পাঠক ৫৫ ৃ্টয় পিশ্তগণ প্রতি ভগবতীর প্রশ্ন” এই অংশটি পাঠ করিলে বুঝিতে পারিবেন যেন-__-উৎপীড়িত কৰি
৮০
পশুদের ছুঃখ-ছগ্দঈণ| ভাবিয়া সহানুভূতির অঞ্রজলে অভিষিক্ত হইয়াছেন » যেন সেই মনোবেদনা সান্বনার বাধন না মানিয়া কোথাও প্রকাশ পাইয়াছে ₹_
“বনে থাকি বনে খাই জাতিতে ভালুক |,
নেউগী চৌধুরী নহি না করি তালুক ॥৮
“বড় নাম বড় গ্রাম বড় কলেবর। লুকাঁইতে স্থান নাভি বীরের গোঁচর ॥ পলাইযাঁ কোথা যাই কোথা গেলে তরি । আপনার দত্ত ছট! আপনাব অরি ॥৮ করিব লেখনী এখানে পশুদের কথায় তাৎকালিক রাজনৈতিক সমগ্তাব উজ্জ্বল চিত্র অস্থিত করিয়াছে। মুকুন্দবামেব কৃতিত্ব এইরূপ বর্ণনাঁয়। কাঁলকেতু প্রভাতে বীর-সাঁজে সজ্জিত হইয়া! বনগমন করিল। পথিমধ্যে নানা শুভ-চিহু দেখিয়া বীর মনে মনে ভাবিল, আজ সরলা পত্বীর প্রেম-পৃত মুখখানিতে যে স্বর্স-শোভা দেখিয়া আসিয়াছি, বোধ হয় প্রাকৃতিক শুভ-চিহ্ন সকল তাহারই পূর্বাভাষ বিজ্ঞাপিত করিতেছে । সরল পত্বীনিষ্ঠ প্রেমিকের প্রেম-প্রবাহ সরলা প্রেমিকার হৃদয় নিহিত প্রেম-ধাঁরাঁর সহিত যেন সঙ্গত হইয়া এই বিশ্বকে প্রেমময় করিয়া তুলিল। কিন্তু আচন্বিতে এ কোন্ অভিশাপ উদ্দিত হইয়া! বাসনার ঘরে আজ অন্ধকাঁব টালিয়া দিল! বার পুবোভাগে এক অধাত্রিক অমঙ্গলমর স্বর্গগোধিকাঁ দেখিয়া একবারে বিস্মিত হইল। বীর বুঝিল ন।__অমঙ্গলেই মঙ্গলের অধিষ্ঠঠন। সর্বসিদ্ধিদীত্রী বিশ্বমাতা মায়া-আবরণের মধ্যেই নিজের প্রকট মুষ্ট লুক্কাঘিত রাখিয়াছেন! উথাঁর ক্ষীণ আলোকের পশ্চাতেই সত্য-্্য্যের কনক-কিরণ যেমন ধরণীকে . উজ্জ্বল করিয়া! তোলে তদ্রপ পাথিব অণ্ভ চিহ্নকে পুরোভাগে অবস্থাপিত করিয়! যেন শুভময়ীর প্রেমাহ্বান শিখগ্তীপুরতঃ বিজয়ের মত উপস্থিত হইল। কালকেতু মৃগয়াবেশে সজ্জিত হইয়া বনগমন করিয়া বন্মধ্যে এক স্বর্ণগৌধিকা দর্শনে কিছু বিশ্মিত হইল। সে রোষে তাহাকে বন্ধন করিয়া গভীর বনে প্রবেশ করিল। দেখিল এক মৃগ সেই বনে ক্রীড়। করিতেছে) কালকেতু তাহার প্রতি শরদন্ধান করিবামীত্র সে কোথায় লুকা ইয়া পড়িল। আজ এই অসম্ভব ব্যাপার দেখিয়! কালকেতু চিন্তিত হইয়। পড়িল। প্রভাতের সমস্ত গুভ-চিন্ন দেখিয়া তাহার হৃদয় যে অপরিসীম আনন্দে উদ্বেলিত হইয়া উঠগ্লাছিল, এখন মা়ামুগের যবনিকায় তাহাতে বিষাদের ছায়াপাত হইল। প্রচণ্ড কালকেতু তখনও বুঝল ন।__-তাহার পক্ষে আজ কাঁর মত গুভদিনের উদয় আর কখনই হয় নাই__সে আজ সাক্ষাৎ জগঞ্জননীর দেখা পাইবে । কালকেতু বনে বনে পণু-অন্বেষণে গলদধপ্বদেহ। আজ মায়াময়ীর মায়ায় বন যেন প্রাণিশূন্য বোধ হইল। অনেক ভাবিয়। চিত্তিগা সেই রঙ্ছবঞ্ধ গোধিকা টাকে ধন্কু্ডণে লব্বিত করিয়া পত্থীর সম্মুখে উপস্থিত হইল। ফুল্লর| প্রাণপতির চিরসরদ মুখধানিতে আজ বিষাদের কালিম! দেখিয়া প্রমাদ গণিল। হৃদয়ের ব্যথ! চাপ দিয়া সথা বিমলার গৃহে কিছু ক্ষুদ ধার করিয়। আনিতে লাগিল । কালকেতুক্লাস্তির মধ্যে উদ্যম, হতাশার মধ্যে সফলতা বুকে রাখিয়া মৃষ্তিমান ধৈর্যের মত গোলাঘাটে লবণ আনিবার জন যাত্রা করিল। এদিকে গোর্ধিকারূপিণী ভগবতী বন্ধনরঙ্ছু ছিন্ন করিয়৷ এক অপরূপ র্বপলাবগ্যবতী রমণীর রূপে ব্যাধের ' কুটার আলো! করিয়া দীড়াইয়া রহিলেন।
//৪
এমন সময়ে সখীগৃহ-প্রত্যাগত ফুল্লরা৷ তথায় উপস্থিত হইল এবং সেই অপূর্ব মহিমাশালিনী রমণীমৃত্তি দেখিয়া! সবিন্ময়ে জিজ্ঞাসা করিল-_-“কে তুমি কাহার জায় কহ সত্য ভাষা" । দেবী পরিচয়চ্লে বলিলেন £__
“ইলাবুতে ঘর মোর জাতিতে ত্রাঙ্মণী।
শিশুকাল হইতে আমি ভ্রমি একাকিনী ॥
বন্দযবংশে জন্ম স্বামী, বাপেরা ঘোষাল । ,
সাত সতা গৃহে বাঁস বিষম জঞ্জীল ॥
তুমি গে কুল্পরা যদি দেও অনুমতি |
এই স্থানে কত দিন করিব বসতি ॥” উত্তর শুনিয়। ফুল্লরা যেন বজীহতেব মত নিশ্চল :হইম1 ভাবিতে লাগিল--একি উৎপাত ! তখন মনে মনে নান! বিতর্ক করিয়া-_“হদে বিষ মুখে মধু জিজ্ঞাসে ফুল্লব। 1 ওগে। সুন্দবি! তুমি কেন এরূপ ভরা-যৌবন লইয়! স্বামি-পরিত্যাগিনী হইয়াছ। যাও, বাড়ী কিবিধ! মাও--এই বলিঘা তাহাকে কত শাস্ত্রকথা শুনাইল কিন্তু ভগবতী বলিলেন £__
“স্তন গো আমার বাক্য ফুলবা স্থন্দবী হঘ নয় জিজ্ঞ(সা করহ মহাবীবে | আইলু বীরের দু'খ দেখিতে না পারি ॥ যদি বীর বলে তবে যাব স্থানান্তরে ॥ আছিলাম একাঁকিনী বসিয়া কাননে । যে বল সে বল আমি বীরে না ছাড়িব। আঁনিলা তোমার স্বামী বান্ধি নিজ গুণে । দিষা আপনাব ধন দুঃখ নিবারিব ॥”
ইছ। শুনিয়। * পিসোহাঁগিনীর মাথায় যেন আক!শ ভাঙ্গিরা পড়িল। স্বামী এ ভুবনমোহিনী রমণীকে আনিয়াছে শুনিয়া সে যেন অস্থির হইয়া ভাবিতে লাগিল,_হায় কেন এ সর্ধানাশ উপস্থিত হইল। আমি কত' সাধে সোনার সংসার পাঁতাইযা বসিধাছিলাম--ইভাঁব মধ্যে কেন এ উত্পাত । আজ আমাদের প্রেমের ্বর্গরাজ্যে এ কোন্ মায়াবিনী আসিয়া উপস্থিত হইল--ইহাই ভাবিতে ভাবিতে স্থন্দরী ফুল্লরা অবসন্ন হইয়া পড়িল। স্বামীর নিশ্চয়ই ব্রত ভঙ্গ হইয়াছে মনে করিয়! যেন তাহার মাথ! ঘুরির! গেল; কাতর প্রাণে ব্যাধ- জীবনের ছুঃখছূর্দশার কথা শুনাইল। দেবী কহিলেন, আমি তোমাদের ছুঃখ-দুর্গতি দূর করিব। ফুন্পর! যখন শুনিল :_-“আঁনিল। তোমার শ্বামী বান্ধি নিজগুণে” তখন তাহার মনে যে বিষাদ ও বিম্ময় উপান্থিত হইয়াছিল, তাহ! অবর্ণনীয় ।
কৰি এখানে একটা বড় চাতুরী দেখাইয়। বাঙ্গালীর নারীচবিত্রের কেমন এক উজ্জ্বল চিত্র দেখাইয়া- ছেন।-__দেবীর মুখেআনিলা তোমার স্বামী বান্ধি নিজগুণে" কথাটা বাহির করাইয়া সন্দিগ্ধার হৃদয়ে কেমন সন্দেহটা বদ্ধমূল করিয়া দিয়াছেন । গুণ অর্থে ধনুকের ছিল । কালকেতু ধনুকের ছিলায় বাধিয় স্বর্ণ গোধিকারূপিণী ভগবতীকে আনিয়াছিলেন, দ্রেবী এই কথ! বলিলেন । কিন্তু পতি-প্রেম-সন্দিঞ্ধা ফুল্লরা ইহাতে প্রমাদ গণিয়! অস্থির হইয়া পড়িল । সতী সব সহা করিতে পারেন- কিন্ত স্বামি সোহাগের বিন্দুমাত্র ক্রটি সহ করিতে পারেন না । আজঞ্মতিমানিনীর অভিমান উথলিয়! উঠিল । স্বামীর এত সোহাগে তাহার সন্দেহ জন্মিল। ফুল্পর নিজের দিক দিয় দেখিতে লাগিল-_আমি যে দেবতাঁকে আত্মবিস্ৃত প্রেম দিয় অভ্যর্থন! করিয়াছি-_পাথিব কোন কষ্টকেই কষ্ট বলিরা'মনে করি নাই__ছুরস্ত শীতে উপাধানহীন মস্তক স্বামীর বিশাল ভুজদণ্ডে আরোপিত করিয়া স্বামিদেহ-সংস্পর্শে যখন উষ্ণবস্ত্রের অনাবশ্তটকত। বুঝিয়াছি-_নিজে অভুক্ত থাকিয়াও দ্বামীর ভোজনতৃণ্ড মুখমণ্ডলের পবিত্র শোভা দেখির প্রেমাশ্র-সিক্ত হইর়। নিজের নারীজন্ম ধন্ত
৮৮০
বলিয়। মানিয়াছি-_ষে জীবন-দেবতাব পবিত্র প্রেমই নাঁবী-জীবনের শ্রেষ্ঠ পণা বলিয়! বুঝিয়াছি_-চিরপরিহিত মুগচন্ম স্বামি-প্রেমের উজ্জ্বল বর্ণে অন্ুরঞ্জিত করিয়া যাহাকে রাঁজরাণীর কৌষেয় বন্ত্র অপেক্ষাও মৃল্যবান্ বোধ করিয়াছি__-মনঃশিলা-চুর্ণে ললাটদেশ অন্ুরঞ্রিত করিয়া স্বামীর আত্মবিস্ৃত প্রেমকে বরেণ্য করিয়া তুলিয়াছি__স্বামি-প্রদত্ত লৌহ-আয়তিকে আমি রাজেন্দ্রাণীর রত্রবিজড়িত কনক-কন্কণ অপেক্ষাও মূল্যবান্ বোঁধ করিতেছি, অহো-_ এই সখের রাজ্যে কেন এ অনর্থপাত হইল ! খণ্ডমেঘ-কলুষিত পৌর্মাসী রজনীতে যেমন ক্ষণে ক্ষণে চক্র মেঘাস্তরালে লুক্কায়িত হয় আবার বাহির হইয়া পড়ে, সন্দিপ্ধার হৃদয়ও তদ্রপ একবার সন্দেহের মেঘে আবৃত হইতেছিল, আবার ক্ষণপরে স্বামীর প্রেম কোন্ মধুমৃত্তি ধবিয়া যেন স্েহাঞ্চলে সেই বক্ষঃপ্লাবী অশ্রজল মুছাইয! দিতেছিল; কিন্তু এই অলোকসামীনা বপবতী রম্ণী কি মিথা কথা বলিতেছে? এইরূপে £
“বিষাদ ভাবিয়া কান্দে ফুল্লরা রূপসী ।
নযনের লোহেতে মলিন মুখশশী ॥
কান্দিতে কান্দিতে রাম করিল গমন ।
গোৌঁলাঘাটে বীর পাশে দিল দরধন |” একরাশি অভিমান-মিশ্রিত মনোবেদন। বক্ষে লইবা স্বামি-দকাশে উপনীত হইল । কালকেতু পত্বীর নিশ্রভ মুখখানি দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল £.
“শাশুড়ী ননদী নাহি নাহি তোব সত! ।
কার সনে দ্বন্দ করি চক্ষু কৈলি বাতা কি স্বাভাবিক বর্ণন ! পতির হৃদয়ে পবিভ্রতা, পত্রীব হৃদবে আশঙ্ক। -একের হৃদয়ে বিম্মঘ, অন্যের হৃদয়ে সংশয় । আজ এই ছুইটী বিরুদ্ধধন্মেব সংগ্রামে দম্পতীব প্রাণ যে অবসন্ন হইয! পড়িরাছে। গ্রন্থকাৰ যেরূপে এই অংশটা বর্ণনা করিযাছেন-_-তাহ। বর্ণন। দ্বার। বুঝাইতে প্রয়াস পাওয়া বড় কঠিন। কবি কু্দরাম নিজের জীবনব্যাপী ছ:খের দাবদাহে ভক্মীভূত হইব। ছঃখ-বর্ণনাঘ যে কৃতিত্ব ও কৌশল দেখাইর়[ছেন, তাহা। শুধু তাহার কাবা পাঠ করিলেই অন্নুভব করিতে পারা যায় । যতই তাহার কাব্যের সহিত পরিচিত হওয়া যাঁয় ততই বুঝিতে পাঁরা যায়__কাব্যথানিতে যেন তাঁহার জীবনের ছুঃখকাহিনীই অনুক্যত রহিয়াছে । যত সুখের কথ! ছঃখ-দাবানলে যেন সংস্কৃত হইয়া বিশুদ্ধ স্বর্ণশোভা ধারণ করিয়াছে । পাঠক একবার সুশীলার বারমাস্তা পাঠ করুন, দেখিবেন-_তাহাঁতে প্রেমগীতির ষে বঙ্কার উঠিয়াছে খুষ্লন! ও ফুল্পরাঁর বারমাশ্তায় ছঃখের ঝটিকায় তাহ যেন বিশ্বসঙ্গীতের বিরাট স্থুরে বিলীন হইয়! গিয়াছে । বিরাট জগৎ যেমন মানুষকে বিশ্বপাতার সহিত পরিচিত করে তজ্রপ এই কাবাথানিও কবিকে আমাদেব সহিত পরিচিত করিষা দিতেছে । এই জন্যই মুকুন্দরামের কাঁবাথানি এখনও অমর হইয়া রহিয়াছে
ফুল্পরা কাদিয়। কহিল £__ ও “সতা সতিন নাহি প্রভু তুমি মোর সতা ।
ফুল্লরারে এবে হৈল বিমুখ বিধাতা ॥৮ আজ তাহার অশ্র-নিরুদ্ধ কণ্ঠ যেন হৃদয়ের কথাটা বলিতে দিল না । একদিকে রাজশাসনের ভয়, অপর দিকে স্বামীর প্রতি সন্দেহ__উভয় আোতের মধ্যে পড়িয়া ফুল্লরা সতী হাবুডুবু খাইতে লাগিল ।
কাঁলকেতু কত ভাবিতে ভাবিতে গৃহে উপস্থিত হইয়। দেখিল-_কুটার-দ্বারে ভুবনযোহিনী দীড়াইয়া
--তীহার রূপজ্যোতিতে ₹-
৮৪/০
“ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরখানি করে ঝলমল । কোটী চন্দ্র প্রকীশিত গগনমণ্ডল ॥” কালকেতু বিশ্মিত হইয়৷ বলিল £ “আমি ব্যাধ নীচ জাতি, তুমি রামা কুলবতী, তাজিয়া ব্যাধের বাস, চল বন্ধুজন পাঁশ, পরিচয় মাগে কাঁলকেতু ॥ থাক্িতে থাকিতে দিননাথে। কিবা দেব-দ্বিজ-কন্যা, ব্রভুবনে এক ধন্তা, যদি হয় পাপ নিশা, লোকে গাবে হুষ্ট ভাষা, বাধের মন্দিরে কিবা হেতু। রজনী বঞ্চিলা কার সাথে ॥ ব্যাধ গো:হিংসক রাড়,। চৌদিকে পুর হাড়, কিবা পথ পরিশ্রমে, আইলা দিগের ভ্রমে, শ্বশীন সমান এই স্থান। আয়াস ছাঁড়িতে এই ঘর। কহি আমি সত্য বাণী, এই ঘরে ঠাঁকুরাঁণী, চল বন্ধুজন পথে, ফুল্লরা চলুক সাথে, প্রবেশে উচিত হয় স্নান ॥ পিছে লয়ে যাব ধনুঃশর ॥৮
তখনও দেবী নিরুত্তর । কালকেতৃু আবার বলিল £₹ পরাণ বসন ভাঁতি অবলা জনার জাতি, বক্ষা পাঁয় অনেক যতনে 1৮ দেবী তখনও নিরুত্তর। এইবার বীরের হৃদয়ে ক্রোধে আবিভাব হইল। বলিল £__
্্ চে আপনি রাখিলে রহে আপন।র মান ॥
৯ ৪
বড়র বহুড়ি তুমি বড় লোকের ঝি। বুঝিয়া বাধেব তাব তোর লাভ কি॥” এত মিনতিতেও দেধীর কোন সাঁড়। নাই ।_-তখন কালকেতু অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া বলিল £-
ৰ “চরণে ধরিয়া মাগি ছাড় গো নিলয় ।” * কাগকেতু “ভান্ুসাক্ষী” করিয়া! মায়াময়ীকে বধ করিবার জন্ ধন্ুকে বাণ-যোজন1 করিল। কিন্তু দৈবী- মায়ায় সে ধনুঃশর হাতেই রহিয়া গেল। মানুষ ক্রোধে অন্ধ হইলে কাম্য লাভ করিতে পারে না। যখন কালকেতুর ক্রোধ সংযত হইয়া দেবীর চরণে বিলীন হুইল_-তখন জগজ্জননী মৃছ্মন্দ হান্তচ্ছটায় চতুদ্দিক আলোকিত করিয়া কহিলেন, বৎস কালকেতু £
“আমি চণ্ডী আইলাম তোরে দিতে বর।
লহ বর কালকেতু ত্যজ ধন্ুুঃশর ॥” দেবীর কথায় কাঁলকেতুব বিশ্বাস হইল নাঁ। সে ভাবিল £-_
* . “হিংসামতি ব্যাধ আমি অতি নীচ জাতি ।
কি কারণে মোর ঘরে আসিবে পার্কতী ৮. বোধ হয় কোন মায়াবিনী মায়াবিস্তাব কবিয়া আমার বাণ ব্র্থ করিয়াছে । তখন কালকেতু চত্তীকে কহিলেন, র্দি তূমি সত্যই চণ্ডী হও, তাহা হইলে তোমার দ্রশভুজা মস্তি দেখাইয়া আমার সন্দেহ ভঞ্জন কর। তখম দেবী দ্শডুজ! মৃত্তি ধরিলেন__কাঁলকেতু সবিশ্ময়ে বিশ্বমাতার মূর্তি দেখিল। এম্বলে মুকুন্দরাম বিশ্ব-
৯৯
জননীর যে মুত্তিটা চিত্রিত কবিয়াছেন তাহা দেখাইতে প্ররাস পাইয়া অপরাধী হইব না। পাঠক ৭২ পৃষ্ঠায় একবার “্চণ্ডীর মহিষমদ্দিনী রূপ ধাবণ” অংশটী পড়িয়া দেখুন । ুল্পরা ও কাঁলকেতু দেবীর চবণে প্রণত হইল । কাঁলিকেতু বুঝিল; প্রভাতের আলোকে পত্ীর প্রেম- পৃত মুখখানিতে যে আনন্দ দেখিয়াছিলাম তাহা যেন এই আনন্দরূপিণীব প্রত্যক্ষ দর্শনের আনন্দের পুর্ববীভাঁষ জানাইয়াছিল। চণ্ডী কহিলেন,* কাঁলকেতু, আমি তোমার ছুঃখ দূর করিব। এই বলিয়৷ একটা অঙ্গুরী তাহাকে দিলেন । কুল্পর! বলিয়া উঠিল ₹__ “এক অস্ধুরীতে প্রভু হবে কোন্ কাঁম। সারিতে নারিবে প্রভূ ধনের ছর্নাম ॥৮ অঙ্গুরীর মূল্য সাত কোটা টাকা শুনিযাও কুল্পরাব মন উঠিল না, দেখিয়া চণ্ডী আরও সাত ঘড়! ধন দিলেন । কালকেতু প্রথমবাঁরে ছুই ঘড়। ধন লইঘা নিজ ভবনে চলিল। ফুল্নবাও তাহার অন্কুগমন করিল। কালকেতু ছুই ঘড়া ধন বাড়ীতে রাখিয়া আসিল । ফুল্লবা সেই ধনে পাহারা দিতে বাড়ীতে রহিল। কালকেতু পুনরায় দুই ঘড়া ধন আনিয়! রাখিয! গেল । ততীঘ বারে ছুই ঘড়া ধন লইল । বাকী এক ঘড়ার জন্ত আর একবার তথায় আসিতে হইবে মনে করিবা £- “মভাঁবীব বলে মাতা কবি নিবেদন । চাঁতিযা চিত্তিয়া দেহ এক ঘড়া ধন ॥ যদি গো অভয়! ধন না দিবা অপব । এক ঘড়া ধন মাগো নিজ কীথে কর |” ভক্তবৎসলা মাতা ভক্তের কথ এড়াইতে পারিলেন না । ভক্তের কথায় এক ঘড়া ধন কক্ষে 'লইয়া বীবের পশ্চাঁৎ পশ্চাঁৎ যাইতে লাগিলেন ।--কাঁলকেতু ভাবিতে লাগিল *-“ধন ঘড়া লয়ে পাছে পলায় পার্বতী ।” কবির এই বর্ণনায় কেমন একটা অকুত্রিমতা প্রকাশ পাইযাছে। কালকেতু ব্যাধ__সে মূর্খ ও দরিদ্র। মূর্খ ও দরিদ্রের প্রাণে অর্থপিপাস। কত প্রবল কবি তাহা কেমন ফুটাইঘা তুলিযাছেন। স্বভাব-সরল ব্যাধের প্রাণে যখন যে-ভাব খেল! করিযাছে, কবি তাঁহার সবগুলিই স্ুন্দররূপে দেখাইযাঁছেন। বুঝিতে হইবে, চণ্তীকাব্যের নায়ক-নায়িকা ব্যাধ ও ব্যাঁধপত্ঠী । কাজেই যে-সময়ে তাহাদেব প্রাণে যে ভাবের উদয় হইয়াছে তাহা নিপুণ কৰি ভিন্ন অন্তে যথাযথরূপে বর্ণনা করিতে পারেন না । মুকুন্দরাম নায়কীয় চরিত্রে হীনতার আশঙ্ক। না করিয়া তাহা বর্ণন করিয়াছেন । তাই ব্যাঁধ-নায়কের খঁদার্ধ্য, মূর্খতা, অমূলক সন্দেহ, সর্ধোঁপরি চরিত্রবল কুটিয়া উঠিয়াছে। চরিত্রবল ও ওদার্যোর সহিত মূর্খতা প্রভৃতি কমলিনী-অঙ্গম্পৃষ্ট শৈবাঁলের মৃত অথব| কুস্মসন্নিহিত হরিৎ পত্রেব মতই শোভমান হইয়াছে । কালকেতু দেবী প্রদত্ত অঙ্কুরীটা ভাঙ্গাইবার জন্য মুবারিশীল নামক এক বণিকের আলয়ে গমন করিল। মুরারিশীল একজন প্রবঞ্চক ও জুয়াচোর। তাহার পত্ীও তন্্রপ। তবে তাহার মধ্যে নারীম্বভাবন্থুলভ কোমলত! যে নাই তাহা নহে। কালকেতুর সহিত কপট মুরারিশীলের ও তদীয় পত্ধীর কথোপকথনটাও অতি সুন্দর ৷ পাঠক দেখিববেন_-কবি এন্থলেও কেমন কৌশলে এক প্রবর্ধক'বণিক ও বণিকপত্বীর অধ্যায়টী বর্ণনা করিয়াছেন । বণিকের কপট সম্তাষ--আর সরলচিত্ত ব্যাধ-নন্দনের সত্যপ্রিয়তাঁর সংগ্রামে কিক্নপে সত্য জয়ী ও কপটতা৷ উপহসনীয় হইয়াছে, পাঠক ৭৩1৭৪ পৃষ্ঠা পাঠ করিলেই বুঝিতে পারিবেন এবং দেখিতে পাইবেন, বঙ্গীয় কবি কেমন অন্তট্ির লৌকাতীত ক্ষমতীয় প্রবঞ্চক বণিকের খিড়কী-পথে ০১৮০০৪৪ দেখিয়৷ ফেলিয়াছেন।
১/০
কাঁলকেতু অঙ্গুরীর মূল্য সাত কোটী টাকা পাইয়। দেবীর আদেশে গুজরাটের বন কাঁটাইয়। তথায় রাজধানী স্থাপন করিল । দেবীর মায়ায় কলিঙ্গবাজ্য জলমগ্ন হইল প্রজাকুল “রাজার পাঁপে প্রজা! ক্ষয়” মনে কবিয়! দলে দলে কালকেতুর নূব-প্রতিষ্টিত রাজ্যে আসিয়া বাস করিতে লাগিল। প্রথমে বুলান মণ্ডল নীমক এক ব্যক্তি কালকেতুর প্রজা হইল । কালকেতু নবাগত প্রজাকে সাদরে অভর্থনী করিল। বুলানের পশ্চাঁৎ পশ্চাৎ ভীড়ুদত্ত নামক একজন মৃত্তিমতী শঠতার ন্যায় উপস্থিত হইল । কালকেতু তাহাকেও সমাদরে স্থান দান কবিল। তাঁড়ুদত্ প্রথম প্রথম নিজের ভণ্ডামি চাপা দিয়া নগর-নিন্মাণে কালকেতুর অনেক সাহায্য করিয়াছিল। স্বভাঁব-সরল কাঁলকেতু ভীড়ুদাত্তেব চাঁতুবীব বৃহন্তোছেদ কবিতে পারিল না। | ক্রমে ভাঁড়ুদত্ত রাজোব মধ্যে অতিশয় অত্যাচাৰ আঁরন্ত করিয়! দিল। ভীঁডু প্রতিদিন হাটে ভোলা আঁদাঁষ কবে-_তাহার বিধবা ভগিনী হাড়ি-বিক্রেতার হাড়ি ৪ গোয়ালাদের পসরা কাড়িয়া লয়_-আর তার পুরের উৎপাতে ময়রাদের গুড় থাকিবাঁর উপাধ নাই--নাগরিক কুলবধূগণ তাহার দৌরাক্যো সন্বস্ত-_-নগরের শাস্তিবক্ষকগণও ভীঁড়ুদত্তেব প্রতীপে কেহ কোন কথ কহে না ইত্যার্দি নানা অত্যাচারের কথ বলিয়া প্রজারা বাজাব নিকট নালিস করিল। কালকেতু সমস্ত কথ! শুনিয়৷ ভাড়ুদত্তকে অত্যন্ত তিরস্কার কবিল। ভাড়ুদত্ত কাঁলকেতুর তিবন্কীরে আস্কীলন কবিতে করিতে £ “ঘদি হবিদত্তের বেটা হই জযদত্তেব নাতি। বেচাইব ভাঁটেতে বীরেন ঘোড়৷ হাতী ॥ তবে স্ুশাসিত হবে গুজর।ট ধবা। পুনর্ধাব ভাটে মাতস বেচিবে কলর ॥৮ বলিসা কিছু 'নার্জভেট সংগ্রহ কবিন। কলিঙ্গবাছজেব নিকট উপস্থিত হইল এবং কালকেতুর সম্বন্ধে কত কথা বল্মা বাজাৰ মন টলাহল । বাজা রোবকঘ।যিতলোচনে নগবপাপকে ডাকাইয়া কালকেতুর সংবাদ জিজ্ঞাসা কবিলেন। ন্গবপাল বলিপ, রজনী-গ্রভাতে তাবৎ সংবাদ যথাযথ নিবেদন করিবে । ন্গবপাঁল গুজবাঁটে গমন কবিপ। বাজপুবাৰ বশ্বর্ধা, নাগবিকগণের বেশভৃষা এবং বিগ্যাধরীসন্লিভ কুলবধূগণকে অবলোকন কবিযা অন্ষভব কিল যেন মুত্তিমতী রাজশ্রী বারেব রাজো বাজ্য করিতেছে । নগবপাঁল প্রাতে বাজদবব।রে নিবেদন কবিল। রাজা কালকেতুর সহিত যুদ্ধে অনুমতি দিলেন। কাঁলকেতু তাভাব সেনা সংগ্রহ কবিরা যুদ্ধেব জনা প্রাস্ত হইল । যুদ্ধে ভীড়ুদত্ত কালকেতুব সিংহবিক্রম দর্শনে ভীত হইয়া পড়িযাছিল। পবদ্দিন ভীডুদত্ত কলিঙ্গরাজেব পলায়িত সৈন্যসকল সংগ্রহ করিয়া সমরাঙ্গণে অবতীর্ণ হইল । যুদ্ধভীতা৷ ফুললঝ। প্রমাদ গণিল। স্বামীকে ভূলাইয়। ধান্ঘবে লুকাইয়া রাখিল। এদিকে ভীঁড়্দত্ত কৌশলে কার্ধা সাধনের চেষ্টা করিষা কপটভাবে ফুল্পরার নিকট উপস্থিত হইয়া কত আঁশ্বীসেব কথা শুনীইল। সবল ফুল্পর। ভীঁডুদত্তেব চাটুকারিতায় প্রতারিত হইয়। ধান্যঘরে লুকায়িত বীরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিল। চতুর তাঁড়ুদত্ত সমস্ত বুঝিতে পারির। ফুল্লরার নিকট হইতে বিদা গ্রহণ করিল। ভীঁড়ু পুরীর বাহিরে গিয়া কোঁটালকে সমস্ত জানাইল। কৰি এস্থলে কালকেতুকে “ভীরু বাঙ্গালীর মতই বর্ণনা করিয়াছেন। কাঁলকেতুর মত বীর পত্বীর কথায় লুক্কায়িত হইয়াছিল, বর্ণনা করিয। তিনি বাঙ্গালী- চরিত্রে অনির্মোচ্য কলক্ক-কাঁলিমাকে সুস্পষ্ট করিয়া দিয়াছেন । বোধ হুয় তৎকালীন বঙ্গবীরের দ্বণ্ উদ্দাহরণ কৰিকে এ-বিষয়ে দৃষ্টিহীন করিয়াছিল । এদিকে কালকেতুর শাপাবসান কাল উপস্থিত হইলে চণ্ডী কালকেতুর অমিতপরাক্রম হরণ করিলেন। ডনের সা কানে রকে বরনাররিিনিরাজোর নি লট রিটা পতিপ্রাণার কাতর ক্রন্দন
১৮০
কেটালের পাঁষাণবক্ষঃ দ্রবীভূত করিতে পারিল না। কোটাল কাঁলকেতুকে বাঁধিয়া সম্ুথে আনিবামাত্র কলিঙ্গরাঁজ তাহাকে কারাগারে লইয়া যাইবার আদেশ দিলেন ।
কালকেতু কারাগারে ভগবতীর স্তব করিতে লাগিল। কাঁলকেতুর কাতর প্রার্থনায় পাষাণীর হৃদয় দ্রবীভূত হইল। তিনি ত্বর্গীয় শোভায় বন্দিশালা আলোকিত করিয়া কালকেতুকে কহিলেন-_“বৎস কালকেতু ! আমি তোমার প্রতি সদয় হইয়াছি-তুমি তোমাৰ বাঁধ-জীবনের পশুবধ পাপের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করিতেছ-_তোমার পাপের শাস্তিভোগ পূর্ণ হইয়াছে_তুমি কলাই পবিত্রাণ পাইবে”, এই বলিয়া স্বপ্নে কলিঙ্গরাজকে দেখা দিয়া বলিলেন, “তুমি কাঁলকেতৃকে ছাডিয়া দাও” । কলিঙ্গপতি স্বপ্নে চামুণ্ডামৃরতি দেখিয়া ভীত হইলেন এবং তৎক্ষণাৎ কালকেতুর বন্ধন মুক্ত করিবার জন্ বন্দিশালায় গমন করিলেন । দেখিয়া আশ্চর্যযান্বিত হইলেন যে, কালকেতু ইতঃপৃর্েই বন্ধন-মুক্ত হইয়া রহিয়াছে ।
রাঁজা পরম সমাঁদরে কাঁলকেতুকে বিদায় দিলেন। কালকেতু কলিঙ্গভূপতিকর্তৃক সন্বদ্ধিত হইয়া নিজ রাজধানী গুজরাটে প্রত্যাগত হইল। কাঁলকেতুর অভাবে যে গুজরাট শ্শানসদৃশ হইয়াছিল আজ তাহা নাগরিকগণের আনন্দ-কোলাহলে ত্রিদশালয়েব মত মুখরিত হইয়া উঠিল।
কাঁলকেতু নগরে আসিয়াই চগ্ডিকার ববে যুদ্ধে নিহত সৈম্ভগণকে বীচাইল। গুজরাটে আনন্দোৎসব চলিতে লাগিল । মুতণুত্র! মাতা পুত্র ফিবিয়৷ পাইল । স্বামিবিয়োগবিধুরা তাহার স্বামী দেখিতে পাঁইল। সকলে কাঁলকেতুকে শাপত্রষ্ট দেবতা বলিয়। মনে করিতে লাগিল ।
এমন সময়ে ভীড়ুদত্ত কাঁলকেতুর নিকট আগমন করিল। কালকেতু উপযুক্ত ব্যক্তিব উপযুক্ত সম্বর্ধনা করিয়া বিদায় দিল।
এরদদিকে কালকেতুর শাপাঁবসাঁন কাল উপস্থিত হইল। ইন্দ্র, পুত্রের শাপাঁবসান, কল জানিয়া মহাদেবের নিকট নিবেদন করিলেন । শিবের কথায় চ্ডিকা বীরের শিপরে বসিয়া পূর্বজীবনের কাহিনী শুনাইলেন। কাঁলকেতু স্বীয় পুত্র পুষ্পকেতুকে রাজ্যভার সমর্পণ করিয়া পড্ী ফুল্পরার সহিত দেবতার ব্ূপ ধারণ করিয়। স্বর্গে গমন করিল।
মহাদেব ও পার্বতী সাদরে অভিশণ্ড দম্পতীকে বরণ করিয়। লইলেন ।-_ আনন্দময় অমবাবতীতে আনন্দের আত উলিয়া উঠিল।
উত্তরার্ধ।
ূর্বার্ধ বণিত কাঁলকেতুর উপাখানে পুরুষ কালকেতুর দ্বারা দেবার পুজা প্রচারিত হইল । এখন দেবা 'ন্ত্রীলোকের পুজা” লইতে ইচ্ছা! করিয়া রত্মমালা অগ্গরীকে ডাকিয়া দেবসভায় তাহার নৃত্য আরম্ত করাইয়া দিলেন। দেবীর আদেশে অনঙ্গ যৌবন-গর্ব-স্ফুরিতা নৃত্যপরা রত্রমালাকে অব্যর্থ পুষ্পশর হানিলেন। সম্মোহনবাণে রত্বনীলার তালভঙ্গ হইলে দেবী ভবানী তাহাকে অভিশাপ প্রদান করিলেন, “তুমি .ইছানী নগরবাসী লক্ষপতির ছুহিতা হইয়া জন্মগ্রহণ কর, তোমার নাম হইবে খুক্পনী ; তুমি উজানী নগরবাসী সাধু ধনপতি দত্বের দ্বিতীয়া'ন্ত্রী হইবে ।” রত্বমালা কত কাঁদিয়া শেষে বলিলেন £__“আচ্ছ!' তাহাই হউক-_কিন্তু আমি পৃথিবীতে গিয়া তোমারই পুজায় কালাতিপাত করিব এবং তোমার কিনি বত্ববতী হুইব।” দেবী ইহা। শুনিয়া প্রীত হইলেন ।
উজানীনগরবাসী সাধু ধনপতি দত্ত একদিন পারাবত-ক্রীড়া করিতেছিলেন । এমন সময়ে এক
:১/০
শ্তেনপক্ষীকে তথায় 'আসিতে দেখিয়া! পারাবতসকল নানাদিকে উড়িরা গেল। ধনপতি দত্তের শ্বেতা পারাবতীও ইছানী নগর অভিমুখে যাইতে লাগিল। ইহা দেখিয়া ধমপতি দৃত্ব সথা জনার্দনকে সঙ্গে লইয়া উর্ধমুখে পারাবতীর পশ্চাঁৎ পশ্চাৎ ছুটিতে লাগিলেন । শ্রেনভীত! শ্বেতা উড়িতে উড়িতে সথীপরিবেষ্টিতা, ক্রীড়াঁপরায়ণা, ঈষদুডিত্-যৌবনা খুলনার অঞ্চলে ুন্তায়িত'হইল। খুক্লনা শ্বেতাকে অঞ্চলাবৃতা করিয়। সথী সঙ্গে গৃহাভিমুখে যাত্রা করিল। ধনপতি খুষ্টনার নিকট পাঁরারত ভিক্ষা করিলে যৌবন-আনিঙ্গিতা রহস্-পরিয়া খুলনা স্বীয় ভগিনী- পতিকে চিনিতে পারিয়া৷ তাহার সেই প্ররফুনন কুম্থমতুলা মুখখানি রহস্ত-পুলকিত্ করতঃ বলিল, “এই পারাবত আমার শরণাগত, আমি ইহ! আপনাকে দিতে পারি না।' ধনপতি রাজভয় দেখাইলেন; রহস্তমুখরা কিশোরী : তাহাতে কর্ণপাতও করিল না বরং কৌতুকের হান্তে ধনপতির বিভ্রম লাগাইয়া দিয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিল।
ধনপতি খুল্লনাকে দেখিয়া মুগ্ধ হইলেন এবং জনার্দনকে বলিলেন, “পথে! তুমি এই কুমারীর সহিত আমাঁর বিবাহ দিয় আমার জীবনরক্ষা কর।'
দ্বিজ জনার্দন লক্ষপতির গৃহে গিয়া খুল্পনার বিবাহের প্রস্তাব উপস্থিত করিল। লক্ষপতি 'কুলে শীলে
বূপে গুণবান”, “দেব-দ্বিজ-গুরুভক্ত', "শুদ্ধ সদীচার” “দাতা” “কাবা-নাটকে স্ুপণ্ডিত' ধনপতিকে বরত্বে পাইযা খুল্লনার সহিত বিবাহে সম্মতি দিলেন । পত্রী রস্তাবতীর অমতকে দৈবজ্জেৰ আজ্ঞায় প্রশমিত করিয়া লক্ষপতি ধনপতির সহিত খুল্লনার বিবাহ-সম্বপ্ধ স্থির কবিলেন।
এদিকে ধনপতির প্রথমা স্ত্রী লহন! স্বামীর পুনঃ দাবপরিগ্রহেব কথা শুনিয়া যেন শেলাহত হইল । ধনপতি দত্ত তাহাকে অনেক বুঝাইলেন। বলিলেন : _
্রাপ নাশ কৈলে প্রিষে বন্ধনের শালে। মাসী পিসী মাতুলানী ভগিনী সতিনী। চিন্তামণি নাশ কৈলে কাচের বদলে ॥ কেহ নাহি রহে ঘবে হইয়া রান্ধনী ॥ ন্নান করি আসি শিরে না দাও চিরুণী। যুক্তি যদি লহে যনে কহিবে প্রকাঁশি। 'রীদ্র না পায় কেশ শিরে বিদ্ধে পানী। রন্ধনেব তরে তব ক'রে দিব দাসী ॥ অবিরত ওই চিন্তা অন্ত নাহি গণি। বরিষা বাদলেতে উন।নে পাড় ফুঁক। বন্ধনের শালে নাশ হইলে পল্মিনী। কপূর তাল বিনা রসহীন মুখ ।৮
স্বামীর এই মমতার কথা শুনিয়া, অধিকন্তু একখান পাটশাঁড়ী ও পাঁচপল সোনা পাইয়া অভিমানিনীর . অভিমাঁনু দূরীভূত হইল। স্বামী পুনরায় বিবাহে অনুমতি পাইলেন । ুল্লনার সহিত ধনপতির বিবাহ হইয়া গেল। লহন! ভগিনীকে সাদরে বরণ করিযা লইল। কিন্তু
লহনার এই ভাঁব অধিক দন স্থায়ী হইল না। রাজ! বিক্রমকেশরী কোন ব্যাঁধের নিকট হইতে শুক ও সারিকা উপহার পাঁইয়াছিলেন। রাজা৷ তাভাদিগকে স্বর্ণপিষ্জরে রাখিতে ইচ্ছা করিয! ধনপতি দত্তকে গৌড়দেশে গমন করিতে অনুমতি দ্রিলেন। প্রবাসগামী ধনপতি যাইবার সময় খুলনাকে লহনার হাতে পিয়া দিধা গেলেন । লহনা, খুল্পন|কে প্রাণাপেক্ষা ও ভালবাদিতে লাগিল । কিন্তু হঠাৎ দাসী ছুর্বলা ভাবিল £-_
“লহনা খুল্পনা ষদি থাকে এক মেলি।
গ্লাইট করি মরিব, ছজনে দিবে গালি ॥
যেই ঘরে ছু-সতিনে না হয় কন্দল ।
সে ঘরে যে দাসী থাকে সে বড় পাগল
একের করিয়! নিন্দা যাব অন্তস্থান।
সে ধনী বামিবে মোরে প্রাণের সমান ॥"
১1৩
ইহা ভাবিয়া ছর্বলা' লহনার পবিভ্র প্রাণকে কলুষিত করিবার উপায় করিল। লনা বড় সরলপ্রক্কৃতিক রমণী; সে দুর্বলার কুটবৃদ্ধিতে পড়িয়া নিজের দারল্য বিসর্জন দিল। লহনা দুর্বলার পরামর্শে খুল্পনীকে বিষ-নয়নে দেখিতে লাগিল। একদিন লহনা ছূর্বলার পরামর্শমত সথী লীলার দ্বারা এক জাল পত্রলিথাইয়| খুল্পনাকে দেখাইল। বৃদ্ধিমতী খুলনা বুঝিল, তাহা স্বামিকর্ভৃক লিখিত নহে । নিজের শুদ্ধচারিতার কথা ভাবিয়া স্বামি-স্বাক্ষরিত সেই কঠিন আদেশলিপির ভীষণতা সে তখনও বুঝিতে পারিল না । মে বলিল__ হয়ত কোন ছুট বাক্তি অনর্থ 'ঘটাইবার জন্য এইরূপ কাণ্ড ঘটাইয়াছে।' খুল্লনা কিছুতেই বোঝে না। অবশেষে লহন! ও খুল্পনার মধ্য বিবাঁদ বাধিয়া গেল। পবিণতবয়স্থা লহনা সমরবিজগ্নিনী হইল।
খুল্নন হৃতালঙ্কারা৷ হইযা বনে ছাগল চরাইতে গমন করিল। তাহাব সেই শোকখিশন তরুণস্রী বন্কুম্মের পরিমলে যেন দ্বিগুণ উজ্জ্বল হইয| উচিল। স্ুন্দবী খুল্লনা নব-বসন্তেব আগমনে প্রক্ৃতিসতীর যৌবনভরা৷ সৌন্দর্য্যে বিহ্বল। হইয়া! পড়িল। কোকিলের কুভুরব, ভ্রমবেব গুপ্জন, মলয়ের আকুল স্পশন খুল্লনাকে বিবহবিধুরা কবিয়া তুলিল। বিবহতপ্রা খুলনা অবসন্নদেহে বুগ্ষতলে নিদ্রিতা হইয়া পড়িলে চণ্ডী তাহাঁকে স্বপ্নে দেখা দিয়া বলিলেন, ৭সর্ঘশী ছাগল তোব খাইল শ্গালে ”” খল্পনা স্বপ্পে মার দেখা পাইয়। কত কীদিল। এতদিন মাতা তাহাব কোন সংবাদ লঘ নাই মনে কবিথ| তাহাব অভিমান উথলিয়। উঠিল। কাতর প্রাণে সর্শীর অনুসন্ধান কবিতে লাগিল । কোথ!ও সর্বশীব দেখা পাইল না। সপত্বীর দীরুণ শাসন মনে করিয়! কাদিতে কীদিতে বনের চতুদ্দিকে উদভ্রান্তভাবে বিচ" করিতে লাগিল ।
খুল্লন! বনে ভ্রমণ করিতে কবিতে দেবকনা[গণেৰ সভিত সাক্ষাৎকার লাড কবিল। দেবকনাগগ খুল্লনাকে চণ্ডীমাহাত্ম্য কহিযা চণ্ডীপুজা করিতে উপদেশ দিলেন । দেবকন্যাব। খুল্নন|কে চণ্ডীপূজ| শিখাইঘা দিলেন_ পুজা শেষ হইলে চণ্ডী আবিভভূতি| হইয়া খুল্লনাকে বন" দিলেন-“তোমার স্বাণী শীপ্বই প্রতাগত হইবেন এবং তুমি স্বামি-সোহাগিনী ভইয। পুত্রবতী হইবে ।” | |
ধনপতি গৌড়ে গিঘা হীনচরিত্র হইযাঁছিলেন। চণ্ডী তাহাকে স্বপ্পে আদেশ কবিলেন--“তুমি অগ্ই বাটা গমন কর ।” ধন্পতি যেন স্বপ্নযৌগে নবশক্তি লাভ কবিদা পবদিনেই উজানীতে আসিবান জনা রাজাব , নিকট অনুমতি চাঁহিলেন। রাজার অনুমতি প্রাপ্ত হইয়া ধনপতি উজানীতে প্রত্যাগত হইলেন। লহুনা প্রত্যাগত-স্বামীর অনুরঞ্তনের জন্য কাঁলাপগত যৌবনশ্রীকে নার্জিত করিয়া স্বমীব নিকট উপস্থিত হইল। খুলনা সেদিন সপত্ঠীর নিষেধসত্বেও নিজে ভগবতী চ্ডিকাঁকে স্মবপ করিযা রন্ধন করিল এবং স্বামীকে ও স্বামীর নিমন্ত্রিগণকে তৃপ্তির সহিত ভোজন করাইল।
রজনীযোগে খুল্পনা স্বামীর শয়ন-গৃহে লুক্কা়িত রহিল । স্বামী প্রিয়তমা খুল্লনীব জন্য ব্যাকুল হইয়া পড়িলেন। রহসাপরা খুল্লনা স্বামীর আকুল উদ্বেগে আর থাকিতে ন। পাবিধা স্বামীর নিকট উপস্থিত হইল এবং অশ্রজলে ম্বামীব বক্ষঃ প্লাবিত করিয়া লহনা তাহাকে যত ছুংখ দিয়াছে একে একে সব বলিল। শুনিয়া ধনপতি দত্ত লহনাকে কত তিরস্কার করিলেন।
ধন্পতি দত্ত পিতৃশ্রাদ্ধ করেন নাই । পুবৌহিত আসিধা ধনপতিুক পিতৃশ্রাদ্ধেব কথা বলিলেন। ধনপতি পিতৃশ্রাদ্ধ উপলক্ষে কুটুক্ববর্গকে নিমগ্বণ করিলেন। ব্রাঙ্মণগণের সম্মানের পর স্বজীতি-পুজার সময় ধন্পতি চাঁদবেণেকে মাল্যচন্দন দিলেন । ভাঁহাতে বণিকসমাঁজে যে কৌলাহল উপস্থিত হইল, তাহা৷ প্রকৃতই অনুধাবনযোগ্য । (১৮০ | ১৮১ পৃঃ) তখন কষ্ট স্বজাতীয়গণ এক ছল ধরিয়া বসিল ষে,.ধনপতি দত্তের স্ত্রী পূর্ণ-ঘৌবনে বনে ছাগল চরাইত।
১1/9
“গুধানের মত্ত আর নাঁবীর যৌবন । ত্রিপান্তরে পায় যদি রজত কাঞ্চন ॥ অযত্বে পাইলে তাহা ছাড়ে কোন্ জন। “দেখিলে ভুলয়ে ইথে মুনি জনাঁর মন ॥ থুল্লন! পরীক্ষা দেক যদি হয় সতী । তবে নিমন্্ণে দিব সবে অনুমতি ॥” জ্কাতিগণের কথা শুনিয়া খুল্পনা পরীক্ষা্দানে আগ্রহবতী হইল । ধনপতি বলিলেন, “তোমার পরীক্ষা দিয়া কাজ নাই, জ্ঞাতিগণের দ্বিতীয় কথা রক্ষা করিৰ _আমি একলক্ষ মুদ্রা দিতেছি ।' খুল্পনা বলিল--না তাহা হইবে না _পরীক্ষা না দিলে আমীব কলঙ্ক রহিয়া যাইবে, অধিকন্তু জ্ঞাতিগণ আজ এক লক্ষ মুড্া পাইয়া আবার অন্ত সময়ে হয়ত অন্য ছলে মুদ! আদা করিবে --অতএব এ অনর্থে প্রয়োজন কি ?' খুলনা সতী পৰীক্ষা দিল, পরীক্ষায় সকলে ধনা ধন্া করিতে লাগিল । গুল্লনা সতী অগ্নিসংস্কৃত স্বর্ণের মত মনোজ্ঞ হইয়া উঠিল | ইন্্পুত্র মালাধর শন্করের শাঁপে খুলনার গর্ভে জন্মগ্রহণ করিলেন। মালাঁধবের ছুই পত্বীর মধ্য একজন নিংহলরাঁজের ও অপবে বিক্রমকেশরীর গৃহে জন্মগ্রহণ কবিল। এদিকে রাঁজভাগারে শঙ্খ চন্দনাদির অভাব হওয়াতে ধনপতি সিংহলে যাইতে আদিষ্ট হইলেন। ধনপতি রাঁজার আঁদেশ এড়াইতে ন| পারিয়া সিংহলে গমন করিবাব উদ্ভোগ করিতে লাগিলেন । অন্তর্বত্ী খুললনা স্বজাতির ভে স্বামীর নিকট হইতে ভযপত্র লিখাইণ! লইল। ধনপতি বিদাষের কালে খল্পনার প্রতিষ্টিত চণ্তী-পূজাব মঙ্গলঘটে পদাথাত কবিয়া “সী দেবতা বলিয়া অবজ্ঞা করতঃ গমন করিলেন। যথাকাঁলে খুল্লনার এক পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হইল । স্বামীর আদেশান্ুসারে তাহার নাম শ্রীপতি (ভ্রীমন্ত) রাঁথা হইল। শ্রীপতি গুরুমহাশষের পাঠশালায় পড়ে; একদিন শ্রীপতি গুরুকে এক কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাস! করিল। গুরুমহাশয়ের উত্তরে শ্রীপতির তৃপ্তি হইল না-_তাহার বদনে যেন উপহাসের রেখ! দেখা দিল। গুরু বুঝিতে পারিয়া অকথ্য ভাষায় তাহাকে গালাগালি দিলে শ্রীপতি মনোবেদনা পাইয়া মাতার নিকট পিতার কথা উত্থাপিত করিল । খুল্লন! শ্রীপতিকে সমন্ত পরিচয় দিল। শ্পতি দ্বাদশবর্যাধিক নিকদ্দিষ্ট পিতার ৰ অনুসন্ধানের জন্য সিংহল যাত্রা কবিল। | _.. এদিকে ধনপতি দেবীর ঘটে পদাঘাত কবিয়া! “সপ্ত ডিঙ্গ। মধুকরে, চড়িয়া কাঁলীদহে উপনীত হইলেন। দেবীর মায়ায় এক মধুকর ব্যতীত সমন্ত ডিঙ্গা জলমগ্ন হইল । ধনপতি কালীদহে কমলবনে এক গজ গ্রাঁস- শীলা অপরূপ রূপলাবণ্যবতী কাঁমিনী দেখিয়া গিয়া সিংহলরাঁজের নিকটে নিবেদন করিলেন । সিংহলরীজ এই আশ্চর্য্য ব্যাপার শুনিয়া! ধনপতিকে বলিলেন, “যদি তুমি ইহা দেখাঁইতে না পার তবে তোমাকে যাঁব- জ্বীবন বন্দিশীলে থাকিতে হইবে ধনপতি রাজাকে কমলকাননমধ্য্থা অপরূপ রূপলাবণাবতী কামিনী দেখাইতে ন! পাঁরিয়! রাঁজাকর্তৃক বন্দিশালায় নিক্ষিপ্ত হইয়। কারাযদ্ত্রণ। ভোগ করিতে লাগিলেন । এদিকে ভ্রীপতিও পিতার অন্বেষণার্থ সিংহলে আদতে রাজার অনুমতি প্রাপ্ত হইয়া সাত খানি তরী লইয়া বহির্গত হইল। চণ্ডী মগরায় শ্রীমস্তকে ছলন! করিলেন। শ্রীমন্ত বিপুদে পড়িয়া চর স্তব করিতে লাগিল। চণ্ডী শ্রীমন্তকে আশ্বাস দ্রিলেন। শ্রীমন্ত ক্রমে কালীদহে উপস্থিত হইয়া! কমলাসন! সেই মুনি দেখিয়া আশ্চর্য্যান্িত হইল । শ্রীমন্ত সিংহলে গিয়৷ রাজীকে এই অসম্ভব কথা জানাইলে, সিংহলরাজ কুপিত হইয়৷ বলিলেন, “বহুকাল পূর্বে এক ব্যক্তি এই কথা বলিয়৷ শান্তি ভোগ করিতেছে, আজ আবার
১1৮৬
বালক হইয়! তুমি এমন কথ। কহিতেছ কেন? যদি তোমার কথা মিথ্যা 5ঘ তবে দক্ষিণ মশীনে তোমার শির ক্তিত হইবে ।' শ্রীমন্ত স্বীকৃত ভইল,_ কিন্তু দেখা ইত না পাবিয়া কোটালকর্তৃক দক্ষিণ মশীনে নীত হইল ।
শ্রীমন্ত দক্ষিণ মশানে উপস্থিত হইয়া চগ্ডিকাঁর স্তব করিতেছে এমন সময়ে চণ্ডী এক বৃদ্ধা ত্রাঙ্গণীর বেশে তথায় উপস্থিত হইয়! কোটালের নিকট শ্রীমস্তের জীবন ভিক্ষা চাহিলেন। কোটাল শ্রীমন্তকে ছাড়িতে চাঁহিল ন৷ দেখিয়! বৃদ্ধ। ব্রাহ্মণীরূপিণী চণ্ডিক! ক্রোধে কম্পিত কলেবরে হুঙ্কার ছাড়িতে লাগিলেন। সেই: হুহুগ্ধারে কোটাল ভয়প্রাপ্ত হইয়া ঘচ্ছিত হইল । বুদ্ধা শ্রীমস্তকে বন্ধনমুক্ত করিয়া বকুল বৃক্ষের তলধেশে উপবেশন করিলেন রাজা এই সংবাঁদ পাইয়া অনেক সৈনা পাঠাইয়। দিলেন; বৃদ্ধার সমরে অনেকেই প্রাণ হারাইল। ূ
শীলবান রাঁজ1 বুঝিলেন, এই বৃদ্ধা সামান্য বুদ্ধ নহেন , ইনি লোকমাতা৷ শক্তিরূপিণী চিরপুরাতনী । সিংহলরাজ স্তব করিয়া চণ্তীর দা আঁকর্ষণ ,কবিলেন। বৃদ্ধা বলিলেন,-_“যাঁও এবার কালীদহে প্রফুল্ল কমলারঢা গগ্রীসশীলা কাঁমনী নেখিবা আইস ৮
শ্রীন্ত রাজাকে এ দৃ্ত দেখাইয়া আনিল। সিংহলরাজ সমস্তই বুঝিতে পাবিলেন,_এত যে লীলা _ সেই লীলাময়ীর কার্ধা ইহা বুঝিলেন। শ্রীমান্তের প্রার্থনাঘ দেবাব আদেশে ধনপন্তি দত্ত কাবামুক্ত হইলেন । ধনপতি পত্ধী খুলনাকে যে জমপত্র দিযা আসিযাছিলেন শ্রীমন্ত তাত। তাহাকে দ্রেখাইল। দেবীর বরে ধমপতির বিরুতদেহ পূর্ববস্থা প্রাপ্ত হইল। অতঃপর দেবীব আদেশে সিংভল-রাজকনা স্শীলার সহিত শ্রীমস্তের বিবাহ হইল । সুশীল! ও শ্রীমন্ত তাভাদের মিলনের দিনে যেন পৃব্ব-জীবনেব মিলন-ৃণ্ঠ দেখিতে পাইল ।__যেন শুভভুষ্টির পবিত্র মূহুর্তে তাহারা কোন্ স্দূর ্বর্গেব মনোহর দৃপ্ত দেখিয়। ও অমৃত কণ্ের কোলাহল শুনিষ! আত্মহাবা হইল। শ্রীমন্তের'জনা খুল্লনার ব্য্তত৷ দেখিয়া চত্তী শ্রীমস্তকে স্বপ্নে মাতার কথা বলিলেন। শ্রীমন্ত দেশে যাইবার প্রাস্তাব করিল। সিংহলরাজ কীদিতে কীদিতে কন্তা ও জামাতাকে বিদায় দিলেন। ৰ
এততেও ধনপতির “স্ত্রীদেবতার" উপর বিদ্বেষভাব অপগত হইল না। সিংহলবাজ ও পুর শ্রীম্স্ত তাহাকে কত বুঝাইলেন। কিন্তু তীহার সে ধনুভঙ্গ পণ কিছুতেই টলিল না । পথিমধ্যে মগরায় ধনপতি পুর্বব-বিপদ্দের কথা মনে করিয়া ছুঃখে সমুদ্রজলে ঝাপ দিলেন । দেবীর কপাষ ধনপতি জলমগ্ধ হইলেন না।
'পিতাপুত্রে গৃহে পৌছিলে খুল্পনা পুত্রবধূকে বরণ করিয়া গৃহে তুলিল। অতঃপর পিতাপুত্রে রাজা বিক্রমকেশরার সভার উপস্থিত হইলেন । শ্ত্রীমন্ত কথায় কথায় কালীদহের কথা বলিলে, রাজা বিক্রমকেশরী মনে কবিলেন, মিথা কথা বলিয়া আমাকে উপহাস করিতেছে। এই মনে করিয়। বিক্রমকেশবী বলিলেন, “যদি ইহ! দেগ[ইতে পার তবে আমি আমার কন্তা জয়াবতীর সহিত তোমার বিবাহ দিব ।' শ্রীমন্ত প্রতিজ্ঞপত্রে স্বাক্ষৰ কবিল। বাজা বিক্রমকেশবী আঁড়ম্ববের সহিত কালীদহে গমন করিলেন, কিন্তু কিছুই দেখিতে না৷ পাই শ্রীমন্তকে উত্তব মশানে প্রেবণ করিলেন । শ্রীমন্তের স্তবে চণ্ডী সদয় ভইয়। রাজাব সেনাবল ব্যর্থ করিলেন। রাজ পবিহার প্রার্থনা করিয়া মৃত সৈন্তেব জীবন- ভিক্ষা চাহিলেন। চণ্তী মৃত সৈম্গণকে বাচাইয়। দিলেন । পরবে চণ্ডীর অনুগ্রহে রাজা কালীদহে “কমলে- কামিনী” দেখিতে পাইনা অদ্দবজা ও স্বীয জয়াবতী নারী কণ্ঠ] দান কবিলেন। , ধনপতি দত্ত ধ্যানে হরপার্বতীর যুগলমূর্তি দেখিঘ। প্রার্থনা কবিলেন। “দোয় ক্ষমা করি মোর লহ পুষ্পজল। অন্তকালে চরণ-কমলে দিও স্থল ॥”
১05
চপ্তী পরিতবপ্ত হইলেন । সপত্বীদর্শনে স্ুশীলাৰ শোবা শ্রুপ্রবাহ উথলিয়া উঠিল। ভগবতী স্ুশীলাকে আঁব্বীস দান করিলেন । শ্রীমন্ত জরতী বেশধারিণী চণ্ডিকণকে চিনিতে পারিল । তখন চণ্তী খুলনাকে বলিলেন,--মা খুল্লনা, মনে করিয়া দেখ তুমি কে? তোমার শাপভোগ শেষ হইয়াছে । তখন খুলনা স্বর্ণেব'ছুন্দূভি শুনিতে পাইল-_ স্বর্গীয় কাননের সৌরভ যেন খুল্পনার সমস্ত বাথা হবগ কবিরা লইয়া গেল । খ্থুল্লনা বলিল-_“আঁমি আর কত দিন পৃথিবীতে থাকিব?” তথন খুলনা নিজের স্বামীকে সকল কথ! বলিল । ধনপতি সমস্ত দেখিরা শুনিয়া অবাক হইয়া গেলেন । চণ্ডিকার আদেশে খুলনা, শ্রীমন্ত, স্শীলা ও জযাঁবতী দেবছাতি ধরিয়। স্বর্গারোহণ করিল। চণ্তীর ন্ুগ্রহে লহনা পুত্রবতী হইল | ধনপতি দত্ত চণ্ডীপুজ। করিয়া আবার স্থুখে ক্লালাতিপাঁত করিতে লাগিলেন । খুল্ননাব পবিত্র স্মৃতি তীভাঁব জীবনের সঙ্গিনী ভইযা বহিল। *
পথ পাপিপপিস্প পা পে
কাব্য-সমালোচনা |
কবিকঙ্কণ চণ্ডী বঙ্গভীষাঁর এক মূলাবান্ সম্পদ্। মুকুন্দরাম স্বভাব-কবি ছিলেন এজন্য তিনি মানব- জীবনেব সুখ ছুঃখের কথা, সমাজের নিখৃ'ৎ চিত্র যেমন কবিয়া বর্ণনা কবিয়াছিলেন অন্ত কবির পক্ষে তাহা সম্পূর্ণ অসম্ভব ছিল। প্রধানতঃ এই কাঁবণেই তাঁহার কাব্য বঙ্গীঘ সমাঁলোচকের এখনও সমালোচা হইয়া বহিয়াছে । এ বিষয়ে ১৩২৫ সালেৰ চৈত্র সংখ্যাঁৰ “ভাবিতবর্ষ” পত্রিকাঘ বে যুক্তিপুর্ণ সমালোচন! বাহির হইয়াছে, আমর! এস্থানে তাহা ভাবতবর্ষ-সম্পাদ্ক মভাঁশযের অনুমতি অনুসাবে মুদ্রিত করিলাম । “কবিকস্কণ চণ্ডীর উপাখ্যান-ভাগ ছুইটি। প্রথম ভাগে কালকেতুর উপাখ্যান, দ্বিতীয় ভাগে ধনপতি _সদাগরের উপাখ্যান। ছুইটী উপাখানই মনোহর , তন্মধ্ো শ্রীমন্তের কাহিনী আবাল-বুদ্ব-বনিতা সকল বাঙ্গীলীই জানে অথবা জানিত । এবপ করুণসপূর্ণ কাভিনীব ফিনি প্রথম ত্যষ্টি করিঘাছিলেন, বঙ্গ-নরনারী তাহাকে অশেষ ধন্যবাদ দিবে সন্দেহ নাই ৷ কবিকক্ষণ এই উপাখ্যাঁন-ভাগ কোথা হইতে সংগ্রহ করিয়াছেন, তাহার সঠিক সংবাদ পাঁওয়৷ যাঁয় নাই। তবে এই উপাখ্যান পুর্ব হইতে প্রচলিত ছিল, কবি তাহাই, পুনরায় সাজাইয় নূতন করিয! আমাঁদিগের নিকট উপস্থিত করিয়াছেন। চস্তীর গান পূর্ব হইতেই প্রচলিত ছিল; কবিরা তাহাই উপজীব্য বিষয় করিয়! নৃতন বাঁক্যে রচনা করিতেন। এইরূপেই বাঙ্গালা সাহিতোর ইতিহাসে আমর! দেখিতে পাই যে, প্ধর্দমমঙ্গল” “বিগ্যান্ুন্দর” ও “মনসাঁর ভাসাঁন” বহু কবির হাত দিয়া আসিয়াছে । প্রথমে কোন্ ব্যক্তি এই সকলের স্থষ্টি করেন, তাহ! নির্ণয় করা বড়ই স্থকঠিন। দীনেশ বাঁবু ্ লিখিয়াছেন, “মুকুন্দরামের পুর্বে কতজন কবি এই উপাখ্যান লইয়৷ নাঁড়াচাঁড়। করিয়াছেন, ঠিক বলা যাঁয় না।' বলরাম কবিক্কণের চণ্ডী মেদিনীপুর অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। মাঁধবাচার্যোৰ চণ্ডী ১৫৭৯ খুঃ প্রণীত হয়। এই চিত্রগুলি সংশোধন করিয়া মুকুন্দরাম নৃতন কাঁব্য প্রণয়ন করেন । মুকুন্দরাম তাঁহার ভস্তলিখিত পু'থির দীর্ঘ বন্দনাপত্রে লিখিয়াছেন, _ শীতের গুরু বন্দিলাম শ্রীকবিকশ্বণ টু ইহা দ্বারা অনুমান হয়, বলরাম কবিকঙ্কণের চণ্ডী অবলম্বন করিয়া তিনি স্বীয় কাবা বচনা করেন। মেদিনীপুরের লোকদিগের সংস্কার, এই বলরাম কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাঁম কবিকঙ্কণের শিক্ষাপুর |
সমস পপ পাপা পিশাাীশীশীশীশ শী ্াশীশীশী শী শশশীশী শী” পল * এই ভূমিক! লিখিতে অরন্ধাম্পদ দীনেশ বাবুর 'বঙ্গভাঘ! ও সাহিত্য' এবং বঙ্গবাসীয় সম্পাদিত 'কবিকম্কণ চণী' হইতে উপকরণ সংগ্রহ করিয়|ছি।
১৪
সে যাহা হউক, গল্পটি মৌলিক নহে বলিয়া মুকুন্দরামের কাব্যের অপ্রশংস! করিবার কিছু নাই। তিনি কেমন সাঁজাইযাছেন, তাহাই দেখিতে হইবে । ইংরাঁজ কবি সেল্সপীয়র যে-সুকল নাটক লিখিয়া এত যশস্থী হইয়াছেন, তাহার প্রায় প্রত্যেক উপাখ্যানই তিনি পূর্ব পূর্ব লেখকদিগের নিকট হইতে ধার করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহাতে তাহার মৌলিকতার হানি হয় নাই । তিনি যে-প্রকার সাজাইয়াছেন, তাহাতে অভিনবন্ধ ফুটিয়া উঠিয়াছে। কি রচনা-তঙ্গীতে, কি নায়কনায়িক। পাত্রপাত্রীর চিত্রান্কণে কবিকঙ্গণ যে শিল্প-চার্তৃ্ধ্য দেখাইয়াছেন, তাহা অতীব প্রশংসাহ,_গল্প মৌলিক না হইলেও ক্ষতি নাই।
কবিকন্কগের ভাষা অতি সবল। তাহার বচনাঁতে ছত্রে-ছত্রে প্রসাদগুণ পরিষ্ফুট । পরবর্তী গ্রন্থকার রায়-গুণাঁকর ভাবতচজ্দ্রের ভাষার পাঁরিপাটা তাহার নাই ;__-এই ভাষার পারিপা্টা নাই বলিয়াই আমার মনে হয়, তাহার কবিত্ব এত সুন্দর ফুটিয়াছে।
মুকুন্দরাম স্বভাব-কবি বলিয়াই প্রাণের সুখ-দুঃখের কথা এত সোজা ভাষায অথচ এমন মম্খুম্পর্শী কথায় ব্যক্ত করিতে পারিয়াছেন। কবি দরিদ্র ছিলেন; দরিদ্রেব কাহিনী বলিতে তিনি যেরূপ পারিয়াছেন, এরূপ বোধ হয় অল্প কবিই পারেন। কালকেতুর উপাখাঁন অন্ত বিষয়ে নিক হইলেও এই জন্যই এত হদয়গ্রাহী। বস্ততঃ কবি নিজে যাহা ভূগিযাছেন, তাতাই যেন অকপটে বলিয়া আমাদিগের প্রাণ স্পর্শ করিয়াছেন। গ্রস্থোৎপত্তির বিবরণে তিনি ষে নিজের করুণ কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তাহা পড়িয়া পাঁষগ্ডেবও চক্ষু অশ্রু বর্ষণ কবিতে বাঁধা হয ।
কবিকস্কণেব কবিত্বেব আব এক বিশেষত্ব এই যে, তিনি তৎকাঁলের সমাঁজের এক নিখুঁত চিত্র অন্কিত করিয়া গিয়াছেন। লোকে তখন কিরূপে জীবন যাঁপন করিত, কি খাঁইত পরিত, কি ভাবিত, চিন্তা করিত, এ সকলের পুঙ্থানুপুঙ্খ চিত্র তাহার কাবো পাওয়া যাঘ। এসকল বিষয়ে কবিব অতিরপ্তনের একটুকুও প্রয়াস নাই, বরং খুঁটিনাটি লইযাই তিনি এই সকল চিত্র আঁকিয়াছেন। কেহ-কেহ মনে কবেন যে, মানুষে কি খায় পরে, কি প্রকার থাকে, বেড়ায়, ইত্যাদি সামান্ত কথ!র বণনায় আর কবিত্ব কি? কিন্তু লোক. চরিত্রের প্রক্কৃত ছবি দিতে গেলে, এই সকলের আবগ্তকতা আছে, নতুবা কাবো প্রকৃত লোক-চরিত্র বুঝান অসম্তব। এই সকল খুঁটিনাটির মূল্য আছে বলিয়াই দুর্বল দ।সীর নিথুঁৎ চরিত্রটি এত স্পষ্ট । দূর্বল ধনপতির শষ্য রচন! করিয়। যে ক্ষুদ্র কাগটা করিল, তাহ! যি কবি না বলিতেন, তবে নিসা চরিত্র বুঝিতাম কি প্রকারে?
“শযা। বিছা ইয়। দীসী, ধরিতে না পারে হাসি, বার চারি গড়াগড়ি যায়।”
পুনশ্চ, দুর্বলার বেসাঁতি করার খৃ'টিনাটি বর্ণনা না দিলে কি তাহার প্রন্কত চরিত্র হৃদয়ঙ্গম হইত? এই প্রকারে আলোচনা করিলে দেখা যাইবে যে, ধনপতির ন্তাঁয় বিষয়ী, লহনা ও খুল্পনার ন্যায় সপত্বী, ভ'খড়ুদত্তের ্তায় প্রবঞ্চক (কালকেতু উপাখান ), ছুক্ধলার স্তায় দাসী সংসারের নিখুঁৎ চিত্র; এবং নিপুণ কবি খুঁটিনাটি দিয়াই এই সকলের বর্ণনা আমাদিগের নিকট উজ্জ্বল করিয়া ধরিয়াছেন।
উপসংহারে এই মাত্র'বক্তবা যে, মুকুন্দরাম বাঙ্গালী মহাঁকবিদিগের মধ্যে একজন গ্রধান। কৃতিবাঁস, কাঈরাম দাসের পরেই তাহার আঁসন 1৮
গ্রীনয়নচন্ত্র মুখোপাধ্যায়
প্রকাশকের নিবেদন ।
বাঁমায়" ও মহাভারতের মত কবিকস্কণ চণ্ডীও বঙ্গবাসীর তুলা আদরের । যে কাব্য প্রায় সার্ধ তিন শর্ত বৎসর পূর্বে প্রকাশিত হইয়া এপর্যন্ত বাঙ্গালীব সাহিত্যকে অলঙ্কত এবং নানারূপে বাঙ্গালীর হয়ে জশতীয়ত্ত্বের বীজ সতেজ রাখিয়াছে আমর! তাহার 'এক সংস্করণ বাহির করিলাম ।
কবিকক্কণ চণ্ডী পূর্বতন বাঙ্গালী-সমাঁজের একখানি নিখুঁৎ চিত্রপট | ,ইহা বহুদিন হইতে বঙ্গসমাজে সবলতা ও স্বাস্থ প্রন্নান করিয়া! জাতীয়ভাবকে সঞ্জীবিত রাখিয়াছে ৷ কিন্তু দুঃখের বিষয়, এ পর্যন্ত তাহার একখাঁনিও স্থন্দর ও তদ্সমাজে পাঠোপযোগী সংস্করণ প্রকাশিত হয় নাই । বটতলার কুৎসিত ছাপা ও ত্রাস্ত পাঠপুর্ণ পুস্তকই সকলে পড়িয়া থাকেন। সেই অভাব দূরীকরণের জন্যই আমাঁদেব এই প্রচেষ্টা
“বাঙ্গালী সকল দিক হইতে আপন বাঙ্গালিত্বের দ্বারা পুষ্ট হইলেই তবে যথার্থভাবে সার্ধজাতীয় মন্থষ্যত্ব লাভ করিতে পারিবে । স্বদেশের ভূমি হইতে তাহার হৃদয়ের শিকড় গুলিকে বিচ্ছিন্ন করিলেই সে যে উদার মনুষ্যত্বের অধিকারী হইবে তাহা কখনই নহে” কবি রবীন্দ্রনাথের এই অমূল্য উপদেশে অনুপ্রাণিত হইয়া বাঙ্গালীর সামাজিক জীবনের পূর্ব ইতিহাঁস এই কবিকক্কণ চণ্ডীও আধুনিক সময়ে প্রকাঁশিত রামায়ণ ও মহাভারতের মত সুদৃণ্ঠ সুখপাঠয ও সুরুচিসঙগত করিয়া মুদ্রিত হইল ।
মাননীয় £€ 1). 0০০1] সাহেব বঙ্গভাষার একজন অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি বঙ্গীয় কবির এই কাব্য- খানিকে অতি প্রীতির চঙ্গে দেখিতেন। কবিকস্কণ চণ্ডীতে বাঙ্গালীব গ্রাম্য সৌনদর্যাটুকু যে সরল গামান্থরে মনোরম হইয়াছে তাহ। বিশেষরূপে অস্থধাবন করিতে পারিরাছিলেন বলিয়া তিনি ইংরাজীতে
হাব আংশিক অনুবাদও করিয়াছেন। তিনি মুকুন্দরামকে চসারের মত উচ্চ স্থান দিয়াছেন এবং স্বয়ং
ভূমিকার একাংশে লিখিয়াছেন ৮. |
1 011015৬1৬10 10811) 101) £1৮০০ ১০) 2 19011210110 ৮8০0 00 0110 00১০111)1101)১, 0০1 10010 1১ (10 07899021011 11101907 1)001১ 210 1715 ৮011 01105 ০9০০001916২ 4 10100 ৮৬1110]) 15 91111101) 15 9৬], * [79001300001 ৮৪১10 001 000 ৮770৮১০০040 ৭৯10 ১7] 1007 0010 5100 09 ৪. 01001 |115])117801011 0:01 1010 111700-1106 ৮51101110১০ 10%০0 (0 1 00701010017
কয়েকখানি প্রাচীন পুথি, বঙ্গবাসী সংস্করণ কবিকক্কণ চণ্ডী ও ১২৩৫ সালে মুদ্রিত একথানি পুস্তক সংগ্রহ করিয়। আমরা আমাদের এই নৃতন সংস্করণ প্রকাশ কবিলাম। ১২৩৫ সালের মুদ্রিত পুম্তকথানি বাকুড়াজেলার অন্তর্গত বেলিয়াতোড় গ্রামবাসী শ্রীযুক্ত ব্সন্তরঞ্ন রায় বিদ্বদব্নভ মহাশয় অনু গ্রহপূর্ব্বক আমাদিগকে সংগ্রহ করিয়! দ্িয়াছিলেন এজন আমরা তাহার নিকট কৃতজ্ঞ । বঙ্গবাসী সংস্করণ হইতেও আমরা সাহীষা গ্রহণ করিয়াছি বলিয়া! “বঙ্গবাসীর' নিকট কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতেছি ।
' সকল সময়ের রুচি একরূপ থাকে না । কাল ও অবস্থাভেদে রুচিব পরিবর্তন হইয়। থাকে । এজন্ আমরা স্থানে স্থানে ঘাহা আধুনিক রুচির বহির্ভূত এমন কয়েকটি স্থল পরিবর্জন এবং মধ্যে মধ্যে ছুই একটি অশ্লীল শব্দের পরিবর্তন করিয়াছি । আমরা বিশ্বাস করি__তাহাতে গ্রন্থের মূল সৌন্দধ্যের হানি না হইয়া বরং তাহীর বৃদ্ধি এবং সকল পণঠক পাঠিকারই উপযোগী হইয়াছে ।
চণীকাব্য প্রার্দেশিকশববছল ৷ এজন্ত অনেক স্থলে তাহ।র অর্থবোধ করা৷ কষ্টকর ও অসাধ্য হইয়া উঠে। আমর! পাঁদটীকায় ও পরিশিষ্টে সেই 'ছূর্বোধ্য শব্দগুলির অর্থ সংগ্রহ করিয়া রি । ইহাতে পঠিক পাঠিকাগণের সুবিধা হইবারই কথা ।
১1৮০
্রস্থমধো এমন কতকগুলি সংস্কৃত আভিধানিক শব্দ আছে, যাহার বাবহার প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় না। যগ।-_আশুশুক্ষণি, কুরুত!, মখ, নি, মাতুলুঙ্গ, মারুতি ( গর্ভস্থভ্রিণ ), তনুনপাৎ, তবক, পশ্যতোঁহর, রথাঙ্গপাণি, লাস, জরঠ, ঝস, ঘনপাব, বার্ভন (বার্তায়ন ), প্লবঙ্গ, মীকন্দ, উপালন্ত প্রভৃতি__-আবার এমন কতকগুপি শব আছে, যাহা পশ্চিম বঙ্গে ও হিন্দীভাষায় প্রচলিত , যথুা-_খেদাবাঁগ, বেউতড়কা, ফরিকালি, সঞ্চেসক্চ (যথাস্থানে), ছামনি, মোকা, বাগুলা, ছড়, ধুকড়ি, খোসলা, 'ওঢা, রাড়, জাত, বাড়ি, দেড়ি, বেকুণ, দীত্যা, নাছ, ডেল, বাব, ফজব, বেবাদার, দানিশবন্দ, কলন্তর, বিড়া, আউচাঁলি, ধাবাড়ে, লাদিয়া, ডাঁড়কা, চানাটি, গাতা, কড়া, তোক, ববাতি, নেউটিয়।, গাহা (৫টাতে গণনা হয়), ছাট, ফাবড়, পাকল, নিচোড়, তপ|স, বেসাতি, বেসার, সা পুড়া, নিয়ড়, বিহান, নাঘব, পোয়াল, তড়েবীকে, আখুচী, বকাঁল, ঝনকাঠ, আহ্ড, আগলী, রেজা, দিগারা, উস(স, কুলি, বেগর, মালুমকাঠ, সাট, হোলা৷ ফেফাতুরা, ডাঙ্গাতি জকুগ, বড়াই ধুড়ী, আউলী, গাবাঁন, মুনসিব, আহলবাহল, ঢেষ|, হাবেশ, নিযড় ইত্যাদি । গ্রন্থমধ্যে পাদটাকায় ও পরিশিষ্টে এ সকলের অর্থ লিখিত হইয়াছে | কবিকম্কণ চণ্তী বপ্রচীন কাল হইতে চামব মন্দিবা সহযোগে গীত হইয়া আদিতেছে। এজন্ত গাঁঘকগণ শ্রোতৃবর্গেব মনোবগ্জনেব জন্য যে আপনাবা কিছু কিছু যোগ করিয়। দিয়াছেন ইহ! সহজেই অন্ুনেব । প্রধানতঃ এই কারণেই চণ্ডারাবা মূল বচনা হইতে অনেক বিস্তৃতি লাভ করিযাছে বলিয়! মনে হয়। একই বিষয বিভিন্স্ছন্দে বচিত হইয়াছে দেখিতে পাইঘ। আমাদের এই অনুমান বদ্ধমূল হইঘাছে । মুকুন্দরাম একজন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত কবি ছিলেন। কিন্তু বর্তমান সমঘে মুকুন্দবামের চণ্তী বলিয়া প্রসিদ্ধ পুস্তকে শ্রীমন্তের চৌত্রিশ। স্তবে অন্তস্থ ও বর্গীব ব এব প্রযোগে অসামঞ্জন্ত দেখিতে পাওয়া যায়। এজন্য ও আমরা অনুমান করি, হযত কোন অসংস্কৃতজ্ঞ কবিকর্তৃক এরূপ লিখিত হইয়াছে । কবিকষ্কণের চণ্ডী পাঠ করিলে জান! যায়, খুল্পনা লনা প্রভৃতি রমণীগণ শান্ত্রকথা অবগত ছিলেন; এমন কি ব্যাধনন্দিনী ফুললরার মুখেও অনেক শাস্ত্রকথা শুনিতে পাওয়া গিয়াছে । ইহাঁতেই অনুমান হয যে, তৎক।লে সমাজের মধ্যে স্বীশিক্ষাব বিস্তাব ছিল । গ্রন্থে দীর্ঘ কেশ রাখার কথাও লিখিত আছে । যখন যাহাঁকে কোন কার্ধা কবিতে বল। হইঘাছে তথন তাহাকে পাণ দেওয়া হইঘাছে। এইজন্য অনুমান হয়, তখন পাণের বাবহারট প্রচব পরিমাণে ছিল । এতত্ডিন্ন স্বামিবশীকরণের জন্য মগ্ধ তন্ম গষধ ব্যবহারের কথা দেখিতে পাওয়া যাঘ। বর্তমান সমযে এ-সকলের ব্যবহার প্রাযই শুনা যায়না । ১২৮ পৃষ্ঠায় বর ও বরযাত্রীর গমন অংশে ধুলাখেলা চেল বৃষ্টি মেলিলে না৷ রহে দৃষ্টি, ঢই দলে খুনাখুনি পড়ে ॥” এইরূপ বণন। দেখিতে পাওয়। ঘায়। কালক্রমে সভাসমাজে এখন এই বব্ধরত! বিগত হইয়াছে । তবে পশ্চিম বঙ্গে কোঁথ। ও কোথাও “ঢেলাই চগ্ডীর টাকা” বলির! বরপক্ষীয় লোকদের নিকট হইতে কিছু আদাঁষেব প্রথা প্রচলিত আছে । কবিকষ্কণ চণ্ডী যে কেবল বাঙ্গালার সমাজচিত্র তাহা নহে ; ইহা কবির সমসাময়িক সমাজচিত্র এবং বাঙ্গালীর চরিত্রচিত্রে যেমন, বাঙ্গালামাত্রেরই জ্ঞাতব্য এবং ইতিহাস-রসিকের * আদরণীয়, তেমনি ইহা ধর্মের মাহাত্থা, সত্যের জয়, সতীত্বের মহিমা এবং পবিত্র দাম্পত্য প্রণয়ের গৌরবে প্রত্যেক বাঙ্গালীর চরিত্রগঠনে ও মন্যাত্বলীভে সহাঘস্ববপ। এরূপ উপাদেয়ত্ব অন্থুভব করিযাই প্রাচীন কাবাখানির বর্তমান সুলভ সচিত্র সুখপাঠ্য সংস্করণ বঙ্গীয় পাঠকপাঠিকার করে অর্পণ করিতেছি ।
দ্বিতীয় সংস্করণের নিবেদন
কবিকদ্ধণ চণ্ডীর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হইল। যদিও ইহার দ্বিভীয সংস্করণ বহুদিন পূর্বে প্রকাশিত হওয়া উচিত ছিল, তথাপি নানা কারণে তাভা ঘটযা উঠে নাই। প্রথম সংস্করণ কবিকঙ্কণ চণ্ডী প্রকাশের. সময় আমরা যে উদ্বেগ পোষণ করিয়াছিলাম, দ্বিতীব সক্্বণ প্রকাশের সমধ আমাদের মে উদ্বেগ নাই। বুঝিয়াছি বাঙ্গালী পাঠক ভাল জিনিষের আদব কবিতে শিখিরাছে এবং প্রাচীন ক।বোতিহ|মের প্রতি অনুরাগ তাহাঁদের জাতীয় ধর্মব।
বঙ্গপুর সাহিভা-পবিষদের চতুর্দশ বাধিক অধিবেশনে হিতবাদী-সম্পাদক পণ্ডিত চন্দ্রোদয বিগ্ভাবিনোদ মহাশম সভাপতি রূপে কবিকপ্ধণ চণ্ডা সন্ষপ্ধে আলোচন। কবিবাছেনঃ _ভ|তাতে তিনি মামাপের সংরণ চগ্ডার যে থে ক্রটিব উল্লেখ কবিযাছেন আমব। কৃতজ্ঞ হদথে বর্তমান সং্বণে তাহ সংশোধন করিঘা দিলাম । গণেশ বন্দনাষ-_
“কু্টুম-চচ্চিত অঙ্গ শুঙে শোভে মাতুলুঙ্গ, শূল দও ইমু পাশ কবে॥? এই উক্জিতে তিনি গণেশের প্রচলিত ধানের সহিত অদামঞ্জগ্ত দেখাইর। আঘাদেব সংহবেণেব বে ক্রি দেখাইয়াছেন, বর্তমান স'রণে তাত নিদেশমত তঙ্সাবধৃত গণেশের ধ্যানানুথাধী__ | “কুস্কুম-চ্চিত অঙ্গ, শুণ্ডে শোভে মাতুলুগ, ণ শি দন্ত ইষ্ট পাশ কবে ॥"
এইরূপ পবিবন্তিত পাঠ সংযোজন করিবা দেওযা গেল। তাহা নির্দিষ্ট অন্তান্য অংশ৪ এইরূপ সংশোধন করিঘা দিয়াছি |
কবিকন্বণ চণ্ডীর অবোধ্য বা ছুর্কোধ্য অংশ আমবা বাদ দিই নাই। বে প্রথম সংস্করণে খুল্নাব চণ্ডী পূজা অংশে (১৫১ পৃ) ৃ্
“শিখীর উদ্ধে বোম, তাহাব উর্ধে সোম, বামাক্ষী-বিন্ু-বিভূষিত।”
কবিতাংশ না বুঝিতে পারার জন্ত বাদ দিয়াছিলাম বলয়। সভাপতি মহাশয় যে অনুযোগ কবিম্াছেন ততুরে আমাদের বক্তব্য যে, আমাদের আদশ পুঁথি বা মুদ্রিত পুস্তকে & কবিতাংণ ছিল না। প্ডিত চত্দ্রোদয় বিষ্ভাবিনোদ মহাশয যদি বঙগবাসী-সংরণ চণ্ডীণ *৪৭ পৃষ্ঠায় উক্ত কবিতাংশ দেখিতেন, তাহা হইলে বুঝিতে পারিতেন অনেক পু থিতে ব| মুত পুস্তকে ই কবিতাংশ ন। থাকা ই পুস্তকে উদ্ত কবিতাংশ বন্ধনী মধ্যে মুদ্রিত হইয়াছে । যাহাই হউক সভাপতি মহাশঘেব নিদ্দেশমত উক্ত কৰিতাংণট এই সংহ্করণে সংযোজিত হইল" এবং এ কবিতাংশেব তাভার পািতাপুর্ণ ব্যাখ্যা ও পাদটাকান সযোজিত করিয়া দিলাম ।__১৫১ পৃষ্ঠার পাঁদটাকা! দর্টব্য।
শিখ সংসরণে ব্য্ততার সহিত পুস্তক ছাপিতে হইবাছিল বলিবা যে-পকল মুদ্কর প্রথা ঘটয়াছিল ৭ নপাদকের অজ্ঞাতসারে আরো যাহা ছুই একটি ভুল বহিযা গিনাছিল এ সং্করাঃ সবিশেষ যন্্- সহকারে দেই সকল তুল সংশোধন করিয়া দেওয়া গেল। পণ্ডিত চত্ত্রোদয় বিষ্ঠাবিনোদ মহ!শব
১৮০
কপাপূর্বক আমাদের এ সকল ক্রটি দেখাইয়। 'দিযাছেন এজন্ত আমবা তাহার নিকট কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতেছি।
কবিকঙ্কণ চণ্তী-কাবা এম, এ, পবীক্ষাব পাঠারূপে নির্দিষ্ট হইয়াছে । এজন্ বর্তমান সংস্করণ ইহা পরীক্ষািগণের উপযোগী করিয়া সম্পাদিত হইল। কবিকন্কণ চণ্ডী সন্ধে আমাদের দেশের সুধী কৃতবিগ্ণগণ “ভারতী” “প্রবাসী” “দাহিতা-পরিষত-পত্রিকা" “ভারতবর্ষ” প্রতৃতি পত্রে যে-দকল যুক্তিপুর্ আলোচনা করিয়াছেন তাহা এ এ পত্রিকার সম্পাদকগণের অভিমতান্সাবে পুস্তাকেব ভূমিকা 'ও পরিশিষ্ট ভাগে প্রদত্ত হইল। আশ! কবি ইহাতে পরীক্ষাথিগণেব বিশেষ উপকাব হইবে । ফলত: এই সংস্করণে পুস্তক- খানিকে সর্বাঙ্গনুন্দর কবিবাব জন্য আমবা চেষ্টার ক্রট কবি নাই। এক্ষণে প্রথম সংস্করণের স্তাষ বর্ধমান সংহ্করেণ বঙ্গীয় সাহিত্যামো দিগণেব মনোরঞ্ন করিতে পাবিলে আমাদের অণবার ৫ পরিশ্রম সার্থক হইবে।
বিষয়
গণেশ বন্দন।
সরস্বতী বন্দনা
লক্ষ্মী বন্দনা
চৈতন্ত বন্ধন
শ্রীরাম বন্দন!
চণ্ডী বন্দনা পন্থোৎপত্তির কারণ মঙ্গলবারের গান আরম্ত প্রার্থনা
আদিদেব
শক্তিরূপা মহামায়াব জন্ম সৃষ্টি প্রক রূণ
বরাহরূপ ধারণ
মন্নর প্রজা সৃষ্টি ভৃগুষজ্জে দক্ষের আগমন দক্ষের শিব-নিন্দ| দৃক্ষের প্রতি নন্দীর শাপ শিবস্থানে সতীর প্রার্থনা সতীর দক্ষালয়ে গমন
যক্সস্থানে সতীর প্রবেশ এবং নতীর সহিত
দ্রক্ষের কথোপকথন দক্ষের শিব-নিন্দা শিবনিন্দ। শ্রবাণ সতীর প্রাণত্যাগ দক্ষঘজ্ঞ নাশে শিবদুতের গমন দক্ষধজ্ঞ ধ্বংস বীরতদ্রের কৈলাস গমন শিবের প্রতি ব্রহ্গার স্তব দক্ষের জীবনলাত ও গৌরীর জন্ম গৌরীর রূপ বর্ণনা হিমালয়ের চিন্তা হিমালয়ের প্রতি নারদের উপদেশ কামদেব ভম্ম রতির খেদ রতির প্রতির প্রতি দৈববাণী
মুচী।
নন ন্
রে ভা ৮৯০০ ০০ ও 2 4 24 */
বিষয় ঙ
গৌরীর তপস্ত।
গৌরীকে শিবেব ছলনা হরগৌরীর কথোপকগন হরগৌরীর বিবাহ নাগরীদিগের বরদর্শনে গমন মেনকাঁন খেদ শিবের মনমোহন রূপ ধারণ নারীগণের পতি-নিনা গৌরীর মালা দান
গণেশের জন্ম কার্তিকের জন্ম
গৌরীর পাশ! থেল৷ ও মেনকাব ভোর
হর্পার্বতীর কৈলাসে গমন
হব পার্কাতীর কন্দল
শিবের সংসার-বিরক্তি
গৌরীর থেদ
গৌরীর প্রতি পল্মার হিতোপদদেশ বিশ্বকর্মার দেউল নিম্মীণ কলিঙ্গরাজকে চণ্ডীর স্বপ্নাদেশ দেবীর পুজারস্ত
কলিঙ্গ ভূপতি কর্তৃক ভগবতীর স্তব পশুগণের ভগবতী পৃজ। পশ্ুরাজের সভা
মহাদেবের অচ্চন!
ইন্দ্রসভায় নারদের গমন দেবরাজের নারদ সম্ভাষণ নারদের উক্তি
ইন্দ্রের শিবপূজার আয়োজন
নীলাম্বরের প্রতি ইন্দ্রেব আদেশ নীলাপ্ঘরের পুষ্পচয়ৰে গমন ইন্্রের শিবপৃজ।
ভগবতীর মুগীরূপ ধারণ নীলাম্বরের খেদ
পিপীলিক! রূপে ভগবতীর পুষ্পমধ্যে প্রবেশ
বিষয
শিবের প্রতি নীলাম্বরেব স্তব শিবের প্রতি ইন্দ্রের স্তব
নীলাম্বর মরণে ছায়ার সহমবণ নিদযাকে ভগবতীর গঁধধ দ[ন নিদয়ার গর্ভ
নিদয়ার মনের কণা
নিদয়ার সাধ ভোজন
কালকেতুব জন্ম
ব্যাধনন্দনের জন্ম ও সংস্থার কালকেতুর বিক্রম
কালকেতুর বিবাতেব উদ্মোগ কালকেতুব বিবাহ
কালকেতুব স্বদদোশে গমন কালকেতুর মগা
কালকেতৃব ভেজন
পশুরাজেব নিকট পশুগণেব গমন পশুগণের প্রার্থন৷
সিংতের যুদ্ধ সঙ্জা
পণ্ডর সঙ্গে কালকেতুর যুদ্ধ পশুরাজের যুদ্ধে গমন
পশুরাজের সহিত কালকেতুর যুদ্ধ পশুদিগের রণে ভঙ্গ
পশুগণের রোদন
চগ্তীর নিকট পশুগণের ছুংখ নিবেদন পশ্তগণ প্রতি ভগবতীর প্রশ্ন তগবতীর গোধিকারূপ ধাবণ
কাঁলকেতুর বনযাত্রা
কালকেতুর কাননে প্রবেশ সর্ধমঙ্গলার মুগীরূপ ধারণ কাঁলকেতুর চিন্তা
কাননে কালকেতুব খেদ কালকেতুর অন্ন-চিন্তা
দেবীর চিন্তা
ফুল্পরাব থেদ ফুল্লরা ও কালকেতুর কথোপকথন অভয়ার নিজমূর্তি ধারণ
দেবীর কঞ্চুলী চিত্রণ
বিশ্বকন্মা কতৃক কথ্লীতে অন্তান্ত চিত্র নি
পত্রাঙ্ক'
৪ ০ ৪১ ৪১ ৪২ ৪২ ৪৩ ৪৩ ৪৪8 ৪৫ ৪৫ ৪৬ ৪৭ ৪৮ ৪০ ১৯ ৫৩ ৫০ ৫১ ৫১ ৫১ ৫২ ৫৩ ৫৪ ৫৫ ৫৫ ৫৬ ৫৭ ৫৭ ৫৮ ৫৮ ৫৯ ৫৭ ৬০ ৬১ ৬১ ৬১ ৬২ ৬৩
১৮৮৩
বিষ
চণ্ডীব সহিত ফুল্লরার সাক্ষাৎ
ফুল্লরাব সহিত চণ্ডীর কথোপকথন
ফুল্লবাকে চণ্ডীর পৰিচয় দান
চণ্তীর প্রতি ফুল্লরার উপদেশ
পুনব্বার ফুলরার উপদেশ
ফুললরাঁব প্রতি চণ্ডীৰ আদেশ
ফুললবার বারমাস্তা
কালকেতৃ ও ফুল্পরাব কথাবার্তা
চণ্তীব প্রতি কাঁলকেতুর উপদেশ
দেবীব প্রতি কালকেতুর ক্রোধ
দেবার পবিচঘ দান
চণ্তীর মভিষমর্দিনী রূপ ধারণ
কাঁলকেতৃর ধন প্রাপ্সি
কালকেতুব অঙ্গুরী ভাঙ্গাইতে কালির গমন অশ্্রী বিক্রথ কালকেতুর দ্রব্যাদি ক্র
কালকেতৃব গুজবাট বন কাটা
বনে ব্যাঘ্ব ভয
কালকেতুর ব্যাপ্র সহ যুদ্ধ
নিব্বিবাদে বন কর্তন
চণ্ডীর প্রতি কালকেতুবস্তব
কালকেতুৰ গৃভ নিম্মীণ
নগর নিম্মাণ
নগর স্থাপনার্থ কালকেতুব প্রার্থনা
গঙ্গার সহিত চণ্ডীর কন্দল
সমুদ্র ও ইন্দ্রের নিকট চণ্ডীর গমন
মেঘগণের প্রতি ইন্জের আদেশ
কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি
নদনদীগণেব কলিঙ্গ গমন
হূর্যো[গের শাস্তি
কলিঙ্গবাসীদিগেব খেদ
বুলানম গুলের গুজবাট যাত্রা
বুলানেব প্রতি কালকেতুর সম্তীষণ কালকেতুর নিকট ভীঙ্দত্তের গমন ভডুতেব চাতুব
মুসলমানগণের আগমন ১" মুসলমানগণেব শ্রেণীভেদ তং ব্রাঙ্ণণগণের আগমন ০০
৬৪ ৬৪ ৬৫ ৬৩ ৬৭ ৬৮ ৬৮ ৭০ ৭৩ ৭১ ৭৯ ণখ ৭২ ৭৩
৭৫ ৭৬ ৭৬
৭৬
৭৮ ৭৮ ৭৯ ৮০ ৮০ ৮১ ৮২ ৮২ ৮৩
৮৪ ৮৪ ৮৫ ৮৫ ৮৫ ৮৬ ৮৭
বিষয়
ক্ষত্রিয় বৈগ্ঠ প্রভৃতির আগমন
কাঁয়স্থগণের আগমন
বণিক ও নবশায়কর্দিগের আগমন
ইতরজাতিগণের আগমন
হাটস্থাপন
রাঁজাঁব নিকট হাটুরেদের না।লশ
কালকেতুর সমীপে ভীড়,দত্তের আগমণ
কলিগ্গবাজ সমীপে ভীড় দত্তের নিবেদন
গুজবাঁটে কলিঙ্গপতির দূত “প্রবণ
কোটালের গুজরাট দশন
রাজদূতের গুজরাট বার্তী নিবেদন
কলিঙ্গবাজ সমীপে কোটালের গুজরাট বণন
কিঙ্গপতির যুদ্ধ সঙ্জা
রাজকুমারের যুদ্ধে গমন
গুজবাট আক্রমণ
কালকেতুর রণ সঙ্জ।
কালকেতুর যুদ্ধযাত্রা
কালকেতুর যুদ্ধাবন্ত
পূর্বদ্বারেব যুদ্ধ বিববণ
উত্তর দ্বারেরু যুদ্ধ বিববণ
যুদ্ধ দশনে ভাঁড়,র চিন্তা ও পোটালেব প্রতি * তজ্ভান
কোটালের চিন্তা ্
কালকেতুর সন্ধানে ভাঁড়,র গমন
১৪৪)০
পত্রাঙ্ক
১০০
বিষষ
দুবার প্রতি ভাঁড়,ব ছলনা বাঁকা
'কালকেতুর বন্ধন
কোটালের প্রতি খুল্লনার বিনয়
কালকেতৃকে লইয়! সৈম্তগণেব কলিঙ্গে গমন
কলিঙ্গ ুপতির সহিত কাঁলকেতুব কথোপকথন
ক।লকেতুর কাবাগারে প্রবেশ
কালকেতৃব খেদ
কালকেতৃ কর্তৃক চৌত্রিশা স্তব
কালকেতুর বন্ধন মোচন
কলিঙ্গবাজের প্রতি চত্তীর স্বপ্রাদেশ
বাজার স্বপ্র বিবরণ
কালকেতুর স্বদেশে গমন
নৃত সৈম্ভগণেব প্রাণল[ভ
গুজবাঁটে আনন্দোথসব
কালকেতুর নিকট ভাড়,দত্তেব আগমন
ভড়র প্রতি কালকেতৃৰ তিরন্কাব
ভাড়,ব মস্তক মুণ্ডন
কালকেতুর শীপাস্ত
শিবেব প্রতি ইজ স্তব
চণ্ডীব গুজরাটে গমন
পুষ্পকেতুকে কালকেতুব রাজা স্মপণ
নীলাম্ববের স্বগারোহণ
বিনে।দ বাশি কে আনি দিল দেশে
ধনপতি দদ।গরের উপাখ্া।ন |
প্রস্তাবনা
রত্বমালার নৃতা
রতুমালার অভিশাপ
রত্বমালার বিলাপ
খুল্পনার জন্য
খুলনার রূপ
খুলনার বিবাহ-চিন্তা
উজানী নগর বর্ণন "5. ধনপতির পারাবত ক্রীড়া ও খুল্লনা দশন-
৯১৬ ১১৬ ১১৯৭ 2১5 ১১৮ ৯১৯৮ ৯৯৭) ৯৬০৯
খুল্লনীর সহিত ধনপতির কথোপকথন জনাই পঞ্ডিতের লক্ষপতির ভবনে গমন খুল্পনার বিবাহ প্রস্তাব
জনাই পগ্ডিতের পাত্র-নির্বাচন
ধনপতির সহিত খুল্পনার সন্বন্ধ | লক্গপতির সহিত রম্তাবতীর কথোপকথন রস্ভাবতীর জামাতা৷ নিরীক্ষণ
দুর্ধলার নিকট লহনার খেদ
লহনাৰ প্রতি ধনপতির প্রবোধ,
১০১ ১০২ ১০২
১০৩
১৬৩ ৯০৪ ৯০৫ ১০৫ ১০৭ ১০৭ ১০৮ ১০৭৯ ১১৯৬ ১১৩ ১৯১৯১ ৯৯১ ৯১২ ১১২
১১৯৩ ১১৩
১৯৫
বিষয় ধন্পতির ভোজন
দষ্পতী-কলহ বিবাহের দিন নির্ণয়
ধ (পূর্বাগ্রবৃত্তি ) বিবাহ-অধিবাস ধন্পতির সহিত ধুল্পনার বিবাহ রম্তাবতীর বশীকরণ খষধ সংগ্রহ বর ও বরযাত্রীর গমন স্্রীআচার লক্ষপতির কন্যা সম্প্রদান বিবাহ করিয়া ধনপতিব শ্বদেশে গমন ধনপতির বীজ-সম্ভীষণ খগাস্তক ও মুগাস্তক বাধের বনপ্রবেশ 7" সারীশুকের উপদেশ সারীশুকের বন্ধনমুক্তি টি রাজার সহিত সারীতুকের কথোপকথন প্রহেলিক। রাজার সহিত শুকের কথোপকথন পিগ্রর গঠনার্ধে ধনপতির গৌড়দেশে গমন গৌড়দেশীয় রাজার সহিত ধনপতির পরিচয় খুল্পনার প্রতি লহনার একান্ত স্নেহ লহনার প্রতি দুর্বলাব উপদেশ লীলাবতীর নিকটে ছুর্বলীর গমন লীলাবতীর সঙ্গে লহনার কথাবার্তী লীলার প্রবোধ দান . লহনার প্রতি লীলাবতীর খ্ধধ ব্যবস্থা লহনার প্রতি লীলাবতীর উপদেশ লীলার প্রতি লহনীর উক্তি লীলাবতীর পত্র লিখন ুল্লন! ও লহনার বাগ্বিতগ্ড খুল্পনার সহিত লহনার কলহ তুর্বলার প্রতি থুল্পনীর বিনয় খুল্পনার ছাগ রক্ষণে স্বীকার ুল্ননাকে ছাগ দান ুলননার ছাগরক্ষণে গমন ছর্বলার ইছানি গমন চুর্বলাঁর নিকট রস্তাঁবতীর রোদন ' খুলনার গৃঙ্থে আগযম
পত্রাঙ্ক
৯২6 ১২৫ ১২৫ ১২৬ ১২৬ ১২৭ ১২৭ ১৯৮ ৯২৮ ১২৯ ১২৭ ১২৭ ১৩০
১৩৩
১৩২
১৩২
১৩৩ ১৩৪
১৩৪ ১৩৫ ১৩৬ ১৩৭ ১৩৭
১৩৮
১৪৬
বিষয়
খুল্লনার বিলাপ
বসন্ত আগমনে খুলনার খেদ
সারীশুক প্রতি খ্জলনা
তরুলনার প্রতি খুল্পনা
ভ্রমরের প্রতি খুল্লনা
কোকিলের প্রতি খৃল্লনা ""* রস্তাবতী বেশে খুল্পনীকে চণ্ডীর ছলনা **. মাতৃম্মরণে খুল্লনার আক্ষেপ
ছাঁগী অন্বেষণ
দেবকন্তার সহিত খুল্লনার পরিচয়
খুল্ননার প্রতি দেবকন্তাগণের চণ্তীমাহাত্ৰা কথন
খুলনার চণ্ডীপূজা রর
খুল্লনার চত্তীদর্শন ও বর প্রার্থনা
লহনার প্রতি চণ্ডীর স্বপ্লাদেশ
খুল্পনার উদ্দেশে লহনার বন-গমন
থুল্লনার মহিত লহনার মিলন
খুলনার আদর
খুলনার বিরহ-বেদনা
চিকার কাকরূপ ধারণ
চণ্ডীর লহনা ও পল্মাৰ খুল্লনারূপে ৪
স্বপ্লাদেশ |
ধনপতির স্বদেশ যাত্র।
বাজার সহিত পনপতির সাক্ষাৎ
ধনপতির নিজালযে গমন : ুল্পনার বেশ তৃষা ধারণ ও স্বামী মিটি গমন খুল্ননার প্রিষ সম্ভাষণ
লহনার আভরণাদি ধার্ণ
লহনার প্রতি ধনপতির প্রেম সন্তীষণ ধনপতির সহিত লুনার কথোপকথন ... হর্বলার প্রতি বাজার করিবার আদেশ ** ছর্বলার হাটে গমন র্বলার হাটের হিসাব দান
রন্ধনশালে চণ্ডিকার বরদান
খুজ্নার' রন্ধন
সদ্দাগরের জ্ঞাতিবন্ধর সহিত ভোজন ছুর্বলার শষ্যা রচনা ৯৯, লহনার ক্রোধ শাস্তি ৮, খুলনার সঞ্জা 1
পিতা
১৪০৮
১৫৩
৯৫৭ ১৫৮
৯৬১৯
৯৬৩
১৬৫
২/9
বিষয় পত্রানক বিষয় | পত্রা্ক খুরনার উত্তর "১৬৫ খুলনার চণ্ডী আরাধনা ১৮৯ থুল্পনার বাসগৃহে গমন *** ১৬৬ ভগবতীর য়া ৮৮১৮৯ শুল্পনার আক্ষেপ হী ১৬৬ খল্লনার জৌগৃহে প্রবেশ তে ১৯৪ ধনপতির নিড্রাভঙগ ***.. ১৬৯ খুল্পনার বিচ্ছেদে ধনপতির রোদন *** ১৯৪ ধনপতির বিনয় '** ১৬৭ খুল্পনার পরীক্ষা হইতে উদ্ধার ১০১৯১ সদাগর সমীপে খুল্পনার ছু:খকথন *'** ১৬৮ খুঙ্পনার রন্ধন ও কুটুম্ব ভোজন ২০৭ ১৯২ সদাগরকে পত্রলিখন "১৬৯ ধনপতির রাজ-সম্ভাষণ ১১১৯২ খুল্পনার প্রতি ধনপতি ১৬৯ রাজার নিকট ভাগারীর উক্তি ৮ ১৯৩ খুল্পনার বারমাস্তা '" ১৬৯ রাজসমীপে ধনপতির বিনয় ১৯৩ সাগরকে লহনাঁর ভখ্সনা ৃ ১৭৭ লহনার আনন্দ ও খুল্পনার চিন্তা ০১৯৪ নাকে ভন] ও লহনা কর্তৃক খুন নি ১৭১ টাল ১৯৪ . লহনার প্রতি খুল্পনার উত্তর ০৮* ১৭১ সদ্াগর প্রতি লহনার উক্তি ১৯৫ ধনপতির সহিত খুললনার পাশাখেলা *"" ১৭২ ধনপতি সদাগরের সজ্জা ২ ১৯৫ পাশা খেলা আরম্ত ,.১.... ৯৭২ ধনপতির প্রতি লহনার উক্তি ০১৯৬ সাধুর নিত্যকর্্ব "১৭৩ সাধুর কেপ ৮১৯৭ লহনার আক্ষেপ "১৭৩ খুল্পনার বিনয় ১১৯৭ লহনার প্রতি ধনপতির প্রিয় বাক্য *'** ১৭৩ ধনপতির প্রতি চণ্ডীর ক্রোধ ১৯৮ খুল্লনীর উৎসব ১৭৪ পন্মার উপদেশ ১০১৯৮ জলখেলা ১৭৫ খুল্পনা কর্তৃক ভগবতীর স্ব ১৯৯ খুলনার গর্ভ সঞ্চার "১৭৫ ধনপতিব বিনিময় দ্রব্য-সংগ্রহ ১৯৯ ন্যান্য অনুষ্ঠীন ৮১৭৬ ধনপতির সিংহল যাতা **ত ২০৯ মালাধরের অভিশাপ ত ১৭৭ ধনপতির নৌকারোহুণ উঠ ২৪৩ মালাধরের স্ত্রতি ্ি ৯৭৮ সাধুর মগরায় গমন ৮, ২০১ মালাধরের মর্ত্যলোকে গমন ***.১৭৮ ধনপতিকে ভগবতীর মগরায় ছলনা .** ২০২ ধনপুতির পিতৃশ্রাদ্ধের আয়োজন ১০১৭৯ দুর্জয় ঝড় ০ কুটি কুটুম্ব সমাগম ও ১৭৯ ধনপতির বিলাপ ৪৪৯ ২৪৩ শ্রান্ধ সমাপ্তি ১৮১৮০ ছয়খানি ডিঙ্গার নাশ ০৮ ২০৩ সম্মানপ্রাপ্তির জন্ত বিবাদ ৪ ১৮০ নাবিকদিগের রোষন ৫? ২৪৪ হরিবংশ-কথা ৃ ১১৮১ চণ্তীর আক্ষেপ ১১২০৪ ধনপতির প্রতি রামায়ণের দৃষ্টান্ত টনি ১৮২ ধনপতির কালীদহ গমন -০* ২০৫ জ্ঞাতিগণের ক্রোধ "১৮৩ কমলে কাঁমিনী বর্ণন তত ২৯৬ লহনার প্রতি ধন্পতির ভৎর্সন। ,১*..১৮৪. ধন্পতির সিংহল গমন 2 “রি খুলনাকে সাত্বন ,.* ১৮৪ সিংহলে ত্রাস ০ খুলনার পরীক্ষার্ণীনে আগ্রহ "১৮৫ কোটালের সহিত সদাগ্ররের বচসা *** ২৯৮ খুল্পনীর পরীক্ষা! দিতে অঙ্গীকার ***.. ১৮৬ ভেট লইয়। সিংহলাধিপতির নিকট ধনপতির সভায় পরীক্ষ। দান ** ১৮৭ গমন ২৪৮ জতুগৃহের ব্যবস্থা "১৮৮ রাজ সমীপে ধনপতির পরিচয় দান *** ২৯৯
গৃহ নির্ঘীণ “১৮৮ বিনিময় দ্রব্যের পরিচয় দান ১৮ ২৭৯
বিষয়
অগ্রিশম্্ী পুরোহিতের কথা কমলে কামিনীর কথ!
82 নন বরো হািনারনিিসিরি াছাও
ধ্নপতির গমন শালবানের ক্রোধ কারাগারে ধনপন্ি খুল্পনার সাধ খুল্পনার সাধ তক্ষণ লহনার প্রতি খুল্লনীর উক্তি শীমস্তের জন্ম শ্রীমস্তের ষষ্টাপুজাদি শ্রীমস্তের নামকরণ খুলনারুত শ্রীমস্তের সোহাগ শ্রীমস্তের রূপ শ্রীমন্তের বাঁল্যক্রীড্া বৎসহরণ ক্রীড়া ব্রহ্মার বিভ্রম প্রলম্ব বধ ক্রীড়া
খুল্পনাকর্তৃক বাঁলকগণের সন্তোষ বিধান
শ্রীমন্তের কর্ণবেধ
পুরোহিত সমীপে খুক্ধনার নিবেদন শ্রীমস্তের বিগ্যারস্ত
ছাত্রগণের নিকট শ্রীমস্তের গ্রশ্ন গুরুর সহিত শ্রীমস্তের ছন্দ শ্রীমস্তের অভিমান
ওঝার প্রতি খুল্পনার বিনয় খুল্পনার প্রতি ওঝার তত সনা লহনা কর্তৃক খুল্লনার দোষকীর্ন শীমন্তের প্রতি খুল্পনার প্রবোধ মাতাপুত্রে কথোপকথন জ্রীমস্তের সিংহল গমনে প্রার্থন।
শ্রীমস্তকে সিংকুল গমনে খুলনার ০ দান
বিশ্বকর্্মীর আগমন *
শ্রীমন্তের সহিত বিশ্বকন্দ্ার পরিচয় ,
ডিঙ্গা গণনারম্ত জীমস্তের ডিঙা দর্শন * গপক বিদায় |
২৮৬
পত্রাঙ্,
২১০ ২১০ ২১৯
১৯ ২১২ ২১২ ২১৩ ২১৪ ২১৪ ২১৫ ২১৫ ২১৬ ২১৬ ২১৬ ৩১৭ ১৯৮ ১১৮ ২১৮ ২১৭) ২১০ ২১৯ ২২৯ ২২০ ২২১ ২২৯ ২২ ২২ ২৩ ২২৩ ২২৪ ২২৪ ২৫ ২২৬ ২২৬ হি ২৭ খখ৭
বিষয়
বিনিময় দ্রব্য সংগ্রহ
বাজার নিকট শ্রীমান্তের গমন বাজার নিকট শ্রীপতির বিদায় খললনাব নিকট শ্ীপতির বিদাষ চণ্ডীব হান্তে আমন্তরকে সমর্পণ গুপ্পনার চণ্ডা স্তব
শ্রীমান্তেব প্রতি খুলপনাব উপদেশ শীমন্তেন সিণহল যাত্র।
গঙ্গা উতৎ্পন্তি কথন
শীমন্তের ভ্রিবেণী গনন সপ্ুগ্রাম বণন
শীমন্তেব গমন
শ্রীমন্তূক ভগবতীন মগবায় ছলন। নদনদাগণের মগবাঁষ আগমন শ্রীমন্তেব বাকুলতা
শ্রীমন্তেব চণ্ডিকা| স্তব সগর-বশ উপাথান
ভগীএাথব পঙ্গ। আনমনে যালা ভগাবণেব গঙ্গা আনয়ন
সগর-বংশ উদ্ধাব
শমন্তেব জগন্নাথ দশন
ইন্জছায় রাজীব উপাখ্যান শ্রীমন্তের সেতৃ-বন্ধ গমন সেতুবন্ধ উপাখ্যান
সেতুভঙ্গ বিবরণ
শ্রীমন্তেব কমলে কামিনী দর্শন কাঁলীদহ বর্ণন
কমলে কামিনীর রূপ বর্ণন শ্রীমন্তেব বিতর্ক
রত্মমালার ঘাটে শ্রীমান্তের সহিত জা বচস।
কোটালেব সহিত শ্রীমন্তের কলহ
ভগবতীর ক্ষেমস্করীরূপে শ্রীমস্তের স্বর্ণ-টোঁপর
লইয়া খুল্ননার নিকট গমন
বাজ সম্ভাষণে শ্রীমন্তের গমন ও পরিচয়
শ্রীমস্তের পরিচয় প্রদান বাণিজ্য-বিনিময় রাজপুবোহিতের আগমন ঘমুদ্র-ষাত্রার বিবর্ণ
২৮ ২০) ২২৯, ২৩০ ২৩০ ২৩১ ২৩১ ২৩২ ২৩৩ ২৩৪ ২৩৪ ২৩৪ ২৩৫ ২৩৩৬ ১৩৩ ২৩৭ ২৩৭ ২৩৮ ৩ ২৪০৮ ২৪১ ২৪১ ২৪২ ২৪৩ ২৪৫ ২৪৬ ২৪৩৬ ২৪৭ ২৪৮
২৪০৯)
২৫০ ৫১ ২৫১ ২৫২ ২৫২ ২৫৩
২৫)৩
বিষষ পত্রাঙ্ক , বিষয় পত্রাঙ্ক রাজ। ও শ্রীমন্তের গ্রাতিজ্ঞা ,.... ২৫৩. শালবান বাঁজাব কমলেকামিনী দর্শন *.. ২৭৬ সিংহলবাজেব কাঁলীদহে গমন . টি ২৫৪ রাজার কন্তাঁদানে অঙ্গীকাঁৰ ও খেদ -*. ২৭৭ »শ্রীমন্তেব প্রতি রাজার ক্রোধ "২৫৪ দেবী প্রতি শ্রীমস্তের উক্তি ৮, ভিন শ্রীমস্তেব বিনয় "৮২৫৫. রাজসেনার প্রাণদান ২৭৭ কর্ণধাবের সাক্ষা গ্রহণ ২৫৫ মৃত সেনাগণেব জীবন লাভ "২৭৮ শ্্রীমান্তেব বন্ধন 'ও ডিঙ্গা লুঠ *১ ২৫৫. শালবান কর্তৃক ভগবতীর স্তব 2. এহুরিও রাজার প্রতি শ্রীমন্তের স্তরতি ্ ১৫১ বিবাহের লগ্ন নির্ণয় ৮ ২৭৯ নাবিকদিগের বোদন ২৫৬ পিতাব জন্য শ্রীমন্তেব খেদ রি ২৭৯ কোটালের কাছে শ্রীমন্তেব বিন -**. ২৫৭ কারাগাব হইতে বন্দী মুক্তি ২২ ২৮০ মশানে শ্রীমন্তের চণ্ডী ক্মবণ ওস্তব -* ২৫৮ কাণ্ডাঁৰ নিকটে শ্রীমন্তেব বিলাপ 4. ১ চৌত্রিশ অক্ষে স্তব : ১৫৮ কারাগাব হইতে ধনপতিকে আনযন *** ২৮১ শীমন্ত কর্তৃক পুনঃ সৃতি ২৫৯ শ্রীমন্তেব পিতৃদর্শন ৯, ২৮১ শ্রীমন্ত কর্তৃক ভগবতীর চৌত্রিশ অক্ষরে স্তব ২৬" ধূনপতিব বিন ১১ ২৮২ ্রীমান্তেব স্তবে চণ্তীর উ২কণ্ঠা "১, ২৬২. পিতাপুত্রে কথোপকথন ২ ২৮২ খড়ি পাঁতিযা৷ পদ্মাবতীব গণন। ১... ২৬২. ধনপতিব প্রতিজ্ঞাঁপত্র পাঠ রা কু চগ্ডিকাব ক্রোধ ও ব্ণস্জ্জা “২ ২৬৩ শ্ীমন্তের পরিচয় দাঁন ৮২৮৫ দেবগণেব অক্পাদি প্রদান 7... ৯৬৩. আমন্তের বিবাহে ধনপতিব নিষেধ ০ ২৮৬ চগ্ডিকার জবতীবেশে মশানে গমন 2 ২৬৪. শ্রামান্তেব বিবাঠ অধিবাস 828 কোটালেব নিকট চণ্ডিকাঁৰ গমন **৮ ২৬৫. বিবাহ 9 - এই কে1টালেব প্রতি চণ্ডীব হিতোপদেশ " ১৬৬ চণ্তীব স্বপ্ন প্রদান ২২, ২৮৭ চণ্তীর প্রতি কে।ট।লেব নিবেদন তত ২৬৬ স্বগ্রণশনে শ্রীমস্তের রোদন ও ২৮৮ শ্রীমস্তকে কোলে কবিঘা মশনে চত্তীর স্থিতি ২৬৭ শীমন্তের প্রতি স্থশীলার প্রবোধ ১১ ২৮৮ কোটাঁলের প্রতি শ্রীমন্তের বিনয় ২১ ২৬৭ স্শীলার বারমাস্তা বর্ণন ১২৮৯ শ্রীমন্ত প্রতি কোটালের অক্ত্রপ্রয়োগ *** ২৬৭ শ্রীমন্ত সঙ্গে দাসীর কথাবার্তা ২,২৯০, চণ্তীর প্রতি কোটলেব ক্রোধ "২৬৮ শ্ঠালক-পত্বী সহ শ্রীমন্তের সম্ভাষণ ১১ ২৯১ কোটালের সঙ্গে যুদ্ধ .*. ২৬৮ শ্রীমন্তের স্বদেশ গমনে রাজার নিষেধ ... ২৯২ দধ-বর্ণন ০৭. ২৬৯ ধনপতির প্রতি শালবানের স্ততি. ১. ২৯৩ রাজার নিকট কোটালের নিবেদন *** ২৭০ ধনপতির উক্তি ৬ ১ ২৯৩ রাজার সমর সজ্জা ২৭০ শ্রীমন্তকে রাজার পুরস্কার 2 ২888 মশীনে চণ্ডীর প্রতি শ্রীমন্তেব করুণা-বাকা ২৭০ শ্নুশীলার গমনে রাণীর রোদন ২৯৪ পদ্মাবতীব নিকটে দানাদিগেব মহল ... ২৭১ ধনপতির স্বদেশ-যাত্র! ০০০ ২৯৫ দানাদিগের যুদ্ধ ২৭২ মগরা দর্শনে ধনপতিব খেছ ২৯৬ দেবীগণের যুদ্ধে আগমন . ১১ ২৭২ ধনপতির বিনষ্ট ধনাদি প্রাপ্তি ৫ পন শোঁণিতের নদী ৮... ২৭৩ ভাগীরথীর তট বর্ণন ১০ ২৯৭ মশানে পিশাচদিগের মাংসের বাজার "২৭৪ ধনপতির নিজালয়ে দূত প্রেরণ ২৯৮ রাজসৈন্তের রণ-ভঙ্গ ১১২৭৪ বর-কন্তার গৃহে গমন ৮৯ ২৯৮ চণ্তীর প্রতি শালবানের স্বতি ২৭৫ জননীর নিকটে শ্রীমন্তের সিংহঠলর ছুঃংখ নিবেদন ২৯৯
শলিবান রাজার উক্তি ৮২৭৬ পিতাপুত্রে রাজ-সম্ভীষণে গমন ১৯৪ ২৯৯
২৩ বিষয় পত্রান্ক বিষয় উত্তর মশানে শ্রীমন্তের প্রতি চণ্ীর দয়া ৩০০ কলির গুণ-কীর্ভন
বিক্রম কেশরীর কমলে কাঁমিনী দর্শন '- ৩০১ হরিনামের মাহাম্মা কথন
জয়াবতীর বিবাহ ০১৩০২ খুক্পনা ও মন্রীকশ্রীমন্তের স্বর্গে গমন ধনপতির হর-গোৌরী দর্শন ৮২৩০৩ হরগৌরীর কথোপকথন
সপত্বী দর্শনে স্ুশীলার অভিমান * *** ৩০৩ গৌরীর প্রতি শিব-উক্ভি
চণ্তীর জরতীবেশে শ্রীমন্তকে যৌতুক দাঁন ৩০৪ শিব প্রতি গৌরী-উক্তি
চণ্তীর বরে ধনপতির সুন্দর রূপ প্রাপ্তি ৩০৫ শিবের আদেশে চণ্ীর অন্তান্ত সংবাদ কথন অষ্টমঙ্গলা ৩০৫. গ্রন্থ শ্রবণেব ফল --" চত্তী কর্তৃক কলির মাহাত্মা কথন ,,* ৩০৭ কবির ক্ষমা প্রার্থনা
চিত্রসুচী
১। কালীদহে কমলে কামিনী (রঙিন ) ২। মদন-ভম্ম
৩। বাঁধ-কুটারে চ্ডিকাঁব আবিভাৰ
৪। পুষ্পকেতুকে কালকেতুর বাঁজা-সমর্পণ ৫। খুল্লনা ও ধনপতি
৬। খুল্পনার চণ্ডী-পৃজা
৭। জরতীবেশে চণ্ডিকাব মশানে আগমন
মুখপত্র
১২১
৯৯৭ ১২৯ ১৫০
২৬৫
৩১১
৩১৩ ৩১৪
কবিকঙ্কণ চণ্তী।
গণেশ বন্দনা। বেদান্ত দরশনে, বক্ষ বলি বাখানে, অঙ্গের বন্ধুক-ছটা, আজামুলম্বিত জটা, অন্যে বলে পুরুষ-প্রধান। শশিকলা মুকুট-মণ্ডন। বিশ্বের পরম*গতি, হেতু অন্তরায়-পতি, চরণ-পষ্কজ-রাজে, কনক নুপুর বাজে, তারে মোর লক্ষ পরণাম ॥ অঙ্গদ বলয় বিভৃষণ ॥ বন্দ দেব গণপতি দেবের প্রধান । কুস্কমচচ্চিত অঙ্গ, শুণ্ডে শোভে মাতুলু। ব্যাস আদি যত কবি, তোমার চরণ সেবি, শণি দন্ত ইষ্ট পাশ করে। প্রকাশিল। আগম পুরাণ ॥ শিবন্ুত লহ্বোদর, আজাম্ুলম্বিত কর, গিরিস্ৃতা অঙ্গজনু, খর্ব গীবর তনু, রণজয়ী যে তোমারে স্মরে ॥ একদস্ত কুপ্ধর-বদন | পরিধান দ্বীপিচন্ম, নিরস্তর জপ কর্ম, প্রণত জনের নিদ্ব, দূর কর মম বিদ্বু দুই করে কুশ স্শোভন।
তব পদে করিনু বন্দন। অবনী লোটায়ে কায়, প্রণাম তোমার পায়, কর মোরে কুপাবলোকন। করিয়। তোমায় ভক্তি, মুনিগণে পায় যুক্তি চারি পুরুষার্থের সাধন ॥
অঙ্গে যেগপাটা শোভে, অলিকুল মধুলোভে, চৌদিকে বেড়িয়া করে গান ॥
নিরস্তর জপস্ততি, বিদ্বরাজ গণপতি, হৈমবতী-হদয়-নন্দন |
গাইয়া তোমার আগে, গোবিন্দ-ভকতি মাগে, চক্রবস্তী শ্রীকবিকম্কণ ॥
অন্তয়ায়_বিপ্ন। অঙ্গজনু-পুত | আগম-১তত্শাগ্র। গীবর--মোট|। নিদ্ব-মায়ত্ত। চারি পুকমাঁ-১ধর্শ, অর্থ, কাঁহ্, মোক্ষ। বন্ধুক- বীধুলি ফুল। অঙ্গদ--বাজু। শৃর্ণি-নন্কুণ। ইষ্-বর। মাতুনুঙগ_দাড়িশ্ব বা লেবু । ঘোগপাট।-.
পূজাদিক্ প্রথমে ধারণীয় উত্তরীয় বিশেষ
২ কবিকঙ্কণ চণ্তী।
8 চি পদ এ তত পট পপি 2 শি শি 2 সি নি
সরম্বতী বন্দনা ।
বিধিমুখে বেদবাণী,. বন্দ মাত] বীণাপাণি,
ইন্দু-কুন্দ-তুবার-সঙ্কা শা ।
ত্রিলোকতাবিশী ত্রয়ী, বিষুমায়া বর্ণময়ী, কবিমুখে অষ্টাদশ ভাষা ॥
শ্বেতপদ্মে অধিষ্ঠান, শ্বেতবস্্র পরিধান, কণ্ঠে ভূষা মণিময় হাব ।
শ্রবণে কুণ্তল দোলে, কপালে বিজুলি খেলে, তন্ুরুচি খণ্ডে অন্ধকার ॥
শিরে শোৌভে ইন্দ্ুকলা, করে শোভে জপমালা।, শুকশিশু শোভে বাম করে।
নিরম্তর আছে সঙ্গী, মসীপাত্র পুঁথি খুঙ্গি, স্মরণে জড়িমা যায় দূরে ॥
দিবানিশি করি ভাগ, সেবে যাবে ছয় রাগ, অন্ুক্ষণ ছত্রিশ রাগিণী।
ববাব খমক বেণী, সপ্রন্বরা পিনাকিনী, বেণু বীণা মৃদঙ্গ-বাদিনী ॥
সঙ্গে বিচ্য। চতুর্দশ, সঙ্গীত কবিশ্বরস, আসরে করহ অধিষ্ঠান।
কহি গে। অঞ্জলিপুটে, উর গে। আমার ঘটে, দূর কর ছ্র্গতি কুজ্ঞান ॥
দেবতা অসুর নর, যক্ষ রক্ষঃ বিদ্যাধর, সেবে তব চরণ-সবোজে।
তুমি যারে কর দয়া, সেই বুঝে বিষুমায়া, বসে সেই পণ্ডিত-সমাঁজে ॥
দিবানিশি তুয়! সেবি, রচিল মুকুন্দ কবি, নৃতন-মঙ্গল অভিলাষে ।
উরিয়া কবির ধামে, কৃপা কর শিবরামে, চিত্রলেখা যশোদা মহেশে ॥
লক্ষ্মী বন্দশা |
অজিত-বল্লভা দেবি ব্রহ্মার জননি। তোমার চরণ বন্দি জোড় করি পাণি ॥ যখন করিল! হরি অনস্ত-শয়ন | তাহার উদবে ছিল এ তিন ভূবন ॥ জন্ম জরা মৃত্যু তব নাহি কোন কালে । সেই কালে ছিল তুমি হরি-পদতলে ॥ অনল গরল আর কুস্তীর মকর । কত শত ছিল রত্বাকরের ভিতর ॥ তুমি গো পরম রত্ন সকল সংসারে । তোমা কন্ত। হতে বত্বাকর বলি তারে ॥ ধন জন যৌবন নগর নিকেতন । পদাতি বারণ বাজী রত্বুসিংহাসন ॥ অহঙ্কার তাচার তাবত শোভা করে। কপাময়ী লক্ষ্মী গো যাবৎ থাক ঘরে ॥ তোমারে চঞ্চল। লক্ষ্মী বলে যেই জনে । তোমার মহিমা সেই কিছুই না! জানে ॥ ছাড়হ সে জনে মাতা তার দোষ দেখি। নির্দোষ পুরুষে রাখ চিরকাল সুখী ॥. কমল থাকিলে মান সকল ভূবনে । লক্ষমীবান্ হইলে বিজয়ী হয় রণে ॥ কুলীন পণ্ডিত সেই, সেই মহাবীর । যাহার মন্দিরে মাতা তুমি হও স্থির ॥ তুমি বিফুণ্রিয়া, কৃপা নাহি কর যারে । থাকুক অন্যের কাধ্য দারা নিন্দে তারে ॥ লক্ষ্মীছাড়া পুরুষ কুটুণ্ব-বাড়ী যায়। থাকুক আসন জল, সম্ভাষ না পায় ॥ লক্ষ্মীর মহিমা কবিকম্কণেতে গায়। ভক্ত নায়কেরে মাত। হবে বর দায়॥
সহ শ।--তুল্য। , ত্রশীষ্্লাম, ঝ ক) শগ্ুবর্বিপ | মগ্াদশ ভাধা--১৮শ বিদ্বা।,5 বেদ, ও বেদাঙ্গ,। পুরণ, মীমাংস।, হ্যায়, ্নণা প্র, আবুবেরিণ, বনু ব্রন, গান্ধবর্ষ ও অর্থ-সাধন। | উর--আবিভ্ত হও । ইন্দু-চক্্। তন্ুৎচি--দেহকা্তি। অজিত- মল্লভা বিধুঃ যায মামী । আনন্ত_শেধ নাগ। নিকেতন-_ঘর। বাঁজী__ঘোড়।। বারণ-__হাতী। .
শশী পিপাসা সপ ঈতাতি পর পাশ ০ সপ আপাত স্পী সিতী সপা্পিপস্দপিসত ক্গি স তসিপাস্িাগ তাস
চৈতন্য বন্দনা ।
পাস তিশা সত শি পাটি
অবনীতে অবতরি, চৈতন্য রূপেতে হরি, , বন্দিব সন্নযাসি-চুড়ামণি।
সঙ্গে সখা নিত্যানন্দ, ভুবনে আনন্দ-কন্দ, মুকৃতির দেখালে শরণি ॥
ভূবনে বিখ্যাত নাম, সুধন্য স্ুপুণ্য গ্রাম, জন্বদ্বীপ-সার নবদ্বীপ ।
ঘোর কলি অন্ধকার“ শ্রীচৈতন্য অবতার, প্রকাশিল হরিনাম গীত ॥
নদীয়া নগরে ঘর, ধন্য মিশ্র পুরন্দর, ধন্য পন্য শচী ঠাকুরাণী।
ত্রিভুবনে অবতংস, হইয়া মিহির-অংশ, ত্রাণ কৈলা অখিল পরাণী ॥
স্ৃতপ্ত কাঞ্চন গৌর, ভূবন-লোচিন-চৌর, করঙ্গ কৌপীন দণ্ডধারী ।
নয়নে গলয়ে লোর, গলেতে ললামডোব, সদাই বলেন হরি হরি ॥
ভট্টাচার্য্য শিরোমণি, সার্বভৌম সন্দীপনি, , বড়ভূজ দেখি কেল স্তুতি ।
প্রেমতক্তি কল্পতরু, অখিল জীবের গুরু, গুরু কৈলা কেশব ভারতী ॥
কপট সন্যাসি-বেশ, ভ্রমিল। অনেক দেশ, সঙ্গে পারিবদ পুণ্যশালী।
রামকৃষ্ণ গদাধর, গৌরী বাস্থু পুবন্দর মুকুন্দ মুরারি বনমালী ॥
কপাময় অবতার, কলিকালে কেবা আর, পাষগুদলনে দৃঢপণ ।
জগাই মাধাই আদি, অশেষ পাপেব নিধি) হরিপদে দৃঢ় কৈল মন॥
অযোধ্য। মথুর। মায়া, যথা হবি পদছায়া, কাশী কাঞ্ধী অবস্তী*দ্বারিকা ।
ত্রিগর্ত লাহোর দিল্লী, ভ্রমিল অনেক পল্লী, করি প্র মুক্তির সাধিকা ॥
শ্রীরাম বন্দন|।
ক্য়াড় অন্থুজজাত, মহামিশ্র জগন্নাথ, একভাবে পুঁজিল গোপাল । বিনয়ে মাগিলা বর, জপি মন্ত্র দশাক্ষর, মীনমাংস ত্যজি বহুকাল ॥ শ্রীকবিকন্কণ গায়. বিকাইন্ু রাঙ্গাপায়, আজি মোর সফল জীবন । গাইয়! তোমার আগে, গোবিন্দ-ভকতি মাগে, চক্রবস্তী শ্রীকবিকম্কণ ॥
শী শিশীিটি
২ ৯টি পশী
শাবাম বন্দনা |
আনন্দে বন্দিব বাম, মুক্তিদাত| ধার নাম, প্রভূ রাম কমললোচন।
অযোধ্যাব পতি রাম, নবদূর্বাদলশ্যাম, প্রণমহ কৌশল্যানন্দন ॥
প্রণমহ প্রভুরাম, মন্ত্রী ধার জান্বুবান, মিত্র ধার গুহক চণ্ডাল।
রিপু ধার দশানন, সদা সত্য-পরায়ণ, ধার কীন্তি সমুদ্রে জাঙ্গাল॥
লক্ষমীরূপে উপনীতা, শ্রীরাম-বনিতা। সীতা, সঙ্গে যার অনুজ লক্ষ্মণ |
আসি দেব পুরন্দরে, ধরিলেক দণ্ড শিরে, সেবে যারে পবননন্দন ॥ বাঞ্ছ। করি নিরম্তব হই শ্রীরামকিস্কর,
পক্ষিরাজ ধাহারি বাহন । কর্ণের সমান দাতা, প্রজার পালনে পিতা, অশেষ গুণের নিকেতন ॥ ধনুর্বাণ কবে ধরি, ভয়েতে পলায় অরি, অনুগত জনে কৃপাবান্। ধন্য রাজা বঘুনাথ কুলে শীলে অন্নদাত, শ্রীকবিকন্কণ রস গান ॥
শেপ
আনন্দ-কন্দ_আননের মেঘ গল্প অথব|। আননের মূল। শরণি_পথ। জনুদ্বীপভারতবর্দ। অবতংস_কর্ণ-ভুষণ বা
কিরীট। নিধি--আধার। জাঙ্গাল - বাঁধ।
চণ্তী-বন্দনা |
বন্দ নারায়ণী, ভৈরবী ভবানী, নগেন্দ্রনন্দিনী চণ্তী।
বীণ! সপ্তন্বরা, মুরজ মন্দিরা, বাজায়ে ছুন্দুভি 'ডিগি॥
স্থলাম্বুজদল, চরণ-যুগল, তথি শোভে নখচন্দ |
চরণে চণ্তীর, কনক মঞ্জীর, গঞ্জে গজগতি মন্দ ॥
করি-অবি জিনি, মাজা অতি ক্ষীণি, কটিতে কিস্কিণী বাজে ।
জিনি করিকর, জঘন সুন্দর, নিতম্বে বসন সাজে ॥
নাভি-সরোবর, তথির উপর, তন্ুরুহাক্কুর-দাম ।
উচ্চ কুচগিরি, জিনি কুস্ত করী, কিবা শোভে অভিরাম ॥
জিনি শতদল, বদন-কমল, অধর বন্ধুক ভোর ।
পরিহরি ব্রীড়া, করে কত ক্রীড়া, নয়ন-খপঞ্জন জোর ॥
নয়নের কোণে, আছে কত তৃণে, অস্থুর-নাশিনী ইযু।
টাচর কুস্তলে, মালতীর মালে, ভ্রময়ে ভমর-শিশু ॥
শিরে শশিকলা, তারকের মালা, ঈষৎ চন্বনবিন্দু।
ললাটফলকে, অলক ঝলকে, জিনি অকলঙ্ক ইন্দু॥
হেমকাস্তি বর, অঙ্গ মনোহর, আননে ঈষৎ হাস।
নির্মিত রতনে, অঙ্গের ভূষণে, দশদিক পরকাশ ॥
কবিক্কণ চণ্ী।
প ৯ পাটি পাটি পা পাটি এসসি
তাল মান গানে উর গো গায়নে, বলি বেদস্তরতিমতে ।
পূর্ণ কর কাম, আসি এই ধাম, কৃপা কর গিরিস্থৃতে॥
ভবপারাবারে তরী করিবারে, ইহা! বিনা নাহি আন।
অভয়া-চরণে, শ্ীকবিকঙ্কণে, রচিল মধুর গান ॥
গঙ্যাৎপত্তিব কারণ ।
শুন ভাই সভাজন, কবিত্বের বিবরণ, এই গীত হইল যেমতে।
উরিয়া মায়ের বেশে, কবির শিয়র দেশে, চগ্ডিকা বসিলা আচনম্বিতে ॥
সহর শিলিমাবাজ, তাহাতে সুজনরাজ, নিবসে নিয়োগী গোগপীনাথ ।
তাহার তালুকে বসি, দামুন্ঠায় চাষ চষি,
নিবাস পুরুষ ছয় সাত ॥
ধন্ট রাজা মানসিংহ, বিষুপদানুজ-ভুঙ্গ। শগোৌড়-বঙ্গ-উৎকল-অধিপ।
সে মানসিংহেব কালে, প্রজার পাপের ফলে, ডিহিদার মামুদ সরিপ ॥
উজীর হলে! রায়জাদা, বেপারিরে দেয় খেদা, ব্রাহ্মণ বৈষ্বের হল অরি।
মাপে কোণে দিয়ে দড়া পোনের কাঠায় কুড়া, নাহি মানে প্রজার গোহারি ॥
সরকার হৈল কাল, খিলভূমি লিখে মাল, বিনা উপকারে খায় খতি।
পোদ্দার হইল যম, টাকা আড়াই আনা কম, পাই লভ্য লয় দিনপ্রতি ॥
ডিহিদার অবোধ খোজ, টাকা দ্রিলে নাহি রোজ ধান্ত গরু কেহ নাহি কেনে ।
অনুজ-_পল্প। তনুরুহাকুর-দ!ম- লোমাবলি। ত্রীড়।__লঙ্জা | জোৌর--যুগল। কুস্তল_-চুল। অলকা!__ললাটের চন্জন-চর্চ।। খেদ।--তাঁড়।। কুড়!-বিঘা। গোহারি__কাঁকুতি মিনতি ; দোহাই । খতি--উৎকোচ। খিল--অনুর্ধবর ) পতিষ্ঠ।
মঙ্গলবারের গান আরম্ত ।
প্রভু গোগীনাথ নন্দী, বিপাকে হইল বন্দী, হেতু কিছু নাহি পরিত্রাণে ॥
পেয়াদা সভার নাছে, প্রজ/রা পলায় পাছে,
৪ ছুয়ার জুড়িয়৷ দেয় থান! ।
প্রজারা ব্যাকুলচিত্ত, বেচে ধান্য গরু নিত্য,
টাকার দ্রব্য হয় দশ আনা ॥
সহায় শ্রীমস্তর্থা, চণ্তীবাটী যার গাঁ, যুক্তি কৈল গরিব খাঁর সনে।
দামুন্তা ছাড়িয়া যাই, সঙ্গে রামানন্দ ভাই, পথে চণ্ডী দিলে দরশনে ॥
ভাই নহে উপযুক্ত, রূপরায় নিল বিশ্ব, যদুকুণ্ড তেলি কৈল রক্ষা ।
দিয় আপনার ঘর, নিবারণ কৈল ডব, তিন দিবসের দিল ভিক্ষা ॥
বাহিয়। গোড়াই নদী, সর্ববদ। স্মরিয়া বিধি, তেউট্যায় হলু উপনীত ।
দারুকেশ্বর তরি, পাইল বাতনগিরি গঙ্গাদাস বত কৈল হিত।॥
নারায়ণ পরাশর, ছাঁড়িলাম দামোদর উপনীত কুচুট নগরে ।
তৈল বিন। করি জান, উদ্ক কিন্ত পান
শিশু কান্দে ওদনের তরে ॥ আশ্রয়ি পুকুরআড়া, নৈবেগ্ শালুকনাড়া, , পুজা কৈনু কুমুদ প্রস্থনে। ক্ষুধা! ভয়ে পরিশ্রমে, নিদ্রা গেনু সেইধামে, চণ্তী দেখা দিলেন স্বপনে ॥ করিয়া পরম দয়া, দিয়া চরণের ছায়া, আজ্ঞা দিল করিতে সঙ্গীত । করে লয়ে পত্র মসী, আপনি কমলে বসি, নান। ছন্দে লিখিল। কবিত্ব ॥
চণ্তীর আদেশ পাই, শিলাই বাহিয়া যাই,
আড়রা৷ নগরে উপনীত ।
যেই মন্ত্র দিল দীক্ষা, সেই মন্ত্র করি শিক্ষা,
মহামন্ত্র জপি নিত্য নিত্য ॥
, আড়রা ব্রাহ্মণ ভূমি,
ব্রাহ্মণ যাহার স্বামী, নরপতি ব্যাসের সমানি।
পড়িয়। কবিত্ব বাণী, সম্তাষিন্ু হৃপমণি, রাজ দিল দশ আড়া ধান ॥
সুধন্ বাঁকুড়া রায়, ভাঙ্গিল সকল দায়, স্থত-পাশে কৈল নিয়োজিত।
তার স্তৃত রঘুনাথ, রূপে গুণে অবদাত, গুরু করি করিল পূজিত ॥
সঙ্গে দামোদর নন্দী, যেজানে স্বপ্নের সন্ধি, অনুদিন করিত যতন ।
নিত্য দেন অনুমতি, রঘুনাথ নরপতি, গার়কেরে দিলেন ভূষণ ॥ ধন্ঠ রাজা রঘুনাথ, কুলে শীলে অবদাত,
প্রকাশিল নূতন মঙ্গল। তাহার আদেশ পান, শ্রীকবিকঙ্কণ গান, সম ভাষা করিয়া কুশল ॥
পপ সসপী সপ প্সি
মর্গজলবাংরব গান আরম্ত।
আজ্ঞা দিল মহীপাল, শুভ তিথি শুভ কাল, শুভক্ষণে বারি-সংস্থাপন।
নৈবেছ্চ বিবিধরূপ, গন্ধপুষ্প দীপ ধূপ, পট্টবন্প নানা আয়োজন ॥ জ্ঞাতি বন্ধু পুরোহিত, আর যত নিমন্ত্রিত,
আনন্দিত সবে একস্থানে ।
ভেরী তুরী বাজে ভাল, কাংসবাগ্ভ করতাল, পটহ ছুন্দুভি বাজে বীণে ॥
রাম! দেয় জয়ধ্বনি, সপ্তত্বরা পিনাকিনী, বাজে নানা মঙ্গল-বাজন ।
হয়ে অতি শুচিকায়। দ্বিজগণে বেদ গায়, মহামায়া ফরি আরাধন ॥
ঘট সংস্কাপন করি, মহামায়া মহেশ্বরী, স্থিতি কর এ অষ্ট রাসর ৷
নাছে__দরজায়। থানা__চৌকি ; আডডাঁ। পাইল-_পাইলাম | ওদন-_খাদ্য । আড।_পাড ; তীর। নাড়াভাঁটা।
আন়্।_৪ মণ
সুত-পাশে- পুত্রকে শিক্ষাদানার্থে । সন্ষি--হুত্র £ বিবরণ | বারি-সংস্থাপন- ঘাটস্থ'পন। বাসর -দ্বিবস।
কবিকক্কণ চণ্ডী
লক্ষী বাণী আদি করি, আর যত সহচরী,
লয়ে শরজন্মা লম্বোদর ॥
তুমি আছ্যা মহামায়া, আর যে তোমার কায়া, আসরে করহ অধিষ্ঠান |
ভক্ত নায়কের প্রতি, কৃপা কর ভগবতি, প্রীকবিকঙ্কণ রস গান ॥
সপ শি
প্রার্থনা ।
ত্যজিয়া কৈলাসগিরি, উর গো মরতণপুরী, ভক্তেরে করিতে পরিত্রাণ ।
বিশ্রাম দিবস আট, শুন গীত দেখ নাট, আসরে করহ অধিষ্ঠান ॥
লিখি পড়ি নান! গ্রন্থ, না জানি সঙ্গীতপন্থ, কৃপা করি দিলা গুরুভার।
অনভিজ্ঞ তাঁলমানে, কেমনে শিখিবে আনে, দোষ গুণ সকলি তোমার ॥
যে বোল বলাও তৃমি, সেই বোল বলি আমি, তুমি কর মোরে উপদেশ ।
প্রচারে যেমতে কাব্য, শুনয়ে যেমন ভব্য, করি চিন্তা, হর মোর ক্লেশ ॥
বলি-হোম-ধূপ-দীপে, তোমা পুজে সপ্তদ্ীপে, তোমার মেবক জগজন।
নায়কের থাকে দোষ, দূর কর অভিরোধ, কর মোরে কপাবলোকন ॥
তুমি রমা তুমি বাণী, যোগনিদ্রা নারায়ূণী, ্রয়ী-বিদ্ভা অনাদি-বাঁসনা ।
মহাযোগ,.কালরাত্রি, গায়ত্রী ভূবনধাত্রী, ক্রিয়াশক্তি সংসার-বাসনা ॥
সলিলে ডুবিল মহী, আশ্রয় করিয়। অহি, শয়ন করিল নারায়ণ ।
সেই অবসান কালে, প্রভুর শ্রবণমলে, জন্মিল দানব দুইজন ॥
মধু আর কৈটভ নাম, ছুই দৈত্য অনুপম, ব্রহ্মারে করিল বিড়ম্বন।
নাভিপদ্মে প্রজাপতি, তোমারে করিল স্ততি। তাহে তুমি হইলা শরণ ॥ | গিরিকন্যা ঈশান-গৃহিণী ।
আগম নিগম অন্ত, বীজরূপা মহামন্ত্ বেদমাতা বিশ্বের জননী ॥
গোকুলে গোমতীনামা, তমলুকে বর্গভীমা, উত্তরে বিদিত বিশ্বকায় ।
জয়ন্তী হস্তিনাপুরে, বিজয়া নন্দের ঘবে, হবি সনিধানে মহামায়া ॥
অমরকুলের দে, দেবকী অষ্টম-গর্ডে, হৈল। প্রভূ ক্ষিতিভার নাশে।
হরিতে হরির ভীতি, যোগনিদ্রা ভগবতী থুইলা যশোদা-গর্ভবাসে ॥
ভোজরাজ-মহাতন্কে, শ্রীহরি করিয়। অঙ্কে, বস্থদেব গেল৷ নন্দাগার |
অগাধ যমুনা জল, মায়া পাতি কৈলা স্থূল, শিবাৰপে নদী হৈলা পার ॥
হরিতে অবশী-ভার, কৃপাময় অবতার, যছুকূলে হৈলা নারায়ণ ।
হইলা নন্দেব সুতা, কি কব সে সব কথা, চক্রবত্তী গ্রীকবিকঙ্কণ ॥
মাদিদেব। আদিদেব নিরঞ্জন, ধার স্থষ্টি ত্রিভুবন, পরম পুকষ পুবাতন। শূন্যেতে করিয়া স্থিতি, চিন্তিলেন মহামতি, স্ঠজনের উপায় কারণ ॥ নাহি কেহ সহচর, দেবতা অস্থুর নর, সিদ্ধ-নাঁগ-চারণ-কিন্নর |
বাণী--সরম্বতী। শরজন্ম।_কান্তিক; দুন্দুভি--নাগর। । পিন[ক-_ধনুকের মত আকৃতি বিশিষ্ট বাদ্য ষস্ত্র। নাট- নৃত্য । আসরে-_নঞ্ভাতে। প্রচারে-_প্রচারিত হয়। অন্ক__কোল। নিরগ্ন_ নির্মল, পরবহ্গ | চারণ-_দেবযোনি বিশেষ ।'
শক্তিরপা মহামায়ার জন্ম |
নাহি তথা দিবানিশি, না উদয়ে রবিশশী, অন্ধকার আছে নিরস্তর ॥
কোটি ভানু পরকাশ, পরিধান গ্ীতবাস,
অন্ধকারে ভাবে ভগবান।
কনক ক্কণ হার, দূর করে অন্ধকার,
পুরট-মুকুট মণিদাম ॥
কণ্ঠেতে কৌন্তুভ-আভা, কোটিচন্দ্র মুখ-শোভা
কুগ্ডলে মণ্ডিত ছুই গণ্ড।
নবীন নীরদকান্তি, নখ জিনি ইন্দুপংক্তি আজান্রলম্বিত ভূজদণ্ড ॥ অচিন্ত্য অনস্তশক্তি, হৃদয়ে করেন যুক্তি,
জল স্থল আদি অধিক্টান।
কথার সঙ্গতি নাই, চিন্তা করেন গৌসাই, আপনারে অশক্ত সমান ॥
চিন্তিতে এমন কাজ, একচিত্তে দেবরাজ, তন্থু হৈতে নির্গত প্রকৃতি ।
চণ্ডীর চরণ সেবি, বচিল মুকুন্দ কবি, প্রকাশে ব্রাহ্মণ মহামতি ॥
এক্তিবপা মহামাযাব জন্ম |
আদিদেব নিত্যশক্তি, ভুবনমোহন মূর্তি, উরিলেন শ্ষ্টির কাবিণী।
রতিয়া সম্পুট পাঁণি, মুদুমন্দ স্থভাষিণী, সম্মুখে রহিল নারায়ণী ॥
রাজহংস-রব জিনি, চরণে নুপুরধ্বনি, _.. দশনখে দশ ইন্দ্ু ভাসে।
কোকনদ-দর্পহর, যাবক-বেষ্টিত কর, অঙ্গুলি চম্পক পরকাশে ॥
রামরস্তা জিনি উরু, নিবিড় নিতম্ব গুরু, কেশরী জিনিয়! মধ্যদেশ | মধুর কিস্কিণী বাজে, পরিধান পট্রসাজে,
বচন-গোচর নহে বেশ ॥
রাজহংস মন্দগতি, হেম জিনি দেহ-জ্যোতি,
করিকুস্ত চার পয়োধরে। তাহে শোভে অনুপম, মণি মুকুতার দাম, যেন গঙ্গ। স্বমের শিখরে ॥ হেম-হারবর ছলে, কিবা সে উজ্জ্রল গলে, স্থির হয়ে সৌদামিনী বসে । নিরুপম-পরকাশ, স্থমন্দ মধুর হাস, ভঙ্গী নব শিখিবার আশে ॥ বন্ধুক-কুস্থম ছটা, কপালে সিন্দুর ফেশাটা , প্রভাত কালের যেন রবি । অধর প্রবাল-ছ্যতি, দশন মাণিকর্পাঁতি, দৌহেতে বদল কবে ছবি ॥ কপালে সিন্দুরবিন্দু,... নব অরবিন্দ-বন্ধু, তার কোলে চন্দনের বিন্দু। করিয়া তিমির-মেলা, ধরিয়া কুস্তলছলা, বন্দী করি রাখে রধি ইন্দু॥ তিলফুল জিনি নাসা, বসন্ত-কোকিল-ভাষা ভ্রাযুগল চাপ-সহোদর । খঞ্জন-গঞ্জন আখি, অকলম্ক শশিমুখী, শিরোরুহ অসিত চামর ॥ শ্রবণ উপর দেশে, হেম-কলিক। ভাসে, কুটিল কুঞ্চিত কেশপাশ। আধাটিয়া মেঘ মাঝে, যেমন বিহ্যুৎ সাজে, পরিহরি চঞ্চলতা দোষ ॥ অঙ্গদ বলয় শঙ্খ, ভূবন মোহন বঙ্ক, মণিময় মুকুট মণ্ডন। হাসিতে বিজুলি খেলে, শ্রবণে কুণ্ডল দোলে, হেমময় ভূষণ শোভন ॥ প্রভুর ইঙ্গিত পায়া, আদি দেবী মহামায়া, শ্জন করিতে দিল মন । উমাপদে রত চিত, রচিল নৃতন গীত, চক্রবস্তী শ্রীকবিকম্কণ ॥
পুরট--ঘর্ণ। কোগ্তভ--একুগেঃব হৃদয়-ভূধণ নানি। সঙ্গতি_মিলন, সংস্থান । প্রকৃতি--শক্ষি | সম্পূট-_যোগ। বাবক *আলত।| অববিন্দ-বন্ধু-স্ধ্য। শিরোরুহ-_চুল। বন্ধ_-বাকমল। পা"য়-পাইয়।।
কবিকক্কণ চণ্ডী।
স্ট্টি-প্রকবণ ।
এক দেব নানা মূর্তি হল মহাঁশয়। হেম হতে কুগডল বস্তৃত ভিন্ন নয় ॥ প্রকৃতিতে তেজ প্রভু করিল আধান। রূপবান্ হৈল তাতে তনয় মহান্॥ মহতের পুজ্র হল নাম অহঙ্কার ।
যাহ! হতে হল স্ষ্টি সকল সংসার ॥ অহঙ্কার হইতে হইল পঞ্চজন ।
গথিবী উদক তেজ আকাশ পবন ॥ আই পঞ্চ জনে লোক বলে পঞ্চভৃত। হক! হতে প্রাণী বৃদ্ধি হইল বভত ॥ গুণ ভেদে এক দেব হল তিন জন। রজোগুণে পিতামহ মরালবাহন ||
সত্ব গুণে বিষ্বূপে করেন পালন । তমোগুণে মহাদেব বিনাশকারণ ॥| ব্রহ্মার মানস-পুজ হল চারিজন | সনৎকুমার আর সনক সনাতন ॥। সনন্দ হইল তথা চারের পূরণ । বৈষ্ণবের আদি গুরু বিরিঞ্িনন্দন || চাঙ্লিজনে বুঝিলেন হরিভক্তি সুখ । পিতৃবাক্য না শুনিয়। সংসারে বিমুখ ॥ চারিপুক্র ত্যজে যদি পিতৃ-অন্থুরোধ | বিধাতার হৃদয়ে জন্মিল বড়ক্রোধ ॥| সেই ক্রোধে জভঙ্গি হইল বিধাতার । তাহাতে জন্মিল নীল-লোহিত কুমার ॥ শিশুভাবে মহাদেব করেন রোদন | নাম ধাম জায়া মোর কর নিয়োজন ॥| বিচারিয়া রুদ্রনাম থুইল প্রজাপতি । উন্মত্ত মহেশ আর শিব পশুপতি ॥ হৃদয় ইন্দ্রিয় ব্যোম বায়ু বহি জল । ইন্দ্র চন্দ্র দিবাকর আকাশমগুল ॥ ধৃতি বুদ্ধি ঈশী বশী শিবা আর অণিমা । একভাবে ছয় নারী ভজিবেক তোমা ॥
স্ষ্টি করহ পুক্র বাড়ক পরমাই। আজ্ঞা লজ্বিল তোমার জ্যেষ্ঠ চারি ভাই ॥ ব্রহ্মার আজ্ঞায়-স্্টি করেন শঙ্কর । স্কজিল প্রথম প্রেত ভূত নিশাচর ॥ জটাভশ্ম হাড়মাল। বিভূতি-ভূঘণ | দেখিয়া বিধাতা তারে কৈল নিবারণ ॥ ভয়ঙ্কব প্রজা পুত্র, না কর গঠন। তপস্তা করিয়া পুক্র, ভজ নারায়ণ ॥ এত শুনি দিল শিব তপস্তাঁয় মন। তবে জন্মাইল ব্রহ্গঝষি দশ জন ॥ মরীচি অঙ্গিবা অত্র ভৃগু দক্ষ ক্রুতু । পুলহ পুলস্ত্য হেল সংসারের হেতু ॥ বশিঙ্গ হইল তথা মুনি মহাতপা । দশম নারদ ধারে হৈল হরি-কৃপা! ॥ আপনার তনু ধাত। কৈল ছুই খান । বামদিকে নারী হল দক্ষিণে পুমান্ ॥ শতরূপা নামে নারী মনোহর তনু । পুরুষ হইল স্বায়ন্তুব নামে মনু ॥ মনুরে কহিলা ব্রন্ম। স্যঙ্টির কারণ। প্রণাম করিয়। মনু করে নিবেদন ॥ জগৎ স্জিতে ভাল বলিল। গৌঁসাই। কোথা প্রজ। বসিবে এমন স্থান নাই ॥ যুগে যুগে প্রজাস্থিতি আছিল ধরণী । অস্থুরে হরিয়! নিল পাতাল-শরণি ॥ এ কথ শুনিয়া ব্রহ্ম। হলেন চিন্তিত। নাঁসাপথে বরাহ জন্মিল আচম্বিত ॥ অভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত । শ্রীকবিকন্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
বরাহ বূপধারণ। অনন্ত অচিস্ত্যমায়া, * ধরিয়। বরাহ কায়াঃ অঙ্গে শোভে যজ্ঞপত্র-জাল । ধীরে ধীরে মহারস্ত, প্রবল-জলধি-অস্ত, প্রবেশিয়া পাইল পাতাল ॥
তেজ- প্রভাব । আধান- স্থাপন । উদ _জল। নীঙলোহিত__-ক্ঠে নীল এবং কেশে লোহিত; মহাদেব । পরমাই-_, পরমারু। অপ-জল। ধৃতি_ধারণ। ইশ -আমিত্ব | অণিমা এশ্বধ্য বিশেষ। শরণি--পথ।
মুর প্রজাস্থা্ট | মহাকায় মহাঁদস্ত, ধাহার নাহিক অন্ত, সিতা
সেবক-বৎসল ভগবান্।
দশনে ধরণী ধরি, হিরণ্যাক্ষ বীরে মারি,
জল হৈতে করিলা উত্থান ।
দশন কুন্দের আভা, তথি দেবী পান শোভা, তমাল-শ্যামলা বস্ুমতী ।
যেন করি-দন্তমাঝে, সপত্র পদ্মিনী সাজে,
বিধি সিদ্ধ ধষি করে স্ততি ॥
জলের উপরে ক্ষিতি, আরোপি ভুবনপতি,
শরীর ঝাড়েন ঘনে ঘন।
উঠে বিন্দু ছটা ধৃত, ভুবন করয়ে পুত, শিবোরুহ তপঃ-সত্য জন ॥ জল ত্যজি দেবরায়, সঘনে ঝাঁড়েন কায়,
অঙ্গ হৈতে লোমচর় খসে ।
পাইয়া ধরণী-গর্ভ, তাহাতে হইল দর, মখ-বিদ্ব নাশে সেই কৃশে ॥
অখিল পর্ববত গুরু, মধ্যে আরোপিয়া মেরু, মন্দর প্রমুখ গিরিচয় ।
গন্ধমাদন মাল্যবান্, নীল শ্বেত শুঙ্গবান্, হিম হেমকুট হিমালয় ॥ প্রথমে উদয় গিরি, পাছে অস্তশিখরী,
চৌদিকে বেড়িয়া লোকাঁলোক। বাহিরে কাঞ্চন ক্ষিতি, তথি যোগেশ্বর পতি, দেখি বিধাতার ঘুচে শোক ॥ স্থমেরু-উপরভাগে, রবি-রথ-চক্র লাগে, বেড়িয়া ফিরয়ে দিবাকর । গতাগতি করি লক্ষ্য, দিন নিশা মাস পক্ষ, হৈল খতু অয়ন বৎসর ॥ কৃপাময় অবতার, হেলা প্রভু শিশুমার, উদ্ধ-পুচ্ছ হেঁট যার মাথা ।
তথি রাশিচক্রভর, ফিরে প্রভু নিরস্তর, গ্রহ তারাগণ গৈল তথ। ॥ উদ্ধলোক হইতে গঙ্গা, প্রবল-চপল-ভঙ্গা,
মেরু-শ্রঙ্গে তৈল! চারি ধারা । ব্সল-ন্েহযুক্ত | ধূত্ত--ত্যন্ক, কম্পিত।
বৃহস্পতি রাজধানী,
শীকবিকস্কণ গায়,
পৃত-পবিব্র। দভ-কুশ।
শ্বীমলকানন্দ। তীর্থবরা ॥ শতরূপা সঙ্গে কৈল বাস।
রাজ। কৈল পাঁচালি প্রকাশ ॥
মর 'প্রজাহষি |
শতবপা মন্তু সঙ্গে ক্রীড়া কুতৃহলে । গুণযূত দুই স্থুত হৈল কতকালে ॥ জ্যে্টপুজ প্রিয়ব্রত হৈল নুপবর । রথচক্রে হেল তার এ সপ্ত সাগর ॥ কনিগ্ণ উত্তানপাদ বিখ্যাত ভূবনে । পরব নামে পুক্র তার বিদিত পুরাণে ॥ আকৃতি প্রশ্থৃতি কন্তা আর দেবহৃতি । তিন কন্যা হৈল তার রূপ-গুপবতী ॥ আকৃতিরে বিভ্ভী দিল রুচি মুনিবরে | দিলেন যৌতুক রথ তুবঙ্গ কুঙ্গরে ॥ কর্দম মুনিরে বিভা দিলা দেবহুতি। নানা ধন যৌতুক দ্রিলেন প্রজাপতি ॥ প্রস্থতিরে বিবাহ কৈলেন দক্ষ মুনি ।. জন্মিল। যাহার ঘরে তনয়! ভবানী ॥ ষোড়শ কন্যার মধ্যে মুখ্যন্থৃতা সতী । যন্ঞক্ষয় হেতু দেবী আপনি প্রকৃতি ॥ নারদের উপদেশে দক্ষ প্রজাপতি । মহাদেবে বিবাহ দিলেন কন্য। সতী ॥ নানা ধন যৌতুক পৃরিয়া অভিলাষ । বর কন্যা দক্ষ মুনি পাঠাল কৈলাস। অভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত। গ্ীকবিকম্কণ গান মধুব সঙ্গীত ॥
সপপ্পস্পসপ
মখ-যজ্ঞ |
৯
১ লি পাটি বি শাসিত সিিবািীগি
ভদ্রা বংখুনাম, অশেষ গুণের ধাম, তথি মন্ত্ু সপমণি,
শুনিলে কৈবল্য পায়,
মেধ মব্যস্থল, শিরদাড।
শিশুমার-_তারকচক্রবিণেধ ' অলকানন্দ।_ গঙ্গ। | কৈবল্য- মোক্ষ। যৌতুক-বিবাহকালে দত্ত ধন। প্রন্কৃতি-_অবিদ্য| |
্
১৪৬
কবিকঙ্কণ চণ্ডী.
তৃগ্চযজ্জে দক্ষেব আগমন । এমন সময়ে ভৃগু বিরিঞ্চি-নন্দন। বৃহস্পতি আনি যজ্ঞ কৈলা আরম্তণ ॥ দেবগণে নিমন্ত্রণ দিল ভগুমুনি। ঘরে ঘরে বার্তা দিল নাবুদ আপনি ॥
আইলেন চক্রপাণি চাপিয়া গকড়।
বৃষভ বাহনে আইলেন চন্দ্রচুড়। মহিষে চাপিয়। আইল চতর্ঘশ যম। হরিণের পৃষ্ঠে উনপঞ্চাশ পবন ॥ রাশিচক্রে চাপিয়া আইল গ্রহগণ | রথে দশদিকৃপাল করিলা গমন ॥ চাবিবেদে পণ্ডিত অঙ্গিরা যার হোতা । সভাসদ হয়ে চলে আপনি বিধাতা ॥ মরীচি অঙ্গিব। আদি যত দেবি । দেখিতে আইল সবে হয়ে অভিলাধী ॥ কেহ রথে কেহ গজে কেহ তুরঙ্গমে | দেব ঝষি আইলেন ভূগুমুনি ধামে ॥ লক্ষ্মী সরস্বতী আদি যত দেবীগণ । আইল বিমানে চাপি ভূগুর সদন ॥ পাচ অধ্য দিল মুনি বসিতে আসন । মধুপর্ক আদি দিল নানা আয়োজন ॥| সিদ্ধান্ত করেন কেহ কেহ পূর্ববপক্ষ।
. এমন সময়ে তথা আইল। মুনি দক্ষ ||
শুনহ সভার লোক,
বিবিঞ্রি-ব্রঙ্গা | ভাঙ্গডমতি-_শিদ্ধিখোর £ বদমেজ।লি |
দক্ষেরে দেখিয়া সবে করিল উখান। বিধি বিষুর শিব বিন! কবিল প্রণাম || অনাদব দেখি শিলে দন্ট কাঁপে রোষে। জসভাজনে নিবেদয়ে গদ-গদ ভাষে ॥ রচিয়া মধুর পদে একপদী ছন্দ । শ্রীকবিকষ্কণ গীত গাইল মুকুন্দ ||
দক্ষের শিবনিন্দ! |
এ বড় দারুণ শোক এই শিব আমার জামাতা । চক্রপাণি- -বিধু|
চ্্রটউ-_মহাদেব। বিনোদশাল।- আনন্দের জীয়গ। | অবধান_-মনোৌযোগ ; প্রণিধান।
আমি আসি যন্ন্থান, না করে আমার মান, মোরে নত না করিল মাথা ॥
নারদে বলিব কি, তাব বাক্যে দিন বি, এমন ভাঙ্গড়মতি পাপে। ্
ত্রিভূুবানে এক ধন্যা, অপাত্রে দিলাম কন্যা, তনু শুকাইল অন্ুতাপে ॥
নাহি জানি আদি মূল, কিবাজাতি কিবা কুল, নাহি জানি কেবা মাতা পিতা ।
ভূষণ হাড়ের মালা, শ্মশান বিনোদশালা, হেন শুলী আমার জামাতা ॥
অঙ্গরাগ চিতা-ধুলি. কান্ধেতে ভাঙ্গের ঝুলি, বিষধর উত্তরী বসন।
শ্বশানে যাহার স্থান, কেবা তার করে মান, দেব বুদ্ধি করে কোন্ জন ॥
যক্ষ দানা প্রেতভৃত, বসতি যাহার ঘুথ, সহযোগে শয়ন ভোজন ।
হেন অমঙ্গল-ধাম,। কে রাখিল শিব নাম, দেব মাঝে কে করে গণন ॥
চাহিতে চাহিতে ভাল, কুল করিলাম কাল, বাম হৈল আমারে বিধাতা |
আমি ছার মন্দবুদ্ধি, অনলে ফেলিনু নিধি, সভামাঝে লাজে হেঁট মাথা ॥ সতীকন্ত। গুণনিধি, তারে বিড়ম্বিল বিধি,
পতি হৈল হেন দিগন্বর। ূ মনে নাঠি পরিতোষ, লোকে গায় ধশ্মদৌষ, অপযশে পুর্ণ দরিগন্তব ॥ শ্বশুর যেমন তাত, তারে না জুড়িল হাত, সভাতে করিল অপমান।
ত্রিলোকে যে অনুরাগ, ঘুচাব যজ্ঞের ভাগ, বেদপথে নহে অবধান ॥ মহামিশ্র জগন্নাথ, হৃদয় মিশ্রের তাত, কবিচন্দ্র-হৃদয় নন্দন । তাহার অনুজ ভাই, চন্তীর আদেশ পাই, বিরচিল শ্রীকবিকঙ্কণ || সদন--গৃহ | বিমান-যান। পূর্র্বপক্ষ--প্রম |
শিবস্থানে সতীর প্রার্থন| | ১১
দক্ষের প্রতি নন্দীর শাপ।
এমন শুনিয়া নন্দী দক্ষের বচন। কোপে কম্পমান তন্থ লোহিত লোচন ॥ দক্ষে শাপ দিতে নন্দী জল নিল হাতে। না হইবে দক্ষ তোর গতি মুক্তি-পথে ॥ মহাদেবে যেই মুখে বল কুবচন। অচিরাৎ হবে তোর ছাগল বদন ॥ পরস্পর ছুইজনে হবে প্রতিকূল । জামাতা শ্বশুরে যেন ভূজঙ্গ-নকুল ॥ জামাত শ্বশুরে ছন্দ হবে বহুকাল । দক্ষের হৃদয়ে শেল বাজিল বিশাল ॥ শঙ্কর বিমনা হয়ে চলিলা কৈলাসে। দক্ষ প্রজাপতি গেলা আপনার বাসে ॥ কতকালে দক্ষে ব্রহ্মা করিল! সম্মান। সকল পুজের মাঝে করিল! প্রধান ॥ ব্রাহ্মণের রাজা করি ধরাইল ছাতা । প্রসাদ দিলেন তাবে কনক পইতা! ॥ ব্রাহ্মণ পালি'ত তারে বৃদ্ধি দিল বিধি 1 এই হেতু কুল-শ্রেষ্ট হইল পালধি ॥ ব্রঙ্মাব প্রসাদে দক্ষ করে মহাদন্ত ॥ বৃহস্পতি আনি যজ্ঞ করিল আরন্ত । নিমন্ত্রণ দিল দক্ষ স্রর-নাগ-নরে | কহিল নারদ মুনি প্রতি ঘরে ঘরে ॥ বিধি বিষু শিব বিনা যত দেবগণ। বিমানে চড়িয়া আইলা দক্ষের সদন ॥ আকাশে শুনিয়া বিমানের কোলাহল | দক্ষের ছুহিতা সতী হইলা চঞ্চল ॥ লোক মুখে শুনিয়া দক্ষের যজ্ঞবর । নিবেদয়ে শঙ্করে জুড়িয়া ছুই কর ॥
দক্ষ প্রজাপতি নাথ, তোমাব শ্বশুব | তার যজ্ঞে তিন লোক চলিল প্রচুর ॥ তুমি আজ্ঞা দিলে আমি যাই পিতৃবাঁস। বাপের উৎসব দেখি বড় অভিলাষ ॥
শুনিয়া ঈষৎ হাসি বলেন শঙ্কব |
হেন বাক্য অনুচিত কি দিব উত্তর ॥ বিনা নিমন্্নে গেলে হবে মাথা-কাটা।। আমার প্রসঙ্গে সতি, পাবে বড় খোটা ॥ ভবানী বলেন, ফাব বাপের সদন |
ইাথে দোষ কিবা, কিবা লোকের গঞ্জন ॥ অভয়ার চরণে নজুক নিজ চিত। শ্রীকবিকম্কণ গান মধুব সঙ্গীত ॥
শিবস্থানে সতীব প্রার্থনা ।
অনুমতি দেহ হর, যাইব বাপের ঘর, যজ্ঞ-মভোঁৎসব দেখবারে।
ত্রিভূুবনে যত বৈসে, চলিল বাপের বাসে, তনয়া কেমনে প্রাণ ধরে ॥
চবণে ধরিয়। শাধি, কূপ! কর গুণনিধি, যাব পঞ্চ দিবসের তরে ।
চিরদিন আছে আশ, যাইব বাপের বাস, নিবেদন নাহি করি ভবে ॥
পৰ্বত কাননে বসি, নাহিক পাড়া পড়সী, সীনন্তে সিন্দুর দিতে সখা ।
একতিল কোথা যাই, জুড়াইতে নাহি ঠাই, বিধি মোবে কৈল জন্ম-ছুঃখী ॥
স্ুমঙ্গল সৃত্র করে, আইলাম তব ঘরে, পূর্ণ সে হইল বর্ষ সাত। দূর কর বিসধাদ, পুরাহ মনেব সাধ,
মায়ের রন্ধনে খাব ভাত ॥
পিতা মোর পুণ্যবান্, করিবে অনেক দান, কন্ঠাগণে দিবে ব্যবহার ।
আমি আগে পাব মান, আভবণ পরিধান, ভেদবুদ্ধি নাহিক পিভাব ॥
সতীর বচন শুনি, কহিলেন শুলপাণি শুন প্রিয়ে আমার বচন ।
উত্তরী-উড়ানি পালধি_--ংশের নাম বিং। মুক্তি-_সদগতি ; নির্বাণ, মোন, নিতাহুণ ইত্যাদি । উৎসস্-_-আনলজনক বার; ধুমধাম" খোঁটা_কৃতকার্ধ্যের উল্লেখ করিয়। তিরম্কীর ; লঙ্জ। দেওয। |
ু কবিকল্বণ চগ্তী।
বাপ-ঘরে যদি চল, তবে [না হইবে ভাল, অবশ্য হইবে বিড়ম্বন ॥
মহামিশ্র জগন্নাথ, হাদয় মিশ্রের তাত, কবিচন্দ্র-হৃদয়নন্নন |
তাহার অনুজ ভাই, চত্তীর আদেশ পাই, বিরচিল শ্রীকবিকঙ্কণ ॥
স্পা পপাসপ্পালও শি
সতীর দক্ষালয়ে গমন |
চলিবারে অন্ুমতি, দাক্ষায়ণী হেলা কোপবতী ।
আপনি স্বভাবে রামা, চলিল। ভ্রকুটিভীম।, একাকিনী বাপের বসতি ॥ হইয়া উন্মত্ব-বেশা, যান দেবী মুক্তকেশা,
না শুনিয়া শিবের বচন ।
হরের আদেশ পায়, পাছে পাছে নন্দী ধায়, বৃষভের করিয়া সাজন ॥
সারিক! কুম্তল পেড়ি, পাছু লয়ে যায় চেড়ী, কেহ লয় বিউনি দর্পণ ।
পুরিয়! সুগন্ধি বারি, কেহ লয়ে যায় ঝারি,
শ্বেত-ছত্র লয় কোনজন ॥
ধাইল অনেক সেনা, অঙ্গে প্রেত ভূত দানা,
নেকা জোকা ছুই সেনাপতি ।
আগে পাছে সেনা ধায়, রাঙ্গা ধুলি মাখে গায়,
দেখি হরষিত হেল সতী ॥
বৃষভ যোগান নন্দী, চাপিয়া চলেন চণ্তী,
শিরে ছত্র নন্দীরে ধরান। ন। জানি চলেন কত, চারিদণ্ডে কবিল প্রয়াণ ॥
পাইল! বাপের গ্রাম, শুনিয়। সতীর নাম, প্রস্ততি ধাইল,.বেগবতী।
কোলেতে লইলা সতী, প্রস্থৃতি পুলকবতী,
কৈল চণ্ডী মায়েরে প্রণতি 1.
পেড়ি- পেটিকা। চেডী-দাী। বিউনি--পাথ।। ঝারি_-গাড় | প্রয়াণ_গমন| সদন-_গৃহ (নিকট )।
দন্ঘ-পত্তী। টুটিল--কমিল। অঞ্জলি__জোড়হাত।
নাহি দিল পশুপতি,
তিন দিবসের পথ,
আনিয়া আপন ঘরে, রস্থতি দিলেন ভারে, পাগ্য-অধ্য বসিতে আসন।
যতেক ভগিনীগণ, সবে হরষিত মন, ঘরের কুশল জিজ্ঞাসেন ॥
জননী ভগিনী সঙ্গে, ক্ষণেক থাকিয়া রঙ্গে, যান দেবী যজ্ঞের সদন।
চণ্ডীর চরণ সেবি, রচিল মুকুন্দ কবি, চক্রবস্তী শ্রীকবিকঙ্কণ |
যজ্ঞস্থানে সতীব প্রবেশ এবং সতীর সহিত দর্ষেব কখোপকথন। দক্ষের চবণে সতী করিল প্রণতি । হেট মুখে আশীব করিল প্রজাপতি ॥ এযোৌতে যাউক কাল ঘুঢুক ছূর্গীতি । চিরজীবী হোক স্বামী সুস্থির স্থমতি ॥ ন। দেখিয়া যক্তস্থানে শিবের পুজন । কোপে কস্পমান তনু বাপে জিজ্ঞাসেন ॥ শুন বাপ। তোমাবে এ করি অভিমান । সতী বির প্রতি কেন টুটিল সম্মান ॥ ধন্ম আদি তোমা যতেক বন্ধুগণ | সবাকে আমিতে যজ্ছে দিলা নিমন্ত্রণ ॥ শিবে নিমন্ত্রণ নাহি কর কি কারণে। সম্পদে মাতিয়! বুঝি না দেখ নয়নে ॥ বক্ষ ধার সতত বায়ে পদ-ধুলি। আপনি কমলাপতি করেন অঞ্জলি ॥ অন্ত জামাতারে দিলা বস্ত্র অলঙ্কার । শিব প্রতি ভাল নহে তব ব্যবহার ॥ দারুণ দৈবের ফলে আমি তব ঝি। ন। করিলে ভাল কন্ম নিবেদিব কি ॥ এমত শুনিয়া দক্ষ সতীর বচন । নিন্দিয়া বলৈন শিনে শুন সর্বজন ॥| অভয়ার চরণে মজুক নিজচিত। শ্রীকবিকম্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
আ্ছতি_
দক্ষষজ্ঞ নাশে শিব-দূতের গমন । ১৩
দক্ষের শিবনিন্দা । কহিতে উচিত কথা, মনে প্লাছে পাও ব্যথা, য্বা ছিল ললাটে লিখন ৷ তোমার কর্মের গতি, স্বামী হৈল ছুর্মতি, তারে যজ্জে আনি কি কারণ ॥ আরোহণ বৃষবরে, শিঙ্গ ডন্বুব কবে, ভক্ষ্য যার ধুতুরার ফল। তাঙ্গে বড় অভিলাষ, তুজঙ্গ উত্তরী বাস, ফণী হার ফণীর কৃণ্ডল। পরিধান বাঘছাল, গলায় হাড়ের মাল, বিভূতি-ভূষিত যেই অঙ্গে । শ্বশানে যাহার স্থান, তারে কেবা কবে মান, প্রেত ভূত চলে যার সঙ্গে ॥ আরাধিয়া পশুপতি, পাইলে পশুর গতি, অহি সঙ্গে একত্র শয়ন । হর-শিবে শশিকলা, অহি সঙ্গে যার মেলা, বঞ্চিত ভূবনে ছুই জন॥ আমি ত ব্রহ্মার স্থত, ত্রিভুবনে সুবিদিত, মোর প্রতি তার ব্যবহার । ভৃগুর যজ্ঞের স্কানে, দেবগণ বিছ্যমানে, আমারে না করে নমস্কার ॥ শুন সতী মম বাণী, ইথে যদি শিবে আনি, , অবশ্য হইবে যজ্ঞ নাশ।
দেখিয়া শিবের গুণ, আর যত দেবগণ, নাহি করে একত্র নিবাঁস ॥ এমত দক্ষের কথা, শুনিয়৷ ভূবন-মাতা,
সতী কোপে কাপে থর থর। রচিয়া ত্রিপদী ছন্দ, পাঁচালী করিয়া বন্ধ, রচিল মুকুন্দ কবিবব ॥
ঙ
পর
॥ বিভৃতি-ছাই। অঙ্গজ--হঙ্গ হইতে উৎপন্ন। শিল্পিনী সরোজ-_ পদ্ম | মহামার-_ঘোঁর বিপদ ।
সপ চে ১ লা 7 পাটি পাপী ক উউিশ্রাউিলী সি উশ্রা বাজ
শিবনিন্দা শ্রবণে সতীর গ্রাণত্যাগ ।
শিব-নিন্দা শ্রবণে করিব প্রতিকার | তোমার অঙ্গজ তনু না রাখিব আর ॥ সমুদ্র মথনে ঘোর উঠিল গরল।
তিন লোক দহে যেন প্রলয়-অনল ॥ হেন বিষ পিয়া শিব রাখিল জগৎ ।". সম্পদেতে মুঢমতি না জান মহৎ ॥ পিনাক ধনুক যার অনস্ত শিপ্জিনী | আপনি হইল! শর যাহে চক্রপাণি ॥ লোক-বিপু ত্রিপুর দাহন কৈল হর। হেন জনে কি কারণে বল কট,স্তর ॥ চরণের নিছনিফুল, চরণের রজ।
ছুল্লভ মানিয়! বীর আশা করে অজ ॥ যত দেবগণ তারে করয়ে পুজন | তোমা বিনা দ্বেষভাব করে কোন জন ॥ গুরুজন নিন্দা নাহি করিব শ্রবণ ।
যেই নিন্দা করে তারি করিব শাসন ॥ সেই স্থান ছাড়ি কিন্ব! যাই অন্য স্থান। পাপ প্রতিকার হেতু ত্যজিব পরাণ ॥ হদয়-সরোজে চিস্তি শিবের চরণ ।
দৃঢ় করি ভগবতী পরিলা বসন ।॥ যৌগেতে ছাড়িল। তনু জগতের মাতা । মুকুন্দ বচিল গীত গৌরী-গুণ-গাথা ॥
তত
দক্ষযজ্ঞ নাশে শিব-দূতের গমন।
দক্ষযজ্ঞে রোষে সতী ত্যজিল। জীবন । যজ্ঞ নাশ করিতে ধাইল দানাগণ ॥ আগে নন্দী ধায়ছুই দিকে নেকা জোকা। শত শত দানা ধায় নাহি তার লেখা ॥ দেব নাগ নরে সব করে হাহাকার । সবে বলে দক্ষ-যজ্ঞে হৈল মহামার ॥
ছিল! | চক্রপাণি--বি। অঙ্গ রক্ষা) নিহনিস্-সজ্জ। |
কবিকক্কণ চণ্ডী
যতেক অমরগণ করে কোলাহল । যোগবলে সতী-অঙ্গে উঠিল অনল ॥ বিপক্ষ নাশিতে ভৃগু দ্িলেন আহুতি। কুণ্ড হৈতে উঠিল অনেক সেনাপতি ॥ রথ তুরঙ্গমপতি উঠিল কু্জর | খরশরে দানাগণে করিল জঙ্জর ॥ ভঙ্গ দিয়া দানাগণ পলায় সমরে । বুষভ লইয়া নন্দী চলিল সত্বরে ॥ শিবের কিস্কর সবে পলায় তরাসে। ধাওয়াধায়ি উপস্থিত হইল কৈলাসে ॥ অশ্রুমুখে বার্তা কহে নন্দী মহেশ্বরে। লোটায়ে কান্দয়ে রুদ্র মহীর উপবে ॥ সতি সতি করিয়া আকুল শুলপাণি। ত্রিজগৎ-নাথ হৈয়। লোটায় ধরণী ॥ ছিড়িয়া ফেলিল কোপে মহীতলে জট বীরভদ্র হৈল তাহে সঙ্গে বীরঘট। ॥ তিন স্ুধ্য জিনি তার তিনটা লোচন। মাথার মুকুট গিয়া ঠেকিল গগন ॥ শূল হস্তে কৃতাঞ্জলি রহিল সম্মুখে । নয়নে নিকলে অগ্নি ঝলকে ঝলকে ॥ প্রণাম করিয়া বীর করে নিবেদন । কি কাধ্য করিব প্রভু করহ জ্ঞাপন ॥ স্বর্গ উলটিব কিম্বা পাতাল ছেদিব। সমুদ্র শোষিব কিন্বা পৃথিবী তুলিব ॥ আজ্ঞা দিল! শিব তারে যজ্ঞ নাশিবারে। বিশেষ কহিল! হর বধিতে দক্ষেরে ॥ আজ্ঞা পা"য়া বীরভদ্র চলে শীঘ্রগতি । নন্দী আদি চলিল যতেক সেনাপতি ॥ সঙ্গে প্রেত ভূত চলে যোল কোটি দানা । দামামা দগড় বাজে বিয়াল্িশ বাজনা ॥ দক্ষ-যজ্ঞ-স্থানে গিয়া দিল দরশন | যজ্জ-কুণ্ড ভাঙ্গিতে লাগিল দানাগণ ॥ প্রাণভয়ে দ্বিজগণ দেখায় পইতা৷। প্রাণেতে,ন! মারি দেয় বহুতর ব্যথা ॥ আছুতি -হোম ; দেবোদ্দেশে মন্ত্রপাঠ পূর্বক অগ্নিতে ঘৃতদান ।
হোত। -হোমকারা। ক্রব--কার্ঠনিশ্মিভ ঘ্বত-ক্ষেপণ পাত্র । মুকুটি_কিল। কাকড়ি_কীকুড়। ফড়া প1।
অভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত । শ্বীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
দক্ষযজ্ঞ ধ্বংস।
প্রবেশিল বীরভদ্র যজ্ঞ নাশিবারে | দক্ষের নিজ পুব, ভাঙ্গিয়া করে চুর, কেহ নিবারিতে নারে ॥ ব্রাহ্মণে ধরিয়া, পুঁথি লয় কাড়িয়া, ডোর দিয়! ভূজ বান্ধে। ব্রাহ্মণে না মার, ব্রাহ্মণে না মার, পেতা দেখাইয়া কান্দে ॥
বেগে হোতা ধায়, দাঁনা ধরি তায়, পাড়িয়া উপাড়ে দাড়ি। ভাঙ্গিল দশন, ছিডিল বসন, আগবের মাবিয়া বাড়ি ॥ দক্ষের আগুদল, ধাইল গজবল, লোহাব মুদগব শুণ্ডে। রুধষিল বীরবর, করিল জর জর, মুকটি মারিয়া মুণ্ডে ॥ | করিবর শুপ্ডে, ধরিয়া মুণ্ডে, মুকুটি মারি দিল টান। ছি'ড়িল শুণ্, ভাঙ্গিল মুগ, কাকড়ি মত খানে খান ॥ ধরিয়া বারণে, তুরঙ্গ চরণে, মাথ! তুলি দিল নাড়া । অঙ্গ ছি'ড়িল, তুরঙ্গ পড়িল, হাতেতে রহিল ফড়া ॥ উভ করি পাণি, নাচে বীবমণি, করিবব গাঁখি শুলে। রুধিরেব পানা, পিয়ে যত দানা, নাচে কত কুতৃহলে ৷ হইয়া বিচেতা, ধাইল প্রাচেতা, বীরবর ধরিয়। বান্ধে। কু যঞ্জধাত। কুপ্রর-হাতী। নিকলে-_বাহির হয়
38187151775 2581 চাঠপক্ষি্রর প্রতি ব্রক্গার স্তব। ১৫ ধর্মরাজ পলাইতে মহিষ উপরে ।
ব্রাঙ্ষণের জিউ,রাখ, ত্রাঙ্গ্ীর জিউ রাখ, বলিয়া প্রচেতা কান্দে ॥
দক্ষের সেনাবর, বুরিষে ঘন শর, মেঘে যেন পানী পসালা ।
ঠেকি দানা গায়, উড়িয়া যায়, পুষ্পের যেমত মালা! ॥
ভূগুর লোচন, করিল মোচন, প্রহাবে ভাঙ্গিল দন্ত ।
স্র্য্যের ঘোড়া, ছি'ড়িল দড়া, দিগের না পায় অন্ত ॥
সঙ্গে বীর ঘটা, ধাইল নেঙ্গটা, মৃতয়ে যজ্ঞের কুণ্ডে।
কপাট ভাঙ্গিয়া, ভাণ্ডার লুটিয়া, ঘ্বত মধু ঢালে তুণ্ডে ॥
বীরবব লন্ষে, বস্থনতী কম্পে, অষ্ট-কুলাচল ফিবে।
কণিগণ ছাড়িল, মণিগণ পড়িল, ফ্রণিপতি মাথা ঘোরে ॥
দক্ষের কাটি শির, অনলে মহাবীর, ফেলিল যজ্দের কুণ্ডে।
মুকুন্দ নিবেদন, শুন হে সতাজন, মহেশ-নিন্দার দণ্ডে ॥
পাস পিপি
বীবভদ্রের ঠকলাসে গমন । পলায় সকল দেব বীরের তরাসে। কেশ নাহি বান্ধে কেহ ছাড়য়ে নিশ্বাসে ॥ পলায় ত্রিদশপতি গজেন্দ্র গমনে । কাতর হইয়া বলে বীরের চরণে ॥ নাকে মুখে রক্ত পড়ে সৃধ্য ধায় রথে । পলাইতে ঠেকি গেল বীরভদ্র-হাতে ॥ দন্ত ভাঙ্গি গেল বীর তোমার প্রহারে । শিবের কিন্কর আমি না মারিহ মোরে ॥
ঠেকিয়া বীরের হাতে পড়িল ফাপরে ॥ পরাণে কাতর যম পড়িল ভূমিতে শিবের কিন্কর বলি কুটা নিল দাতে ॥ দক্ষযজ্ঞ নাশি,.বীর গমনে উল্লাস।
দণ্ড মাত্রে বীরভদ্র পাইল কৈলাস ॥ _ সঙ্গে ষোল কোটি চলে প্রেত ভূত দানা ।' দামাম! দগড় বাজে ব্যাল্লিশ বাজনা ॥ প্রণাম করিয়া শিবে করে নিবেদন । প্রসাদ করিলা হর দিয়া আলিঙ্গন ॥ এমন দক্ষের মখ শুনি বিনাশন | তপস্ায় মন দিল! দেব পঞ্চানন ॥ দেবীর বিরহে হর ছাড়িয়া কৈলাস। ভিমগিরি যান হর হইয়। উদাস ॥
তথা! উপনীত হৈলা মরালবাহন । কবজোড়ে কহিলেন বিনয় বচন ॥ অভয়ার চরণে মজুক নিজ টিত। শ্রীকবিকষ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
শিবের প্রতি ব্রহ্মার স্তব।
তুমি দেব নিরঞ্জন, তুমি অহঙ্কার মন, তুমি দেব পুরুষ-প্রধান।
সব তব অধিকার, পরম কৈবল্যাধার, তুমি ব্রহ্ম তুমি দিব্য জ্ঞান
স্থাবর জঙ্গমময়, তোমা ভিন্ন কিছু নয়, ভাবিয়া বুঝিন্ু তুমি এক।
এক বই নহে অন্য, ঘটে ঘটে দেখে ভিন্ন, হুষ্টমতি দেখয়ে অনেক ॥
তুমি ধন্ম নিরাকার, তুমি সংসারের সার, শুন গঙ্গাধর শুলপাণে। ত্যজহ সকল রোষ, আমি কৈন্থু সব দোষ,
অকালে প্রলয় কর কেনে ॥
উথড়িক্।-_ঠিগুরিয়। | মুতয়ে_প্রস্থাব করে| তুণ্ডে_ মুখে | অষ্ট*কুলাঁচাল-_মহেল্প, মলয়' সা, শুক্তিমান, ক্ষ, বিক্ধ্য
পারিষাত্র ও হিমালয় । কৈবল্য_মুক্তি | স্থাবর--জড় ; স্থিতিশীল ।
জঙ্গম--গতিশীল। প্রলয়... কল্পাসত |
১৬ কৰিক্ণ চণী।
অনাদি অনস্ত শিব, তুমি ৃদ্ধিময় জীব, আপনারে স্থজিলে আপনি । গগন পবন জল, তেজ বস্থুমতী স্থল,
চারি বেদে তোমারে পাখানি ॥
স্থজিয়ী অমর নর, করিল! আপন পর, মহা অন্ধকারে দিল! মেলা ।
ভাঙ্গিয়া গ্লড়িয়া দেখ, গড়িয়া ভাঙ্গিয়া রাখ, বালকে যেমন করে খেলা?
তোমার মহত্ব যত, যগ্ঠপি বৎসর শত, তবু কেন বলিতে ন! পারে।
অতি মূঢ় হতজ্ঞানে, দক্ষ তোমা কিনা জানে, না জানিয়। মৈল অহস্কারে ॥
করপুটে মাগি বব, জীয়াও অমর নর, বারেক দক্ষেরে কর দয়া । শঙ্কর, স্বর রাগ, ভূঙ্গীহ যজ্জের ভাগ,
উপজিবে দেবী মহামায়া ।
ওনিষ। ব্রহ্মার বাণী, বলে দেব শুলপাণি, তোমার বচনে হেনু স্থুখী।
জীবেক অমর নর, সেই দক্ষ প্রজেশ্বর, উপজীবে দেবী চন্দ্রমুখী ॥
মহামিশ্র জগন্নাথ, কবিচন্দ্র-হৃদয়-নন্দন |
তাহার অনুজ ভাই, চণ্তীর আদেশ পাই, বিরচিল শ্ীকবিকঙ্কণ ।
দক্ষের জীবন লাভ ও গৌরীর জন্ম ।
ব্রহ্মার স্তবনে শিব পেয়ে মহাস্ুখ | কহিতে লাগিল! ধীরে যত মনোছুঃখ ॥ তুমি কি নাজান ব্রহ্মা দক্ষের চরিত। যত অহঙ্কার কৈল তোমার বিদিত .॥ বারে বারে সহিলাম তব মুখ লাজে। ন! দিল যজ্ধকের ভাগ দেবতা সমাজে ॥
হৃদয় মিশরের তাত,
শ পি পনি - ৯ পাছি পাদ
বাপ ঘর বলিয়া জা গেল সতী। | পাচ্য অর্থ্য নাহি দিল পাপিষ্ঠ ছুন্মতি ॥ যজ্ঞ-ভাগ নাহি দিল বসিতে আসন। সেই অভিমানে সতী ছাড়িল জীবন ॥ মনস্তাপ পাইলাম সতীব মরণে । ্ষমিব সকল দোষ তোমার কারণে ॥ এতেক বলিয়া আশুতোষ ত্রিলোচন | চলিল ব্রহ্মার সঙ্গে দক্ষের সদন ॥ জীয়াবারে দক্ষেরে চলিল দিগন্বর | নন্দী আদি যোগায় বাহন বুষবর ॥ চারি পায়ে বান্ধিল ঘাঘর উরুমাল। পালান ভিড়িয়! বান্ধে কেদো বাধছাল ॥ বাঘছাল পৃষ্টে শিব বৃঘবরে সাজে। মেঘের পশ্চাতে যেন এরাবত গজে ॥ রষ'পরে চাপিয়! চলিল ত্রিপুরারি । হিমালয় শিখরেতে যেমন কেশরী ॥ বাস্ুকি সহস্র ফণা শিরে ছত্র ধরে । অন্তরীক্ষে দেবগণ মঙ্গল উচ্চারে ॥ ডাহিনে চলিল নন্দী বামে মহাকাল। আগে পাছে দানা ধায় প্রথমে বেত্বাল ॥ দক্ষের সদনে গিয়া দিল দরশন। প্রসন্ন-ব্দন শিব মুক্তির কারণ ॥
পুরীখান দেখিয়া অঙ্গার অস্থিময়। অন্তরে হইল শিব পরম সদয় ॥
হাতে জপমালা প্রভূ বসিলা আসনে । প্রাণ-সঞ্চারিণী বিদ্যা জপে মনে মনে ॥ যার যেই হস্ত পদ লাগে সঞ্চে সঞ্চ। গাত্রে উপজিল মাংস হইল লোমাঞ্চ । দক্ষে জীয়াবারে হর করে অন্ুবন্ধ ।
মুণ্ড বিনা নাচিয়! বেড়ায় কাটা স্বন্ধ । ক্ষণে উঠে ক্ষণে বসে ক্ষণে ধায় রড়ে। আশে পাশে 'ঠেকিয়া সে ঘুরে ঘুরে পড়ে ॥ দক্ষের ছুর্গতি দেখি সর্ধদেব হাসে । করপুটে বলে ব্রহ্মা শঙ্করের পাশে ॥
বাখানি__প্রশূস। করে। মেলা অনেক (অমর, নর, জল, স্থল ইত্যার্দি)। উপজিবে_ জন্মিবে। উপজীবে-_-বীচিবে ঘাঘর-_ঘুঙর। উরুমাল স্পরামীল 1 পালান-_পণ্ুপুণ্টে বসিবার আসন । ভিড়িয়।_লাগাইয। | অন্গুবন্ধ-_ উপক্রম । সঞ্চে নধ*-_-এক একটু ক।রয়! | রড়ৌই বেগে।
গৌরীর রূপ বর্ণনা । ১৭
তোমার শ্বশুর দক্ষ হয় গুরুজন । দোষ ক্ষম; কেন প্রত কর বিড়ম্বন || নাহিক শ্রবণ প্রভু নাহি ক্লাণ চোক। বিনা মুণ্ডে জীবন, শরীরে কিবা সুখ ॥ ব্রহ্মার বচন শুনি বলে চন্দ্রচুড়।
দক্ষের স্কন্ধেতে জোড়' ছাগলের মুড় ॥ পূর্বে শাপ দিল নন্দী দেবত। সভায়। দক্ষের ছাগল মুণ্ড খগুন না যায় ॥ নন্দীর বচন কভূ না হইবে আন ।
আর কিছু না বলিহ কবি সাবধান ॥ কাটা ছাগলের মুণ্ড ছিল যজ্ঞ ঘরে । লাগিল দক্ষেব স্বন্ধে শঙ্করের বরে ॥ সেই অধিকার দিল দক্ষেরে সম্মান । দেবগণে উঠি যায় যাব যেই স্থান | ভৃগু গর্গ পরাশব আদি মুনিগণ ।
গন্ধ পুষ্প দিয়া করে শিবের অর্চন ॥ আকাশে ছুন্দুভি বাজে পুষ্প বরিষণ। রতুময় পুরী তার হইল তখন ॥
যতেক অদিতি দিতি আদি দেবীগণ । সবারে দিলেন বর অক্ষয় যৌবন ॥
বর দিলা দক্ষে শিব পাও যজ্জ-কফল। স্থাপিলা যজ্ঞের ভাগ দক্ষের সকল ॥ রুদ্র-ভাগ না দিয় যে জন যজ্ঞ করে। পিশাচ বেতাল আদি তার যজ্ঞ হরে || দেব দৈত্য গন্ধর্ধব কিন্নর বিদ্যাধর | স্তুতি করে শঙ্করে করিয়া জোড়কর ॥| ব্রন্ধ! বিষণ ছুইজনে হয়ে একচিত। বলিতে লাগিল সবে শঙ্করের হিত ॥ এই যজ্ঞে সতী দেকী ছাড়িল শরীর । তাহা বিনা সব্রদেব হইল অস্থির || শুনিয়া হাসিল প্রভু দেব ত্রিলোচন । আকাশে প্রকাশে যেন চন্দ্রের কিরণ ॥ ততক্ষণে উপজিল অন্তরীক্ষে বাণী । হেমস্তের ঘরে জন্ম লভিলা ভবানী ॥
এই মতে দক্ষযজ্ঞ বিনাশি অভয় । পুণ্যবান্ দেখি হিমালয়ে কৈলা দয়া ॥ লোক শুভহেতু সেই হেল শুভ দিন। হিমালয়ে জন্ম মাতা লইলা যে দিন ॥ তুষার-শিখুরী ভাগ্য নিবেদিব কি। ভূবন-জননী হৈল! হিমালয়ের ঝি ॥ মেনকার পুণ্য কিবা করিব গণন । যাহার উদরে চণ্ডী লইল। জনম ॥ মৈনাক যাহার ভাই ভূবনসুন্দর |
যার পক্ষ কাটিতে নারিল পুরন্দর ॥ পর্বতরাজাব ছিল যত কুলাচার । ওদন-প্রাশন আদি করিল তাহার ॥ করিল শ্রবণবেধ পঞ্চম বরষে । শোভাতে বাড়েন চণ্ডী দিবসে দিবসে ॥ নিবিষ্ট করিয়। মন শিবের চবণে। অন্বিকামঙগল কবিকঙ্কণেতে ভণে ॥
গৌরীর রূপ বণন| |
ত্রিভুবন-জন-ধাত্রী, পর্ববত-ভূপাল-পুত্রী, হিমালয়ে বাডেন চণ্তিকা।
অন্য বেশ দিনে দিনে, শৌভে অলঙ্কার বিনে, দেখি সুখী হইল মেনকা ॥
উরুযুগ করিকর, নাভি সুগভীর সর, ছুই ভূজ মৃণাল-সঙ্কাশ ।
বিমল অঙ্গের আভা, নান। অলঙ্কার শোভা, অন্ধকার করয়ে বিনাশ ||
অধর বন্ধুক বন্ধু, বদন শারদ ইনু, খঞ্জন গঞ্জন বিলোচন ।
প্রভাতে ভাহ্ুর ছটা, ললাটে সিন্ুর-ফেঁটা', তনু-রুচি ভূবনমোহন ॥|
নাসায় দোলয়ে মতি, হারায় জড়িত তথি, বদন-কমলে ভাল সাজে ।
যেডাল--শিবের অনুচর | তুধার-শিথরী-হিমালয়। ওদন-প্রাখন-__অস্ন প্রাশন | শ্রবণবেধ _কর্ণবেধ | পর্ববভ-তুপাল-পুত্র *্পর্বতরাজের কনা! | সঙ্কাশ-_তুল্য। বন্ধুক-বন্ধু__ছৃষ্য| বিলোচন- চকু ।
১৮ কবিকষ্কণ চণ্তী |
তুলনা ষেদিতে নারি, তাহে অতি মনোহারী,, যেন স্বুধাকর তারা মাঝে ॥
গৌরীর বদন-শোভা, লখিতে না! পারি কিবা দিনে চক্র নাহি দেয় দেখা ।
য্লানচান্দ এই শোকে, না বিচারি সর্বলোকে, মিছে বলে কলঙ্কের রেখা ||
গোঁরীর দশন-রুচি, দেখিয়া দাড়িস্ব-বীচি,
| মলিন হইল লঙ্জাভরে ।
হেন বুঝি অনুমানের এই শোক করি মনে
পরুতায় দাড়িম্ব বিদরে ॥
শ্রবণ উপর দেশে, হেম-মুকুলিকা ভাসে, কুটিল কুঞ্চিত কেশপাশ।
আধাটিয়। মেঘ মাঝে, যেমন বি্যৎ সাজে, পরিহরি চপলত। দোষ ॥
স্থলতা উদরে ছিল, বলে তা! লুঠিয়। নিল, উরঃস্থল জঘন ছুজন |
চরণ চঞ্চল-ভাব, লোচন করিল লাভ, নব নপ আসিতে যৌবন |
দেখিয়া গৌরীর রূপ, চিন্তিত পর্ধত-ৃপ, কারে দিব এ কন্যা রতন ।
উমাঁপদে হিতচিত, রচিল নৃতন গীত; চক্রবস্তী শ্রীকবিকঙ্কণ ||
হিযালয়ের চিন্ত। |
রূপবতী হৈমবতী, মেনকা হরিষ-মতি হিমালয় চিস্তিত-অভ্তর |
' কুল শীল রূপবান, নিরুপম স্ব-সমান, কোথা পাব কন্তা-যোগ্য বর ॥
অকুলীনে দিলে ন্থৃতা, লাজে হবে হেঁট মাথা, বংশে বহু থাকিবে গঞ্জন।
মনে হবে অসস্তোষ, লোকে গা'বে অপযশ, বড় পুণ্যে পাই কুল-জন ॥
হৃধাকর্পচন্্র। লঙখিতে-দেখিতে। হেম-মুকুলিকা-_ন্বর্ণনিশ্থিত পুষ্পকলিক। | সন | নিরাকুলস্-নিশ্চ্ত | হেমস্ত"হিমালয়। অঞ্জলি--জৌড়হাত।
বিদ্যা-নিবেশিত-মন যদি পাই কুল-জন, সদাচারী বিনয়-ভূষিত।
সকল লোকের মাঝে, যোগ্য বর সেই সাজে, করিদস্ত কনকে জড়িত ॥
মেলি যত বন্ধুজন, দশ দিকে দেও মন, যথা পাও অমলিন কুল ।
তারে মমপিব কন্া, ত্রিভূবনে এক ধন্যা, কবে আমি হব নিরাকুল ॥
বন্ধুজন সঙ্গে করি, বিচার করেন গিরি, সভায় বসিয়া দিনে দিনে ।
ভাবিতে এমত কালে, শ্রীনারদ কুতৃহলে, আগমন করিল সেখানে ॥
পাদ্য-অর্থ্বআচমন, দিয়া রতু-সিংহাসন, নিবেদয়ে করিয়া অঞ্জলি ।
ভাবিয়া চণ্ডিকা পায়, শ্রীকবিকক্কণ গায়, ব্রাহ্মণভূপতি কুতৃহলী ॥।
হিমালয়ের প্রতি নারদের উপদ্ধেশ।
কৃতাঞ্জলি মুনিবরে জিজ্ঞাসেন গিরি । কোন বরে বিভ1 দিব মোর কন্া গৌরী ॥ হেমস্তের কথ শুনি বলেন নারদ ।
গৌরী হৈতে বাড়িবেক তোমার সম্পদ ॥ অচিরাতে হবে গৌরী হরের গৃহিণী ।' অদ্ধ অঙ্গ দিবে হর গৌরীকে আপনি ॥ এই উপদেশ কহি গেল নিজ বাস। ত্যজিল হেমস্ত অন্যবর-অভিলাষ ॥
এমত সময় শিব তপস্যা কারণে ।
গঙ্গার নিকটে গেল! হিমালয়-বনে ॥
. দেখি আনন্দিত বড় হৈল হিমালয় । অঞ্জলি করিয়া 'নিবেদয়ে সবিনয় ॥ আমার আশ্রম আজি হল পুণ্যশালী । সংযোগ হইল যাহে তব পদ-ধূলি ॥
বিদা!-নিবেশিতমন-_ বিষ্যাচ্চায় নিযুক্ত
[খু
1% শু ১ 5 চব 0 রি 11১) টি চে ডি ডি [ডা 19 হি. 1৮ ) 1 ৮ | ছি ৬ ৮৮ 1 /00 সিল ১ চর ৬ ৬ ডি. রত তি শখ উঃ
, শুনি কত
৮ শশী
দন তিল
পরাজয় - পরাজি5| আ্রতি--নিবেদন। অজিন- মৃগচন্্ব | সম্মোহন-_মুগ্গকয়ণ
রতির খেদ।
আমার কামনা নাথ করহ সফল । মম কন্া নিত্য দিবে কুশ-পুষ্পন্জল ॥ হেমন্তের বচন শুনিয়া পশ্ুপতি | গৌরীকে করিতে সেবা দিলা অনুমতি ॥ নানা উপহারে গৌরী পূজেন শঙ্করে। হেনকালে দেত্য-তয় হৈল সুরপুরে ॥
কামদের ভম্ম।
'দিত্য-রণে দেবরাজ হৈলা পরাজয় । দেবগণ মিলি গেলা ব্রহ্মার আলয় ॥ তাবকের ভয় ইন্দ্র করিল গোচব। ধ্যানেতে জানিয়া ব্রহ্মা দিলেন উত্তব ॥ মহেশের পুজ্র হবে নামে ষড়ানন। তার যুদ্ধে হইবেক তারক-নিধন ॥ আমার বচন শুন যত দেবগণ |
সবে মিলি শিবের বিবাহে দেহ মন ॥ ব্রহ্মার বচনে ইজ হেট কৈল মাথা । বুঝিয়। ইন্দ্রের মন বলেন বিধাতা ॥ অযোধ্যা নগরে আছে নুপতি মান্ধাতা । স্র্যাসম পরাক্রমে, কর্ণ সম দাতা ॥ তাহার তনয় বীর নামে মুটুকুন্দ। পাইলে সংগ্রাম তার বাড়য়ে আনন্দ ॥ মুচুকুন্দে ডাকি আনি দেহ রাজ্যভার । যাবৎ না হয় কাত্তিকের অবতার ॥ ব্রহ্মার আজ্ঞায় ইন্দ্র পরম আনন্দে । রাজ্যতার সমপিল রাজ। মুচুকুন্দে ॥ মুচুকুন্দ তারকের দিবানিশি রণ। কামদেবে পাণ দিতে ইন্দ্র আদেশন ॥ দেবগণ লয়ে যুক্তি করি স্থরপতি। কামদেবে পাণ দিয়ার্দলেন আরতি ॥ মহেশের পুজ হবে নামে ষড়ানন। তাহার সমরে হবে তারক-নিধন ॥
পড়িয়া! চরণতলে,
১৩
চল চল মদন চলহ হিমগিরি |
তপস্তা করেন যথা দেব ত্রিপুরারি ॥ আছেন অভয়! তার হয়ে অনুচরী | তোম! হৈতে শিব যেন হন কামচারী ॥ ইন্দ্রের অজ্ঞায় কাম হয়ে ত্বরাষুত। সঙ্গে নিল সহচর বসম্তভ-মারুত ॥ ফুলময় ধনু নিল ফুল-পঞ্চবাণ | মধুকর কোকিল করয়ে কলগান ॥ প্রণাম করিয়। ইন্দ্রে চলিলা মদন । দণ্ডমানত্রে গেল৷ বীর যথা পঞ্চানন ॥ ধেয়ানে আছেন শিব অজিন-আসান । ঝারি হাতে আছে গৌরী তাব সন্নিধানে॥ সম্মোহন বাঁণ বীর পুরিল সত্বরে। ঈষৎ চঞ্চল হর হইল অন্তরে ॥
ধ্যান ভঙ্গ হয়ে শিব চারি দিকে চান । সম্মুখে দেখেন চাপ ধরি পঞ্চবাণ ॥ কোপন-দুষ্টে মহেশের বরিষে দহন । দেখিতে দেখিতে ভম্ম হইল মদন ॥ তপোভঙ্গ হেলে শিব গেলা অগ্যস্থান। পর্ববত-নন্রিনী গেলা পিতৃ-সন্গিধান ॥ অভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত। শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
রৃতির খেদ।
কামকান্তা কান্দে রতি. কোলে করি মৃত পতি,
ধুলায় ধূসর কলেবর।
লোটায়ে কুন্তলভার, ত্যজে নান! অলঙ্কার,
সঘনে ডাকয়ে প্রাণেশ্বর ॥ রতি সকরুণে বলে, প্রাণনাথ কর অবধান।
তিলেকে দারুণ হয়ে, পাসরিলে প্রাণপ্রিয়ে,
দুর কৈলে সোহাগ সম্মন ॥
বড়'নন-_কার্তিক। অবতার--উৎপত্তি; প্রাছুর্ভাব। পাণ দিতে নিমন্ত্রণ করিতে , ইহ। পূর্ব গ্রথা। পঞ্চবাণ--মদন | দহন--মগ্সি। অবধান_-সনোযোগ।
রঃ কবিকম্কণ চতী।
চাহিয়া উত্তর দেহ,
রতিরে সংহতি লহ উমাপদে হিতচিত, রচিল নূতন গীত, পাসবিলে পুরব গীরিতি। পরিতুষ্টা যাহারে ভবানী ॥ | ভুমি নাথ যাবে যথা, আমি আগে যাব তথা, ০. তবে কেন হেল বিপরীতি ॥
মোর পর্মায়ু লয়ে, চিরকাল থাক জীয়ে,
রি আমি 'মরি তোমার বদলে ।
যে গতি পাহইিবে তুমি, সে গতি পাইব আমি, রহিব তোমার পদতলে ॥
শঙ্করে মারিতে বাণ, ইন্দ্রের লইলা পাণ, রতিরে করিতে অনাথিনী।
দিয়! নিদারুণ শোক, গেলা প্রভূ পরলোক, মোঁব তাবে পোহাঁল রজনী ॥
ভুবনে সুন্দর-তন্ত, তোমার কুন্ুমধ্ত, সম্মোহভন আদি পঞ্চবাণ। লোটায় ধরণীতলে, মম পাপ-কন্মফলে,
স্ুকঠিন বিধাতাব প্রাণ ॥
এই হর-কোপানলে, তোমাঁরে দহিল বলে, না বধিল রতির জীবন ।
তোমাবিনে প্রাণপতি, তিলেক নাজীয়ে রতি, এই বড় রহিল গঞ্জন ॥
দেহ যোগ নহে সত্য, কেবল মরণ নিত্য, সর্বলোকে এই কথা জানে।
যৌবনে মরণ-কাল, হৃদয়ে রহিল শাল, নাহি মানে প্রবোধ পরাণে ॥
কুল শীল রূপগুণ, জীবন যৌবন ধন, বিধবার সকলি বিফল ।
বসন্ত প্রভুর সখা, মোরে আসি দেহ দেখা, কুণ্ড কাটি জ্বালাও অনল ॥
স্বন্দর সিন্দুব ভালে, চিরুণী কুম্তলজালে, সঘনে নাডয়ে আমডাল।
সঘনে হুলুই পড়ে, রতি চত্রর্দোলে চড়ে, ইন্দ্রের ছদয়ে বাজে শাল ॥
অনুমূতা হবে রতি, হেনকালে সরম্বতী, আকাশে কহিল! হিতবাণী।
বিএ প্রতি দৈববাণী।
হিত উপদেশ বলি শুন দেবী রতি | আমার বচন তুমি কর অবগতি ॥ অনলে পোড়ায়ে নষ্ট না করিহ তনু । অবিলম্বে পাবে তুমি স্বামী ফুলধনু ॥ কিছুকাল থাক গিয়া সম্বরের ঘরে। তথায় তোমার পতি মিলিবে সত্বরে ॥ আপনার নাম তুমি না বলিও রতি। আজি হৈতে নাম তুমি ধর মায়াবতী ॥ রন্ধনশালার তুমি হবে অধিকারী । তনয়া বলিবে তোমা সম্বরের নারী ॥ বলবৃত্তি তোমারে করিবে যেইজন। সেইক্ষণে হবে তার অবশ্য মরণ ॥
যবে যছুকুলে হরি হবে অবতার । হরিবে অসুর বধি অবনীর ভার ॥
কংস আদি অস্তুরের করিয়া বিনাশ | অবনীর ভার প্রভু করিবেন হাস ॥ রুঝ্সিণী বিবাহ হরি করিবে প্রথম । তার গর্ভে হবে কামদেবের জনম ॥. সন্বর পাইয়া নারদের উপদেশ । তাহার স্ৃতিকাগারে করিবে প্রবেশ ॥ চুরি করি লয়ে যাবে কৃষ্ণের নন্দনে । সমুদ্রে ফেলিয়া যাবে আপন ভবনে ॥ বিশাল বোদালি তাকে করিবেক গ্রাস। কৃষ্ণের নন্দন তবু না হবে বিনাশ ॥ বোদাঁলি হইবে বন্দী ধীবরের জালে । তোমারে মিলিবে ভেট রন্ধনের শালে ॥ বোদালি কুটিতে তুমি পাবে নিজ স্বামী। সকল বিশেব কথা বলিলাম আমি ॥
মংহতি - সঙ্গে । গতি- অবস্থা, উপায়। পরলোক-_লোকান্তর । গঞ্জন-_-অবমানন। । গ্লানি; যাতনা । নিত্য--নিশ্চিত | শাল_ শুল। কুণ্ড_গর্ভ। অনুমৃতা--সহমৃতা। সৃতিকাগার-আঁতুড় ঘর। বোদালি_-বোপ্সাল মাছ। তেট-_সাক্ষাৎ।
গোৌরীকে শিবের ছলনা | ০
কোলে কাধে করি তারে করিও পালন | অতি অল্পনকালে সেই পাইবে যৌবন ॥ যদি মাতা বলি তোরে করে "সম্ভাষণ । "সেই কালে আচ্ছাদিত করিও শ্রবণ॥ তার বিদ্ভমানে তারে দিও পরিচয় । সশ্বর বধিয়া যেন যান নিজালয় || সরস্বতী চরণেতে করিয়া প্রণাম ।
ত্বরায় চলিল রতি সন্বরের ধাঁম ॥ অভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত। শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
সী পিন আপস
গৌবীব তপস্যা |
তপস্কা করেন গৌরী হর-পদ-আশে। আহার টুটান দেবী দিবসে দিবসে ॥ একদিন উপবাস দিনেক ভোজন । ত্যজিল তাম্বুল তৈল ভূষণ চন্দন ॥ একপদে কৃতাঞ্জলি দিবস ক্ষেপণ । রজনী সময়ে কুশে কবেন শয়ন ॥ পঞ্চতপ করেন জ্বালিয়। পঞ্চানলে | উদ্ধ মুখ করি রহে অরুণ-মগ্ডলে ॥ শুরুবাস পিঙ্গ কেশ অরুণ মূরতি | করিলেন বৈশাখেতে ব্রতের নিয়তি ॥ ছুই উপবাস করি করেন পারণা। মহেশ পুজেন দেবী হয়ে সাবধানা ॥। চিন্তেন শিবের পদ মুদ্রিত লোচন । মাঘ মাসে নিশাকালে উদকে শয়ন ॥ কৈল ব্রত গিরি-সুতা তিন উপবাস। পারণা করিল শেষে সবে তিন গ্রাস ॥ অন্ন ত্যজি খান দেবী কদ্লী বদর । কত কাল পান করে কেবল পুক্ষর ॥ শিব-পদ-ধ্যান গৌরী কৈল অন্ুক্ষণ। বৃক্ষের গলিত পত্র করিল ভক্ষণ ॥।
,ত্যজিল বৃক্ষের পত্র ছাড়ি অন্ন পান। এই হেতু অপর্ণা হইল অভিধান ॥ ছলিতে আইলা হব দ্বিজবেশ ধরি । জিজ্ঞাসিলা গৌরী প্রাতি তথায় উত্তরি ॥ তপন্ষিনী কেন কর শিব-পদে আশ। শ্রীকবিকষ্কণ গান অন্বিকার দাস ॥|
গৌরীকে শিবের ছলন]।
কহ গো নিরুপমা।, কার বোলে রামা) ইচ্ছিলে বুড়া জটাধরে ।
হইয়া স্থুন্দরী, ভজিবে ভিখারী, দরিদ্রবর দিগন্বরে ॥
শুন গো চন্দ্রমুখী, তোমারে আমি দেখি, রূপেতে ভূবনমোহিনী |
কতেক আছে বর, ভুবনে মনোহর,
ইচ্িল! বুড়া বব আপনি ॥ কহ গো বূপবতি, দেহ হেমছ্যতি, কচির মাণিক-দশনা |
তৈল নাহি থরে, ইচ্ছিলে হেন বরে, হইবে বিভৃতি-ভূষণা ॥
দরিদ্র পতি যার, বিফল জনম তার, দারিদ্র্য গুণরাশি নাশে।
শুন গো গুণময়ি, তোমারে আমি কই, দরিদ্রে কেহ না সম্তাষে ॥
গঙ্গা থাকি শিরে, ভিক্ষু দেখি হরে,
মিলিল গিয়া রত্বাকরে । শুন লে! গুণময়ি, তোমারে হিত কহি, দরিদ্রে কেহ না আদরে ॥
ভিক্ষা অনুসারে, হরমে ঘরে ঘরে, ডন্বরু করিয়া বাজনা |, গৃহিণী হবে সুখে, জন্ম যাবে ছুঃখে,
তোমারে দেব বিডম্বন। ||
আবণ-কাণ। টুটান-কমান। নিয়তি_নিরন। পুদ্কর_্ল। বদর_-কুল। পারণ|--উপবাসের পর আহার ৷ গলিত _্ঘলিত' অভিধান__নাম | উত্তরি-__উপস্থিত হইয়া | রুচির-_উচ্দবল। বিভুতি_-ছাই। অনুসারে_ নিমিত্ত ।
ক/বিক জ্কাণ ৮৩) /
বলন বাঘছাল,
উত্তরী যার বিষধর |
গ্রেত ভূত সঙ্গে,
বাস্কিল। কেন হেন বর |
কার পুক্র হর, . নাতি ভ/ই বন্ধু জন /
ভাক্তি খলপাণি হই/ব দুঃখিনী, কেমনি দৈবেব ঘটন ॥
দ্বিজের শুনি কথা, বলেন গিরিস্তুতা, তপন্বী, কর অবধান।
যেযাব মন ভায়। মসেনাবী তজে তায়, মুকুন্দ এই রস গান ||
হবগৌবীর কথোপকথন ।
মণিম। লঘিম। আদি যার অষ্ট সিদ্ধি । ধাহাব ষোড়শ অংশ না ধরিল বিধি ॥ ত্রিভুবনে দেখ যার পরম সম্পাদ |
কে বা সেবা নাহি কবে মহেশেব পদ || রন্দা আদি দেব ধারে করেন অঞ্লি। ইন্দ্র চন্দ্র দিবাকর বাঞ্ছে পদধূলি ॥ ত্রিভূবনে রক্ষিল। করিয়৷ বিষপান । মৃতুপ্য় বিনা বর কেবা আছে আন ॥। এমত গৌরীর কথা শুনি তপোধন । পুনরপি কিছু কহিবারে কেল মন ॥ তপন্থীরে দেখে কিছু চঞ্চল-অধর । সেস্থান ছাড়িয়। গৌরী গেল। স্থানান্তর ॥ এমত সময়ে হর নিজ বেশ ধরি । পার্ববতীর সম্মুখে রহিল! ত্রিপুরারি ॥ মদনমোহন হর দেখি বিদ্যমান ।
সন্ত্রমে পাসরে গৌরী,পুজার বিধান ॥ সন্নিধানে দেখি গৌরী ত্রিজগত-নাথ । অবনী লোটায়ে দেবী করে প্রণিপাত ॥
ভার__শোভ। পায় ; ভাল লাগে । চঞ্চল*অধর_বাকাকথন[ভিলামী।
নিকট প্রাণিত বিষয়
গলেতে হাড়মাল, চিতা-ধুলি অঙ্গে,
«কোথা তার ঘৰ
অভিপ্রায় বুঝি হর বলেন তাহারে | প্রসন্ন হলাম গৌরী মাল্য দেহ মোরে ভপজ্তায় বশ আমি হলাম তোমারে । অগুলি করিয়া! গৌরী কহিল শহ্করে ॥ রুপা কবি যদি মোরে দিলে বর দান। আদার পিতারে নাথ করহ প্রণাম | এমন শুনিয়া হব গৌরীর বিনয় | নাবদেবে পাঠাইয়া দিল তিমালয় || আসিয়া নারদ মুনি কহিল সকল । শুনি ঠিমালয় তৈলা আনন্দে তরল ॥ অভয়ার চবণে মজুক নিজচিত শ্করিকক্গণ গান মধুর সঙ্গীত
সপ ০
»বগৌবার বিবাহ ।
হেন হরিষে কন্তা অপিবাসে করিল ছুন্দুতি বাজনা ।
শমর নাগ নর, আসিবে মোব ঘব. যে মোর আছে বন্ধুজনা ॥
সকল দোবহীন, আজি সে শুভদিন, গোৌবীর বিবাহ-মঙ্গল ! খমক বণ বীণা, মদক্ত ভেরী নান,
বাছ্যেতে হইল কোলাহল ॥|
আনির। দ্বিজগণ, করিয়া শুভক্ষণ, করিল স্বস্তিক বাচন।
আবোপি হেম ঘটে, যুগল করপুে, গণেশে করি আবাহন ||
পাব্বতা বপবতী, হরিদ্রাযুত ধুতি, পরিয়া বসিল আসনে ।
য.তক দ্বিজ মুনি, কবয়ে বেদধ্বনি, গৌরীর গন্ধাধিবাসনে ॥
নহা গন্ধ শিলা, দূর্ববা পুষ্পমালা,
ধান্য ফল ঘৃত দধি।
লন্বম--হাদি জন্ক আবেগ / বান্তত।। বর--দেবঠার
আনলে তরল - অত্যন্ত আনন্দিত । অধিনাসন_-গন্ধ মাল্যাদির দ্বারা মংস্কার।
মেনকার খেদ। | ২৩
স্স্তিক সিন্দুর, কজ্জল কপূর, শঙ্খ দিল যথাবিধি ॥
বান্ধিল করে সূত্র, প্রশস্ত দীপ-পাত্র,
». মস্তকে করিল বন্দনা ।
স্থবর্ণ দিথি শিরে, কনকাপ্ুরা করে, করিল আশীষ যোজনা ॥
রজত কাঞ্চন, তাআঅ গোবোচন, সিদ্ধার্থ চামর দর্পণ |
মোদক আর লাজে, পুজিল দেবরাজে, কন্তাব গন্ধাধিবাসন ॥
নেবেছ্ঠ দিয়া ভরি, মাতক। পুজা কবি, দিলেন বস্থধারা দান ।
বশ্ুবে পুজা করি, নিলা ভিনগিরি, করিল! নান্দীমুখ বিধান ॥
কাখে তেমঝারি, নক! শ্ন্দলী, জল সাহে ঘরে ঘরে।
ধ্ত এয়ো মেলি, দেয় ভলাভলি, তঞল-মঙ্গল কবে ॥
-ঠাথা অধিবাস আদি, মহেশ যথা পিধি,
করিল। বেদের বিধান ।
কণ্ঠে হাড়মাল, পরিল বাঘগ্াল, বুষভে কৈলা আরোহণ ॥ চলিল। দেবরায়, প্রমথ পি পায়, , দেউটি ধরে দানাগণ । শিঙ্গার বাজনা, করয়ে ভূত দানা, চলয়ে ঝড় বরিষণ ॥ আইলা ত্রিপুরারি, ভেমস্ত হাতে ধরি, বসাইলা কনক আসনে । বসন অন্গুরী, মাল্য দিয়া গিরি, করিল বরের বরণে ॥ বিবলে স্থান করি, মেনকা সুন্দরী, করিল স্ত্রী-আচরণ। রচিল ত্রিপদী ছন্দ, পাঁচালী করিয়া নন্ক. গাইল শ্রীকবিকর্কণ ॥
রি পাটি 2 প্সিপিত এ ৩ ৯৮ সপ
নাগবীদিগের বর দর্শনে গমন।
কোন নাগরীর আধ সীমন্তে সিন্দুর | কারো শ্রমে পদে হার করেতে নুপুর ॥ কারে' এক নয়নে ভালে দিয়াছে কজঙ্জলে। পত্রাবলী এক কুচে নহিল সকলে ॥ আডল! বিমল! চাপা কমলা ভারতী । পদ্মাবতী স্বর্রেখা রতি কলাবতী ॥ পল্লভা ছুলভা রস্তা সুভদ্রা যমুনা । চরিত্রা তুলসী রাণী শচী স্লোচনা ॥ হীবা তার! সরস্বতী মদনমঞ্জরী। কৌশল্যা বিজয়া গোগী স্ুমিত্রা স্ন্দরী ॥ যশোদা রোহিণী রাধ। রুক্িণী শঙ্করী | চিত্রলেখ। স্মধামুখী গোগী মন্দোদরী ॥ বরা হেতু সবাকার বিপধ্যয় বেশ ।
এলো করি ধায় কেহ নাহি বান্ধে কেশ ॥ এক পদে কোন এয়ো দিয়াছে নুপুর । কপালে সিন্দুর নাই সীমন্তে সিন্দুর ॥ এক চক্ষে কোন এয়ো দিয়াছে অঞ্জন । এক কর্ণে কর্ণপূর ত্বরায় গমন ॥
শিশু কান্দে ছুপ্ধ দিতে নাহি করে মো। কোন এয়ো আইসে তার হাতে কাখে পো॥ চড়িয়। জাঙ্গালে এয়ো দিল বাহু নাড়া । আখির কটাক্ষে ভাঙ্গিয়া আইল পাড়া ॥ বরণ করিতে এয়ে৷ করিল পয়াণ। অভয়া-মঙ্গল শ্রীকবিকস্কণে গান ॥
মেনকার থে? ।
মেনকা ঢালিল দধি বরের চরণে । অঙ্গের ভূষণ দেশে বিষধরগণে ॥
চিতাভন্ম বিভূৃষণ দেখি কলেবরে । মেনকা বিষণ্ন অতি হইল অস্তরে |
্বস্তক-_পিটুলি দ্বার! প্রস্তুত মাঙ্গলিক দব্য সিদ্ধার্ঘ__থেত সমপ। লাজ__থই। ভুরি--মনেক | এযে! -সধব। নারী। উ্প*মঙ্গল--চাল-মঙ্গলান। প্রমথ-শিবান্ুচর | দেউটি-প্রদীপ ; মশাল । ঘো--মায়। | জ্বাঙ্কাল-_আলি ; সেতু; রাস্তা ।
কবিকঙ্কণ চতী |
কাদেন মেনকা রাণী গৌরী মায়ামোহে |, বসন তিতিল তার লোচনের লোহে ॥। চরণে নূপুর সর্প সর্প কটিবন্ধ পরিধান ব্যাভ্রচন্্ দেখি লাগে ধন্ধ || অঙ্গদ বলয় সপ সর্পের পইত। | চক্ষু খেয়ে হেন বরে দিলেক দৃহিতা ॥ গৌরীর কপালে ছিল নাদিয়ার পো । কপালে তিলক দিতে সাপে মারে ছোঁ ॥ ওধধি সহিত ঘৃত দিলাম কপালে । ঘৃতযোঁগে ললাট-লোচনে বনি জলে ॥ দেখিয়! বরের রূপ লেগে গেল'ধাদা । কি ভাগ্য কপাল মাঝে আলো করে চাদা ॥ বর দেখি এয়োগণ করে কানাকানি ৷ চক্ষু খাক পিতা, চক্ষে পড়,ক ছানি ॥ হেন বরে কন্তা দেয় কি দেখি সম্পদ । বাপ হয়ে মূঢমতি কন্যা কবে বধ ॥ অঙ্গুলি বেষ্টিয়। ছিল গারুড় মহামণি | তাহার কারণে মোরে না খাইল ফণী ॥ পবনে দশন নড়ে হেন বুড়া হর। দেখিয়া বরের রূপ জ্বলয়ে অন্তর ॥ মেনকার দাসী আনে ওষধিব ডালি । আছিল ইসর মূল তাতে একফালি ॥ ইসর মূলের গন্ধে পলায় ভুজঙ্গ । অঙ্গনার মাঝে হর হইলা। উলঙ্গ ॥ পলায় মেনকা রাণী লাজে গুটি গুটি। নিভাইল নন্দী কাধ্য বুঝিয়।৷ দেউটি ॥ সেই খানে ফেলাইয়া ছায়নির ডালা । কান্দিতে কান্দিতে রাম! নিজ গৃহে গেলা ॥ মর মর হেমন্ত তোমারে কব কি। এ বুড়া পাগল বরে দিলা হেন ঝি ॥ কহিলেন নন্দী, শুন দেব শুলপাণি। মদন-মোহন রূপ ধরুন' আপনি ॥ এতেক নন্দীর বাক্য শুনি ত্রিলোচন । দেখিতে দেখিতে হৈল ভূবনমোহন ॥
অভয়ার চরণে মজুক নিজচিত। শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
শিবের মদন-মোহন ূপ-ধারণ।
আছিল বাঘের ছাল হেল বসন । অঙ্গদ বলয় হেল তভূজঙ্গমগণ ॥ _বাস্ুকি মাথায় হেল কিরীট ভূষণ । অঙ্গের বিভূতি হেল সুগন্ধি চন্দন ॥ অস্থিমাল! ছিল যত হইল রত্বমাল। হরিতাল তিলক শোভিত হেল ভাল ॥৷ মুকুট উপরে শোভে সুধাকব-কলা। ধরিল মদনরিপু মদনের লীল! ॥ যোগ-বলে ধরিলেন মনোহর বেশ । জটাভার হইল কুঞ্চিত চার কেশ ॥ হেরিয়া এ হেন বর সবার আহ্লাদ । আহলাদে মেনকা বাণী ত্যজিল বিষাদ অভয়ার চরণে মজুক নিজচিত | শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
সপ পালাল
নাবীগণেব পরি নিন্দা ।
সবে বলে গৌরীর বব মিলিল ভালো । মদনমোহন-রূপে ঘর করেছে আলো ॥ দেখিয়৷ বরের রূপ যতেক যুবতী ।
একে একে নিন্দ' করে নিজ নিজ পতি ॥ এক নারী বলে সই মোর পতি গোদ।। সদ কোয়া জ্বরের ওষধি পাব কোথা ॥ ভাত্রপদ মাসে পায় পাঁকুই ছুর্ববার। গোদে তৈল দিতে মোর উঠয়ে নেকাঁর || ফুলে যদি গোদ, কোয়া জর করে বল। কত বা বাটিব আর ওকডার ফল ॥।
গাকড় মরফত মণি । ইসরমুল-_-সর্প-বিষ-নিবারক এক প্রকার মূল। এফ ফালি __এক টুকর! । ছায়নির ডালা-_-বরণ
ডাল! । জঙ্গদ-কেমুর, বাঁজু। ভুজজম--সর্প।
গৌরীর মাল দান। ২হ
প্রভুর দোসর নাহি উপায় কে করে। কাটনার কড়ি কত জোগাব ওঝারে ॥ দাদনি না দেয় এবে মহাজন*সবে । শ্টুটিল স্ততার কড়ি উপায় কি হবে ॥
দুপণ কড়ির স্ৃতা একপণ বলে ।
এত দুঃখ লিখেছিল অভাগী-কপালে ॥ চক্ষু খেয়ে বাপ বিয়া দিল হেন ববে। মিথ্যা রাত্রি জেগে মবিকি কব গোদারে ॥ গোদের গেঁজেব ফোড়া হয় বিপরীত । পুণিমা হইলে তায় বেরয় শোণিত ॥
আাব জন বলে পতি বঞ্চিত দশন | ঝোলঝাল"বিন। তাব না হয় অশন ॥ কঠিন ব্যঞ্জন আমি যেই দিন রান্ধি। মারয়ে পীড়িব বাড়ি কোণে বসে কান্দি ॥ আর জন বলে সই মোর কনম্ম মন্দ | অভাগিয়া পতি মোব ছুটি চক্ষু অন্ধ ॥ কোন দেশে কেহ নাহি সই মোর পারা । কোলে কাছে থাকিতে সদাই হয় হারা ॥ কেহ বলে মোর পতি বড়ই নিগুণ | কত বা পুধিব দিয়া মা বাপের ধন ॥ আব জন কহে সখী মোর পতি খোঁড়া । নড়িতে চড়িতে নাবে ঘর কবে জোড়া ॥ আর জন বলে সখী মম পতি কৃজা।
কুজ ভাল হইলে পুজিব দশভুজা ॥
চিত হয়ে শুতে নারে মরি মরি করে । আড়াই হাত খাদ করে মেজের ভিতরে ॥ লোকের গঞ্জন আর সহিতে না পারি । সংসার ছাড়িয়া আমি হব দেশাস্তরী ॥ আর জন বলে সই মোর স্বামী কালা । অন্যের সংসার ভাল মোর বড় জালা ॥ ঠারে ঠোরে কথ। কহি দিনে পতি সনে । পাত্র হৈলে থাকে যেন পশুর শয়নে ॥ সার্থক তপস্তা গৌরী কৈল অভিলাষে। সেই হেতু পাইল বর মনের হরিষে ॥
* অদৃষ্টেব কথা কিছু কহনে না যায়।
২ পি পট সি
যা লিখিয়া থাকে বিধি অবশ্য তা হয়।॥ আর নাবী বলে আসি না ভাবিও ব্যথা । মনোছঃখ মনে রাখ ভাল পাবে কোথা ॥ যেহ্োক সেশহোক স্বামী নাবীব ভূষণ । পতি সেবা কব সবে, জেনে নাবায়ণ ॥ নিবিষ্ট কবিয়া মন শিবের চরণে । অভয়া-মঙ্গল গান শ্রীকবিকঙ্কাণে ॥
(গীবাঁব মালা দান।
বুধষভাতে আরবাঠিল। দেব পপলনন | মাধাতে কাণ্ডাব পট ধরে কত জন ॥
“ আকাশে ছুন্দুভি বাজে পুষ্প ববিষণ |
মন্দ মন্দ নিনাদ কবয়ে মেঘগণ ॥
শিব প্রদক্ষিণ গৌরী কৈল সাতবাব। নিছিয়া ফেলিল পাণ কেল নমক্গার ॥ মহেশের কে গৌবী দিল রতুমাল। দেখি দেবগণে সুখ বাড়িল বিশাল ॥ হবিষে পুলক-তন্ু জনে ছামশি । হুলাভুলি দেয় যত প্রব-নিতম্থিনী ॥ ব্রহ্মা পুরোহিত হৈলা বাক্যের বিধান । হিমালয় আনন্দে করিল কনা দান ॥ হব গৌরী দুই জনে বসি একাসনে । গ্ন্থি-ছড়া বন্ধন কবিল মুনিগণে ॥
গন্ধ পুষ্প পপ দীপে পুজে প্রজাপতি । হব-গৌরী আনন্দে দেখিল অরুন্ধতী ॥ ঝাবি থালা ধেনু শষ! দিল নানা দান। উত্তম বসন শিবে দিল হিমবান ॥ দিলেন বিজয়। জয়া সখী পদ্মাবতী । সমপিল! গিবিবাজ মহেশে পাব্বতী ॥ ক্ষীর খণ্ড ছুই জনে করিল ভোজন । কপূরি তান্বলে কৈল মুখেব শোধন ॥
দোসর লঙ্গী। কটিনার কড়ি--হুত। কাটার পয়স।। দাদনি_-দাদন; কে।ন কাজের জন্য যাহ অশ্রিম লওয়! যায়। গেঁজ ফোড়া । বিপরীত-_-বিষম। কাতর -পর্দা। নিছিয়। -মুছিয়।। ছাঁমনি-শুভদৃষ্টি। [বিধান_-বিধাঁষক
২৬ কবিকঙ্কণ চণ্তী
নিবাসে রহিল দোহে কুস্ুম-শয়নে | অভয়া-মঙ্গল গান শ্রীকবিকঙ্কণে ॥
গণেশের জঙ্।
বিজয়। জয়াতে মেলি, তুলিল গৌরীর মলি, কুষ্কুম চন্দন দিয়া অঙ্গে।
একত্র করিয়া মলি, মনোহর পুত্তলি, নিন্মীইল গৌরী খেল রঙ্গে ॥
খব্ধ পীবর তনু, বরণ প্রভাত ভানু, চারি ভূজ আজানুলম্থিত।
নখ পাতি যেন কুন্দ, তাহার উপমা ইন্দু, যোগ-পাটা হছদয়ে শোভিত ॥
পরিধান বাঘ-ছাল, গলায় রত্বের মাল; চারি ভূজে নানা আভরণ।
বিকসিত কোকনদ, নিন্দিয়া উভয় .পদ, তাহে চারু মঞ্জীর শৌভন ॥
স্ুবলিত চারি কর, শুল পাশ মনোহর, নিম্মাণ করিয়া দিল হাতে ।
ধেঅঙ্গে যে অলঙ্কার, নিম্মাণ করিল তার, নাহি মলি শির নিবমিতে ॥
হেনকালে মহেশ্বর, ভিক্ষা মাগি আইল ঘর, লাজে ঘরে প্রবেশে পার্বতী ।
জিজ্ঞাসিল। শুলপাণি, কহ জয়া সত্য বাণী, শালভগ্জী কাহার নিম্মিতি ॥
জয়া দিল তহ্ত্তর, শুন প্রভু মহেশ্বর, এ গৌরীর পুস্তলি গঠন।
রচিয়। ত্রিপদী ছন্দ, পাঁচালী করিয়া বন্ধ, গাইলেক শ্রীকবিকঙ্কণ ॥
জয়ার বচন শুনি বলেন শঙ্কব | অতিপ্রায় বুঝি, তাবে দিলেন উত্তর ॥
পুত্র আশা বুঝিলাম পুত্তলি নির্মাণে । সঙ্গে নাহি খেলাবার কেহ সম্িধানে ॥ এত বলি নন্দরখাক দিলেন জর্ডখি ঠা । চলিলেন নন্দী অসি লইয়া হাধার ॥ হ্বখে নিদ্রা যায় গজ উত্তর শিয়লে । তথা গিয়৷ গজ-স্কন্ধ আনিল সতবে ॥ এক চোপে গজ-ক্কন্ধ করিয়া ছেদন । মাথা লয়ে গেলা নন্দী যথা পঞ্চানন ॥ পুত্তলির কান্ধে মাথা দিলা জোড়া শিব। শিব-অঙ্গ পরশে পুত্তলি পাইল জীব ॥ অঙ্গ মোড়া দিয়া তবে বসিল পুত্তলি। দেখিয়া মদন-রিপু হৈল। কুতৃহলী ॥ শিবের বচনে জয়! পুক্র লয়ে কোলে । আদবে অপিল গি.1 পার্ববতীর স্থলে ॥ দেখিলেন পুল্র গৌবী কু্জর-বদন । করুণা করিয়া বি”. বলেন বচন ॥ এই পুজ্রে আমার নাহিক কোন কাজ। কি মতে বসিবে পুজ্র দেবের সমাজ ॥ সুন্র সুন্দর যত দেবতানন্দন। তার কাছে কেমনে বসিবে গজানন ॥ গৌরীব বচনে জয় পুত্র লয়ে কোলে । পুনব্বাৰ গেল তবে মহেশের স্থলে ॥ গৌরীর বচন শিবে কৈল নিবেদন । হাসিয়। জয়াকে শিব বলেন বচন ॥ এই পুজ তোমার ভুবনে বিদ্বরাজ | ইহাকে পৃজিবে যত দেবের সমাজ ॥ সকল দেবত। মাঝে আগে পাবে পূজা । ইহাকে পুজিবে আগে ইন্দ্র আদি রাজ ॥ সকল দেবতা মাঝে হবেন প্রধান । এই হেতু গণেশ হইল অভিধান ॥ নাহি হবে যথা আগে গণেশের মান | সকল বিফল তথা পূজার বিধান ॥ শিবের আদেশে জয় পুক্র লয়ে কোলে । পুনরপি গেল জয়! পার্বতীর স্থলে ॥
গীবর-স্থল। কৌকনদ-_রক্তপদ্ম। নিশ্মিতি---নিন্মিত । শালভগ্রী__পুতুল | নুধায়_তীক্ষ। কুপ্পর--ছাতী | মলি__
গৌরীর পাশ! খেল! ও মেনকার তিরস্কার ! , ই৭
যতেক শিবের বাক্য কহে জয়াবতী। তবে সুতবুদ্ধি তারে করিলা পার্বতী ॥ চণ্ডিকার চরণে মজুক নিজ চিত। শ্রীকবিকল্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
কাত্তিকেব জন্য ।
কুস্থম-রচিত ঘবে, হৈমবতী মহেশ্ববে, কুস্মম-শয়নে নিয়োজিতন।
আনন্দিত গৌবী-হব, হাস্তপূর্ণ বিশ্বাধব, দৌোতে অঙ্গ পুলকে পুর্ণিত ॥
শুন সব সভাজন, হয়ে সাবধান মন, কাত্তিকেব যে মতে জনম |
শুনহ অপূর্ণব কথা, বিনাশে ভূবন ব্যথা, শুনিলে কলুষ বিনাশন ॥
হর্ষ রস কুতৃহলে, মন্তশেব বিন্দু টলে, গৌরী তাহা নারে ধরিবাবে ।
অনলে ফেলিল গৌরী, -নল সহিতে নারি, ফেলাইল জাহ্কবী নীরে ॥
চপল-প্রবল-ভঙ্গা, সহিতে না পারি গঙ্গা, শরমূলে করিল স্থাপিত।
অমোঘ শিবের বিন্দু, তথি হইল গুণসিন্ধু, ছয় মুখ কুমার কান্তিক ॥
কাঞ্চন বরণ তনু, অভিনব চক্দ্রজনথ, শরবন করে বিভূঘিত।
কৃত্তিকা প্রভৃতি করি, চন্দ্রের যে ছয় নারী, কুমীরে দেখিল আচন্থিত ॥
কৃত্তিকা ধরিয়া তোলে, রোহিণী করিলা কোলে, মৃগশিরা করিল চুম্বন ।
আর্্রী আর পুনব্বস্থ, মানিল পরম বস্থু, পুষ্যা কৈল অনেক পালন।
স্মরিয়া পৃব্বের কথা, সেই হেতু ছয় মাথা, ছয়মুখে কৈল স্তন পান।
সকল লক্ষণ-যুত, পুষিয়া পালিয়া স্ৃত, গৌরী কোলে করিলা আধান ॥
ছুই পুত্র তিন দাসী, দেখি হয় অভিলাষী, গৌরীসঙ্গে রহিল! নিবাসে।
গৌরী দৈব নিয়োজনে, কলহ মায়ের সনে, শ্রীকবিকঙ্কণ রস ভাসে ॥
গৌরীর পাশা খেলা ও মেনকার তিরস্কার ।
কালি বাঙ্গি পাশ! সারি আনিল। পার্বতী । আপনি নিলেন রাঙ্গি কাটি পদ্মাবতী ॥ হাতে পাঠ্টি করিয়! ডাকেন দশ দশ।
এ কালে মেনক। আসি করিল বিরস ॥ তোমা ঝি হইতে ঘর মজিল সকল ।
ঘরে জামাই*রাখিয়া পুষিব কতকাল ॥ ভিখারীর মাগু হয়ে পাশায় প্রবল ।
কি খেল খেলিতে যদি থাকিত সম্বল ॥ প্রভাতে খাইতে চাহে কান্তিক গণাই । চারিকড়া তোর ঘরে সম্ভাবনা নাই ॥ দরিদ্র তোমাব পতি পরে বাঘছাল। সবে ধন বুড়া বৃষ গলে হাঁড়মাল ॥
ছুই পুত্র তিন দাসী স্বামী শুলপাণি। প্রেত ভূত পিশাচের লেখা নাহি জানি ॥ মিছা! কাজে ফিরে স্বামী নাহি চাষ বাস। অন্ন বস্ত্র কতেক যোগাব বারমাস ॥ লোকলাজে স্বামী মোর কিছু নাহি কয়। জামাতার পাকে হেল ঘরে সাপের ভয়ু ॥ প্রেত ভূত পিশাচ মিলয়ে তার সঙ্গ। শাশুড়ী হইয়া কত দেখিব তরঙ্গ ॥ নিরস্তর আমি কত সহিব উৎপাত ।
রান্ধি বাড়ি দিতে মার কাঁখে হৈল বাত ॥ ছুপ্ধ উথলিলে তুমি নাহি দেও পানী । পাশা খেলাইয়া গোঙাও দিবস রজনী ॥
স্বতবুদ্ধি__পুত্র,বলিয়। মনে করা | চপল-প্রবল-ভর্গ!__-উদ্দাম-গতি যুক্ত। | চত্্রজন্ু_চত্্র-পুত্র বুধ । আধান_্াপন। বিরস _ অশান্তি; আমোদে বাধা দান | মাগু_স্ত্রী। সম্বল-_পুকজি। লেখা- সংখ্য। , পরিমাণ ।
৮
শুনিয়া পাব্বতী তবে ঈষৎ হাসিয়া । কহিতে লাগিল মাতা, মাত সন্বোধিয়া ॥ জামাতারে বাপ মোর দিল ভূমিদান। তথি ফাল মস্থর কাপাস মাঘ ধান ॥ রান্ধি বাড়ি দেও বলে কত দেও খোটা। তব ঘরে আসিলে ছুয়ারে দিও কাটা ॥ (মনাক তনয় লয়ে শ্তখে কব ঘব।
কত বা সহিব নিন্দ।, যাব স্যান।ন্তর ॥ এত বলি যান দেবী ছাড়ি মায়া মোহ । ঝলকে ঝলকে পড়ে লোচনের লোহ ॥ শঙ্করে কহেন গৌরী সর্ব বিবরণ। অভয়া-মঞ্গল গান আকবিকঙ্কণ ॥
পপর
হব-পার্বভীব :কলাসে গমন |
গৌরী সঙ্গে যুক্তি কবি, চলিল! কৈলাসগিবি, শ্বশুরের ছাড়িয়া বসতি ।
ভবনে সম্বল নাই, চিন্তাযুক্ত সে গৌসাই, ভিক্ষা হেতু করিলেন মতি ॥
ত্রিজগধীশ্বর হর, ভিক্ষী মাগে ঘব ঘর, আরোহণ করি বুষোপরে ।
বাজান ভন্বরু শু, দেখিয়া বাড়য়ে রঙ্গ, নগবিয়া যোগানিত ধরে ॥
মাথায় বেষ্টিত ফণী, অমূল্য যাহার মণি, কুগডলী কুগ্ডল দোলে কাণে।
কাণে ধুতুরার ফুল, অমূল্য যাহার মূল, বান্থুকি কিরীট বিভূবণে ॥
ভ্রমেন উজানভাটী, চৌদিকে কোচেব বাটী, কোচবধ, ভিক্গী দেয় থালে।
থাল হেতে চালগুলি, ভবিয় রাখেন ঝুলি, কান্ধেতে লম্বিত'ঝুলি দোলে ॥
কেহ দেয় চালকড়ি, কেহ দেয় ডালি বড়ি, কৃপি ভরি তৈল দেয় তেলি।
কবিকম্কণ চণ্ডী |
ময়রা মোদক দেই, স্ত্রধার চিড়া খই, বেণে দেয় ভাঙ্গের পুটলি ॥
লবণিয়। দেয়,লোণ, ঘৃতদধি গোপগণ, তান্বলীতে দেয় গুয়াপাণ।
বেল। হইল দ্দিপ্রহব, শঙ্কর আইল ঘর, কাত্তিক গণেশ আগুয়ান ॥
শঙ্ব ঝাড়িল ঝুলি, চালু হেল কতকগুলি, নানাবস্থ থুইল নানাস্থানে।
দেখিয়া মোদক খই, দৌহে আইল ধায়াধাই, কোন্দল বাধিল ছুইজনে ॥
দোহারে প্র বোধ কবি, বাটিয়। দিলেন গৌবী, বন্ধন কবিলা দাক্ষায়ূণী |
ভোজন করিল। হব, সঙ্গে গুহ লন্বোদব, স্বখে গেল দিবস বজনী ॥
মহামিশ্র জগনাাথ, হৃদয়ে মিশ্রেব তাত, কনিচন্দ্র ছদয়-নন্দন |
ভাহাব অনুজ ভাই, চণ্ীর আদেশ পাই, বিরচিল শ্লরীকবিকঙ্কণ ॥ .
হর-পার্বতার কোন্দল।
রাম রাম স্মরণেতে পোহাল রজনী | শয্যা হৈতে প্রভাতে উঠিল শৃলপাণি ॥ নিত্য নিয়মিত কন্ম করি সমাপনে । বসিলেন মহাদেব অজিন আসনে ॥ বামদিকে কান্তিক দক্ষিণে লন্বোদর। গৃহিণী বলিয়া ডাক দিলেন শঙ্কর ॥ সম্্রমে উঠিয়। গৌবী কবিল। অলি । কঠিছেন শঙ্ষন ভোজন-কৃতৃহলা ॥ কালি ভিক্ষ। কবে তঃখ পাইন বধামে। সকালে খাইয়া অগ্ভ থাকিব আশ্রমে ॥ আজি গৌবী বাদ্ধিয়। দিবেক মনোমত । নিম শিম বেগুণে রান্ধিয়া দিবে তিত ॥
মাষ-_মাষ কলাই দুযারে দিও কাট।__ছুযারে প্রবেশ করিতে দিও না । লোং_-অশ্র। যোগানিত _ভিক্ষার জোগান? চালু-_চাউল। বপি-- তৈল রাখিষার ছোট ভাড় বা চামড়ার থলি। মোদক-লাড় |
শিবের স"সার-বিরক্তি । | ইন
স্থকুতা শীতের কালে বড়ই মধুর । কুম্মাওড বার্থাকু দিয়! রান্ধিবে প্রচুর ॥ ঘৃতে ভাজি শক্রাতে ফেলহ ফুলবড়ি। *চোয়া চোয়া করিয়া ভাজহ পলাকড়ি ॥ রান্ধিবে ছোলার ডাল তাতে দিবে খণ্ড । আলম্ত ত্যজিয়া জ্বাল দিবে ছুই দণ্ড ॥ রান্ধিবে মস্ুব সুপ দিয় লঘু জবাল। সন্তোলিয়া দিবে তথি মরিচেব ঝাল নটিয়। কাঠাল বীচি সারি গোটা দশ । ঘৃত সম্ববিয়া দিবা জামিরের বস। কড়,ই কবিয়া রান্ধ সরিষাব শাক ।
কটু তৈলে বাথুয়া কব দুঢ পাক। বান্ধিবে মুগেব সুপ দিয়া ডাব জল । খণ্ডে মিশাইয়া রান্ধ করঞ্জের ফল ॥ আমড়া সংযোগে গৌরী বান্ধহ পালঙ্গ | ঝাট স্নান কব গৌরী না কব বিলম্ব ॥ গোটা কাস্ুন্দিতে দিবা জামিবেব রস। এবেলাব মত রান্ধ এ ব্যঞ্রন দশ ॥
বন্ধন উদ্যোগ গৌবী কব হয়ে স্থির । ভোজনের শেষে খাব হাড়ি দশক্ষীর ; বলিল এতেক নাকা যদি পশুপাতি। অঞ্জলি করিয়া! কিছু বলেন পার্বতী ॥ রন্ধন করিতে ভাল বলিল গৌঁসাই। প্রথমে যা পাত্রে দিব তাহা! ঘরে নাই ॥ কালিকার ভিক্ষা নাথ, উধার শুধিনু । অবশেষে যাহা ছিল রন্ধন কবিনু ॥ আছিল ভিক্ষার শেষ পালি ছুই ধান । গণেশের মৃষিক করিল জলপান ॥ আজিকার মত যদি বান্ধা দেও শুল। তবে সে পারিব নাথ আনিতে তুল ॥ এমত শুনিয়া হর গৌরীর ভাবতী । বলেন সক্রোধ হয়ে দেব পশুপতি ॥ অভয়ার চরণে মঞ্গুক নিজচিত | শ্ীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
শক্রা-চিনির রসে। পলাকড়ি-_পটোল। সারি -"রিষ্কার করিয়া। কড়ই _কড়।।
শিবেব সংসার-বিরক্তি ।
আমি ছাড়ি ঘর, যাব দেশান্তর, কি মোর ঘর করণে।
হয়ে স্বতন্তর, লয়ে গুহ গজাননে ॥
দেশে দেশে ফিবি, কত ভিক্ষা করি, ক্ষুধায় অন্ন না মিলে ।
গৃহিণী ছুজ্জন, গৃহ হৈল বন, বাস করি তক-তলে ॥
কত ঘবে আনি, লেখা নাহি জানি, দেড়ি সম্কল নাঠি থাকে ।
কেক ইন্দুব, কাপে হড় হড়, গণাব মবিক পাকে
গুহার ময়াবে, খেদাইল মোরে, সাপ ধবি ধবি খায়।
ভেন লয় মোবে, এই পাপ ঘবে, বহিতে নাবি যুয়ায় ॥|
কটা কবিয়া, বাঘ ফিবে ধায়্যা, দেখিয়। তাহাব চাহনি |
বলদ দুববল, করে টল টল, নাভি খায় ঘাস পানী ॥
আন বাঘছাল, শিঙ্গ হাড়মাল, বিভৃতি ডমরু ঝুলি ।
চল চল নন্দী, হও মোর সঙ্গী, ঘবে না থাকিবে শুলী ॥
এত বলি হব, ছাঁড়ি নিজ ঘর, চলিল। বৃষ বাহনে।
করিয়া মিনতি, কহেন পার্বতী, শ্রীকবিকল্কণে ভণে ||
তুমি কর ঘর,
হুপ-বোল। খণ্ড -
খাঁড়গুড়, পাটালি। ঝাট- শীদ্। উধার-ধার। পালি-_ক্ষুদ্র কাঠ, খুঁচি । জলপা'ন - জলযোগ ; ভঙ্গণ গুহ কাত্তিক।
কবিকক্কণ চওী।
গৌরীব খেদ |
কি জানি তপের ফলে পাইয়াছি হর। সই-সাঙ্গাতি নাহি থাকে দেখি দিগন্ধর || উন্মত্ত ল্যাঙ্গটা হর চিতা-ধুলি গায়। ছাঁড়িলে শিরের জটা অবনী লোটায় ॥ এক শয়নে শুতে নাবি সাপের নিশ্বাসে। ততোধিক পোড়ে প্রাণ বাঘছাল-বাসে ॥ বাপের সাপ পোয়ের ময়ুব সদাই করে কেলি। গণার মৃষা কাঁটে ঝুলি আমি খাই গালি ॥ বাঘ-বলদে সদাই ছন্দ নিবারিব কত। অভাগিনী গৌরীর দারুণ উপহত ॥ বিনয়েতে ধার কবি শুধিতে কোন্দল । পুনর্ববার উধার করিতে নাহি স্থল || উচিত বলিতে আমি সবাকাঁর বৈবী | দুঃখিত জনেবে বাপ বিভা দিল গৌবী ॥৷ শ্রীজয়া বিজয়া! পদ্মা গুহ লন্বোদব । সঙ্গে লয়ে যাব আমি মা বাপের ঘব ॥ এমত সময়ে পদ্মা শগৌবীকে বুঝান। আমার বচন মাতা কর অবধান ॥ অকারণে ভিক্ষা ভাতে কবহ কোন্দল । শ্রীকবিক্কণ গান অভয়া-মঙ্গল ॥
গোৌবীব প্রতি পদ্মার হিভ-উপদেশ।
শুব গো শিখরি-সুতা, কহিব ভবিষ্য কথা, শুনহ পুবাণ ইতিহাস ।
সপ্তদ্ধীপে যুগে যুগে, তোমাব অচ্চনা আগে, আপনি করহ পবকাশ ॥
দ্বাপর যুগের শেষে, কলিঙ্গ রাজার দেশে, বিশ্বকম্মা বচিত দেহারা ।
মঙ্গল-চণ্ডিকারপে, স্বপনে কহিবা ভূঁপে,
পূজা (লৈবে সর্বছুঃখহবা ॥
দিগন্বর - উলঙ্গ । উপহত -বিস্ব | দেহার। মলির । নিদর্শন--চিহ। মহেন্্র-ইন্ত্র। নট-নষ্ট। উদ্দেশেস্-অনুসন্ধানে |
সম্মুখ-_অনুকূল। শুত্তক্কর-_মঙ্গলকারিণী।
পশুর লইয়! পুজা, সিংহেরে করিয়া রাজা, নিজ ঘণ্টা দিবে নিদর্শন | সম্পদ বিপদ ভূমি, দারিদ্রযে নাশিবা তুমি, কাননে স্বাপিবা পশুগণ ॥ প্রথমে কলির অংশে, জন্মিবে ব্যাধের বংশে, মহেন্দ্রকুমার নীলান্বরে। ছলিয়া অবনী আনি, লবে তার ফুলপানী, অবশেষে নিবে নিজ পুরে ॥ তালভঙ্গ করি ছলা।, দেবকন্য। রত্বমালা, ছলিয়। আনিবা বস্থমতী | গন্ধবণিক জাতি, স্বামী হবে ধনপতি, খুল্লনা হইবে তার খ্যাতি ॥ পতি যাবে দেশান্তব, ঘরে সতা৷ ম্বতস্তর, বিধিমতে দিবে তারে ছুঃখ । কানানে পুজিয়া ভোম।, ভবে পতিপ্রাণসমা, তাবে তমি হইবা সম্মখ ॥ হছে আসিবেক পতি, লভিনে আনন্দ অতি, তার গে হবে মালাধর। জ্ঞাতি বন্ধু ধবি ছল, নাহি খাবে অন্নজল, তাহে তুমি হবে শুভস্কর || রাজ-আজ্ঞা শিবে ধরি, সঙ্গে লয়ে সাত তরী, ধনপতি চলিবে সিংহলে ।
লঙ্ঘিয়া তোমার ঘট, ছয় তরী হবে নট, বন্দী হবে রাজবন্দিশালে ॥| শ্রীপতি হইবে স্ৃত, সঙ্গে সাত তরিযুত, চলিবেক বাপের উদ্দেশে । আপনি করিব! দয়া, রাজকন্তা বিভা দিয়া, আনিবে তাহারে নিজ দেশে ॥ বিক্রমকেশরী নাম, নিজকন্যা দিবে দাঁন, কেবল তোমার পূজাফলে। হেমঝারি জলগতা, অষ্টম তঙুল দূর্ববা,
পুজা লৈবে মঙ্গলবাসরে ॥ শুনিয়া পন্মার বাণী, হরষিত নারায়ণী, বিশ্বকম্মী করিল ধেয়ান।
খ্যাতি-নাম। সতা- সতীন। জল-গর্ড|-_জলপূর্ণা। বাঁদর--দিন।
কলিজরাজকে চণ্ীর ম্বপ্লাদেশ। ৩১
রচিয়া ত্রিপদীছন্দ, পাঁচালী করিল বন্ধ, বিরচিল শ্রীকবিকঙ্কৃণ ॥
সিল পলসপিসপাসপাপপ সত
বিশ্বকম্মাব দেউল নিম্মাণ।
মনে লাগে পার্বতীব পদ্মার উপদেশ । যুক্তি করি সখী সঙ্গে উপায় বিশেষ ॥ বিশ্বকশ্মা ভগবতী করিল ধেয়ান । সেইক্ষণে বিশ্বকশ্মা আইল সন্নিবান ॥ অষ্টাঙ্গ লোটায়ে বিশ্ব কবিল প্রণাম । আশ্বাসিয়৷ ভগবতী হাতে দিল! পাণ ॥ তোরে ভার দিন্ু বাপু নিজ পুজামূল। কলিঙ্গ দেশেতে মোর নিম্মাহ দেউল ॥ ওনি বিশ্বকন্মী তবে কৈল নিবেদন | যুগ্ম কবি কব তবে বলয়ে বচন ॥
তবে সে দেউল পাবি কবিতে নিন্মাণ। মোর সঙ্গে দেহ যদি বীর হনুমান ॥ স্মরণ কবিব1 মাত্র আইল মারুতি | হাতে পাণ দিয়া চণ্ডী দিলেন আরতি ॥ উপনীত বিশ্বকর্মা কংস নদীকৃলে। শুভক্ষণে আরম্ত তমাল তরুমূলে ॥ সাতাইশ বন্দে বিশাই ধরিলেক স্ৃতা । ইন্দ্রনীল পাষাণে রচিত কৈল পৌতা ॥ লুঠিয়া গহন গিরি আনে হনুমান ।
চারি প্রহর নিশি মধ্যে দেউল নিম্মাণ ॥ হীরা-নীলা-মরকতে নিরমিল চূড়া । রসান দর্পণে তার চারিদিকে বেড়া ॥ ধবল প্রস্তর ঘর মুকুতার পাতি । পূর্ণিমা সমান হইল অমাবস্তা রাতি। নখে চিরে হনুমান পর্বত পাষাণ । চাঁরি প্রহর রাত্রে কৈল দেউল নিম্মীণ ॥ ধবল চামর শিরে শোভয়ে পতাক। । রাকাপতি বেড়ি যেন ফিরয়ে বলাকা ॥
যামিনীর অবশেষে,
সজল উভয় নেত্র,
নানারতে নিশ্নাণ করিল জগতি। হেমময় তথি আরোপিলা ভগবতী ॥ কাঞ্চনের ছুই ঝারি বৃষভে মহেশ । ময়ূরে কার্তিক লিখে মৃষিকে গণেশ ॥ হন্নমান অভয়াঘ লয়ে অন্রমতি । পাষাণে নিম্মাণ কৈল পুজার পদ্ধতি ॥ নখে খোদে হনুমান দিব্য সবোবর । চাবিখান পাড় কৈল যেন মহীধর ॥ পাষাণে বচিত কৈল চারিখানি ঘাট । নানাচিত্রে রচিত পাষাণ কৈল বাট ॥ শুন্য দেখি সরোবর হন মহাবল। পাতাল ভেদিয়া তোলে ভোগবতী-জল ॥ সরোবব বেড়ি বিশাই বচিল উদ্যান । পলাশ কাঞ্চন বস্তা বোপে হনুমান ॥ নারিকেল তাল গুয় দাঁড়িম্ব খঙ্গর ৷ করুণা কমলা টাবা নারঙগ বীজপুর ॥ নেহালি বান্ধুলি চাপা টগর তুলসী । বঙ্গণ মালতী জাতি শেফালি অতসী ॥ সেউতী পারুল স্ুমল্লিকা কুরুবক | কেতকী ধাতকী কৃন্দ বিন্ব কুরুণ্টক ॥ রাত্রি দিন জাগরণে পবননন্দন |
মলয় লুঠিয়া আনি রোপিলা! চন্দন ॥ নিশ্মাণ কবিতে হৈল নিশা! অবসান । বিদায় দিলেন চণ্তী করিয়া সম্মান ॥ বিদায় হইয়া দৌতে গেলা নিজ বাস। শ্রীকবিক্কণ গান অভয়াব দাস ॥
কলিঙ্গবাজকে চতীব স্বপ্রাদেশ।
রাজার শিয়রদেশে, স্বপন কহৈন.ভগবতী । হয়ে লোমাঞ্চিত গাত্র, শ্রবণ করেন নরপতি ॥
ধেয়ান স্মরণ । বিশ্ব__বিশ্বকর্মী।। যুগ্ম--জোড় । মারুতি---হমুমান। পৌতা-__ঘরের মেজে, ভিত। রসান--ব্র্ণ-রৌপা---পরিক্কারক প্রস্তরবিশেষ । রাকাপতি- চন্দ্র । জগতি---সিংহাসন। বাট--পথ। করুণা---গোৌঁড়ানেবু | মলয়---মলয় পর্বত, পশ্চিম ঘাট পর্ধবত।
তত," কবিকস্কণ চত্তী।
সম এ পি ৯ পা পাদ তছি জি ৯৮
দক্ষযজ্জঞে ছাড়ি অঙ্গ, করি 'ীব মখভঙ্গ, হইল প্রভাতকাল, ফুকারয়ে মহীপাল,
ক্ষিতি নাহি আসি বকাল। জন্মি হিমালয় ঘরে, স্ত্ন্হ আজিজ্গ ইজ ২ কর বত 77 চি ৩757 পুঁক্ত) ত)স্গ / করাব রিপুব ধ্বংস, বাড়াৰ তোমার বশ, নুপতি কবির নব-আগে হয়ে তোবে রুপাময়ী, . সমবে করাব জয়ী, একছত্রা। পালিবে অবনী। ভূবন কবাব বশ, তোমা বাড়ার যশ, কবিব হুপতি-চুডামণি ॥ কংস নদীব তবে, ইচ্ছিযা কন্্রমনীরে, নিবমিলু দেহাবা আপশি । প্রজ। পুত্র প্রবাহিত, সঙ্গে লেয়া সাবহিত, আমাবে পুজিবে মপনণি ॥ দক্গস্ুতা আমি দাক্ষী, কাশীপুবে বিশালামসণ, লিঙ্গধার! নৈমিষকীননে । প্রয়াগে ললিত। নামে, বিমলা পুরুবোন্তমে, কামবতী আগন্ধমাদনে ॥ গোকুলে গোমতী-নামা, তমলুকে বগভীনা, উত্তরে বিদিত বিশ্বকায়া । জয়ন্তী হত্তিনাপুরে, বিজয়। শন্দের ঘরে, হরি সন্নিধানে মহামায়া ॥ তুষিতে অমর সবে”. দেবকী-অষ্টমগর্ভে, হেলা প্রভু ক্ষিতিভার-নাশে । হরিতে কৃষকের ভীতি, যোগনিদ্রা ভগবতী, থুইলা যশোদী-গর্ভবাসে ॥ ভোজরাজ-মহাতন্কে, শ্রীহরি করিয়া অঙ্কে, বস্থুদেব গেলা নন্দাগার। অগাধ যমুনা-জল, মায়া পাতি কৈলু স্থল, শিবারূপে নদী কৈলু পার ॥ পরিচয় পা*য়া রায়, ধরিল চণ্ডীর পায়, কোকিলে পঞ্চম নাঁদ পুরে ।
আইলাম মবত পুবে
তম ভ/কত ক
নন্দ হইল রাজপুরে ॥
মহামিশ্র জগন্নাথ, হৃদয় মিশ্রের তাত, ঝুধলভন্দধ হি যুতলন্ৰন্
তাঙাক অন্ুক্ত ভাই, চণ্ডীর আদেশ পাই, বিবচিল শ্রীকবিকহণ ॥
দেবাব পৃজ|রগ্।
শুভ স্বপন দেখি, ভূপতি হৈল স্তুখী, ঘন ঘন ছুন্দ্ুভি বাজন| | কলিঙ্গ নগরে, বাহিবে অন্তঃপুরে, পুজিল দেবী ত্রিনয়ন! ॥ প্রভাতে কবি মান, দ্বিজবে হেম দান, ভাটেরে দিল গজ ঘোড়া । কণ্ঠে রুদ্রাক্গ মাল।, পুষ্পোতে ভবি থালা, পুজিল হেমঝাবি জোড়া ॥ পুজিল নবপতি, আনন্দে হেমবতী, ব্রাহ্মাণে করে বেদগান। শঙ্খ ঘণ্টা ডন্ফ, খমক জগঝম্প, বাজয়ে ভশ্বরু বিষাণ ॥ দেউল আচন্থিত, কাঞ্চন বিরচিত, দেখি বাজ সবিস্ময়মতি |
শিশু বুদ্ধ যুবা, বিতঙ্গ পশু কিবা, দেখিতে ধাইল শীত্রগতি ॥ অমাত্য পুরোহিত, জাতি বন্ধু যত,
কন্তা তনয় পরিবারে । খণ্ঁ-মধু-দধি, প্রচুব নানাবিধি, নৈবেছ্ভ দ্রিল ভারে ভারে ॥ পুজার অবসানে,, মহিষ ছাগ আনে, উৎসর্গ দিল বলিদান। দেউল চারি ভিতে, রধর বহে আ্রোতে, চামুণ্ডা করেন রক্তপান ॥
নর্রায়-__নরশ্রেষ্ট | নর-আগে _ নরগণমধ্যে। কুহথম-নীরে ফুল ও জল পাইতে । নিরমিপু_ নির্ধাণ করিলাম । ফুকারে _ টচ্চেঃস্বরে বলেন ভাট -স্ততি পাঠক, বন্দী। ঠেমঝারি-স্পর্ঘট। ঝারি - ঘট-বিশেষ। বিষাণ -শিঙ্গ| | নানাবিধি _নানাবিধ।
গুর্বনিত্ম্থম বৰা ছ্, “*. দেখিতে ধাঁ গজগীমণ ॥
অষ্টমী ভৌমবারে, ষোড়শ উপচারে, পূজার করিল বিধান ।
মহিষ ছাগ মে, বোঠিত বাজহতজ, শতেক দিল বলিদান |
জান্ুবীজলগর্ভা, অষ্ট তগল দৃর্ববা, কাঞ্চানে বিরচিত ঝারি।
অঞ্জলি সরসিজে, চগ্ডিকাবে বাজা পুজে,
নাচয়ে গায় বিদ্যাধরী ॥
গুজিয়া বারেবাবে, কবিল পরিহারে, নপতি কবেন অঞ্জলি ।
প্রদক্ষিণ প্রণতি, কবেন নবপতি, পুলকে অঙ্গ কতৃহলী ॥
শ্রীবঘুনাথ নাম, অশেষ গুণধাম, ব্রাহ্মণভূমেব পুরন্দর |
তাহাঁব সভাসদ, রচিয়। চারু পদ, মুকুন্দ গান কবিবব ॥
কলিঙ্গ ভূপতিকর্ঁক ভগবতীর স্তব।
দুর্গা হুর্গা পরা তুমি ছুর্গতিনাশিনী । গোকুল বাখিলা হৈয়! যশোদাঁ-নন্বিনী ॥ নিদ্রারূপা হয়ে তুমি ভাগ্তিল! প্রহরী । যেকালে দেবকী-গর্ভে জন্মিল! শ্রীহরি নানা অবতারে তুমি বিষুসহায়িনী | ছুরিতহারিণী মাতা দুর্গতিনাশিনী ॥ যমুনা আবর্তশালী বিষম কবালী। তথি পার কৈলা কৃষ্ণে হইয়া শগালী ॥ ভূভার খগ্চিতে হৈলা আপনি প্রচার । কংসভয়ে কৃষ্ণ কৈলা কালিন্দ'ব পার ॥ ভৌমবার-_মঙ্গলষ।র। রোট্তি_যুগ বিশেষ।
পরিহার _ প্রার্থনা ।
ঘংপদনর্জনী উম গা হবিবংশে | কুষ্ণের করিল! কাধ্য ভাণ্ডাইয়ী কংসে। নন্নগোপ-স্ৃতা শুস্ত-নিশুস্তনাশিনী | ভুবনবন্দিতা বিস্বাশিখরবাসিনী ॥ নানা আন্ত্র বিভিষিতা অই্-মহ[ভুজা । বলি দিয়া দশদিকপালে কৈলা! পুজা ॥ রাবণ-বাধের হেতু মিলিয়া দেবতা । তোমাব বোধন কৈলা অকালে বিধাতা ॥ ষোড়শোপচারেতে পুজা কৈলা রঘুনাথ। তবে সে বাবণ হৈল সবংশে নিপাত ॥ হৈল মধুকৈটভ হবিব কণমলে। ত্রহ্মাবে হানিতে যায় নিজ বাভবলে ॥ নাভি-পদ্ধে বিধাতা পুজিয়। ভগবতী । অন্থরের বধ হেতু নারায়ণে স্তৃতি ॥ যেই জন নাহি কবে তোমার সেবন। সে জন কি হয় হরি-স্বাব ভাজন ॥ কাত্যায়নী ব্রত করি নিল ববদান । “নন্দগোপ স্বতং” দেবি ইহাতে প্রমাণ ॥ এত স্ততি কৈল যদি কলিঙ্গ ভূপতি। বর দিয়া কৈলাসে গেলেন ভগবতী ॥ রচিয়া মধুব পদ অম্বতের প্রায়। শ্রীকবিকঙ্কণ গায় অভয়ার পায় ॥
তল
পশুগণের ভগবতী পৃজা।
পূজার দক্ষিণা দিল হেম দশ তোলা । মস্তকে কবিল বাজা ছ্বিজ-পদধূলা ॥
দ্বিজে নিয়োজিল নিত্য-পুজায় নৃূপতি । শতেক ব্রাহ্মণে পাঠ কবে সপ্তশতী ॥
শঙ্কব সদনে চণ্ডী যান নিজ বেশে ।
অংশ রূপে পূজা নিলা কলিঃঙগেব দেশে ॥ পরা শ্রেষ্ঠা। দৃরিভ- ছুক্ষতি, পাপ। আবর্ষ-__
জলের পাক । করালী - তয়ঙ্করী। নোধন- উদ্দীপন, জাগান। সজ্জা_উপকরণ। কর্ণমল-_কাণের থোল। লপ্তুশডী _. চত্তী।
তু
ধৃবান্দযেক নকটে তত ষ্ত্ত গুণী | ১৬২ ইল চাপ্ডিকা দবশন ॥ কেশরী শার্দ,ল অশ্ব বাবণ গণ্ডার | শরভ চমর শ্বেত গবয়াদি আর || মহ্াকায় পশুগণ কত কব নাম । চগ্ডিকার পদে সবে করিল প্রণাম ॥ উদ্ধমুখে পশুগণ কবরে গোহারি |
কৃপা করি পুজা মোর লহ মহেশ্বরী ॥ অপরাধ বিনা পশু সর্ববদ| সশঙ্ক ।
বর দিয়া মহেশ্বরি, কর নিরাতঙ্ক ॥ পশুগণে সদয়া হইয়া ভগবতী।
স্নেহ করি পুজিবারে দিল! অন্তমতি ॥ আজ্ঞা পায়া পশুকূল আনন্দে আকুল । বনে বনে খুঁজিয়া আনিল বনফুল | আম জাম শেহাঁকুল কালোচিত ফল। নৈবেদ্য দিলেন, পাদ্য কংস-নদী-জল || প্রদক্ষিণ হয়ে পশু কৈল নমস্কার । আশীর্বাদ ভদ্রকালী কবিল। অপাব || ব্যান্্র না খাও মুগ, কেশরী বারণে। তুরঙ্গ মহিষ সবে থাঁক এক বনে || অবিরোধে থাক সাব শশার খটাস। ্মরণ করিলে হঃখ করিব বিনাশ ॥ অভয়ার চরণে মজুক নিজচিত | শ্রীকবিক্কণ গায় মধুব সঙ্গীত !
আনা পাসপলা
পশ্থবাছেব সভা ।
লইয়! পশুর পূজা, সিংহেবে কবিয়া রাজা, নিজ ঘণ্টা দিল! মহামায়া ।
যে যার উচিত হয়, দিলা তাবে সে বিষয়, করি চণ্ডী পশুগণে দয়া ॥
সিংহ তৃমি মহাঁতেজা, পশুমধ্যে হও রাজা, টিকা দিলা ভবানী ললাটে।
গোহারি-_বিচার প্রার্থনা । উচিত-উপযুক্ত।
বিষয়-কাধ্য টিকা রাজচিহ্ন | নেকড়িয়। বাঁদ। পাত্রঁ-মন্গী | রায়বার-স্ততিপাঠক | মধ্য-_মহিষ।
কৰিকন্ধণ চত্তী |
বারণ শুনহ কথা, ধরিয়া ধবল ছাতা, থাক তমি রাজার নিকটে ॥ শরভ কলীন তুমি, সকল পশুর স্বামী,
ব্রাঙ্গণ যেমন নরমাঝে | ৃ
হয়ে তুমি পুরোহিত, চিন্তিবে মঙ্গল নীত, এই কন্ম আন্য নাতি সাজে ॥
দূব কর নিজ শোক, শার্দল ভল্লক কোক, ন্রাহ গণ্ডার মহাবীর |
গুরু সঙ্গে যেন ছাত্র, লয়ে পঞ্চ মহাপাঞ্র, প্রতিদিন দিনে পুষ্পনীর ॥
সত্য কবি মুগবাজে, অভ দিলেন গজে, কবাইল সিংহের সাহন |
শানি তথা জোড়া জোডাঁ,পাহন কবাতে ঘোড়।, বায়লার ভাবে কপিগণ ॥
নিয়োজি ভোমাবে আমি, শুনছে চনবি ভুমি, চামব ঢ॥লাবে রাজ-আঙ্গে |
তোরে আমি দিলু ভাব, মেষ তুমি রায়বার, ভ্রম বন সতত তরাঙ্গে ॥
বৈদ্য হে নকুল ভুমি, খাইব। ইনাম ভূমি, চিকিৎসা করিবা রাজপুবে।
পথ্যেব শিয়ম শিক্ষা) কবিবা পশুর বক্ষ, দর্শনে ভূজঙ্গম মরে ॥
পশুর হাজর। মধ্য, খাব! প্রজার শস্ত, হবে তুমি বাজার ছুয়ারী ।
নিশাতে জাগিয়া থাক, প্রহরে প্রহরে ডাক, হবে তুমি শিয়াল প্রহরী ॥
নীলকণ্ বারতান, বাঁরশিঙ্গা ঢোলকাণ, পাঁজা মিগ্তা কাবফরমা |
আমার পূজাব ফলে, থাক সবে কুতৃহলে, বাঘে আর না খাইবে তোমা ॥।
উট গাধা ক্ষেতি খাবে, রাজার নফর হবে, বিপদে সম্পদে তোব ভার ।
আব যত পশুগণ, সবে হবে প্রজাগণ, মণ্ডল হইবে কালসাব ॥
শরভ-_মুগ বিশেষ | কোক -বৃক ক্ষেতি-_-জায়গীর। থাঁবে--ভোগ করিবে।
তল্জ্র-সভায় নারদের গমন । টে
পালধি বংশেতে জাত, দ্বিজপতি রঘুনাথ, সভাসদ শ্রীকবিকম্কণ ।
চণ্ডীর চরণে চিত, বিল নৃতন গীত; * শির লয়ে শুনহ বচন ॥
মৃহাদবেব অচ্চন। |
যে কালে ভবানী গেল। কলিঙ্গে দেশ। সে কালে মর্তোর পুজা লইল মতেশ ॥ সপ্ত পাতালে শিবে পুজে নাগলোক । বর দিয়া হর তাব দূর কৈল। শোক । প্রথমে শিবের পুজা কৈল দৈতাগণ। শুস্ত নিশুন্ত জাগে কবিল পুজন ॥
মহিষ চানুব গুজে বাভাপি ইল্পল | মহেশ পুজিয়া তাবা পায় নানা কল ॥ অবনীমগ্ডলে পুজে ধন্মশীল নব । জীবন্যাস রুবি পুজে মৃন্ময় শঙ্কব |
পুবী মাধো দেয় কেহ শিবের মন্দিব। বর পেয়ে নবলোকে রণে হয় স্থিব ॥ চেত্র মাসে শিব পুজে নানা উপচাবে । ঢাক ঢোল বাদ্য বাজে শিবের মন্দিরে ॥ জিহবা ফোড়ে জিহ্বা কাটে কবায়ে চড়ক। অভ্ডিমত স্বর্গে যায় না যায় নরক ॥ ত্রেতাযুগে জন্যাস করিল দশানন | সেইমত অবনীতে কবে স+জন ॥ পিশাচ দানব শিবে পুজে প্রতিদিন ।
যে জন শঙ্কর পূজে নহে ধনহীন। অমরাবতীতে শিব পুজে পুবন্দর |
তার স্ুত কুস্থম যোগায় নীলাম্বর ॥ পুজা লয়ে শুলপাণি আইলা! কৈলাস । হেনকালে আইলা গৌবী মহেশের পাশ ॥ করজোড়ে গৌরী শিবে করেন প্রণতি । আশ্বাসিয়! তারে জিজ্ঞাসেন পশুপতি ॥|
কহেন ভবানী ভারে পুজার বাঁরত।। চরণে ধরিয়া গৌবী কন নিজ কথ। ॥ অষ্ট দিন পূজা মোর মর্ত্যের ভিতরে । তিন দিবসের কথা লয়ে নীলাম্বরে॥ নীলাম্বরে শাপ দিয়া যদি লঠ ক্ষিতি। তবে সে প্রচাব হয় পুজার পদ্ধতি ॥ তিল আধ নাহি দেখি নীলাম্বরের পাপ। কেমন প্রকারে তারে দিব অভিশাপ ॥ যদি মহী ইচ্ছা কবে ইন্দ্রের কোঙর। তবে অভিশাপ দিব কি দোষ তোমার ॥ অঙ্গীকাব কৈলা হব গৌবী নিল পাণ। নারদেরে পাণ দিয়। ক্বর্গেতে পাঠান ॥ ইন্দ্র স্বানে সার দিতে চলিল! নারদ । জ্ীকবিকঙ্গণ গান মনোহর পদ ॥
ইন্জ্র-সভায় নাবদের গমন |
স্ৃধম্ম সভায়, বসি দেবরায়, বিচির হেম-সিংহাসনে।
লইয়া পাজি পুথি, সম্মখে বৃহস্পতি। বসিল! রাজ-সনিধানে ॥
জয়ন্ত নীলাম্বর, আদি সহোদর, বেষ্টিত শতেক কুমার ।
সেবক প্রধান, যোগায় গুয় পাণ, মিলিত কবিয়া ঘনসার ॥
বাসয়ে খণ্ড, হেম-রত্বাদপ্)
চামর ঢলার মাতলি।
মাগধ বন্দী ভাট, করয়ে স্তরতি পাঠ, মাথায় করিয়া অঞ্জলি ॥
পাবক আদি করি, দিকের অধিকারী, বরুণ নেধত শমন ।
কুবের প্রভঞ্জন, আদি দেবগণ, আইলা ইন্দ্রেন সদন ।
জীবন্তাস -প্রাণ-প্রতিষ্ঠার মগ্্র; যাহাতে দেংকপ পুরাতে প্রাণের প্রতিঠ। হয। পুরপ্র_ুন্্। থনসর_-কপুর, চণ্দন। ধাসয়ে-_্বাস নির্গত হয়। এীখও- চন্দন হেম-রত্রদণ্ড (চামরের বিশেষণ ) মাথা করিয়। অঞ্রলি--নতি করিয়।।
কাঁবকন্কণ চণ্ডী ।
'আজরী আদ জ্ঞানী, তত? তঠলেন্ক ভেক্ন / এমন সময়, আইলা মহাশয়, নাবদ বিরিঞ্িনন্দন ॥ উঠি স্ুরনাথ, করি প্রণিপাত, বসাইল কনক-আসনে | করিয়া পূজন, বার্ত। জিজ্ঞাসন, শ্রীকবিকম্কণ ভণে ॥
জর ০৯ সর
দেবরাজের নারদ-সম্ভাষণ।
কহ হে নারদ মুনি দেশের বারতা । এত দিন মহামুনি ছিলে তুমি কোথা ॥ এই ত্রিতুবনে নাহি তোমার সমান। ভূত ভবিষ্যৎ তুমি জান বর্তমান ॥ ভাগ্যে তব পদ-ধুলি আমাব ভবনে । পবিত্র হইন্থ আজি তব দরশনে ॥ দেখিয়া তোমার কৃপা হেন লয় মনে। চিরদিন লক্ষ্মী মোর থাকিবে ভবনে ॥ নিজ স্যষ্টি রাখিতে করিলা৷ ধশ্মসেতু । তোমারে করিল বিধি পালনের হেতু ॥ সেই জন বিশ্বজয়ী সকল ভুবনে । যেই জন তোমার বীণার রব শুনে ॥ ইন্দ্রের বচন এত শুনিল নারদ ।
মুকুন্দ রচিল গীত মনোহর পদ ॥
নারদের উক্তি ।
নারদ কহেন কথা, কহিতে হৃদয়ে ব্যথা, নিবেদিতে বড় ভয় করি।
নিবাতকবচ জন্ত, আর শুস্ত নিশুস্ত, বাড়িল তোমার বড় অরি ॥
ছর্বাসা ঠজেমিনি,
সবর্ব উপভোগ-হীন, শত ফুলে প্রতিদিন, দশ ₹ও মহাদেব পূজে। মহাদেব পুজাফুলে, সেই সব ভুজবলে, শুস্ত নিশুস্ত রণে যুঝে ॥ সেই মহাশৃর জন্ত,। কি কব তাহার দস্ত, ভুঁজবলে পর্বত উপাড়ে । সে অসুর মহাবলে, মহেশ পূজার ফলে, দিকৃকরী তুলিয়া আছাড়ে ॥ নান! পুষ্প নানা ছন্দে, কুস্কুম কম্তুরী গন্ধে, নেবেছ্ভ কি বলিব তাহার । করিল পূজার সার, দিয়া ফোডশোপচার, দক্ষিণ কাঞ্চন শত ভার ॥ শিবেরে করিতে প্রীত, দিন করে নাট্য গীত, সন্ধ্যাকালে ব্যাল্লিশ বাজন । যদি পায় চতুপ্জ শী, থাকে বীব উপবাসী, নিশাকালে করে জাগরণ ॥ কিবা সে সঙ্কল্প করি, দৈত্য পুজে ত্রিপুরারি, ইহাতে সন্দেহ বড় মনে। বুঝিনু দেত্যেব কাধ্য, লইবে তোমার রাজ্য, হেন আমি বুঝি অন্মানে ॥ ভোগ কর নানা রঙ্গে, থাকহ কামিনী সঙ্গে, রাজভোগে হইয়া বিহ্বল । পাইয়া শিবের বর, দৈত্য হইল ধনুদ্ধর, কোন দিন পাড়ে গণ্ডগোল ॥. ত্যজিয়া সকল কাজ, এক চিত্তে দেবরাজ' মহেশের কর ভজন । রচিয়া ভ্রিপদী ছন্দ, পাঁচালী কবিয়। বন্ধ, বিরচিল শ্রীকবিকম্কণ ॥
ইন্দ্রের শিবপৃঙ্জার আয়োজন ।
উপদেশ বলিয়া চলিল মহামুনি । ইন্দ্রেরে মেলানি করি গেলেন অবনী ॥
মহাশূর-্মতান্ত বলবান। প্রস্ত--এক অহ্বেব নাম। দিককরী-__দিগগভ, উরাবত প্রভৃতি । ছন্দে ছাদে, প্রকারে বিজ্বল- অজ্ঞান । গণগেল--গোতম।ল ; বিশঙ্বলা। মেলানি-স্ভেট, সওগাদ। ৰ
স্ুরালাক সহি উঠিল! সুরপভি। বিদায় দিলেন তারে কবি প্রণতি ॥ পুনরপি সভায় বসিলা স্থুররায়। নৈবিষ্ট করিয়া চিত্ত শিবের পুজায় ॥ বৃহস্পতি বসিলেন লয়ে পাজি পুথি । বিচার করেন গুরু শুভযোগ তিথি ॥ বিচার করিল। গুরু কালি ভাল দিন। গুণ বত আছে তাহে দোষ পরিহীন ॥ মহেশ পৃজিতে ইন্দ্র হেলা ভক্তিমান্। জয়স্তে ডাকিয়া আনি তারে দিলা পাণ ॥ প্রভাতে উঠিয়া পুজ্র করি গঙ্গান্নান। মহেশ পুজার সজ্জা কব সাবধান । শচীরে দিলেন ভার চন্দনের তরে। কুসুম তুলিতে ভাব দিল। নীলাম্বরে ॥ পাণ লেতে নীলাম্বব কেল জোড়কর। ডাকিল শকুনি তাঁর মাথার উপর ॥ জ্যেগীডাক নীলাম্বর কবিল শ্রবণ । দৈবযোগে তাহ! নাহি শুনে অন্যজন ॥ বুকে হাত দিয়া নিবেদয়ে নীলাঞ্থর । পড়িল গৌঁসাই বাধা মস্তক উপর ॥। কুসুম তুলিতে কর অন্তেবে আরতি । রোবযুক্ত হইয়া বলেন শচীপতি ॥ অভয়ার চরণে মজুক নিজচিত । শ্বীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
"লান্ধরের প্রতি ইন্দ্রের আদেশ।
পূজা করি মহেশ্বর শুন বংস নীলাম্বর, কুস্থুম তুলিতে লহ পাণ।
প্রবেশ নন্দন-বনে, দ্বিধা ঘুচাইয়া মনে, মোর বাঁকা নাহি কর আন ।
নাহি নিয়োজিনু রণে, ছুরন্ত অসুর সনে, নাহি পাঠাইন্ত দূর দেশ ।
নি
সবে চারি দণ্ড যাবে, কুসুম আনিয়া দিবে, ইথে কেন মনে ভাব ক্রেশ ॥
যযাতির পুত্র পুরু, তাহার চরিত্র চার, জরা নিল বাপের বচনে।
শান্তিরসে দিয়ামন, দিল আপন যৌবন, যশ গায় সকল ভুবনে ॥
অন্ধুজ্ঞা দিলেন তাত, বনে গেলা রঘুনাথ,
ছাড়িয়া কনক-সিংহাসন |
জানকী লক্ষ্মণ সাথে, প্রবেশে কানন-পথে, যশে পূর্ণ করিলা ভূবন ॥ ভগ্ড নামে মহামুনি, সকল পুবাণে শুনি,
ব্রাহ্মণের কুলের নন্দন ।
রেণুকা রমণী তার, স্থুত ভূবনের সার, ক্ষত্রিয়কুলের বিনাশন ॥
রেণুকার দেখি দোষ হইল পরম রোধ, স্থতে আদেশিল৷ ভূগু মুনি ।
শুনিয়া পিতার কথা, কাটিল মায়ের মাথা, ক্রিভুবনে জয় জয় ধ্বনি ॥
বিষম আদেশ নয়, সবে যাবে দণ্ড ছয়, এ নন্দন কানন ভিতরে ।
নিকটে কুস্থম আছে, উঠিতে না হবে গাছে, আরাধন| করিব শঙ্করে ॥
রোবষযুক্ত পুরন্দর, দেখি বালা নীলান্বর, অঞ্জলি করিয়া নিল পাণ।
দামুন্যানগর-বাসী, সঙ্গীতের অভিলাষা, শ্রীকবিকঙ্কণ বস গান ||
নীলাম্বরের পুম্পচ়নে গমন ।
গঙ্গাজলে করি স্লান, শুরু ধুতি পরিধান, প্রভাতে চলিলা নীলাম্বর ৷
সাজি জকুড়ি হাতে, চলিল কানন-পথে, সোঙরিয়া ভবানীশঙ্কর ॥
সঙ্জা__আয়োজন। জোঠী__টিকটিকী। বাধ।-_বিদ্ব, প্রতিবন্ধক | টিকৃটিকীর শব্দ করা, শকুনি মাঁথার উপর উড| ইত্যাদি জমঙ্গলক্রনক এইরূপ সংক্ধার | ছ্বিধ।--সনোহ, খুত। অনুজ্ঞা--আদেশ। বালা-পুত্র। 'আঁকুড়ি_ আঁক্ষি।
নীলাম্বর গণিয়। তৌলেন শত ফুল।
প্রবেশি নন্দনবনে, কুমার হরিষ মনে, ছয় খত দেখিল স্কুল ॥
কর্ণার কৈরব কলা, পানিশিয়লি পানিফলা, কুমুদ কহুলার ইন্বীরব |
অশোক কি-শুক ঝট, জাতী ঘুথি দোপাটি রঙ্গণ তলসী নাগেশ্বব ॥
কুরুবক কুরুণ্টক, কৃুন্দ তোলে মরুবক, কদম্ব কনক-কববীব |
লবঙ্গ তুলসী দোনা গলঘাব্যে বাকাসোণা, প্রতাঙ্গিরা তোলে মহাবীর ॥
কুমার হবিষ মন, বাধলি কদন্ব বন, আব চাপা কাঞ্চন কেশব ।
শ্বেতরক্ত তোলে গড়, তুলিল মল্লিক! যোড, হধে তোলে প্রকল্প চগব ॥
নেহালি পিয়লি দূনু।, . বন কববীব মুববা, অআভুসী শিউলি পাবিজাভ |
অপাঙ্গ কুসুম পালা, সাই তোলে ভদ্রকলা, রক্তউতৎপল অবদাত ॥
অমলা কুড়চি কেয়।, মদন বাসক জয়া, কোবিদাব তলিল পাটল। ।
সঙ্কুল শঙ্ষরজটা, বৃহতা ত্যজিয়। কাটা, ভূমিটাপা তিলক সপ্তলা ॥
কন্তুবী কেশর কলা, তোলে আমল কী মালা, বাছিয়া অখণ্ড শ্রাফল।
নত করি ধরি ডালে, তমাল পলাশ তোলে, ছুই কুড়ি তুলিল হিজল ॥
আকন্দ তপন কাটা, কর্ণিকাব শ্বেত জটা, সুয্যমণি তুলিল গুলাল।
বন-শোভা ভরদ্বাজী, তুলিয়া ভরিল সাজি, কোকিলাক্ষ চিত্রাক্ ছুলাল ॥।
সেউতি কর্কটি ঘুথি, ইন্দ্ুফুল তোলে ইতি, বান্ধুলি তুলিল শতাবরী।
৩৮ কবিকস্কণ চত্তী |
কয়ত যুগল সোনা, দাড়িম্ব মুদিত মনা, রামতুলসী তুলিল বিদারী ||
হইল পুজার বেলা, গাঁথিল শতেক মালা, নীলান্বর আইল ত্বরিত। |
আচ্ছাদিয়া পদ্মদলে, রাখিল পুজার স্থলে, শ্রীকবিকঙ্কণ রস গীত ॥
পে
হন্মেণ াশবপুজ। ।
আনন্দে জয় জয়, পুজেন হরিহয়, অনন্থাভাবে ভূতনাথে |
দোখণ্ড বাজে জোড়া, মদঙ্গ শঙ্খ পড়া, শতেক পুল লয়ে সাথে ॥
দিবস নিশামান, রাগিণী সরস গান, রুদ্রের অধ্যায় মহিমা ।
নারদ বীণাপাণি, গাঘেন দ্বিজনণি, শঙ্কর-গুণের গবিমা |
শল্ষবে গেম দিনে, সান হেমগীঠে, পাখালে শিবের চরণ ।
বসনে পদ খুলি, নিছনি করিল শচী, বসন অমূল্য রতন ॥
শিবের মহান্নান, শতভার গঙ্গ|জলে ৷
মুগাঙ্ক জিনি ভাস, পরাইল দিব্যবাঁস, কত্তুরী ফোটা দিল ভালে ॥
কুম্কুম চন্দন, কতুরী বিলেপন, বাসন দিল হর-অঙ্গে |
ষোড়শ উপচারে, পুজিল পুরহরে, সকল পুরজন সঙ্গে ||
ডন্বরু ডিগ্তিমি, বাজান দেবস্বামী, স্ুসঞ্চে ঘন ঘন শিক্গা ।
প্রমথ-পতি কাছে, ত্রিদশ-পতি নাচে, উম্কষ ধিকি ধিকি ধিঙ্গী ||
করান মঘবান,
সন্কুল ব্যাপ্ত, পূ । কৈবব-_কৃষদ | কহলাব_শ্বেতপদ্ম, দুরদি। কুঝবক-_ঝ'টিফুল। গলঘাযো-ছৌণপুস্প। ওড- জবা ।
কোিপার_ মন্দার, রক্তকাঞ্চন। হরিহয়_-ইন্দ | হেমপীঠে-_ন্র্ণাসনে।
নিছনি - বেশবিল্তাস। মুগাঙ্ক_-চন্র । ভাস__দীপ্তি।
নীলাদ্দরেব খেদ |
স্তবন গছ পদ্া, সঘনে মুখ-বাদয, অষ্টাঙ্গ নোয়ায়ে নতি ।
বাসব পুজে নিত্য, একান্ত ভাবে চিত্ত,
পু তুষিল দেব উমাপতি ॥
নৈবেদা নানাবিধি, খণ্ড মধু দধি, শর্করা পুরি হেমথালে ।
স্থগন্ধি ধূপ-থুমে, আমোদ কৈলা ধামে, জ্বালিল বত্বদীপ-জালে ॥
এতেক বিধানে, পুজেন দিনে দানে, নিয়ম দ্বাদশবংসরু |
ভরমিযা বনে বনে, করিয়া যতনে, পুষ্প তোলে নীলাম্বর ॥ আপন ব্রত কথা, সাধিতে গিরিস্বতা,
কানানে উরিলা ভবানী । শ্রীকবিকম্কণ, কবয়ে নিবেদন,
বদনে নাচে যাব বাণী ॥
ভগবতীব মুগীঝপ ধাবণ। পদ্মাবতী সঙ্গে যুক্তি করিয়া অভয়া | নন্দনকাননে গিয়। পাতিলেন মায়া | ফুলহীন কেলা মাতা যত উপবন। হরিলা সকল ফুল নন্দন-কানন ॥ বাম করে সাজি, আকুড়ি ডানি করে । প্রবেশিলা নীলাম্বৰ কানন ভিতরে ॥ ফুলহীন বন দেখি ভাবে নীলাম্বর । কোথা পাব শত ফুল প্রহর ভিতর ॥ অন্তরে ফুলের চিন্তা নীলাঙ্বব পায়। রথে চড়ি নীলাম্বর বস্ুমতী ধায় ॥ যাত্রার সময়ে ডোমচিল ডাকে মাথে। কাঠরিয়া কাষ্টভার লয়ে যায় পথে ॥ উপনীত শীলাম্বর হৈল ঘোব বানে। হেথ। ধশ্মকেতু তাড়া দিয়াছে হরিণে ॥ সুন্দরী হরিণীরূপ। হয়ে মহামায়া । ধন্মকেতু সম্মুখে রহিল হরজায়া ॥
মায়া-_-কুহক, ইন্দ্রীজাল। তরঙ্গ_-অঙ্গভঙ্গী। নম্বর--আকাশ। শাল-_শেল, দুঃগ।
রয়ে বয়ে যান দেবী করিয়া তরঙ্গ ।
তাঁর পাছে ব্যাধ ধায় যেমন পতঙ্গ ॥ আকর্ণ পৃবিয়া ধনু বীর এড়ে শর। শর ছাড়ি দিতে দেবী উঠিল! অস্বব ॥ অনিমিষলোচনে দেখিল নীলাম্বর | ফুল চিন্তা দূরে গেল ভাবেন কমাব ॥ অভয়ার চরণে মজক নিজচি& | শ্ীকবিকম্কণ গান মধুব সঙ্গীত ।
পা শাল
নীনাদবেব খেদ।
বসিয়া তকব তলে, ৬াসিয়! নয়ন-জলে, খিঘাদ ভাবেন নীলাম্বর |
হৃদয়ে রহিল শাল, বরং ব্যাধ জন্ম ভাল, কেন তৈন্ত ইন্দ্েন কোঙর ॥
এই ব্যাপ ভালজীয়ে, তষ্া ভেলে পানী পিয়ে, ্গধা কাল করয়ে ভোজন ।
প্রমথনাথের পুজা, যাবত না কারে রাজা, ততক্ষণ উদর-দাহন ॥
এই ব্যাধ গুণধাম, বনবাসী যেন রাম, মুগ দেখি মাবীচ সমান ।
সিংহ জিনি মধ্যদেশ, লতাতে বেষ্টিত কেশ, অভিনব যেন পঞ্চবাণ ॥
না করিনু কোন কনম্ম, বিফল:দেবতা জন্ম, বিদ্যার না কেন্্র অলেষণ। |
না করিনু ধন্তশিক্ষা, কেমনে পাইব বক্ষ, যদি হয় দেবাস্থরে রণ ॥।
সাজি. দণ্ড হাতে কবি কাননে কাননে ফিরি, অন্দিন যেন মালাকার |
চরণে কন্টক ভূকে, শতেক আচড় বুকে, নিদারুণ বিধাতা আমার ॥|
হইয়া বড় আকুল, সম্ভমে তুলিল ফুল, শ্রীফল-কন্টক ছিল. তথি |
জীয়ে_নচে, জীবনযাত্র। নির্ধাহ
করে। "পঞ্চবাণ_-কামদেব | সাজি- পুষ্পপাত্র বিশেষ | দণ্ড-+লাঠি, অক | অনুদিন__সকল সগয। ভুকে-বিদ্ধ হয়।
সম্রমে- ভয়ে তয়ে।
ক)বিকক়াণ চওা /
ভাবিয়া অশ্বিক! পায়, শ্রীকবিকক্কণ গায়, বেগে রথ চালায় সারথি |
পিগীলিকাৰণে ভগবহীর পুশ্পমধো প্রবেশ |
হইল পুজার কাল চিন্তিত কোওর। ছুই হাতে তলে ফুল কানন ভিতর ॥ ঘন বেলা পানে চায় তৃষায় আকুল। যত পায় তত তোলে না ছাড়ে মুকুল ॥ কুসুম ভিতরে মাতা পাতিলেন মায়া । পলাশে রহিল! দারু-পিপীলিকা হৈয়া ॥ ব্যোমযাঁনে লঘুগতি আইল নীলাম্বর । সতের বিলম্ব দেখি ভাবে পুরন্দর ॥ খেলায় উন্মত্ত শিশু কিবা কৈল পাপ। আজি হর অবশ্য দিবেন অভিশাপ ॥ ধূপ দীপ নৈবেদ্য করিল অবিলম্ব। আসিলে নীলাম্বব করিল পুজারম্ত ॥ কুন্থুম-ঞ্জলি ইন্দ্র দিল হর-শিরে। কণ্টক যাতনা প্রভূ পাইল অন্তরে ॥ দারু-পিগীলিকা তবে প্রবেশে কুস্তল । মরমে দংশিল হর হইল আকুল ॥ অনল সমান জ্বলে পিগীলিকা-বিষ । রোষেতে কহেন হর মনে বিমরিষ ॥ শুন শক্র তৃমি তো স্বর্গের অধিকারী । কিসের কারণে পূজ জনম-ভিখারী ॥ করহ আমারে ইন্দ্র কপট অর্চনা । কপট ভকতি করি কর বিডম্বন! ॥ পট্বস্্ পর তুমি গলে রত্বমাল। হাঁড়মালা গলে মম পরি বাঘছাল ॥ আচল। কমল! তব সম্পদ বিশাল । পরিহাস কর মোরে দ্দেখিয়া কাঙ্গাল | পুরহর নিষ্ঠুর ভ্রুকুটি ভীম মুখ ।
নয়নে নিকলে, শিখী ঝলকে ঝলকে ॥
দাক-পিপীলিকা _কাঠপিপড়ে । , ব্যোমযান - আকাশগামী রথ | টিমরিষ-বিমর্ষ, ছুঃখিত।
অঞ্জলি করিয়া কিছু বলে পুরন্দর। মম দোষ নাহি ফুল তোলে নীলাম্বর || নীলাম্বরে জিজ্ঞাসা করেন শুলপাণি। ভয় তাজি নীলাম্বর কহ সতা বাণী ॥ কহিল কুমার সতা যে দেখিল বানে। চপ্ডিকার সত্য কথা হব কৈল মনে || মোর সেবা ত্যজি তমি কর অন্য সাধ। তবিত চলহ মহী হও গিয়া ব্যাধ || হেন বাক্য হৈল যদি মহেশের তত্তে। আকাশ ভাঙ্গিয়। পড়ে কুমাবেব মুণ্ডে ॥ এতেক বচন যদি বলে পুবহর |
চরণে ধরিয়া স্ততি করে নীলাম্বব || অভয়ার চরণে মজ্রক নিজ চিত। শ্লীকবিকঙ্কণ গান মধুব সঙ্গীত ॥
শিপ পিসিপেসপআসন
শিবের প্রাতি নীল।সবের হব ।
চরণে ধরিয়া হরে, কুমাৰ মিনতি করে, অপবাধ ক্ষম কপাময়।
করিলাম লঘু পাপ দিল! নিদারুণ শাপ, ব্যাধ-কুলে জনম নিশ্চয় ॥
অবহেলে পাণিপুটে পান করি কালকুটে, ত্রিভৃবন কেলা পরিত্রাণ ।
তুমি সত্য গুণধাম, . কিস্করে হইলা বাম, মোবে দেব ইহাতে নিদান।
সুর নব নাগ দেবা, করয়ে তোমার সেবা, কেহ নাহি পায় অধোগতি |
আমার পাপেব ফলে, শাপ দিয়! ব্যাধকুলে, জন্ম করালে পশুপতি ॥|
স্মবণ লইয়া যেবা, করে শিব তব সেবা, তার কিবা হয় অবিনয়।
না দেখি এমন সৃষ্টি, চন্দ্র হৈতে বিষবুষ্টি, চন্দন প্রসবে ধনপ্ুয় ||
বিড্বন
-চাতুরী, বঞ্চন। | শিখী--অগ্রি। পুরহর-_মহাদেব | নিদান_মুলকারণ । বান-__প্রতিকুল। ধনপ্রয়-_অগ্নি।
নীলাঙগর-মরণে ছায়ার সহমরণ। 6)
অভিমত ইচ্ছা করি, সেবিলাম কীম-অবি, ফল তাহে হৈল প্রতিকূল ।
নিতান্ত দৈবের দোষে, ভরা দিশ্ু লাভ আশে
হরি হরি নাশ গেল মূল ॥
বেচিল তোমার পায়, নীলাহ্বরণনজ কায়, যেই ইচ্ছা করহ তেমন |
কুপা কর দেববর্গ, না চাহি নবক স্বর্গ, তোমার চরণে রহ মন ||
দেখিয়া তাহাব ছুঃখ, লাজে হয়ে হেট মুখ, আজ্ঞা দিল দেব পঞ্চানন |
হইয়া চণ্তীব ভক্ত, চারি মাসে হবে মুক্ত, আসিব আপন নিকেতন ॥
এমত বলিতে হব, আইল মহেশজ্বর, নীলাম্ববে কৈল আলিঙ্গন ।
চৌদিকে বান্ধব-মেলা, গলায় তুলসীমালা, গঙ্গাজালে করিল শয়ন ॥|
মহামিশ্র জগন্নাথ, দয় মিশ্রের তাত, কবিচক্দ্র হাদয়-নন্দন |
তাহার অনুজ ভাই, জোগ্টেব আদেশ পাই, বিরচিল শ্রীকবিকম্কণ ।।
শিবেব প্রতি ইন্দ্রের গুব।
নীলান্বব শাপ হেতু ভাবিত অন্তর ।
পুজ। সাঙ্গ করি স্তরতি করে পুরন্দর ॥ প্রদক্ষিণ নমস্কার করে বার বার । তোমার চরণ বিনা গতি নাহি আর ॥ পুক্র মিত্র পরিবার শোকের নিদান। তুমি সত্য তোমা বিনা নাহি দেখি আন ॥ অভক্তি তোমার পদে বিপদ-নিদাঁন । ব্রহ্মার তনয় দক্ষ ইহাতে প্রমাণ ॥ কালকুট পান করি ম্বৃত্যু কৈলে জয় ।
যে জন শঙ্কর ভজে তার কোথা ভয় ॥।
হেল জলশাযী পতি,
তোমার চরণে যার আছয়ে ভকতি । ত্রিভূবন মধ্যে তার নাহিক ছুর্গতি ॥ জন্ম জরা মৃত্যু শোক ব্যাধি দেনা দোষ । তাবৎ যাবৎ নহে তোমার সন্তোষ ॥ মোব নিবেদন প্রভু কর অবধান | পুষ্প তুলিবারে দেহ প্রববেরে পাণ || হীন্দ্রের বচনে অনুমতি দিল! হব । অঞ্জলি করিয়া পাণ লইল প্রবর ॥ হরপদ-কমলে মজুক নিজ চিত । ছায়ার প্রসঙ্গ না ছাড়িয়া গাব গীত ॥
নীলাপ্ঘব-মরণে ছায়ার সহম্রণ ।
ইন্দ্রবধূ ছায়াবতী, লোকমুখে শুনিল বাবতা |
চৌদিকে বেষ্টিত সখী, সন্ভাপে মলিনমুখী, হরি হরি স্মবয়ে বিধাতা ॥
ইন্দ্রবধূ কান্দে ছায়া, সকল ত্যজিয়া মায়া স্বামী মেল প্রথম যৌবনে ।
নীলাম্বরে করি কোলে, বসিয়া গঙ্গার জলে, হৃদয়ে যুগল মুষ্টি হানে ॥
পড়িয়া চরণ-তলে, ছায়। সকরুণে বলে, প্রাণনাথ কর অবধান।
তিলেকে দারুণ হয়ে, পাসরিয়া নিজ প্পরিয়ে, দূর কেলে সোহাগ সম্মান ||
জাগিয়া উত্তর দেহ, ছায়ারে সঙ্গেতে লহ, পাসরিলা পুবেবর পীরিতি ।
তুমি যাহ যথা যথা, আমি আগে যাই তথা, আজি কেন কৈলে বিপরীতি ॥
মোর পরমায়ু লয়ে, চিরকাল থাক জীয়ে, আমি মরি তোমার বদলে ।
যে গতি পাইবা তুমি, সে গতি পাইব আমি, রহিব তোমার পদতলে ॥
কাম-অরি__শিব | বেচিল__সমর্পণ করিল। চারিমাস-_দেব*ানে চারিমাস পৃথিবীর ১২* বৎসর | মহেশম্বর--শিবজ্বর।
বান্ধব-মেল।-_আব্মীয় সকল প্রবর -ইন্দ্রের একজন সথা।
৪২ কবিকঙ্কণ চণ্ডী ।
১ সিউল পোস্ট পি লস পরাছিলাসিপাছি পা্িশা্টপাছি ািপীষলাশিপাসি্াটি পস্পাসিশিসিপাস্পিিপাসিলা পিপি পাশীপাটি পট পািপসিপাসপশি্পী পি পি
স্টিম ডি লি তছি পাটি পাট তে শিরা এলি পি
যতেক করিনু আশ, হইল সকল নাশ, অবশেষে ত্যজিলে জীবন।
বিধাতা হইল বামা, আর না দেখিব তোমা, বিধি কৈল অকালে মরণ ।।
তোমাবে তুলিতে ফুল, বিধি হৈলা প্রতিকূল, জীবন ত্যজিলা হর-শাপে।
খণ্ডঁ-কপালিনী ছায়া, শঙ্কর তাজিল। মায়া, মরিন্্ পরম পরিতাপে ॥|
দেহ যোগ নহে সত্য, কেবল মরণ নিত্য, সর্বলোকে এই কথা জানৈ।
যৌবনে মরণ কাল, হৃদয়ে রহিল শাল,
৮৯৮৯৮৯৫৯৫৯৪ ৬৫৯৮৯৮৯০৯৪৯)
শুন গো ব্রাহ্মণী, আমি অনাধিনী, সফল কর মোর আশ।
পাইয়া তব বর, হৈলে বংশধর, করিব তোমার দাস ॥
হইয়াছে পঞ্চস্তৃতা, পতির মনের ব্যথা, ঘটক পাঠায় স্থানে স্থানে ।
মোর পতি ধন্মকেতু, অন্ত বিবাহের হেতু, গিয়াছে কন্যার অন্বেষণে ॥।
কহিন্নু সত্য বাণী, ওষধ আমি জানি,
কুমারের জনম কারণ । দ্রিলে গো নাসাপুটে, সোহাগ নাহি টুটে,
নাহি মানে প্রবোধ পরাণে ॥ হইবে পুত্রের জনম ॥ এলায়ে কুস্তল ভার, ত্যজে যত অলঙ্কার, শুনহ নিদয়া তুমি, গঁষধি জানি আমি, সঘনে নাড়য়ে আত্রডাল। মিথ্য। নহে বচন আমার । সঘনে হুলুই পড়ে, ছায়া চতুর্দোলে চড়ে, ক্রান করহ তুমি, গষধ দিব আমি, শচীর হৃদয়ে বাজে শাল ॥ বংশধর হইবে তোমার ॥| অনল জ্বালিয়! কুণ্ডে, ঘৃত ঢালে ভাণ্ডে ভাণ্ডে নিদয়া পুত্রের আশে, সান করিয়া আইসে, স্বরনদী-তীরে সুরপতি । রহিল বসিয়! উদ্ধমুখেণ দুই কুলে দিয়া বাতি, জীবন ত্যজিল সতী, হইয়া মক্ষিকা বেশে, নীলাম্বর প্রবেশে, পতির মরণে ছায়াবতী ॥ ওষধ দিলেন তার নাকে ॥ বিদায় হইয়া শিবে, লয়ে ছুজনার জীবে, নিদয়া পায়ে পড়ি, দিল তারে দালি বড়ি, গেলা চণ্ডী ব্যাধের নিবাসে । চালু আর কড়ি চারিপণ। রষিয়। ভ্রিপদী ছন্দ, পাঁচালী করিয়া বন্ধ, চণ্তীর আদেশে, হীরার গর্ভবাসে, রঘুনাথ নৃপতি প্রকাশে ॥ ছায়াবতী লভিল জনম ॥ সি শীরঘুনাথ নাম, অশেষ গুণধাম, ব্রাহ্মণভূমের পুরন্দর। নিদয়াকে ভগবতীর ওষধ দান। তাহার সভাসদ, _ রচিয়া চারুপদ, প্রভাতে দ্বাদশী, অভয় উপবাসী, গাইল মুকুন্দ কবিবর ॥ হইয়া জরতী ব্রাহ্মণী | টির আইল! ভিক্ষা আশে, ধন্মকেতুর বাসে, নিদয়া দিলেক পীড়া পানি ॥ কল্যাণ করেন ভগবতী । নিদয়ার গর্ভ। পারণা হেতু ভিক্ষী দেহ, কর প্রাণ রক্ষা, সেই দিন ধশ্মকেতু হরষিত মনে । অচিন্তরতে হবে পুত্রবতী ॥ আনন্দে বঞ্চিল নিশি নিদয়ার সনে ॥ খণ্ড কপালিনী__হৃতভাগিনী । নিত্য--চিরস্থায়ী। জীবেশ-আতল্মাকে) জরতী-বৃদ্ধা। পীড়া-_কাষ্টাসন। পায়ণা--.
উপবাসের পর প্রথম ভোজন | অচির়ে-_শীভ্র | টুটে--খুচে ।
নিদয়ার সাধ ভোজন । ৪১
দেবীর মুখের বাক্য মিথ্যা নহে আর । সেই দিন হৈতে হৈল গর্ভের সঞ্চার ॥ প্রথম মাসের গর্ভ জানি বা'না জানি। "দ্বিতীয় মাসের কালে হয় কাণাকাণি ॥ তৃতীয় মাসের বেলা ভূতলে শয়ন। চতুর্থ মাসেতে করে মৃত্তিকা ভক্ষণ ॥ পাচ মাসে নিদয়ার না রুচে ওদন। ছয়মাসে নাঠি চলে আলম্তে চরণ ॥ সাত মাসে নব বাস দিল ধন্মকেতু। গণকে জিজ্ঞাসে পুজ জনমের হেতু ॥ আট মাসে নিদয়ার বেড়ে যায় পেট। চলিতে না পারে বামা চাইতে নারে হেট ॥ নয় মাসে নিদয়ার সাধ দেয় ব্যাধ। নিদয়ী স্বামীর আগে করয়ে বিষাদ ॥ রচিয়া মধুর পদ একপদী ছন্দ। শ্রীকবিকঙ্কণ গীত গাইল মুকুন্দ।
নিদয়ার মনের কথা ।
ওন প্রাণনাথ ! কহিয়ে তোমারে । এবে মোর প্রাণ কেমন কেমন করে ॥ঞ॥ কৈতে নিজ সাধ বড় লাজ বাসি। ,পাস্ত ওদনে ব্যঞ্জন বাসী ॥
বাথুয়া৷ ঠনঠনি তেলের পাক। ডগি ডগি লাউ ছোলার শাক ॥ মীন চড়চড়ি কুস্থম বড়ী।
সরল সফরী ভাজ! চিংড়ী ॥
যদি ভাল পাই মহিষ! দই |
চিনি ফেলি কিছু মিশায়ে খই ॥ পাকা ঠাপাকলা করিয়া জড়। খাইতে মনের সাধ বড় কনকের থালে ওদন শালি। কার্ঠিকা সহিত করিয়। মেলি ॥
কাণ্ধি তুঞ্জি কিছু মনেতে ভায়। চাকা চাকা মূলা বেগুন তায় ॥ আমড়া নোয়াড়ি পাকা চালতা । আম্সি কাসন্দী কুল করঞ্জা ॥ থোড় উড়ংস্বর ইচলি মাচে। খাইলে মুখের অরুচি ঘুচে ॥ হিয়ে দগদগী অন্তরে ভোক। মুখে নাহি চলে এ বড় শোক ॥ মনে করি সাধ খাইতে মিঠা । খাব নারিকেল তিলের পিঠা ॥ বমিতে উঠিতে ঘুরয়ে মাথা । মুখে উঠে হাই কহিতে কথা ॥ সখী সাধে যদি বাড়াই পা। আলাইয়। পড়ে সকল গা ॥ ছু্ধে গুড়ে তিলে মিশায়ে লাউ। দধির সহিতে খুদের জাউ ॥
শুন প্রভূ কিছু কহি অপর । চিড়া চাপাকলা ছুধের সর ॥ আর কহি কিছু যে উঠে মনে। শ্রীকবিকম্কণ মুকুন্দ ভণে ॥
নিদয়ার সাধ ভোজন ।
প্রাণনাথ কাল গর্ভ হৈল কোন্ ফলে। ক্রমে হাস হয় বল, ওদন ব্যঞঙ্জন জল, পেটে ক্ষুধা, মুখে নাহি চলে ॥ নিকটে নাহিক মাতা, কারে কব ছুঃখকথা, পিসী মাসী ভগিনী মাতুলী। জ্কাতি বন্ধু নাহি আর, যে জানে ছুঃখের ভার মনোছুঃখ বল কারে বলি॥ গর্ভের দেখিয়া ভর, মনে লাগে বড় ডর, ক্ষুধ! তৃষ্ণা নাহি দ্রিন দশ। আপনার মত পাই, তবে গ্রাস দুই খাই, পোড়া মাছে জামিরের রস।
বাস__বনত্। গণক-_দৈবজ্ঞ। আপনার মত-_মনের মত। সফরী-__পুটিমা । শালি_এক প্রকার সরু ধান, এখানে ভজ্জাত চাল। নোয়াড়ি -নেড় ফল. শিল মামড়া। ভোক- ক্ষুধ।। আলাইয়। বশ হইয়। ।
৪৪ কবিকম্কণ চণ্ী |
পি পাস পি 4 তা পাসিলে পি
নিধানী কবিয়া খই, তাহাতে মহিষা দই আঁসি কেহ প্রিয় সই, মুখে তুলে দেয় দই,
কুল করপ্তা প্রাণ হেন বাসি।
যদি পাই সাজো৷ ঘোঁল, পাকা-চালিতার ঝোল
প্রাণ পাই পাইলে আমসি ॥
আমার সাধের সীমা, হেলঞ্চ1? কলমী গিম, বোদালি কাটিয়া কর পাক।
ঘনকাটি খর জালে, সন্তোলিবে কটুতৈলে, দিবে তাতে পলতার শাক ॥
পুঁইডগা মুখী কচু, ফুলবড়ি আব কিছু, দিবে তথি মরিচেব ঝাল ।
সন্তোলন কবি কাজি, উদব পুরিয়া ভূর্জি, প্রাণ পাই পাইলে পাঁকাল ॥
লোণ কিছু দিয়া বাড়া, নকুল গোধিকা-পোড়া
হংস ডিমে তোল কিছু বড়া ।
ভাজ কিছু রাই খাড়া, চিঙ্গড়ির কর বড়া, সজারু করহ শিক-পোড়া ॥
সদাই হ্যাকার উঠে, দিনে দিনে বল টুটে, ব্দনে সঘনে উঠে জল ।
মূল বেগুনেতে সিম, তাহে দিয়া রান্ধ নিম, তাহে দেও উড়ুম্বর ফল।
নিদয়ার সাধ তেতু। ঘবে ঘবে ধন্মকেত, চাহিয়া আনিল আয়োজন ।
আপনি রাদ্ধিয়। ব্যাধষ নিদয়াবে দিল সাধ, বিরচিল শ্রীকবিকস্কণ ॥
সপ সস
কালকেতুর জন্ম ।
পুর্ণ হেল দশমাস, ইন্দ্রন্থৃত গর্বাস, ভূঙ্জেন আপন কম্মফলে।
প্রস্ততি মারুতি নড়ে, ক্ষণে ক্ষণে ব্যথা বাড়ে, লোটীয় নিদয়া মহীতলে ॥
সখীস্কন্ধে দিয়া কর, আসে যায় বার ঘর, ফেহ জঙ্গে দেয় তৈল পাণি।
নিদয়! স্বামীকে কহে বাণী ॥
বিলে উঠিতে নারি, উদর হইলভাবি, শুইলে ফিরিতে নারি পাশ ॥
চাহিতে না পারি হেট, ছু'চ যেন বিন্ষে পেট, দূব হেল জীবনের আশ ॥
আমার বচন শুন, ধাত্রিকা ডাকিয়। আন, যেই জানে প্রসব-সন্ধান।
খুঁজিয়। নগবে জ্ঞানী, করহ উষধপানা, নিদয়ার রাখহ পবাণ ॥
শুনি নিদয়াব কথা, মরমে পাইয়। ব্যথ।। চলে বাধ কলিঙ্গ নগবে।
সেবক-সন্তাপ-খণ্ডী, ব্রাঙ্মণীর বেশে চণ্ডী, উত্তরিল। ব্যাপেব গোচরে ॥
কি কব পুণ্যের লেখা, পথে চণ্ডী দিল দেখা, ধন্মকেত পড়িলা চরণে ।
কপা কব ঠাকুবাণী, জান কি গুষধ পানী? নিদয়াবে বাখভ পবাণে ॥
চণ্ডী জিন্ঞাসেন কথা, শুনিয়। প্রসব-বাথা, কপটে মন্ত্রিত কৈেল। জলে।
কেবল পুণ্যের ফল, নিদয়া পিলেন জল, কুমার পড়িল ভূমিতলে ॥
উউা উড কবে সুতি, দুই জন হর্ষ-যুত, নিদয়ার সফল মানস।
স্থৃতৈর কল্যাণ হেতু, স্নান করি ধশ্মকেতু, দ্বিজে দিল মুগ গোটা দশ ॥
নিশি দিশি তুয়া সেবি, রচিল মুকুন্দ কবি, নৃতন মঙ্গল-অভিলাষে।
উব গো কবির ধামে, কৃপা কর শিবরামে, চিত্রলেখা যশোদা মহেশে ॥
নিধানী__ধান-শূস্ক । কটুতৈল-_সরিষার তৈল। পাঁকাল_ পাস্তাভাত। গোধিক1 _গোসীপ শিক-পোড়।__শিক কাবাব. | আয়োজন- ্রব্য সামগ্রী । মারুতি__গর্ভস্থ জণ। বাঁচর_লাহির। সেবক-সস্তাপ-খতী-_কিন্বরের ছুঃখ নাশকারিণী।
কাঁপকেতৃর বিক্রম | "৪৫
ব্যাধনন্গনের জন্ম ও সংস্কার ।
পুজ্র লাভে ধম্মকেতু আনন্দিত মন । ,ব্যোম-পথে ভগবতী উঠিলা গগন ॥ ডাল কাটি জ্বালে অগ্থি স্ৃতিকা ভবনে । সঘনে হুলুই পড়ে নাড়িকা-ছেদনে ॥ গো-মুণ্ডে পাতিল বষ্টী দ্বার ডানিভাগে । পূজা! করি ধন্মকেত আগে বর মাগে ॥ তুমি নিদয়ার কর বিপন্তি তাবণ।
তিন দিনে নিদরাব স্থুপথ্য পাঁচন ॥ পাচ দিনে পাঁচোটে পাউশ বিসজ্জন | ছয় দিনে ষাটিয়ার কৈল জাগবণ ॥ আট দিনে আট কড়াই কৈল ধম্মকেতু । নয় দিনে নব নত্তা কৈল শুভ হেতু ॥ আন রূপ বাধ স্থুত দিবসে দিবসে। ষষ্টীপূজা একুশে কবিল এক মাসে ॥ পুজিল সোমাই ওঝা দিল বলিদান। ঘোড়ারু দক্ষিণে বলি বায়ে ঢোলকাণ ॥ দীর্ঘ নিদ্রা যায় শিশু কবয়ে দেহালা। ্ণে হাসে ক্ষণে কান্দে খেলে ব্াাধ-বালা ॥ নিরাতঙ্কে যায় তাঁব ছুই তিন মাস। কিরাতনন্দন দেয় উলটিয়। পাশ ॥
চারি পাঁচ মাস গেল ছয়েতে প্রবেশ । ভোজন করায় বসি দিয়া ছাগ মেষ ॥ গণক আনিয়া নান থুইল কালকেতু। গণকে দক্ষিণা দিল পরমায়ু হেতু ॥ সাত আট মাস গেল হৈল নয় মাস। মুকৃতা৷ জিনিয়া ছুই দশন প্রকাশ ॥
দশ মাসে ধায় বাল। দিয়া হামাগুড়ি । ধরিতে ধরিতে যায় বাকুড়ি বাকুড়ি ॥ একাদশ মাস গেল হইল বংসর।
বাড়ী বাড়ী ফিরে শিশু নাহি করে ডর ॥ ছু তিন বসব গেলে শিশুগণ মেলে ।
ভল্লুক শরভ ধরি কালকেতু খেলে ॥
পঞ্চম বরষে কৈল শ্রবণ-বেধন । নান। খেল। খেলে বালা নিত্য যাহা মন ॥ অভয়ার চরণে মজুক শিজ চিত। শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
আল পাত
কালকেতৃব বিক্রম ।
দিনে দিনে বাড়ে কালকেতু ।
বলে মত্ত গজপতি, রূপে নব বতিপতি, সবাব লোচন-সুখ হেতু ॥
নাক মুখ চক্ষু কাণ, কুন্দে যেন নিরমাণ, ছুই ধাভ লোহার সাবল।
রূপ গুণ শীল বাড়া, বাড়ে যেন শাল কোড়া।, জিনি ম্যাম-চানর কুম্তল ॥
বিচিত্র কপাল তটী, গলায় জালের কাঠি, করযুগে লোহার শিকলি ।
বুক শোভে ব্যান্বনখে, অঙ্গে রাঙ্গা ধুলি মাথে কটিতটে শোভয়ে ভ্রিবলী ॥
কপাট বিশাল বুক, নিন্দি ইন্দীবর মুখ, আকর্ণ-আয়ত বিলোচন।
গতি জিনি গজরাজ, কেশরী জিনিয়া মাঝ, মুক্তাপাতি জিনিয়া দশন ॥
ছুইচক্ষু জিনি নাটা, খেলে দাগ্াগুলি ভাটা, কাণে শোভে স্ষটিক-কৃণ্ুল।
পরিধান রাঙ্গী ধড়ী, মস্তকে জালের দড়ী, শিশু মাঝে যেমন মণ্ডল ॥
সহিয়া শতেক ঠেলা, যার সঙ্গে করে খেলা, তার হয় জীবন সংশয়।
যেজনে আঁকড়ি করে, আছাড়ে ধরণী'পরে, ডরে কেহ নিকটে না রয় ॥
সঙ্গে শিশুগণ ফিরে, শশার তাড়িয়! ধরে, দুরে গেলে ধরায় কুকুরে।
বিহঙ্গ বাটুলে বিন্ধে, লতায় জড়িয়া বান্ধে, স্বন্ধে ভার বীর আইসে ঘরে ॥
ঘোড়ারু ও ঢোলকাণ - মুগ বিশেষ | দেহাল।-__শিশুদিগের স্বপ্পে হাঁসি কান। | বাকুড়ি বাকৃডি__গ্রহে গৃহে । কুন্দ__ কাট ক,দিবার যন্ত্র বিশেষ | শীল কৌড়।-_শালগাছের তেজীল চার। তটী_ দেশ । ত্রিবলী-_মাংস সঙ্কোচ জনিত রেখাত্রয়।
দেবের সমান দেখি তোমার চরিত ॥ ফেগটা রিয়া বিষে রেজা, ঝাড়িতে শিখায় নেজা পুত্রের বিঝহ হেতু করি অভিলাষ ।
চামের টোপর দেয় শিরে ॥ কিরাত নগরে কা করহ তাস / ইচ্ছ! হয় যেই দিনে, বনেযায় বাপ সনে, এতেক্র বলিল ব্যাধ দ্বিজের চরণে । আগে ধায়.জিনিয়া পবনে। ফুল্লরা সঞ্জয়-স্থৃতা পড়ে তার মনে ॥ তাড়িয়। হরিণ ধরে, কি কাজ ধনুক শরে, অঙ্গীকার করি ওঝা চলিলেন ঝাট। বিভা হেতু ব্যাধ চিন্তে মনে ॥ সবে গেলা নিকেতন সমাপিয়া হাট ॥ দৈবযোগে একবার, পিতাপুজে লয়ে 'ভার, সঞ্জয়কেতুর ঘরে উত্তরিল দ্বিজ। হাটে গেল নিদয়ার সনে। ব্ন্রিলা সঞ্জয় তার পদ-সরমিজ ॥ হীরা নিদয়ার কাছে, মাংসের পসরা বেচে, এমত সময়ে আসি ফুল্পর! সুন্দরী । ফুল্পরা আছেন সন্নিধানে ॥ পুরোহিতে নতি করে করজোড় কৰি ॥ হীরা নিদয়ারে বলে, কি হয়েছে পুত্র কোলে? কহেন সপ্তয়কেতু দিব এক ভার । তারে কিছু বলেন নিদয়া। ফুল্পরার বর খোজ উদ্যোগ তোমার ॥ আশীব্বাদ কর সই, বৃদ্ধি হয় পরমাই, এই কন্যা রূপে গুণে নামেতে ফুল্পরা। বর দেহ ঝাট হয় বিয়া ॥ কিনিতে বেচিতে ভাল পাবয়ে পসরা ॥ দৈবের নির্বন্ধ বড়, ছুজনে একত্রে জড়, রন্ধন করিতে ভাল এই কন্যা জানে । মনে মনে চিন্তে হীবাবতী । বন্ধুজন মিলিয়া ইহার গুণ গণে ॥ ফুল্পরা সেবেছে হব, এই তার যোগ্য বর, ইহা! শুনি পুরোহিত দিলেন উত্তর । যেমন মদন আর রতি ॥ ইহার সদৃশ আছে কালকেতু বর ॥ সাই-ওঝা ফুল তুলি,হহাঁতে কৃশ কান্ধে ঝুলি, হৃদয়ে সন্তোষ পাবে দেখি সেই বরে। আইল ধন্মকেতু সন্নিধান। নিত্য মুগ বধ করে ভাত আছে ঘরে ॥ কর্কট কমঠ ভেট, দিয়া কৈল মাথা হেট, চন্দ্রকেতু পিতামহ বাপ ধর্ম্মকেতু । সশই-ওঝা করিল কল্যাণ || তার পুজ কালকেতু কুল যশ হেতু ॥' হাতে লয়ে পত্র মসী, আপনি কলমে বসি, দৌড়িয়া ধরয়ে বাঘ রণে মত্ত হাতী। যা বলান যেই বা লিখান। অজ্জন সমান যার ধন্ুকে সুখ্যাতি ॥ না জানি কি কৌতুকে, অস্থিকা মুকুন্দ মুখে, সেই বর-যোগ্য কন্তা তোমার ফুল্লরা। নিজ সঙ্ীর্তন রস গান ॥ খুঁজিয়। পাইল যেন হাড়ির মত সরা ॥
একে চায় আবে পায় বলে হীরাবতী। আমার ফুল্লরা কন্যা আন্ধারের বাতী ॥ পণের নির্ণয় কৈল দ্বাদশ কাহন।
00585555 ঘটকালি ওঝা তুমি পাবে বার পোণ ॥ সোমাই পণ্ডিত সনে বসিয়া বিরলে । পাঁচ গণ্ডা গুয়৷ পাবে গুড় ছুই সের । চরণে ধরিয়া ধন্মকেতু কিছু বলে ॥ ইহা দিলে আর কিছুঃনা করিও ফের ॥
ফোটা-_দাগ ; চিহ্ন রেজ।_ লক্ষ্য স্থান। নেজ।_-তীর ; বাটুল। পসরা--দোকান, বিক্রয়ের দ্রব্য নকল। কর্কট-_কাকড়!। কমঠ-_-কচ্ছপ। ভেট-উপহীর। কিরাত ্্যাধ। দ্বাদশ কাহন-বার কাহন কড়ি, প্রায়.তিন টাকা । ফের _গণ্ুগোল।
॥
কহিল সকল কথা৷ হৈল বিভা হেতু ॥
ভক্ষ্য দ্রব্য কবি কৈল বান্ধবের মেলা । লর্ীয় আনিয়া বরে দিল বর-মালা। ॥ তিনটী পাতন কাড় দিল জামাতারে | ছু বেহাই কোলাকুলি ছু'হে গেল ঘরে ॥ গোলাহাটে পণ দিল দ্বাদশ কাহন । কন্যার দর্শনী দিয়! করিল লগন ॥ রবিবার ত্রয়োদশী নক্ষত্র রেবতী । বিবাহে সঞ্জয়কেতু দিলা অনুমতি ॥ অভয়ার চরণে মজুক নিজচিত | শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
শপ প্লে
কালকেতুর বিবাহ ।
নান। দ্রব্য কিনে হাটে, হরিণ মহিষ কাটে, নিমন্ত্িয়া আনে বন্ধুগণ।
লয়ে অধিবাস-ডালা, কিরাত নগরে গেলা, বন্ধু সহ সোমাই ব্রাহ্মণ
আসনে বসিল দ্বিজ, পূর্ব যুখ-সরসিজ, শুভক্ষণে বান্ধিল ছান্দলা ।
গোময়ে লেপিয়া মাটি, আলিপন। পরিপাটি,
* চতুদ্দিকে বান্ধবের মেল] ॥
শুন, ফুল্লরার গন্ধ অধিবাস।
স্থবেশ ফুল্লরা নারী, সঙ্গে সবী পাঁচ চারি, হীরাবতী হৃদয়ে উল্লাস ॥
পরিয়া হরিদ্রা-বাসে, কটাক্ষ করিয়া হাসে, যত ছিল পরিহাস্ত জনে ।
ছায়া-মণ্ডপের তলে, মন অতি কুতৃহলে, বসিলা পিতার সন্নিধানে ॥
ব্রাহ্মণ বসিয়া গীঠে, বেদ মন্ত্র পড়ি ঘটে, গণেশে করিল আবাহন।
১৯৯
শীল পাশা পোপ
পুজে পঞ্চ উপচারে, পুজে অন্য দেবতানে, শুভক্ষণে গম্ধাধিবাসন । মহী গন্ধ ধান্য শিলা, দুর্বা শ্বেত গুষ্পমালা, গত দধি স্বস্তিক সিন্ুব। শঙ্খ কঙ্জল সোণা, তাত্্র রূপা গোরোচনা, চামর দর্পণ কর্ণপুর ॥ দ্বিজে সুত্র বান্ধে করে, মুকুট বাধিল শিরে, জয় জয় ধ্বনি চারিভিতে । যোড়শমাতৃকা পূজা, ঘ্ৃত-ধারে চেদ্রি রাজা, একে একে কৈল পুরোহিতে ॥ কন্মকাণ্ড ছিল যত, কৈল সব পুরোহিত, ধন্মকেতু শুনিয়া কৌতুকে। শাস্মরমত যত ছিল, একে একে নিবড়িল, পশ্চাৎ করিল নান্দীমুখে ॥ এমত মঙ্গল কম্ম, যেবা ছিল কুলধশ্ম, ধন্মকেতু কৈল সমাপন । মুকুট-মণ্ডিত শির, কালকেতু মহাবীর, বান্দে দ্বিজ গুরুর চরণ ॥ গমনের শুভ বেলা, বাউরী যোগায় দোলা তথি বীৰব কৈল আরোহণ । বরযাত্রী পড়ে সাড়া, ঢেমছ। দগড় কাড়।, বর বেড়ি বাজায় বাজন ॥ কালকেতুর বিবাহ-মঙ্গল | চৌদিকে ভুলুই ধ্বনি, দেয় ব্যাধনিতন্থিনী, নিদয়ার মানস সফল ॥ চৌদিকে দেউটি জ্বলে, যায় সবে কুতৃহলে, বরষাত্রী আনন্দিত মন । জামাতা-গৌরব হেতু, আসিয়া সঞ্জয়কেতু, নানারপে করে সম্ভাষণ ॥ ছায়া-মণ্ডপের মাঝে, বসাইল বরসাজে, বন্ধুজনে মিলি কুতৃহলে । স্বস্তি বাক্য দ্বিজবরে” বরণ করিল বরে, বীরধড়া স্কটিক কুলে ।
কাড়_ধন্থক | পাতন-কাড়-_যে ধনু বনে পাতিয়া রাখিলে যন্ত্রবলে আপনাআপনি হিংশ্রজস্ত বিষাক্ত শরবিদ্ধ হয়। পূর্ব মুখ- মরসিজ-_ছ্বিজ, মুখ-সরসিঙ পূর্ব্ব কিয় । হায়া-মণডপ--চদোয়! টাঙ্জান জার়গ! । নিবড়িল-_শেষ করিল । বাউরী-_জাতি বিং।
৪৮ কবিকঙ্কণ চণ্ডী ।
বিরলে করিয়। স্তান, জামাতাব করে মান, প্রেমবতী ব্যাধের অবলা ।
শিরে দিয়! দর্ববা ধান, নিছিয়া ফেলিল পাণ, গাথি গলে দিল পুষ্পমালা ॥
পাট চড়ি রূপবতী, প্রদক্ষিণ করে পতি, চৌদিক বেডিয়া কোলাহল ।
যতেক ব্যাধের নাবী, গান কবে মনোহারী, ফুল্পবার বিবাহ-মঙ্গল ॥
চারিদিপে গীত নাট, ফুল্পব! চড়িল পাট, কুগ্জরের ছাল মাঝে ধারে।
চৌদিগে ব্যাধের নাবী, উচ্চৈঃক্গবে বলে হবি, ছামনি কবিল কন্যাবাবে ॥
বাপেব পুণ্যেব হেতু, আনন্দে সঞ্জয়কেতু, হাতে কুশে কবে কন্যাদান।
যৌতুক ধনুক খান, তিন তীব খরশাণ, আরে! দিল যে ছিল বিধান ॥
ঢেমচা বাজয়ে পড়া, দ্বিজে বান্ধে গ্রন্থিছড়া,
, বর কন্যা দেখে অরুন্ধতী |
বন্দিয়। রোহিণীমলোম, লাজানতি করে হোম ফ&োহে কৈল অনলে প্রণতি ॥
দৌহে প্রবেশিয়ী ঘরে, মীনমাংস ভোগকরে, রাত্রি গেল কুস্ম-শয্যায় |
চিন্তাযুক্ত ধশ্মকেত, কুটুম্ব ভোজন হেতু, বেহাইবে মাগিল বিদায় ॥ বেহাইর চরণে পড়ি, ব্যবহার দিলা কড়ি,
সাতনলা, জাল, আঠা ফান্দে |
পাথার আমানি ভরি, দিল সঞ্জয়েব নারী, ফুল্পরারে কোলে করি কান্দে ।
ইষ্ট কুটুন্ব আদি, সঞ্তয়কেতুর জ্ঞাতি, অভিলাষে দিলেন যৌতুক ।
চণ্ডীপদ ভাবি চিত, , রচিল-মুকুন্দ গীত, রাজা রঘুর্নীথের কৌতুক ॥
কালকেতৃব স্বদেশে গমন ।
শ্বশুবে বিদায় কবি, আইস বীর নিজ পুরী? ফুল্পব সহিত সবিনয় ।
শিরে দিয়! দৃর্ব! ধান, নিছিয়া ফেলিল পাণ, নিদয়া দিলেন জয় জয় ॥
ছায়া-মণ্ডপেব মাঝে, ঢেমছা দগড়া বাজে, বন্ধজন সমীপে কৌতুক ।
পঞ্চ দিন ঘবে বাঁখি, অন্ন পানে কবি সখী, বিদায়ে দিলেন যৌতুক ॥
সমান অজ্জন ধীব, কালকেতু মহাবীর, দেখি সখী হৈল ধন্মকেত । নিদয়ার সখ বড, গৃহ-কম্মে বধূ দড়,
কুল-যশ বক্ষণের হেতু ॥
যে দিনে যতেক পায়, সেই দিন তাই খায়, ন। রহে সম্বল দেড়ি ঘবে।
তিন বাণ শরাসন, বিনা আর মাহি ধন, বান্ধা দিতে, পারে না উধারে ॥
প্রভাতে সম্বল ত্বরা, বাধ মুগ খগ বরা, প্রতিদিন করয়ে মুগয়া ।
পুর হেতু ধম্মকেত, নিশ্চিন্ত সম্বল হেতু, আনন্দিত-হাদয়। নিদয়া ॥
নিদয়া বসিয়। খাটে, মাংস লয়ে গোলা হাটে অন্ুুদিন বেচয়ে ফুল্পরা ।
শাশুড়ী যেমত ভণে, সেইমত বেচে কিনে, শিরে কাখে মাংসের পসরা ॥
মাংস বেচি লয় কড়ি, চাল লয় দাল বড়ি, তৈল লোণ কিনয়ে বেসাতি ।
শাক বেগুন কচু মূলা, এটে থোড় কাচকলা, নান৷ সঙ্জ ভরে আনে পাতি ॥
ফুল্পরা আইল ঘরে, নিদয়া জিজ্ঞাসা করে, কহে রামা হাট-বিবরণ ।
নিদয়ার আজ্ঞা ধরে, ফুল্পরা রন্ধন করে, আগে ধন্মকেতুর ভোজন ॥
পাট__পী'ড়।, পাঠ । ছামনি-_শুভদৃষ্টি। খরশাণ-তীক্ষ, খুব ধারাল। গ্রগ্থিছড।__গাঃট ছড়া । ব্যবহীর--লৌকিকত1। দেঁড়ি -বাড়তি। উধার_ধার লইয়।| পন॥--পশাভার | বেসাতি-বাঁজারের সওদ| | পাতি -বংশ নিশ্মি ত পাত্র
কালকেতুর ভোজন। 9৯
তনয়ে বাগুরা জাল, সমপিয়া বহুকাল, ভু্জে সখ কিরাত-নন্দন । খাওয়ায় ফুল্লপরা বধু, ক্ষীরখণ্ড দধি মধু
, নিদয়ার সফল জীবন ॥
ব্যাধের উত্তম দৈব, নিজে সে আছিল শৈব, পাইল কুমার-বংশধব।
চিরদিন সাধুসঙ্গ, হইল বিপদ ভঙ্গ, ধন্মকেতু চিন্তে পুরহর ॥
মুক্তি-পথে দিয়া মন, শিব চিন্তে অন্ুক্ষণ, শুনয়ে পুরাণ উপাখ্যান ।
জায়া সঙ্গে ধন্মকেতু, ভাবিয়৷ মুক্তির ভেতু, বারাণসী করিল প্রস্থান ॥
দম্পতী লোটায়ে কান্দেখকেশপাশ নাহি বান্ধে, মাসে মাসে পাঠায় সম্বল |
স্থধন্য আন্ডবা স্থান, শ্রীকবিকঙ্কণ গান, হৈমবতী-শঙ্কর-মঙ্গল ॥
কালকেতুর মুগম।।
অনভদিন পশু বধে বীব মহাবলা | করুরাজ-সেনা যেন বাধে বৃহনুলা ॥ শুণ্ডে ধবি গজবর আছাড়িয়া মারে। দন্ত উপাড়িয়া বীর আনে ভারে ভারে ॥ চুপড়ি, মূলিয়া হাটে বেচয়ে ফুল্পরা । কৃষকে যেমন বেচে মূলার পসরা ॥ সাঁজুড়িয়া পালে পালে আনয়ে চমরী । লেজ কাটি গছায় ফুল্লরা বরাবরি ॥ ফুল্লরা পসবা করে নগর-চাতরে | হাড়িয়। চামর বেচে চারিপণ দরে ॥ ভল্লুক সান্ধায় গর্তে ভয়ে কম্পমান। মহিষ তাডিয়। ধরে উপাড়ে বিষাণ ॥ শৃঙ্গের পসরা দেয় ফুল্পরা বাজারে ।
পণ দরে শিঙ্গ জোড়া, লয় শিঙ্গাদারে ॥
যন্ত্র পাতি ব্যাত্র মারে খুলে লয় ছাল। ব্যা্র-নখ ক্ষুদ দিয়া কিনয়ে ছাওয়াল ॥ হাটে বাঘ-ছাল বেচে ফুল্পরা রূপসী । যতনে কিনয়ে তাহা যতেক জন্যাসী ॥ শরভে শরভে ধরি ঢুষাইয়া মুণ্ডে।
গণ্ডকে ধরিয়া তার খঙ্জা লয় ছিণ্ডে ॥ ফুল্পরা বেচয়ে খঙা দরে এক পণ।
ব্রাহ্মণ সঙ্জনে লয় করিতে তপণ ॥
বন বেড়ি জাল পাতি ঝোঁড়ে মারে বাড়ি । জালে পড়ে ক্ষুদ্র পশু পায়্যা তাড়াতাড়ি ॥ শশারু হরিণ ববা লতা-পাশে বান্ধে | ঘবে আইসে মহাবীর ভার করি কান্ধে ॥ একমতি হয়ে ছোট বড় পশুগণ। আদ্দাসে চলিল সবে যথা পঞ্চানন ॥ কুল্পবা বীরেব তবে কবিছে রন্ধন । অভয়া-মঙ্গল গান গ্াকবিকম্কণ ॥
কালকেতুব ভোজন ।
দুর হৈতে ফুল্পরা বীরের পায়ে সাড়া । সম্ত্রমে বসিতে দিল হরিণের ছড়। ॥ মোকা নারিকেলেতে পুরিয়। দিল জল । বাটি জল দিয়! কৈল ভোজনের স্থল ॥ পাখালিল মহাবীর পদ পাণি মুখে । ভোজন কবিতে বৈসে মনের কৌতুকে ॥ সন্ত্রমে ফুল্পরা দিল মাটিয়া পাথর! । ব্যঞজনের তরে দিল নৃতন খাপরা ॥ মুচড়িয়া ছুই গৌপ বান্ধে নিয়া ঘাড়ে। এক শ্বাসে সাত হাড়ি আমানি উজাড়ে ॥ চারি হাড়ি মহাবীর খায় ক্ষুদ-জাউ । ছয় হাড়ি মস্থুর সুপ মিশাইয়া লাউ ॥ ঝুড়ি তুই তিন খায় বন-গল পোড়া । বন-পুঁই ভাব ছুই কলমি কাচড়| ॥
চুপডি মুলিয়।-_ঝুড়ি শুদ্ধ একবাবে দান ধরিয়। | স।জুডিয়া__একত্র করিষ।। হাঁড়ি বড সান্ধায_লোধোয়। বিধাণ--
শৃঙ্গ । শিঙ্গাদার-_শৃঙ্গ-ব্যবসায়ী। উজাড়ে-খাইয়! ফেলে । জাঁউ-_মণ্ড, মাড |
আন্দা_অিযোগ | ছড়।--চামড়।। নৌক।_মাল।।
পাথালিল_-ধোত করিল।
শ্্পাসিশ ছিলো
&৩
ফুল্পরা রন্ধন করে জ্বালে গোটা বাঁশ । ঝোল রান্ধি দিল ছুটা হরিণের মাস ॥ গণ্ডা দশ মহাবীর খায় নেউল পোড়া ।, সার কচু মিশাইয়া করঞ্জ আমড়া । অস্থল খাইয়া বীর জায়াকে জিজ্ঞাসে। রন্ধন করেছ ভাল আর কিছু আছে ॥ এনেছি হরিণ দিয়। দধি এক হাড়ি । তাহ] দিয়! খায় বীর ভাত তিন কাড়ি ॥ শয়ন কুৎসিত বীরের ভোজন বিট্কাল। গ্রাসগুলা তোলে যেন তেআটিয়া তাল ॥ ভোজন করিয়। সাঙ্গ কৈল আচমন । হরীতকী খেয়ে কৈল মুখের শোধন ॥ নিশাকাল হেল বীর করিল শয়নে | নিব্দেযে পশুগণ রাজাব চরণে ॥ অভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত। শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
পশুরাজের নিকট পঙশুগণেব গমন |
হেথা বার দেন গিরি-শিখরে কেশরী । ছোট বড় পশু যায় করিতে গোহাবি ॥ আর্তনাদে কান্দে গজ নিবেদয়ে ছুঃখ। তোম। সেবি দশনবঙ্জিত হেল মুখ ॥ মহিষ আইল মুণ্ডে গলয়ে রুধির । কহিল এতেক ছঃখ দের মহাবীব ॥ আদ্দাস করয়ে আসি চমরীর ঘটা | ভাবয়ে বিষাদ সবাকাব লেজ কাটা ॥ গণ্ডক বলেন আমি বড় ছুঃখ পাই । খড়গ হেতু আমার মরিল সাত ভাই ॥ কপি বলে রাজ মোর কৈল জ্ঞাতি ধ্বংস। কালকেতু বাঁধিয়া বেচিল মোর বংশ ॥ বারশিঙ্গা ঘোড়ারু তুলারু ঢোলকাণ । অবনী লোটায়ে কান্দে কবি অভিমান ॥
কবিকক্কণ চণ্ডী ।
করিল নিধন কালকেতু পরিবার । বিফল জনম মোর মৈল স্ৃত দার ॥ রাণ্ডী হইয়া শরিণী কান্দয়ে উভরায়। পতি-স্ৃত-হীন পাপপ্রাণ নাহি যায় ॥ পশুর গোহাবি শুনি রাজা পঞ্চানন । ভ্রকুটি করিয়া কোপে কোটালে গজ্জন ॥ অভয়ার চবণে মজুক নিজ চিত । শ্রীকবিকম্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
পপ স
পশুগণেব প্রার্থনা ।
শুন শুন রায়, মাগিয়ে বিদায়, ভাড়িব তোমার বন।
পাত্র অধিকাবী, না শুনে গোভারি, বিপাকে ত্যজিব জীবন ॥
নারীগণ সঙ্গে, থাক লীলা রঙ্গে, না কর দেশের বিচার ॥
একা কালকেতু, পশু-বধহেতু, নিত্য করে মহামার ॥
এক মহাবীর, লয়ে তিন তীর, কুড়িচা কাঠের ধন্থু।
পশুদের কাল, নিত্য পাতে জাল, ধায় যেন রথে ভানু ॥
ভুবনে বিখ্যাত, মোর প্রাণনাথ, কালকেতু বধে বনে।
দেখি সুৃত-মুখ, ত্যজি পতি-ছুঃখ, না গেলাম পতি সনে ॥
রূপ-গুণযুত, মোর ছুই স্ৃত, কালকেতু কেল বধ।
হাট নিম্মাইল, বসাতে নারিল, হরিল বিধি সম্পদ ॥ *
রাজা রঘুনাথ, গুণে অবদাত, রসিক রাজ সুজন ।
কাড়ি-রাশি, গাদ|। বিটকাল-বীভৎস। তেঅ টিয়া_তিন আঠিওয়াল।, হতরাং খুব বড়। বার__সভ। এখানে সাক্ষাৎ
উত্তরায়--উচ্চরবে |
“ বাজার প্রশ্তুত করিয়াছিলাম , কিন্তু রাখিতে পারিলাম প।,.বিধি সকল সম্পদ হরণ করিল।
পশুরাজের যুদ্ধে গমন । ৫১
তাঁর সভাসদ, রচি চাঁরু পদ অন্বিকা-মঙ্গল গান ॥
সিংহের যুদ্ধ-সঙ্জা।
পশুব গোহারি শুনি রাজ! পঞ্চানন | কোটাল কোটাল ডাক পাড়ে ঘনে ঘন ॥ আসিয়া কোটাল নুপে দিল দরশন | ভয়ে কম্পমান তন্তু মুদিত লোচন ॥৷ সিংহ বলে ব্যাদ্র ভাল তোরে কব কি। ভোনাবে বিষয় দিয়! হইলাম দ্বঃখী ॥ পশুমাঝে তোমারে বলিয়ে বড় লোক । রায়বার তোমারে করিলু আমি কোক ॥ পশ্ুব বচন শুনি মনে লাগে ব্যথা । ভাল মন্দ নাহি দেখ দেশের বাবতা | আজি কালি যদি না দেখাও মহাবীর । ভোর বুক চিরি পান করিব রুধিব ॥ বাঘ বল লায় তুমি আজি হও স্থিব । কালিকার প্রভাতে দেখাব মহাবীর ॥| সেই নিশ। গেল পবে হইল প্রভাত | পাত্র মিত্র সঙ্গে যুক্তি কৈল পশুনাথ ॥ দক্ষিণদিগেতে তার! ধায় লঘুগতি । গণ্ডতার মভিষ ব্যান তিন সেনাপতি ॥ যুঝিবারে সিংত নিজে চলিল সত্বব। জোড়করে তবে করে গণ্ডার উত্তর ॥ নর সনে বণে রায় বড় পারবে লাজ । মক্ষিকা মারিতে কিবা সাজে গজরাজ ॥ এতেক শুনিয়। সিংহ গণ্ডার-ভারতী । চন্দন তরুব তলে করিল বসতি ॥
চন্দন তরুব তলে রাজা ঢালে গ। | ছদিগে চমরী দেয় চামরের বা ॥ চারিদিকে চর পাঠাইল সাবধান । শুভক্ষণে কালকেত করিল প্রয়াণ ॥
গ। ঢালে-_শয়ন করে ব| বিশ্রাম করে। ব|-বাতাস। চর- গুপ্ত দূত
মভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত । শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
পশুর সঙ্গে কালকেতুর যুদ্ধ।
প্রভাতে উঠিয়া বীর পরে রাঙ্গা ধড়া। যৌতুকের বাশে দিল মুরুগার চড়া ॥ জাল দড়ি বান্ধিয়া বর্জিত কৈল কেশ। রাঙ্গ। ধুলি মাখিয়া অঙ্গের করে বেশ ॥ প্রণাম করিয়। বীব চণ্ডীর চরণ ।
গহন কাননে গিয়া দিল দরশন ॥| কাননে থাকিয়া বাঘা দেখে মহাবীবে। সাড়া পেয়ে তখন আইসে ধীরে ধীরে ॥ চিবদিন রোষে বাঘা শোকাকুল তনু । লম্ফ দিয় বাঘা তার ধরিলেক ধনু ॥ বজ-মুকুটি বীর মারে তাৰ মুণ্ডে। ঝলকে ঝলকে রক্ত উঠে তার তুণ্ডে ॥ বজ-মুকুটি শিরে মারে মহাবীব।
এক ঘায়ে বাঘ। তথ। ত্যজিল শবীর || সমরে পড়িল ব্যান হেল বড় শোক। রাজস্থানে বার্তা দিতে চলিলেন কোক ॥| অভয়াব চরণে মক নিজ চিত। শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সঙ্গীত ॥
পশুরা-জর যুদ্ধে গমন |
শুনিয়া কোকের মুখে বাঘের মরণ। কোপে সিংহ ধায়ে যায় করিবারে রণ ॥ লাম্ুল তোলয়ে সিংহ মাথার উপর । কলাব বাগুলা যেন কম্পিত কেশর ॥
' পশুরাজ সঙ্গে বীব যুঝে কালকেতু।
দেবাস্ত্ররে রণ যেন হৈল সুধা হেতু॥
বাশে- ধনুতে। মুকগার চড়া দিল--মুগ! সৃতার
জ্যা যৌজন! করিল | বেশ-সঙ্জ!। মুকুটি-কীল ; ঘুষি | কোক -বৃক ; নেকডে বাঘ । বাগুল।__কলাগাছের ভাল।
কবিকস্কণ চত্তী।
উত্তু্দিকে বীর বেড়ি সিংহ ডাকি বলে। আমাব যতেক পশু তুমি ত মাবিলে ॥ পড়িলি আমার হাতে নিকটে মরণ । নখে দস্তে লেজে তোব কবিব নিধন ॥| মহাবীর বলে মোর বড় লাভ হৈ